ডেবিয়ানকে বলা হয়ে থাকে লিনাক্সের সবচেয়ে স্ট্যাবল ডিস্ট্রো। সফটওয়্যার কালেকশনে একটু পুরাতন হলেও আপডেটের পরপর ক্রাশ করা, কিংবা প্যাকেজ আপগ্রেডের পর সিস্টেমে ঝামেলা তৈরি হওয়ায় ঘটনা তুলনামূলক ভাবে সবচেয়ে কম ঘটে থাকে এই সলিড রক ডেবিয়ান ডিস্ট্রোতে। ডেবিয়ানের স্ট্যাবিলিটিকে কাজে লাগিয়ে এর থেকেই তৈরি হয়েছে আরও অনেক অনেক ডিস্ট্রো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ডিস্ট্রো হচ্ছে - Ubuntu, MX Linux, Linux Mint Debian Edition বা LMDE, Endless OS, antiX প্রভৃতি।
তো যাই হোক, ধরে নিলাম আপনি আপনার পিসিতে ডেবিয়ান এর সর্বশেষ ভার্সন Debian 10 (Buster) টি XFCE ডেক্সটপ এনভায়রনমেন্ট বা DE সহ ইন্সটল করে নিয়েছেন। এখন তারপর কি করা যায়?
এরপর কিছু কাজ করে নিলে আপনার ডেবিয়ান এক্সপেরিয়েন্স হবে আরও দারুন। চলুন দেখে নেয়া যাক সেই কাজের স্টেপ গুলো।
এখন আপনার root ইউজারের পাসওয়ার্ডটি দিয়ে এন্টার চাপুন।
এতে টার্মিনালের nano টেক্সট এডিটরে sudoers ফাইলটি সচল হবে। এই ফাইলটি থেকে ‘root ALL=(ALL:ALL) ALL’ লেখাটি খুজে বের করুন। তারপর লাইনটির শেষে এন্টার কী-প্রেস করে নতুন লাইনে লিখুন ‘{username} ALL=(ALL:ALL) ALL’। এখানকার {username} অংশটি আপনার সিস্টেমের বর্তমান ইউজারের ইউজারনেম দিয়ে পরিবর্তন করে নিন। যেমন oliver ALL=(ALL:ALL) ALL
তো যাই হোক, ধরে নিলাম আপনি আপনার পিসিতে ডেবিয়ান এর সর্বশেষ ভার্সন Debian 10 (Buster) টি XFCE ডেক্সটপ এনভায়রনমেন্ট বা DE সহ ইন্সটল করে নিয়েছেন। এখন তারপর কি করা যায়?
এরপর কিছু কাজ করে নিলে আপনার ডেবিয়ান এক্সপেরিয়েন্স হবে আরও দারুন। চলুন দেখে নেয়া যাক সেই কাজের স্টেপ গুলো।
১) user কে sudoers ফাইলে যুক্ত করাঃ
সিস্টেমের পরিবর্তন সহ সফটওয়্যার বা প্যাকেজ ইন্সটলেশন করার জন্যে সকল পাওয়ার ডিফল্ট ভাবে দেয়া থাকে root ইজজারের কাছে। সেক্ষেত্রে সাধারণ ইউজার এই ধরণের কাজ গুলো করতে পারে না। কিন্তু এখন কাজের জন্যে root ইউজারের পাওয়ারটুকু আমরা আমাদের সাধারণ ইউজারকে প্রদাণ করবো। এতে সে সিস্টেমের এডমিনিসট্রিটিভ পাওয়ার পাবে। এটি করার জন্যে Terminal চালু করে প্রথমে এই কমান্ড টি লিখে এন্টার দিন-$ sudo nano /etc/sudoers
এখন আপনার root ইউজারের পাসওয়ার্ডটি দিয়ে এন্টার চাপুন।
এতে টার্মিনালের nano টেক্সট এডিটরে sudoers ফাইলটি সচল হবে। এই ফাইলটি থেকে ‘root ALL=(ALL:ALL) ALL’ লেখাটি খুজে বের করুন। তারপর লাইনটির শেষে এন্টার কী-প্রেস করে নতুন লাইনে লিখুন ‘{username} ALL=(ALL:ALL) ALL’। এখানকার {username} অংশটি আপনার সিস্টেমের বর্তমান ইউজারের ইউজারনেম দিয়ে পরিবর্তন করে নিন। যেমন oliver ALL=(ALL:ALL) ALL
এখন কিবোর্ড থেকে প্রথমে Ctrl+O একত্রে চেপে এন্টার দিয়ে পরিবর্তন গুলো ফাইলে সেভ করুন। তারপর Ctrl+X চেপে nano এডিটরটি বন্ধ করুন।
২) লোকাল মিরর এবং non-free রিপোজিটরি এড করাঃ
লোকাল মিরর ব্যবহার করলে প্রয়োজনীয় প্যাকেজগুলো খুব দ্রুত ডাওনলোড করা যায়। বাংলাদেশে ডেবিয়ানের ২টি নির্ভরযোগ্য রিপোজিটরি মিরর রয়েছে। এগুলো হলো-- http://mirror.amberit.com.bd/debian/
- http://mirror.xeonbd.com/debian/
এছাড়া প্রয়োজনীয় কিছু non-free সফটওয়্যার বা প্যাকেজ (যেমন কিছু মিডিয়া কোডেক, ফন্ট, ফ্লাশ সাপোর্ট প্রভৃতি) ব্যবহার করার জন্যে ‘contrib’ এবং ‘non-free’ রিপোজিটরিতে যুক্ত করতে হবে। এটি করার জন্যে টার্মিনালে গিয়ে লিখুন-
এরপর nano এডিটরে ছবির মত পরিবর্তন করে নিন-
$ sudo nano /etc/apt/sources.list
এরপর nano এডিটরে ছবির মত পরিবর্তন করে নিন-
সম্পূর্ণ source.list ফাইলটি এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
এখন কিবোর্ড থেকে প্রথমে Ctrl+O একত্রে চেপে এন্টার দিয়ে পরিবর্তন গুলো ফাইলে সেভ করুন। তারপর Ctrl+X চেপে nano এডিটরটি বন্ধ করুন।
৩) সিস্টেম আপডেট করাঃ
পূর্বের পরিবর্তন গুলো ঠিকঠাক হয়ে থাকলে এখন আমাদের প্যাকেজ লিস্ট নতুন করে সিনক্রোনাইজ করতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় আপডেটেট প্যাকেজ গুলো ইন্সটল করে নিতে হবে। এর জন্যে টার্মিনাল চালু করে নিচের কমান্ডটি লিখে এন্টার চাপুন-$ sudo apt update && sudo apt upgrade -y
এরপর আপনার পাসওয়ার্ড টাইপ করে আবার এন্টার চাপুন। ইন্টারনেট কানেকশন সচল থাকলে কিছুক্ষন সময় নিয়ে সিস্টেমটি আপডেট চেক করবে। এরপর কোন আপডেট পেলে তা নিজে নিজেই ইন্সটল করে নিবে। কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৪) build-essential প্যাকেজ ইন্সটল করাঃ
বেশ কিছু প্যাকেজ কম্পাইল কিংবা সিস্টেমের অভ্যন্তরীন কিছু কাজের প্রয়োজনে কয়েকটি প্যাকেজ ইন্সটল করা খুবই প্রয়োজন। তেমন কিছু প্যাকেজ ইন্সটল করতে টার্মিনালে নিচের কোড গুলো লিখে এন্টার প্রেস করুন-$ sudo apt install -y build-essential dkms linux-headers-$(uname -r) firmware-linux firmware-linux-nonfree
এরপর আপনার পাসওয়ার্ড টাইপ করে আবার এন্টার চাপুন। এরপর প্যাকেজগুলো ইন্সটল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৫) microcode প্যাকেজ ইন্সটল করাঃ
আপনার সিস্টেমের ধরন অনুযায়ী microcode প্যাকেজ ইন্সটল করুন। যে কম্পানির প্রসেসর দিয়ে আপনার সিস্টেমটি তৈরি হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা মাইক্রোকোড রয়েছে।আপনার সিস্টেমটি Intel এর হয়ে থাকলে টার্মিনাল চালু করে তাতে লিখুন-
$ sudo apt install intel-microcode
কিংবা আপনার সিস্টেমটি AMD-র হয়ে থাকলে টার্মিনাল চালু করে তাতে লিখুন-
$ sudo apt install amd64-microcode
এরপর আপনার পাসওয়ার্ড টাইপ করে আবার এন্টার চাপুন। এরপর প্যাকেজগুলো ইন্সটল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৬) Synaptic প্যাকেজ ম্যানেজার ইন্সটলঃ
ডেবিয়ানের জন্যে একটি জনপ্রিয় গ্রাফিকাল প্যাকেজ ম্যানেজার হচ্ছে Synaptic। এখানে synaptic এর সাথে আরও দুইটি প্যাকেজ ইন্সটল করা হবে। apt-xapian-index প্যাকেজটি প্যাকেজ ইনডেক্সের ডাটাবেসে সংরক্ষন করে এবং প্রয়োজনে দ্রুততর সময়ে কোন প্যাকেজ খুঁজে বের করতে সহায়তা করে। policykit-1-gnome প্যাকেজটি বিভিন্ন প্যাকেজের পলিসির কনফিগ গুলোর কাঠামো তৈরি করার কাজটি করে থাকে।প্যাকেজ গুলো ইন্সটল করতে টার্মিনাল চালু করে তাতে লিখুন-
এরপর আপনার পাসওয়ার্ড টাইপ করে আবার এন্টার চাপুন। এরপর প্যাকেজগুলো ইন্সটল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
এরপর আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে প্যাকেজ ইন্সটল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
প্যাকেজ ইন্সটল হয়ে গেলে ফায়ারওয়াল সচল করার জন্যে টার্মিনালে লিখুন-
মুহুর্তের মধ্যেই ফায়ারওয়ালটি সচল হয়ে যাবে। এখন ফায়ারওয়ালটি সচল অবস্থা পরীক্ষা করার জন্যে টার্মিনালে লিখুন-
কমান্ড টাইপ করে এন্টার প্রেস করলে এমন আউটপুট দেখা যাবে-
$ sudo apt install -y synaptic apt-xapian-index policykit-1-gnome
এরপর আপনার পাসওয়ার্ড টাইপ করে আবার এন্টার চাপুন। এরপর প্যাকেজগুলো ইন্সটল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৭) ফায়ারওয়াল ইন্সটল ও তা সচল করাঃ
লিনাক্সের জন্যে চমৎকার একটি ফায়ারওয়াল প্রোগ্রাম হলো Uncomplicated Firewall বা ufw। এটি ইন্টারনেট এবং আপনার হার্ডওয়্যারের মধ্যকার একটি সুরক্ষাকবজ হিসেবে কাজ করে। ufw ইন্সটল করার জন্যে টার্মিনাল চালু করে তাতে লিখুন-$ sudo apt install -y ufw
এরপর আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে প্যাকেজ ইন্সটল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
প্যাকেজ ইন্সটল হয়ে গেলে ফায়ারওয়াল সচল করার জন্যে টার্মিনালে লিখুন-
$ sudo ufw enable
মুহুর্তের মধ্যেই ফায়ারওয়ালটি সচল হয়ে যাবে। এখন ফায়ারওয়ালটি সচল অবস্থা পরীক্ষা করার জন্যে টার্মিনালে লিখুন-
$ sudo ufw status verbose
কমান্ড টাইপ করে এন্টার প্রেস করলে এমন আউটপুট দেখা যাবে-
এখানে লক্ষ্য করুন Status: active রয়েছে। এর মানে ফায়ারওয়ালটি সচল রয়েছে। যদি ফায়ারওয়াল সচল না থাকতো তাহলে এখানে Status: inactive লেখা আউটপুট আসতো।
প্রথমে টার্মিনালে চালু করে তাতে টাইপ করে এন্টার চাপুন-
পাসওয়ার্ড দিয়ে এন্টার দিলেই grub কনফিগারেশন ফাইলটি nano এডিটরে চালু হয়ে যাবে। এখন কনফিগ ফাইলটি থেকে GRUB_TIMEOUT=5 লাইনটি খুজে বের করুন। এখন 5 এর স্থানে 2 লিখুন, অথবা আপনার সুবিধামত সময় নির্ধারণ করুন। মনে রাখবেন, এখানে সময়টা সেকেন্ডের হিসেবে লিখতে হবে। পরিবর্তনের পর কনফিগ ফাইলটি দেখতে এমন হবে-
৮) বুট টাইমকে তরান্বিত করাঃ
প্রতিবার সিস্টেম চালু করার সময় Grub লোডারে ৫ সেকেন্ড করে অপেক্ষা করতে হয়। অবশ্য আপনি যদি ডুয়েল বুটে উইন্ডোজ এবং লিনাক্স ২টি অপারেটিং সিস্টেমই চালিয়ে থাকেন তাহলে এই অপেক্ষাটা অনেকের কাছেই প্রয়োজনীয়। তবুও ৫ সেকেন্ড করে অপেক্ষাটা কারও কারও কাছে একটু বেশি মনে হতে পারে। আমরা এখন এই ৫ সেকেন্ডের অপেক্ষাটা ২ সেকেন্ডে কমিয়ে নিয়ে আসবো। তো চলুন করে ফেলা যাক।প্রথমে টার্মিনালে চালু করে তাতে টাইপ করে এন্টার চাপুন-
$ sudo nano /etc/default/grub
পাসওয়ার্ড দিয়ে এন্টার দিলেই grub কনফিগারেশন ফাইলটি nano এডিটরে চালু হয়ে যাবে। এখন কনফিগ ফাইলটি থেকে GRUB_TIMEOUT=5 লাইনটি খুজে বের করুন। এখন 5 এর স্থানে 2 লিখুন, অথবা আপনার সুবিধামত সময় নির্ধারণ করুন। মনে রাখবেন, এখানে সময়টা সেকেন্ডের হিসেবে লিখতে হবে। পরিবর্তনের পর কনফিগ ফাইলটি দেখতে এমন হবে-
এখন কিবোর্ড থেকে প্রথমে Ctrl+O একত্রে চেপে এন্টার দিয়ে পরিবর্তন গুলো ফাইলে সেভ করুন। তারপর Ctrl+X চেপে nano এডিটরটি বন্ধ করুন। এরপর টার্মিনালে নিচের কমান্ডটি লিখে এন্টার প্রেস করুন-
grub আপডেট কমপ্লিট হলে টার্মিনাল বন্ধ করে সিস্টেম রিস্টার্ট দিয়ে পরিবর্তনটুকু চেক করে আসুন।
টার্মিনাল চালু করে প্রথমে এই কমান্ডটি লিখে এন্টার প্রেস করুন-
তারপর আপনার পাসওয়ার্ড চাইলে পুনরায় সেটি দিয়ে আবার এন্টার চাপুন। কনফিগ ফাইলটি চালু হবে। প্রাথমিক অবস্থায় ফাইলটিতে কোন কিছু লেখা নাও থাকতে পারে। আপনি এখানে নিচে দেয়া কনফিগ কমান্ড লিখুন-
$ sudo update-grub
grub আপডেট কমপ্লিট হলে টার্মিনাল বন্ধ করে সিস্টেম রিস্টার্ট দিয়ে পরিবর্তনটুকু চেক করে আসুন।
৯) lightDM কে একটু টুইকঃ
lightDM ডিসপ্লে ম্যানেজারটি xfce ডেক্সটপ এনভায়রনমেন্টের ডিফল্ট লগইন ম্যানেজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু ডেবিয়ানে লগইন স্ক্রিনে এসে প্রতিবার username এবং password দিয়ে তারপর লগইন করতে হয়। এখন আমরা চাচ্ছি লগইন স্ক্রিনে username আগে থেকেই সয়ংক্রিয় লেখা থাকবে, আমরা শুধু পাসওয়ার্ডটা টাইপ করে লগইন করবো। চলুন করে ফেলা যাক কাজটুকু।টার্মিনাল চালু করে প্রথমে এই কমান্ডটি লিখে এন্টার প্রেস করুন-
$ sudo nano /usr/share/lightdm/lightdm.conf.d/01_my.conf
তারপর আপনার পাসওয়ার্ড চাইলে পুনরায় সেটি দিয়ে আবার এন্টার চাপুন। কনফিগ ফাইলটি চালু হবে। প্রাথমিক অবস্থায় ফাইলটিতে কোন কিছু লেখা নাও থাকতে পারে। আপনি এখানে নিচে দেয়া কনফিগ কমান্ড লিখুন-
[SeatDefaults]
greeter-hide-users=false
এখন কিবোর্ড থেকে প্রথমে Ctrl+O একত্রে চেপে এন্টার দিয়ে পরিবর্তন গুলো ফাইলে সেভ করুন। তারপর Ctrl+X চেপে nano এডিটরটি বন্ধ করুন। এরপর লগ-আউট হয়ে নতুন করে লগইন করুন। তারপর থেকে লগইনের সময় আপনাকে আর আপনার username-টি লিখতে হবে না, সেটি পূর্বে থেকেই লগইন ম্যানেজারে লিখা থাকবে।
১০) Restricted-extras প্যাকেজ সমূহ ইন্সটল করাঃ
অডিও কিংবা ভিডিও প্লে করার জন্যে আমাদের কিছু কোডেক প্রয়োজন। কিন্তু কোডেক গুলো মুক্ত লইসেন্সের আলতাভুক্ত না হবার কারণে এদের সরাসরি ডেবিয়ান ডিস্ট্রোতে সরবরাহ করা হয় না, আপনাকে মেনুয়াললি সেসব ইন্সটল করে নিতে হবে।Restricted-extras প্যাকেজ ইন্সটল করবার জন্যে প্রথমে টার্মিনালে গিয়ে লিখুন-
$ sudo apt install -y ttf-mscorefonts-installer rar unrar libavcodec-extra gstreamer1.0-libav gstreamer1.0-plugins-ugly gstreamer1.0-vaapi
তারপর আপনার পাসওয়ার্ড চাইলে পুনরায় সেটি দিয়ে আবার এন্টার চাপুন। ইন্সটল শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
১১) বাংলা ফন্ট সমূহ ইন্সটল এবং সিস্টেমওয়াইড বাংলা ফন্ট কনফিগ করাঃ
ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা ফন্ট সমূহ আপনার সিস্টেমে ইন্সটল করার জন্যে নিচের কমান্ডটি আপনার টার্মিনালে লিখে এন্টার চাপুন-$ sudo cd /tmp;wget --no-check-certificate https://github.com/r-not/unibnfonts/archive/master.tar.gz -O ubf.tar.gz;sudo tar -xvf ubf.tar.gz -C /usr/share/fonts/;rm ubf.tar.gz
এরপর আপনার পাসওয়ার্ডটি দিয়ে পুনরায় এন্টার চাপুন। সয়ংক্রিয়ভাবে ইউনিকোড বাংলা ফন্ট গুলো ইন্সটল হয়ে যাবে।
এখন সিস্টেমওয়াইড ঝকঝকে বাংলা দেখার জন্যে নিচের পদ্ধতিটি ফলো করুন-
- প্রথমে আপনার হোম ডিরেক্টরির .config ফোল্ডারে প্রবেশ করুন। এরপর fontconfig ডাইরেক্টরিটি খুজে বের করুন। যদি পূর্বে থেকে fontconfig ডাইরেক্টরিটি না থেকে থাকে তাহলে সেটি তৈরি করে নিন। fontconfig ডাইরেক্টরিটি তৈরি করতে টার্মিনালে ধারাবাহিক ভাবে নিচের কমান্ডগুলো লিখুন-
$ cd .config
$ mkdir fontconfig
$ cd fontconfig
- এরপর fontconfig ডিরেক্টরিতে fonts.conf নামে একটি ফাইল তৈরি করুন। fonts.conf তৈরি করতে লিখুন-
$ touch fonts.conf
- এরপর nano এডিটরে ফাইলটি চালু করুন। nano এডিটর দিয়ে ফাইলটি চালু করার জন্যে টার্মিনালে লিখুন-
$ nano fonts.conf
- পূর্বে থেকে কনফিগ ফাইলে কিছু লিখা থাকলে ডাওন এ্যারো-কী চেপে ফাইলটির একদম শেষে চলে আসুন। তারপর নিচে উল্লেখিত কোড কিংবা এই লিংক থেকে প্রাপ্ত কোড গুলি fonts.conf ফাইলের একদম শেষে গিয়ে পেস্ট করে দিন।
<?xml version="1.0"?>
<!DOCTYPE fontconfig SYSTEM "fonts.dtd">
<fontconfig>
<match target="font">
<edit mode="assign" name="hinting" >
<bool>true</bool>
</edit>
<edit mode="assign" name="autohint" >
<bool>true</bool>
</edit>
<edit mode="assign" name="hintstyle" >
<const>hintslight</const>
</edit>
<edit mode="assign" name="rgba" >
<const>rgb</const>
</edit>
<edit mode="assign" name="antialias" >
<bool>true</bool>
</edit>
<edit mode="assign" name="lcdfilter">
<const>lcddefault</const>
</edit>
</match>
<!-- Set preferred serif, sans serif, and monospace fonts. →
<alias>
<family>serif</family>
<prefer>
<family>Kalpurush</family>
</prefer>
</alias>
<alias>
<family>sans-serif</family>
<prefer>
<family>Kalpurush</family>
</prefer>
</alias>
<alias>
<family>sans</family>
<prefer>
<family>Kalpurush</family>
</prefer>
</alias>
<alias>
<family>monospace</family>
<prefer>
<family>Kalpurush</family>
</prefer>
</alias>
<alias>
<family>mono</family>
<prefer>
<family>Kalpurush</family>
</prefer>
</alias>
</fontconfig>
fonts.conf |
এখন কিবোর্ড থেকে প্রথমে Ctrl+O একত্রে চেপে এন্টার দিয়ে পরিবর্তন গুলো ফাইলে সেভ করুন। তারপর Ctrl+X চেপে nano এডিটরটি বন্ধ করুন। এরপর লগ-আউট হয়ে নতুন করে লগইন করুন।
আপনি চাইলে fonts.conf ফাইলটি এখান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
প্রথমে টার্মিনাল চালু করে নিচের কমান্ডটি কপি-পেস্ট করে এন্টার চাপুন-
আপনি চাইলে fonts.conf ফাইলটি এখান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
১২) প্রয়োজনীয় কিছু প্যাকেজ ইন্সটল করাঃ
এখন আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু প্যাকেজ ইন্সটল করবো। সিস্টেম ব্লোটিং এর চিন্তা করলে কিংবা মিনিলাম সিস্টেমে একদম আপনার পছন্দসই প্যাকেজ ইন্সটল করার কথা ভাবলে করলে এই ধাপটি আপনি ইচ্ছা হলে স্কিপ করতে পারেন। কিন্তু যারা প্রয়োজনীয় সফটও্যার গুলো সিস্টেমে ইন্সটল করে রাখতে চান তারা ধাপটি ফলো করুন।প্রথমে টার্মিনাল চালু করে নিচের কমান্ডটি কপি-পেস্ট করে এন্টার চাপুন-
$ sudo apt install -y xfce4-taskmanager xfce4-power-manager xfce4-terminal xfce4-xkb-plugin xfce4-screenshooter xfce4-clipman xfce4-panel-dev thunar-archive-plugin mousepad ristretto network-manager-gnome network-manager xserver-xorg-input-synaptics rsync debian-keyring gnome-disk-utility gparted p7zip-full p7zip unzip xarchiver build-essential libreoffice libreoffice-impress libreoffice-writer libreoffice-calc mythes-en-us hunspell hunspell-en-us aspell aspell-en fonts-noto-mono fonts-dejavu-extra ttf-dejavu fonts-liberation ttf-bitstream-vera fonts-dejavu fonts-droid-fallback ttf-dejavu-extra fonts-freefont-ttf ttf-mscorefonts-installer ttf-dejavu-core fonts-opensymbol vlc audacious mplayer mpv pavucontrol qpdfview bleachbit menulibre gimp gimp-data gimp-data-extras gimp-gmic gimp-gutenprint gimp-plugin-registry gimp-ufraw flameshot arc-theme faenza-icon-theme
আপাতত এখানেই ইতি টানছি। লেখায় কিছু ভুল থাকা স্বাভাবিক। নজরে পড়লে সংশোধনের চেষ্টা থাকবে। তাছাড়া আমিও মোটামুটি লিনাক্সে নতুন ইউজারদের একজন। তথ্যগত ভুল চোখে পড়লে কেউ যদি তা দয়া করে অবহিত করেন, তাহলে সেটিও সুধরে নেবার চেষ্টা করবো।
Debian XFCE desktop |
ডেবিয়ান লিনাক্সের সাথে আপনার পথচলা হোক আনন্দময়।