এলোমেলো ভাবনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
এলোমেলো ভাবনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯

এলোমেলো ভাবনাঃ হারাবার সীমাবদ্ধতা...


টুক করে সব ছেড়ে ছুড়ে হুস করে সময়ের স্রোতে হারিয়ে যেতে খুব ইচ্ছা করে। নিকষ অন্ধকারে আপন স্বত্তাকে গুলিয়ে তাতে গলে যেতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে নিঃশব্দের নিঝুমে নিজেকে বিনিময় করে কোন এক শুনশানে নিজেকে পুনরায় আবিস্কার করতে। ইচ্ছে করে গালের গহ্‌বরে গিয়ে ছোট কোন এক কণার গতিপথ পাল্টে দিয়ে নিজের অস্বিত্বের অবস্থানকে গুড়িয়ে দিতে।

কিন্তু এই সবই অলীক কল্পনা। এখানে কেউ হারায় না। এখানে মিছিমিছি হারাবার অভিনয় করা যায়। এখানে কেউ পথ ভুলে পথিক হতে পারে না। কারণ পথই তাকে নতুন পথের দিশা দিয়ে যায়। কারণ এখানে সবাই এক অদৃশ্যের সুতোতে বাঁধা। এমন এক বিস্বয়কর এই অদৃশ্যের সুতো যে কেউ একজন নিজের অস্তিত্ব জানান দেবার আগেই সবাই নিজ নিজ স্মৃতির সুতোর সাথে তার অদৃশ্য সুতোটাকে কষে বেধে নেয়। তাই এখানে কেবল ব্যক্তির অবস্থান পরিবর্তন হয়। সে দূরে, কাছে, একেবারেই সন্নিকটে কিংবা আত্মবিলাসী অভিমানি হয়ে দৃষ্টির আড়াল হতে পারে। কিন্তু তার সেই অদৃশ্য সুতো তার অবস্থানের ঠিকানা ঠিকই পৌছে দেয় তার পরিচিতের কাছে।

আর তাই সে সুগভীর খালে নিপতিত হয়েও ঢুবে থাকতে পারে না। সুউচ্চ পর্বতের কোণে বরফে জমে গিয়ে কিংবা প্রচণ্ড খরাতাপে তৃষ্ণা বুকে নিয়ে চোখ বুঁজে পড়ে থাকলেও হারিয়ে যায় না। তার অস্তিত্ব অস্বীকার করে ডাস্টবিনে ফেলে রাখলেও সেই অস্বিত্বকে মন থেকে মুছে ফেলতে পারে না। নিপিড়নে কিংবা লালসায় গলা টিপে মারলেও মস্তিস্কের গোপন অংশ থেকে তার অস্তিত্ব মুছে যায় না। কিংবা নীল নদে কিংবা কোন মালভূমির খুব গভীরে হাজার বছর আগে দেবে গিয়ে থাকলেও তার অদৃশ্য সেই সুতো তাকে মুক্তি দেয় না।

তার সৃষ্ট হওয়াই তাকে অবিনশ্বর করে রাখে। গোপনে, প্রকাশ্যে কিংবা লাখো-কোটি সৃষ্টির ভিন্ন রূপের অন্তরালে অথবা কারও কল্পনায়...
  
   
    
    
          
           

শনিবার, জুন ০৩, ২০১৭

মুখোশ



মাঝে মাঝে হারিয়ে যাবার প্রচণ্ড তৃষ্ণা পায় আমার। হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে পরিচিত এই ভুবন ছেড়ে। কিন্তু এটা নিছকই এক ছেলেমানুষি ইচ্ছা। যেখানে ভুবন বলতে আমার জানা শোনা রয়েছেই কেবল এই একটাই, সেখানে আর কোথায় গিয়ে হারাবো?

কিন্তু তবুও হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। সমাজবদ্ধ হয়ে ভদ্র মুখোশের ভিড়ে আমি যেন দিনকে দিন কেবল হাঁপিয়ে উঠছি। দৈনন্দিন জীবনে এখানে কারও বেঁচে থাকার ছোঁয়া দেখি না আর আমি। আমি শুধু দেখি একদল মানুষ কেবলই একটা ঘোরে পড়ে ছুটছে। মানুষের চামড়ার আড়ালে এরা যেন এক একটা চলমান যন্ত্র-মানব। যেন কলকব্জা গুলোর উপরে স্তর স্তরে চামড়া জুড়ে দিয়ে মানুষের রূপে নিজেকে টিকিয়ে রাখছে। এদের ছুটোছুটি দেখলে মনে হয় নিশ্বাসটাও যেন এরা নিজের জন্যে নেয় না। কেবল পচে গলে পিছু পড়ে যাবে বলেই ভয়ে ভয়ে নিশ্বাস টেনে চলেছে নিয়ম করে।

এদের খাবার আছে, সেই খাবারও নিয়ম করে গ্রোগ্রাসে গিলছে, কিন্তু এদের খিদে নেই। খাবারের স্বাদ এদের জিহ্বাকে স্পর্শ করে না। এদের মনে স্বাদকে উপভোগের সখ জাগে না, আহ্লাদ করে এরা দু'টুকরো রুটিও চিবায় না। এরা কেবল নিয়ম করে তিন বেলা খাবার গিলতে পারে। কেবল পরে সকাল, সন্ধ্যা আর রাতে মেকি আয়োজনে নিজের ভাগের খাবার সাবাড় করতে। আর পারে খাওয়া শেষে ফের নিজেকে ঘোরে টেনে নিয়ে ছুটতে। 

তবে এদের জন্যে আমার আফসোস হয় না, দুঃখও হয় না। কেবল নিজের মনে বিষাদ জাগে। জীবনকে এরা কখনোই জীবনের মত করে দেখতে পারে না বলেই এই বিষাদ জাগে। সুশৃঙ্খল হতে গিয়ে এরা বিশৃঙ্খলার আনন্দ নিতে ভুলে গেছে বলে বিষাদ জাগে। ছন্দে চলার লোভে পড়ে ছন্দ পতনের বিরক্তি বোঝার ক্ষমতা হারিয়েছে বলে আমার বিষাদ জাগে। আমার বিষাদ লাগে, কারণ এরা উড়তে চায়, কিন্তু বাসাতকে স্পর্শ করতে চায় না বলে। বিষাদ লাগে, কারণ এরা সাতরে যায়, কিন্তু নিজেকে পানিতে ছোঁয়ায় না বলে। প্রকৃতির মাঝে কৃত্রিমতা যেন এদের গ্রাস করে নিয়েছে।

কোন একদিন হুট করে যদি এদের মোহের অবসান ঘটে, তবে আমি নিশ্চিত এরা নিজ নিজ বিছানা ছাড়বার আগেই আত্মহত্যার পথ খুঁজবে। মায়ামরা এই প্রকৃতি দেখে নিজেরাই ডুকরে কাঁদবে। সু-শৃঙ্খল জীবনে বাঁচতে গিয়ে এরা যে শৃঙ্খলে বন্দী দাশ ছিল তা অনুধাবন করে এরা নিজেদের আফসোসের আগুনে পুড়িয়ে মারবে। 

এরা কখনো সূর্যোদয় দেখে না, এরা শুধু দিনের শুরু হতে দেখে। এরা কখনো সূর্যাস্তের কোমলতাও অনুভব করে না, এরা কেবলই দিনের সমাপ্তি দেখে। এরা সন্ধ্যার মায়ায় নিজেকে নিমজ্জিত করতে জানে না, রাতের নিস্তব্ধতার ছন্দ শুনতে পারে না। এরা জাগে না, এরা ঘুমায় না। এরা কেবলই ছোটে, শুধু ছুটেই চলে।

আর এসব দেখেই আমার হারিয়ে যাবার তৃষ্ণা বাড়ে। বাড়তে বাড়তে একদম অতিষ্ঠ করে তোলে। ছটফট করে, চিৎকার করে, ভাংচুর করে সেই তৃষ্ণা মেটাতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে ইকারাসের মত ডানা ছড়িয়ে দিগন্তের এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াতে।

কিন্তু এসবের কিছুই আমার করা হয় না। আফসোসকে আবারও চেপে রেখে আমি সামনে এগিয়ে যাই। চুপিসারে আমিও আমার মিথ্যে মুখোশটা পড়ে নেই। সেই মুখোশের চোখ দিয়ে আমিও এক অদৃশ্য মোহের দেখা পাই। এটাই সেই মোহ, যা সবাইকে এই একঘেয়ে যান্ত্রিক গতিতে চালিয়ে নিচ্ছে। আর এভাবেই আমার আর হারিয়ে যাবার তৃষ্ণাটা মেটানো হয় না। অতৃপ্ত তৃষ্ণাকে মিথ্যে মুখোশে মুড়িয়ে আমিও বাকি সবার মত ছুটে চলি। ছুটে চলি এক মিথ্যে আশ্বাসের গন্তব্যে...





বৃহস্পতিবার, আগস্ট ০৭, ২০১৪

এভাবে আর কতকাল ঠকে আসবে তারা..??

একটা সময় ছিল যখন পরিবারের পুরুষ মানুষটাই আয়ের উৎস হিসেবে গণ্য হতো। যদিও তখন পরিবারের বাকি সদস্যেরা, বিশেষ করে মহিলা সদস্যেরা তাদের পরিবার গোছানোর পাশাপাশি গবাদি পশু পালন কিংবা তাতে সহায়তা, বিভিন্ন শাক সবজি ফলাত নিজেদের আঙ্গিনাতেই। নকশি কাঁথা আর হাতে তৈরি আরও অনেক জিনিষ ছিলই। তবুও সেগুলি আয়ের উৎস হিসেবে গণ্য করতো না আমাদের সমাজ। আবার দরিদ্রতা দূর করার রাস্তা কিন্তু তারা দেখিয়ে দেয়নি।
অগত্যা ঘরের নারী পেটের প্রয়োজনে রাস্তায় নামে উপার্জনের জন্যে। তখন তাদের রাস্তায় উপার্জনের উৎস হিসেবে আসে “গার্মেন্টস সেক্টর”। নারীও কর্মী এটা হারে হারে বুঝতে পারে সমাজ। তাই আর বেধে রাখতে পারেনি, ছাড় দিতেই হয়েছে নারীকেও উপার্জন করার জন্যে।

তারপর শুধু নারীই নয়, নারী-পুরুষ উভয়েই পরিবারের আয়ের উৎস হয়ে উঠলো।

কি ভাবছেন? নিশ্চই তাদের খুব আর্থিক উন্নতি ঘটেছে ইতোমধ্যে। তারা নিশ্চই সুখের সমুদ্রে ভেসে চলেছে।

কিন্তু ঘটনা তো এখানেই উল্টো। উন্নতি এই সব খেটে খাওয়া শ্রমিকদের হয়নি বরং হয়েছে শিল্প মালিকদের। কারণ তারা কত কম দিয়ে কত পরিশ্রম করানো যায় তার সূক্ষ্ম হিসেব অনেক আগেই করে ফেলেছিল। তাদের শিল্পের পেছনে শ্রম দেয়া মানুষ গুলিকে তারা কোনদিন মানুষ হিসেবে কল্পনাই করেনি, করেছে উৎপাদন যন্ত্র হিসেবে। আর যন্ত্র নিয়ে এত ভাবার সময় কোথায়। একটা বিকল হয়েছে তো অন্য আরেকটা তো তার জায়গায় পূরণ করার জন্য, আর সেটাও খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। তাই কোনরকম খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার জন্যে কিছু পারিশ্রমিকের নামে ভিক্ষা দিয়ে চালাচ্ছিল এতকাল।

কিন্তু তাতেও মনে শান্তি হয় নি তাদের। এবার সেই পারিশ্রমিক বন্ধ করে দিয়ে শুধুই খাটাতে উদ্ভূত হয়েছে তারা। আর এটার বিরোধিতা করতে গেলেও দুনিয়ার সব বিপত্তি তৈরি করে দেয়।

আপনি তাদের হয়ে কিছু করতে যাবেন?
তারা আপনাকেও ছেড়ে কোন কথা বলবে না। লাঠিপেটা করে আপনাকে এলাকা ছাড়া করবে।

এভাবে কতকাল ধরে ঠকে আসবে এরা? এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পথ কি কারো জানা নেই??



মঙ্গলবার, আগস্ট ০৫, ২০১৪

হিজিবিজি ভাবনাঃ সময়ের কাছে ছোট্ট চাওয়া.....



সময় তাদের জন্যে ধীর, যারা অপেক্ষা করে। যারা ভয় করে, তাদের জন্যে দ্রুত। তাদের জন্যে খুব দীর্ঘ, যারা শোক করে। যারা আনন্দ করে, তাদের জন্যে ক্ষুদ্র। কিন্তু যারা ভালোবাসে, তাদের জন্যে সময় অমর।
— হেনরি ভ্যান ডাইক


আমি অমরত্ব চাই না, চাই সময়টাকে উপভোগ করতে। দ্রুত কিংবা ধীর গতিতে নয়, ঠিক যতটুকু গতিতে সময়টাকে সুস্থভাবে পার করে যেতে পারবো ঠিক অতটুকু দ্রুতিতে। হিংসা কিংবা ভালোবাসায় সিক্ত জীবনও চাই না আমি, চাই নির্জনতা....



বৃহস্পতিবার, জুলাই ৩১, ২০১৪

হিজিবিজি ভাবনাঃ মনের শান্তির জন্যে প্রার্থনা.....


মানুষ ভিন্ন, অবস্থান ভিন্ন আর অবস্থানের প্রেক্ষিতে তার আকাঙ্ক্ষায়ও থাকে ভিন্নতা। আর এই ভিন্নতার কারণেই তার দৃষ্টিভঙ্গিরও পার্থক্য দেখা যায়। কেউ কেউ ছেড়া কাঁথা নিয়ে ঘুমোতে পেরেও সুখী, আবারমনে মনে ভালো একটা কাঁথারও আকাঙ্ক্ষা থাকে। অন্যদিকে মোটা কম্বল গায়ে চড়িয়েও কেউ কেউ ছটফট করতে করতে নির্ঘুম কাটায়। আর এইসবই আমাদের বাস্তবতা, আমাদেরকেই ঘিরে।

তবুও প্রার্থনা, সুখে থাকুক সবাই। জীবনের গল্প যেমনই হোক না কেন, শান্তির পরশ যেন সবার অন্তর ছুঁয়ে যায়....





বুধবার, জুলাই ৩০, ২০১৪

হিজিবিজি ভাবনাঃ সেঁকল বন্দী



আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। কিন্তু এখনো মন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি নাই।

জন্মটাই শুধু আমাদের স্বাধীন ভাবে হয়। আর জন্মানোর সাথে সাথেই আমাদের এক পায়ে ধর্মের সেঁকল আর অন্য পায়ে তথাকথিতপ্রগতিশীলতার সেঁকল পড়িয়ে দেয়া হয়।

তারপর এই দুই পায়ের সেঁকলের দুইদিক থেকে যে যেদিকে বেশি টানতে পারে আমরা ঐ দিকেই এগুতে থাকি। নিজের পছন্দ কিংবা ইচ্ছেতে আপন পথ বাছাই করার কোন সুযোগই প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেয়া হয় না।



শনিবার, জুলাই ১৯, ২০১৪

হিজিবিজি ভাবনাঃ মনের গহীনে কিছু একটা পুড়ে চলেছে…


মানুষ শিখে যায়..
একা একা একটা সময় ঠিকই বাঁচতে শিখে যায়। শিখে যায় প্রিয়জন হারিয়ে এই পৃথিবীর আনন্দ খুঁজে নিতে। শিখে যায় ব্যস্ততার মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে নিতে।

শুধু একলা রাতের কোন এক অজানা মুহূর্তে অন্তরের গহীনে শূন্যতা তাকে পুড়িয়ে যায়…..





শুক্রবার, জুলাই ১১, ২০১৪

হিজিবিজি ভাবনাঃ পরিবর্তিত



মুগ্ধ নয়নে অভ্রনীল আকাশ দেখতে দেখতে খালি পায়ে সবুজ ঘাস মাড়িয়ে সামনে এগিয়ে চলতো যেই ছেলেটা; সে এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। পরিবর্তন হয়েছে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার। এখন সে আর আগের মত খালি পায়ে আর ঘাস মাড়ায় না। তার পায়ে এখন জুতো থাকে, যদিও রং তার অনেক আগেই মলিন হয়ে গেছে।

এখন সে পিচ-ঢালা রাস্তায় ধরে শুধু সামনেই এগিয়ে যায়। পুরনো দিনের মত মুগ্ধতা নিয়ে আর অভ্রনীল আকাশটাকে দেখে না…….






মঙ্গলবার, জুলাই ০৮, ২০১৪

হিজিবিজি ভাবনাঃ ইচ্ছেদের মুক্তির দাবি



এরপর ইচ্ছেরা এসে বলল, মুক্তি চাই! মুক্তি চাই!! মুক্তি চাই!!!

আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম-
কিসের মুক্তি?
কোন বিষয় থেকে মুক্তি?
আর কার থেকে বা মুক্তি প্রয়োজন তোমাদের?

উত্তরে ইচ্ছেরা বলল-
তোমার আকাশ পাতাল চিন্তা আর ভাবনা গুলিকে আমাদের উপর আর ইচ্ছে রূপে চড়িও না। ঐসব চিন্তা-ভাবনার ভর আমরা আর সইতে পারছি না। তোমার ঐসব চিন্তাকে যখন আমরা তোমার জন্যে পূর্ণতা পাবার আশা হিসেবে তৈরি করতে যাই তখন বুঝতে পারি, ওটা অসম্ভব। তাই তোমার ঐ সব চিন্তা আর ভাবনা গুলি থাকে আমাদের মুক্তি দাও।

মুক্তি চাই তোমার আকাঙ্ক্ষা গুলি থেকে। যেই আকাঙ্ক্ষা গুলি তুমি তোমার ইচ্ছের নামে মনে মনে পেলে পুষে বড় করছ। এরপর কোন আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা না পেয়ে হৃদয় চূর্ণ হলে সেই ইচ্ছেদেরই গালি দাও তোমার ঐ মন থেকে। এবার তোমার ঐসব আকাঙ্ক্ষা গুলি থেকেও আমাদের মুক্তি দাও। তোমার মন থেকে দেয়া অভিশাপ গুলি আমাদের আর সহ্য হচ্ছে না।

মুক্তি চাই তোমার থেকে। তুমি স্বপ্ন-বাজ, তোমার স্বপ্নের পরিসীমা তোমার অতীত, তোমার বর্তমান আর তোমার ভবিষ্যৎ থেকেও বিশালাকারের। তুমি জীবনভর এই সব ছোট ছোট ইচ্ছের নুড়ি জমা করে তাতে দাড়িয়েও সেইসব বিশালতার ছোঁয়া পাবে না। পাবে না মিল কোন প্রাপ্তিতে। এইবার আমাদেরকে তোমার থেকেই মুক্তি দাও।

এরপর…..?

এরপর হয়তো তুমি ঠিকই স্বপ্ন বুনবে, কিন্তু সেটাকে পূর্ণতায় না পেলে তোমার অপূর্ণ ইচ্ছের নামে অন্তত তিরস্কার করবে না।







রবিবার, জুলাই ০৬, ২০১৪

হিজিবিজি ভাবনাঃ অপেক্ষমাণ



অন্ধকার এই রাত্রি যাপন, কার অপেক্ষাতে?
– জানা নেই।
জানা আছে এই মহাকালকে সাক্ষী রেখে এমনই লক্ষ কোটি যুবক জেগে জেগে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। বিসর্জন দিয়েছে চোখের বিশ্রাম আর মনের শান্তিটাকে। অজানা কোন উদ্ভট ইশারার অপেক্ষায় প্রহর গুনেছে, এই অন্ধকার কোনে বসে।

কিন্তু হায়!
অপেক্ষা শুধু অপেক্ষার প্রহরই বাড়িয়ে দিয়ে গেছে, দিয়ে গেছে যন্ত্রণা অশান্ত এই মনটা জুড়ে। কেউ এগিয়ে আসেনি তার সেই যন্ত্রণা ঘোচাতে কিংবা একটু সান্ত্বনা দিতে। উল্টো “আতেল” আর “বোকা” বলে খেতাব দিয়ে গেছে যখনই পেয়েছে সুযোগ ঐ দিনের আলোতে।

নেই, সত্যিই কিছু বলার নেই।
কারণ, এখনো সেই যুবক অপেক্ষা করে।
অপেক্ষা, মহাকালকে সাক্ষী রেখে সেই দীর্ঘ অপেক্ষা……






শনিবার, মে ১০, ২০১৪

চশমা ঘিরে ভুলগুলি




ভুলে যাই গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই। এর কারণে কথাও কম শুনতে হয়নি এই জীবনের পার করা সময় গুলিতে। প্রতিবার ভুল যাবার পরপরই নানা কথা শুনতে শুনতে এখন সব গা'সওয়া হয়ে গেছে। তবুও কিছু জিনিষ ভুলে যাবার পর যখন মনে পড়ে কিংবা ভুল হবার পর যখন বুঝতে পারি তখন নিজেকেই অনেকটা অবাক হতে হয় সেই ভুলটার জন্যে।


সবচেয়ে বেশি ভুল হয় আমার চোখের সামনে, নাকের ডগায় বসে থাকা চশমাটাকে নিয়ে। বেশ অনেকটা সময় ধরে এই বস্তুটার উপর নির্ভর করার কারণে এখন এইটাকে আর শরীরের বাইরে আলাদা কিছু মনে হয় না। বরং নিজের অংশ বলেই বিশ্বাস করে মন। আর তাই ভুলটাও একেই নিয়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে করে।


মাঝে মাঝে বিছানায় যাবার পরও ভুলে যাই এটা চোখ থেকে খুলে রাখার কথা। এমনও হয়েছে অনেক যে রাতভর ঘুম ভেঙ্গে সকালে যখন মুখের উপর হাত রেখেছি তখন সেখানে আমার চশমার অবস্থান জানতে পেরেছি। আমি ঘুম দিলেও তাকে ঘুমোতে দিতে পারি নি রাত ভরে। তারপর যখন ব্রাশ করে চোখ মুখে পানি ছুড়ে দিচ্ছি তখন তার গ্লাস ভেজার পর তাকে তার কাজ থেকে অব্যাহতি না দেয়া আর আমার কাজের খামখেয়ালিপনা নজরে পড়েছে। আর গোসল করার সময়ের কথা আর নাই বা বললাম। এই ভুলটা তো অন্যগুলির চেয়ে বেশি বেশি ঘটে।


আমার এই খামখেয়ালিপনার জন্যে ভুগতেও হয়েছে বেশ অনেকবার। প্রথম যেই চশমাটা ব্যবহার করতাম সেটা হ্যারি পটারের চশমার মত ছিল। প্রথম জিনিষের মূল্যায়ন একটু অন্যরকমই থাকে সকলের কাছে। আমার কাছেও ছিল। পড়তে বসার আগে কিংবা যখন মাথা ব্যথা হবে বা চোখে জ্বালা করছে বুঝতে পারতাম তখন সেই ব্যথা বা চোখ জ্বালা নিয়েই তাকে খুব সুন্দর করে চশমার সাথে দেয়া কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতাম। তারপর সেটা নাকের ডগায় বসাতাম খুব সাবধানে। বারবার এদিক সেদিক করে তাকিয়ে দেখতাম সব ঠিকঠাক মত হয়েছে কিনা।


বহু সাধের সেই চশমাটাও একদিন অসাবধানতায় ভেঙ্গে ফেলি বইয়ের চাপা দিয়ে। আর ভেঙ্গে ফেলেই নিজের ভেতর অপরাধ বোধ আর ভয় কাজ করতে শুরু করে। কাকে বলে বকা শুনতে হবে সেই চিন্তা করে আমি আর সেটা কাউকে জানাই নি। প্রথমে কিছুদিন চুপচাপ করেই থাকতাম। মাথা ব্যথা আর চোখ জ্বালা হলে যতটা সম্ভব সহ্য করে থাকার চেষ্টা করতে থাকি। কিন্তু এভাবে বেশি দিন থাকা যায় না, ধরা পড়তেই হয়। আমিও ধরা পড়লাম। আব্বা খুব রাগ হলেও কিছু বলেনি। ভাঙ্গা চশমাটা নিয়ে দু'দিন বাদে নতুন চশমা নিয়ে এসেছিল (তখন ২ দিন সময় লাগাত একটা চশমার অর্ডার ডেলিভারি দেবার জন্যে)। সে যাত্রায় আব্বা কিছু না বললেও আম্মা প্রচুর বকা দিয়েছিল।


মাঝে অল্প কিছুদিন আমাকে হোস্টেল কিংবা ছাত্র-মেসে থাকতে হয়েছে। সেখানেও সমবয়সী রুমমেট আমার এই চশমা পড়ে ঘুমিয়ে যাওয়া আর আনুষঙ্গিক খামখেয়ালি ব্যাপার গুলি দেখে বার বার অবাক হয়েছে, মাঝে মাঝে বিরক্ত ও হয়েছে। এখন যখন মাঝে মাঝে তাদের কারো সাথে দেখা হয় কিংবা কথা হয় তখনও কথার এক পর্যায়ে জিজ্ঞাস করে ফেলে "তুমি কি এখনো চশমা চোখেই ঘুমাও"। নিজের ভুল গুলির জন্যে ঐ সময়টাতে খুব মজা পাই।


জানিনা এই ভুল গুলি শোধরাতে পারবো কি না। কিন্তু এখন এই ভুল গুলির জন্যেই মনে হয় বেঁচে আছি, ভালো আছি.....







শুক্রবার, মে ০৯, ২০১৪

প্রতীয়মান জীবনের কথা


চারপাশে তাকিয়ে দেখুন, হাজার কোটি মানুষ আপনার চারপাশ জুড়ে। হাঁটছে, চলছে, অপেক্ষা করছে, ছুটছে, খেলছে। সবাই ব্যস্ত, কারো কোন ফুরসুত নেই। বিছানা ছেড়ে জগিং করা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাবার আগ পর্যন্ত সবাই কিছু না কিছু করেই চলেছে। সকলের কাজই তার নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে অন্যের দিকে নজর দেবার সময় নেই কারো।


এই মানুষ গুলির মধ্যেও আবেগ-বিবেক সবকিছুরই অবস্থান রয়েছে। যখনই কোন দুর্যোগ কিংবা খারাপ সময় দেখা দিবে তখন এদের সবার বিচলিত চেহারাই দেখা যায়। যখন বড় ধরণের কোন প্রাপ্তির সন্ধান মিলে তখন সবার মধ্যে একটা উল্লাসিত ভাব লক্ষ্য করা যায়। একজন বিপদে পড়লে এদেরই একশত জনের একজন কেউ সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসে, বাকি নিরানব্বই জন দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যায়। এরা সকলেই সেই ব্যস্ত, ছুটন্ত মানুষ।


আর এই ব্যস্ত ছুটন্ত মানুষ গুলিই আমি, আপনি, আমরা সকলে। ছোটার ধরণ, প্রকৃতি, গতি ভিন্ন হলেও সবাই ছুটছি উন্নতির আশা করে, উন্নতির শেখরে পৌঁছানোর জন্যে। যদিও জানা নেই ছুটে ঠিক কোন স্থানে থামতে হবে আমাদের।


নির্দিষ্ট করে কারো কথা নয়, সকলের মাঝেই এই একই কথা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রতীয়মান।






বুধবার, জানুয়ারী ২২, ২০১৪

নিশ্চিত জীবন থেকে দেখা অনিশ্চিতের দূর্বার গতি……

কিছু জীবনের নিশ্চয়তা থাকে না, তবুও দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলে।

সেই গতিটা দেখতে ভাল লাগে………

মন আকাঙ্ক্ষায় থাকে সেই গতিটাকে নিজের জীবনে নিয়ে আসতে। কিন্তু পারে না। কারণ গতিটার সাথে অনিশ্চয়তার একটা গভীর সম্পর্ক আছে। আর কেউ জেনে শুনে অনিশ্চয়তাকে বেছে নিতে পারে না।

ততটা সাহস সবার থাকে না……






বুধবার, অক্টোবর ০৯, ২০১৩

সময়ের স্মৃতি...

মাঝে মাঝে ছোটখাটো ঝড় এসে জীবনের অনেক কিছুই পরিবর্তন করে দিয়ে যায়। পরিবর্তন করে দেয় মানুষের মানুষিকতা, সম্পর্ক আর বিশ্বাস...

আরো পরিবর্তন করে দেয় জীবনের গতিপথ। তৈরি করে দেয় কাছের মানুষের সাথে বিশাল দূরত্ব...

তবে, যা কখনোই পরিবর্তন করতে পারে না তা হল স্মৃতি। জীবনের চলার পথ যতই পরিবর্তন হোক না কেন; দূরত্ব যতই থাকুক না কেন; বিশ্বাস যতই ভাঙ্গুক না কেন। পাশাপাশি থেকে কাটানো ভাল সময়ের স্মৃতিগুলোকে কখনোই পরিবর্তন করতে পারে না এই ঝড়গুলো...







শনিবার, অক্টোবর ০৫, ২০১৩

নিজেকে বুঝতে না পারা সময়ের কথা...

মাঝে মাঝে কিছু সময় আসে যখন কোন আবেগ থাকে না, থাকে না নিজের কিছু বলার। আর মনটা থাকে তখন একেবারেই ফাঁকা। সময়টা আনন্দের নাকি বিষাদের সেটাও বুঝে উঠা যায় না। বোঝা যায় না কি করতে হবে কিংবা কি করা উচিৎ।

নিজেকে অনেক অচেনা লাগে সেই সময়টাতে। অবাক হয়ে ভাবতে হয়- "এমন কেন আমি?"

দুরন্তপনা গুলি মন থেকে গায়েব হয়ে যায়। ঠাট্টা গুলি তখন আর মনকে আনন্দ দেয় না। কষ্টগুলি দিতে পারে না মানুষিক যন্ত্রণা। জড় বস্তুতে পরিণত হয়ে যায় মানুষ সেই সময়টাতে।


আমি এখন একটা জড় বস্তু। নিজের আবেগ গুলিকে বুঝতে পারছি না। তারা নিজেদের মত হাত পা গুটিয়ে বসে আছে। আর আমি তাদের পুনরায় জেগে উঠার অপেক্ষায় আছি...





রবিবার, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৩

আমি বন্দী কারাগারে এক হার মানা সৈনিক.......

মন থেকে শুদ্ধতা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে ভালবাসার পরিমাণ। আপনজনেরা আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে। আর দূরের মানুষ গুলো হয়ে যাচ্ছে অচেনা দিনকে দিন.......

প্রতিদিনই নতুন করে সম্পর্ক গুলোকে হারিয়ে ফেলছি। আর হাতের তালিকা থেকে কেউ না কেউ দূরে সরেই যাচ্ছে।

হাজারো বন্ধন দিয়ে আর কাউকে নিজের বৃত্তে আটকে রাখতে পারছি না.....

আমি ব্যর্থ
আমি পরাজিত
আমি হারিয়ে যাওয়া কেউ

আমি বন্দী কারাগারে এক হার মানা সৈনিক.......