সোমবার, আগস্ট ২৯, ২০১৬

টোকা'র শব্দ



নীরবতার দরজায় হালকা টোকা দিয়ে যাচ্ছিল কেউ।
আমার প্রয়োজন অখণ্ড নীরবতা, সেখানে এই হালকা টোকার শব্দও আমার কাছে আল্ট্রাসনিক জেটের ইঞ্জিনের শব্দ মনে হচ্ছিল।

অখণ্ড নীরবতা প্রয়োজন আমার, চিৎকার করে তাড়িয়ে দিতে গেলে আমারই গড়া নীরবতার শীর্ণ কাঁচের দেয়াল ভেঙ্গে গুড়ো গুড়ো হয়ে ছড়িয়ে পড়বে আমার চারিপাশ। তাই অপেক্ষা শুরু করলাম, ক্লান্ত আর বিরক্ত হয়ে টোকার শব্দ সৃষ্টিকারী যদি আপন ইচ্ছেতেই দূর হয় -সেই আশায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরেও তেমন কিছুই ঘটল না। মৃদু টোকার শব্দ বিরতিহীন ভাবে বেজেই চলছিল। ওদিকে আমার অপেক্ষার কাল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতরই হচ্ছিল কেবল।

তারপর একটা সময় আপনা-আপনিই টোকার শব্দ থেমে গেল। আনন্দ যেন ঠিক সে মুহূর্তেই আমাকে ঘিরে ধরল। অবশেষে ফিরে পেলাম আমি আমার অখণ্ড নীরবতা! কিন্তু ঐ আনন্দের আবেশ খুব বেশি সময় টিকে থাকল না। যদিও আমি এই অখণ্ড নীরবতা পাবার আশায় এতটা সময় বিরক্তি নিয়ে অপেক্ষা করে গেছি। তবুও এখন এই অখণ্ড নীরবতাকে আমি আর নিতে পারছি না।

দরজার ওপাশের শব্দ বন্ধ হলেও মনের গহীনে কোথাও মৃদু টোকার শব্দ বিরতিহীন ভাবে বেজে চলেছে। যে বাইরে ছিল, সে যেন আপন প্রস্থানেই তার অস্তিত্ব ফেলে গেছে আমার মনের গহীনে। এখন এই অখণ্ড নীরবতার কোন অর্থ নেই। বেজে যাওয়া টোকার শব্দেই ডুবে আছে মন....