টিপস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
টিপস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, জুন ১৩, ২০১৯

ইমেজ অপটিমাইজেশন এর জন্যে ওয়েব এ্যাপ


আমরা সকলেই নিজ নিজ গল্প, কবিতা, ছন্দ, ভাব কিংবা লেখার সাথে মিল রেখে অন্তত একটি ছবি পোষ্টের সাথে জুড়ে দেই। এই ছবি জুড়ে দেয়ার ব্যাপারটির গুরুত্ব আশা করি নতুন করে বলতে হবে না। এটি একাধারে যেমন আপনার লেখাটিকে নতুন একটি মাত্রা প্রদাণ করে তেমনি লেখাটির গ্রহণযোগ্যতা আর তার আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। অনেক সময় দেখা যায় পাশাপাশি কয়েকটি লেখা। কিন্তু একটি লেখার সাথে ছবি জুড়ে দেবার কারণে সেই পোষ্টটিই মানুষকে বেশি আকর্ষণ করছে বাকি গুলোর তুলনায়; যদিও বাকি লেখা গুলোও বেশ মানসম্মত। তাছাড়া আমাদের সবজান্তা গুগল মামারও এই ছবি সম্বলিত পোষ্টের দিকে বিশেষ দূর্বলতা আছে বলেই গোপন এক সংবাদে জেনেছি। 

কিন্তু কথা সেটা নয়। আমরা একটু চেষ্টা করলেই নিজের লেখার সাথে মিল রেখে ব্লগ পোষ্টে ছবি আপলোড করতেই পারি। সমস্যাটা হচ্ছে আমাদের আপলোড করতে চাওয়া ছবির 'সাইজ'। আসলে এইখানে সাইজ শব্দটাকে দুই ভাবে উপস্থাপন করা যায়। এক হচ্ছে এর দৈর্ঘ-প্রস্থের মাপ যাকে আমরা সহজ ভাবে রেজুল্যুশন বলেই চিনি। আর অন্যটি হলো ঐ ছবির ফাইলটির দখল করা মেমরি স্পেস। 

ব্যাপারটা আরও একটু সহজ করে বলার চেষ্টা করি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আমাদের প্রায় সকলের হাতে রয়েছে একটি করে স্মার্টফোন। এখন আপনি আপনার স্মার্টফোনটির ক্যামেরা এ্যাপ চালু করে তার সেটিংস এ গেলেই দেখতে পাবেন আপনার ক্যামেরায় ছবি তোলার জন্যে কয়েক ধরণের সুবিধা রয়েছে। এই যেমন আপনার স্মার্টফোনটির ক্যামেরা ১২ মেগাপিক্সেল হলেও চাইলে আপনি সেটি দিয়ে ৮ মেগাপিক্সেল কিংবা ৫ মেগাপিক্সেল সেট করেও ছবি তুলতে পারবেন। এখন আপনি ৫ মেগাপিক্সেলে ছবি তুললে তার দৈর্ঘ  হবে ২৫৬০ এবং প্রস্থ হবে ১৯২০ পিক্সেল। আবার ৮ মেগাপিক্সেল সেট করে ছবি তুললে তার দৈর্ঘ হবে ৩২৬৪ এবং প্রস্থ হবে ২৪৪৮ পিক্সেল। সাধারণ ভাবেই বোঝা যাচ্ছে ৫ মেগাপিক্সেল এর তুলনায় ৮ মেগাপিক্সেল দিয়ে ছবি তুললে তাতে বেশি পরিমাণ ডেটা সংরক্ষিত হবে আর ছবিটি ৫ মেগাপিক্সেলের তুলনায় আরও বেশি স্পষ্ট থাকবে। সেক্ষেত্রে ৫ মেগাপিক্সেলে তোলা ছবিটি যদি ২.৫ মেগাবাইট মেমরি স্পেস দখল করে তবে ৮ মেগাপিক্সেল ছবিটি দখল করবে ৩ থেকে ৫ মেগাবাইট পর্যন্ত মেমরি স্পেস। 

এখন চলুন একটি হিসেব করি। ধরলাম আপনি আপনার মোবাইলে ৮ মেগাপিক্সেল দিয়ে তোলা একটি ছবি আপনার পোষ্টের সাথে জুড়ে দিয়েছেন। আরও ধরে নিলাম ছবিটি ব্লগ সাইটের ৫ মেগাবাইট মেমরি দখল করল। এখন কেউ যখনই আপনার পোষ্টটি পড়বে কিংবা ব্রাউজারে লোড করবে তখনই ব্লগ এর ব্যান্ডউইথ থেকে ৫ মেগাবাইট খরচ হতে থাকবে। এখন যদি আপনার পোষ্টটি ১০০ জন পাঠক পড়ে থাকে কিংবা ১০০ বার আপনার পোষ্টটি হিট হয় তাহলে গড়পড়তা আপনার পোষ্টের জন্যে ব্লগের ব্যান্ডউইথ খরচ হবে ৫ x ১০০ = ৫০০ মেগাবাইট। এটা শুধুমাত্র একটি  নির্দিষ্ট পোষ্টের নির্দিষ্ট ছবির হিসেব। এখন চিন্তা করুন এমন ১০০টি ছবি যদি কোন ব্লগে আপলোড করা থাকে তাহলে সবগুলো ছবি মিলিয়ে ব্লগ স্পেস থেকে দখল থাকবে ৫০০ মেগাবাইট আর তার বিপরীতে ১০০ জন ভিজিটর ছবি গুলো দেখলে গড়পড়তা ব্যান্ডউইথ খরচ হবে প্রায় ৫০০ x ১০০ = ৫০০০০ বা  প্রায় ৫০ গিগাবিট। পাবলিক ব্লগে ৫০ গিগাবিট ব্যান্ডউইথ কিন্তু একদম ফেলে দেবার মত হিসেব না। 

তো এর থেকে পরিত্রাণের উপায়? ছবি বিহীন পোষ্ট??

না, আমি মোটেই সে কথা বলছি না। বরং আমি অবশ্যই আপনাদের ছবি সম্বলিত পোষ্ট দেবার জন্যে উৎসাহিত করবো। তার বিপরীতে আমরা কিছু টেকনিক ব্যবহার করলেই এই বিষাল(!) ব্যান্ডউইথ কমিয়ে আনতে পারি। আর সেই টেকনিকটির নাম ইমেজ অপটিমাইজেশন। 

ইমেজ অপটিমাইজেশন নিয়ে লিখতে বসলে সেটা নিয়েই বেশ বিষাল আকারের একটা পোষ্ট করা যাবে। হয়তো চেষ্টা করলে পোষ্টের সিরিজও তৈরি করা সম্ভব এই টপিকে। আপাতত আমি সেই দিকে গেলাম না (কিংবা বলা যায় ইচ্ছে করে চেপে গেলাম, কারণ বলতে গেলেই খালি কলসির ঢ‍ং ঢং আওয়াজ বের হয়ে আসবে কি না 😋)।




ইমেইজ আপটিমাইজ আসলে দু ভাবে করা যায়। মূল ছবির দৈর্ঘ আর প্রস্থের পিক্সেলের পরিমাণ (রেজুল্যুশন) কমিয়ে এনে অপটিমাইজ করা কিংবা ছবির সাইজ ঠিক রেখে একে কিছুটা কমপ্রেস করা। অনেক ধরণের টুল কিংবা সফটওয়্যার ব্যবহার করে কাজটি করা যায়। চাইলে আপনি Adobe Photoshop দিয়েও যেমন কাজটি করতে পারেন তেমনি আবার ফ্রি ওপেন-সোর্স সফটওয়্যার GIMP দিয়েও ইমেজ কমপ্রেস করে নিতে পারেন। তবে আপাতত আমি ডেক্সটপ ভিত্তিক সফটওয়্যারের দিকে না গিয়ে আরও একটু সহজ আর কম টোকাটুকিতে কাজ সাড়া যায় এমন পদ্ধতির দিকে আপনাদের মনযোগ টেনে নিচ্ছি। 

ডেক্সটপ, ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোন যে কোন ডিভাইসেই আপনি আপনার ব্রাউজারের সহায়তা নিয়ে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারবেন। অনলাইনে বেশ কিছু ইমেজ অপটিমাইজ করার ওয়েব এ্যাপ রয়েছে। আমরা এগুলোর সহায়তা নিয়ে খুব সহজেই ছবির ক্ষতি না করে (ঘোলা কিংবা অতিরিক্ত ছোট করে পিক্সেল নষ্ট করা) ছবির সাইজ কমিয়ে আনতে পারি। 

সাধারণত ব্লগ পোষ্টের জন্যে ছবির আদর্শ মাপ ধরা যায় দৈর্ঘে ১২০০ পিক্সেল এবং লম্বায় ৬৭৫ পিক্সেল (রেশিও ১৬:৯)। কিংবা ছবির ছোট আকারের জন্যে দৈর্ঘে ৬০০ পিক্সেল এবং লম্বায় ৩৩৫ পিক্সেল। এই মাপটিকে আদর্শ বলার কারণ হল, এই মাপের ছবি যে কোন সোস্যাল নেটওয়ার্ক (ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস, লিংক্‌ডইন প্রভৃতি)-এ শেয়ার করার জন্যেই আদর্শিক। এই মাপের ছবি সোস্যাল নেটওয়ার্ক গুলোর পোষ্ট হিসেবে ঠিকঠাক মপেই দেখা যায়। তাছাড়া বড় আকারের ছবি ব্যবহার করলে তা প্রায়ই ব্লগের বডি ব্লকের সাইজ মেইনটেইন করতে গিয়ে ছোট আকারে চলে আসে, তখন অনেক সময় সেটি দেখতে আর ততটা আকর্ষণীয় মনে হয় না। এছাড়াও বেশি বড় সাইজের ইমেজ সাইজ হলে তা লোড হতেও অনেক সময় লাগায়, যা ব্লগ রিডারদের মনযোগ নষ্ট করে কিংবা পোষ্ট বিমুখী করে দেয়। 

আপনি চাইলে এর মাপের বাইরেও ছবি ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেটি নির্ভর করবে আপনার পোষ্টের বিষয়বস্তু, আর পোষ্ট সাজানোর উপর ভিত্তি করে।


১২০০ x ৬৭৫ পিক্সেলের মূল ছবি - সাইজ ৪৯৯.৬ কিলোবাইট
তুলনা করার জন্যে আমরা একটি ছবি নিলাম। যেটির মাপ দৈর্ঘে ১২০০ পিক্সেল এবং লম্বায় ৬৭৫ পিক্সেল, ছবিটির ফাইল সাইজ ৪৯৯.৬ কিলোবাইট। এই ছবিটি এখন আমরা কয়েকটি অনলাইন ইমেজ অটপিমাইজার টুল দিয়ে অপটিমাইজ করে দেখবো কি অবস্থা হয়। 



Compressor.io

এই সাইটটি থেকে খুব সহজেই আপনি আপনার ছবি অপটিমাইজ করতে পারবেন। সাইটটি JPG, JPEG, PNG, GIF এবং SVG ফাইল নিয়ে কাজ করতে পারে। সাধারণত ছবির কোন ক্ষতি না করেই এর ফাইল সাইজ কমিয়ে আনার ব্যাপারে এটি দারুণ কাজ করে থাকে। তবে এই সাইটটি একই সময় কেবল একটি ছবি অপটিমাইজ করার সুবিধা প্রদাণ করে। আপনার অনেক গুলো ছবি থাকলে একটি একটি করে আপলোড করে তা অপটিমাইজ করে নিয়ে ডাওনলোড করতে হবে। 



TinyJPG

ইমেজ অপটিমাইজেশনের সাজেশন চাইলে গুগলে যে কয়েকটি রেজাল্ট পাওয়া যায় তার প্রথম ২/৩ এর মধ্যেই এই সাইটটির অবস্থান। এটি মোটামুটি পুরনো ও নির্ভরযোগ্য একটি সাইট, পাশাপাশি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগিং করার জন্যে এদের আলাদা প্লাগ-ইন রয়েছে। সাইটটি কেবল JPEG এবং PNG ফরম্যাটের ছবি নিয়ে কাজ করতে পারে। ফাইল সাইজ কমিয়ে আনবার ব্যাপারে সেও খুব দারুণ কাজ করে। ছবির ক্ষতি না করে যতটুকু সম্ভব, ততটুকুই কমিয়ে নিয়ে আসে ফাইল সাইজ। পাশাপাশি আপনি একই সাথে ৫ মেগাবাইট করে ২০ টি ছবি একই সাথে এই ওয়েব এ্যাপের মাধ্যমে প্রসেস করতে পারবেন। 



Optimizilla

Optimizilla আপনার ছবিটির যথাসম্ভব সাইজ কমিয়ে আনে ছবির প্রকৃতি নষ্ট না করেই। পাশাপাশি আপনি চাইলে আপনি আপনার ছবিটি কতটুকু কমপ্রেস করতে চান তা নির্ধারণ করে দিতে পারেন এই ওয়েব এ্যাপটিতে। সাইটটি JPEG এবং PNG ফরম্যাটের ছবি নিয়ে কাজ করতে পারে। আর একই সাথে এ্যাপটি ২০ টি ছবিকে অপটিমাইজ করার কাজ করতে সক্ষম। 



ShortPixel

ShortPixel ওয়েব এ্যাপের মাধ্যমে আপনি ১০ মেগাবাইট ফাইল সাইজের ৫০ টি ছবি একসাথে অপটিমাইজ করার সুযোগ পাবেন। সাইটটি JPEG, PNG এবং নন-এনিমেটেড GIF ফাইল অপটিমাইজ করতে পারবে। অপটিমাইজেশন শেষে ডাওনলোডের পূর্বেই ইচ্ছে হলে আপনি ছবির হাল খুব সহজেই তুলনার অনুপাতে দেখে নিতে পারবেন। 



লেখাটি অনেক লম্বা হয়ে গেলো, তারপরও যদি কেউ এটি থেকে বিন্দুমাত্র উপকৃত হয় তাহলে কিস্ট্রোক গুলো সার্থক হবে। 




বুধবার, মে ১৭, ২০১৭

সাবধান থাকুন - মুক্তিপণের চিঠি আসতে পারে আপনার নামেও



বিশ্বজুড়ে এখন চলমান সাইবার আতঙ্কের নাম WannaCry । যারা নিয়মিত টেক দুনিয়ার খোঁজ রাখছেন তাদের অনেকের কাছেই এখন এটা একটা পরিচিত নাম। বিগত কয়েকদিনে এই Ransomware গ্রুপের ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে ৯৯টিরও বেশি দেশে, আক্রমণ করেছে ২৩৭,০০০ টির চেয়েও বেশি সংখ্যক কম্পিউটারকে। 




WannaCry র‍্যানসমওয়্যারটির নাম মূলত WannaCrypt0r, যার পূর্বের একটি সংস্করণ গতবছর আঘাত হেনেছিল প্রযুক্তি বিশ্বে। ঐ সময় সেটির প্রতিরোধক প্রস্তুত করে অপারেটিং সিস্টেম গুলি। এ বছর নতুন রূপে আরও উন্নত হয়ে ফিরে আসে এর ২য় সংস্করণ। আঘাত হানে গতবারের চেয়েও বড় করে। 

র‍্যানসমওয়্যারটি বিভিন্ন মাধ্যমেই আপনার সিস্টেমে ডেলিভারি হতে পারে। তবে ইমেইলের মাধ্যমেই এর ছড়ানোর প্রক্রিয়াটা ব্যাপক ভাবে দেখা যায়। এখানে ভিক্টিমের কম্পিউটারে প্রবেশের পর ভিক্টিম যে নেটওয়ার্কে রয়েছে তার প্রায় প্রতিটি প্রান্তে সে নিজেকে ছড়িয়ে দেয়। এরপর ভিক্টিমের ইমেইল এ্যাপকে ব্যবহার করে তার সাথে কানেক্টেড সকলের কাছে নিজেকে ইমেইল এটাচমেন্ট হিসেবে পাঠাতে থাকে। যারাই মেইলটির এটাচমেন্ট তাদের সিস্টেমে ডাওনলোড করে, তারাই আবার ঐ র‍্যানসমওয়্যারটির দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পুনরায় ঐ সিস্টেম থেকে র‍্যানসমওয়্যারটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে ভিন্ন সিস্টেমে।

বলে রাখা ভালো যে, র‍্যানসমওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে। যারা উইন্ডোজ ব্যতীত ভিন্ন কোন অপারেটিং সিস্টেমে আছেন তারা আপাতত এই র‍্যানসমওয়্যারটি থেকে নিরাপদ আছেন। তবে লিনাক্সে যারা Wine ব্যবহার করছেন তারাও রয়েছেন এর আক্রমণের সমান ঝুকিতে।


র‍্যানসমওয়্যারটি আপনার সিস্টেমে লোড হবার পর আপনার সকল ফাইলকে সে লক (ক্রিপ্টো প্রযুক্তির মাধ্যমে) করতে থাকে। আপনার হার্ডডিস্কের ডেটা যখন এনক্রিপ্ট হয়ে যায় তখন সে স্ক্রিনে একটি মেসেজ দেখাতে থাকে। যাতে বলা থাকে, আপনার সমস্ত ফাইল সে এনক্রিপ্ট করে নিয়েছে। আপনার ডাটা গুলি যদি আপনি পুনরুদ্ধার করতে চান তবে তাদের কথা মত আপনাকে ৩০০+ ডলার একটি নির্দিষ্ট ঠিকানায় বিট-কয়েনে কনভার্ট করে পাঠাতে হবে। টাকা পাঠানোর পর তারা আপনাকে একটি কি(Key) পাঠাবে, যা ব্যবহার করে আপনি আপনার ফাইল পুনরুদ্ধার(decrypt) করতে পারবেন।

এখানে জেনে রাখা ভালো যে একবার কোন ফাইল যদি ক্রিপ্টোগ্রাফির সাহায্যে এনক্রিপ্ট হয়ে যায় তবে সেটি ডিক্রিপ্ট করার জন্যে আপনার ঐ 'Encryption Key' জানা থাকা লাগবে। Encryption Key ব্যতীত ফাইলটি রিকোভার করা প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। সাধারণ ভাবে বলা হয়ে থাকে যে এনক্রিপ্ট ফাইলের Encryption Key জানা না থাকলে একে যদি ডিক্রিপ্ট করার জন্যে কোন সুপার কম্পিউটারের সহায়তায়ও  নেয়া হয়, সেক্ষেত্রেও কমপক্ষে এক শতক পার হয়ে যাবে।


এনক্রিপশন Key ব্যতীত ডেটা রিকোভার করা প্রায় অসম্ভব। এমনকি আপনার এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামও এনক্রিপ্ট হয়ে যাওয়া ফাইল কোনভাবে আপনাকে পুনরুদ্ধার করে দিতে সক্ষম নয়। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই জোড় দিয়ে থাকেন। 




নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিচের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করুন-



  • Microsoft তার Windows অপারেটিং সিস্টেমের দুর্বলতা বের করে ইতোমধ্যে একটি নিরাপত্তা আপডেট তৈরি করেছে। যারা নিয়মিত উইন্ডোজ আপডেট করে থাকেন তারা ইতোমধ্যে প্যাচটি পেয়ে গেছেন। কিন্তু যারা নিয়মিত Windows আপডেট করেন না তারা অবশ্যই MS17-010 এই প্যাচটি আপনার অপারেটিং সিস্টেমের ভার্সন অনুযায়ী হালনাগাদ করে নিন।
  • আপনার এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামটির ডাটাবেস আপডেট করুন, প্রয়োজনে নিরাপত্তার জন্যে ভালো মানের এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইন্সটল করতে পারেন। পাশাপাশি একটি Anti-Malware প্রোগ্রামও সিস্টেমের নিরাপত্তার জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • Windows Feature থেকে "SMB 1.0/CIFS File Sharing Support" ফিচারটি বন্ধ করুন। মূলত এই ফিচারের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েই র‍্যনসমওয়্যারটি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।




  • Microsoft Office প্রোগ্রামের "Macro" ফাংশনটি ডিজেবল করুন।
  • অপরিচিত কারও কাছ থেকে মেইল কিংবা পরিচিত কারও কাছ থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত মেইল এটাচমেন্ট পেলে সেটি ডাওনলোড করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার এন্টিভাইরাসের মেইল শিল্ডের কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি করুন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা বিভিন্ন সাইট অথবা চ্যাট-বক্স থেকে প্রাপ্ত যে কোন লিংকে ক্লিক করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন লিংকটি নিরাপদ কি না।
  • লোভনীয়, কু-রুচি-পূর্ণ, কিংবা অপরিচিত সাইট ভিজিট করা থেকে বিরত থাকুন। সে সকল ষাইট গুলি বার বার রি-ডিটেক্ট করে কিংবা অনেক বেশি এড দেখায় ঐ সকল সাইট ভিজিট করা থেকে বিরত থাকুন। একান্ত প্রয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ব্রাউজারের প্রাইভেট মোড ব্যবহার করুন।
  • বিভিন্ন ধরণের ক্রাক্‌ড সফটওয়ার (যা কিনে ব্যবহার করতে হয়, কিন্তু আপনি এটি কোন প্যাচের মাধ্যমে ব্যবহার করছেন এমন সফটওয়ার। যেমনঃ Windows Activator, Adobe Photoshop, কিংবা Games সফটওয়্যার সমূহ) ব্যবহার বাদ দিয়ে তার বিকল্প Opensource সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
  • গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট গুলোর সর্বদা একটি ব্যাকআপ কপি সংরক্ষণ করুন।



নিরাপদ হোক আপনার ইন্টারনেট বিচরণ ☺️
🌹 🌹শুভকামনা সকলের জন্যে 🌹 🌹

বুধবার, এপ্রিল ২৭, ২০১৬

চালু না করেই একাধিক PDF থেকে কাঙ্ক্ষিত টপিকটি খুঁজে বের করুন

বার্ষিক প্রতিবেদন, ম্যানুয়াল, গবেষণাপত্র, একাডেমিক ফাইল, স্টেটমেন্ট কিংবা নোট অথবা ফর্ম সহ আরও নানা ডকুমেন্ট হিসেবেই এখন Portable Document Format বা PDF ফাইল বেশ সমাদৃত। সাধারণত আমরা কোন টপিক কোন PDF থেকে বের করতে PDF Reader এ ফাইলটি চালু করে তার সার্চ সিস্টেম ব্যবহার করে টপিকটি খুঁজে থাকি। কিন্তু যারা অফিসিয়াল কিংবা গবেষণার কাজে অনেক সংখ্যক PDF ফাইল ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্যে এই কাজটা বেশ ঝামেলাপূর্ণ। অনেক বেশি PDF হলে কাঙ্ক্ষিত টপিকটি কোন PDF ফাইলটিতে রয়েছে তা চট করেই বের করা সম্ভব হয় না। তখন প্রায় প্রতিটি ফাইল চালু করেই তা খুঁজতে হয়।





কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই এই ঝামেলাপূর্ণ কাজটিকে আরও একটু সহজ ভাবে করা যায়। আর এই সহজ পদ্ধতিতে করার কাজটি করার জন্যে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে Foxit Reader নামের চমৎকার এক PDF রিডার। সাধারণত যে সকল PDF Reader দিয়ে আমরা PDF ফাইল গুলি পড়ি বা দেখি তার একটা সাধারণ ফিচারের মধ্যে Search ফিচার থাকলেও তা কেবলমাত্র সচল ফাইলটির মাঝে টপিক খুঁজে বের করে।

Foxit Reader এ এই Search ফিচারটির আরও একটু উন্নত করেছে। তারা শুধুমাত্র সচল ফাইলটির পরিবর্তে বর্ধিত সুবিধা হিসেবে একটি ডাইরেক্টরির অন্তর্গত সকল PDF ফাইল থেকে উক্ত টপিক খুঁজে বের করার সুবিধা যুক্ত করেছে। তাই কেউ যদি নির্দিষ্ট একটি ফোল্ডারে কিছু সংখ্যক PDF ফাইলের মধ্যে কোন কোন ফাইলে তার কাঙ্ক্ষিত টপিকটি রয়েছে তা বের করতে চায় তবে সে সকল PDF ফাইল চালু না করে শুধুমাত্র ডাইরেক্টরি সার্চ সুবিধা ব্যবহার করেই জানতে পারবে কোন কোন PDF ডকুমেন্টে তার ঐ কাঙ্ক্ষিত টপিকটি রয়েছে।




ডাইরেক্টরি বা ফোল্ডারের অন্তর্গত PDF ফাইলগুলি হতে আপনার টপিকটি খুঁজতে প্রথমে Foxit Reader টি চালু করুন। এরপর এর উপরে মেনু বারের ডান দিকে যে Find বারটি রয়েছে তার বাম পাশের ফোল্ডারের আইকনটিতে ক্লিক করুন, নতুন একটি সাইড পপ-আপ চালু হবে। 

এখানে "Where would you like to search?" এর ড্রপ-ডাউন বক্স হতে সিলেক্ট করুন 'All PDF Document in' এবং এর নিচের বক্স হতে আপনার PDF অবস্থিত ডাইরেক্টরি বা ফোল্ডারটি সিলেক্ট করুন। এরপর ৩য় বক্সে আপনার কাঙ্ক্ষিত টপিকটি লিখে Search বাটনে ক্লিক করুন।




কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার কাঙ্ক্ষিত টপিক যে সকল ডকুমেন্টে রয়েছে তার একটি লিস্ট সেখানে চলে আসবে। সার্চ সুবিধা আরও সুবিধাজনক করার জন্যে এই সার্চ রেজাল্টেই ডকুমেন্ট গুলিতে উক্ত টপিক কোথায় কোথায় অবস্থিত তা হাইপার লিংক তৈরি হয়ে যাবে। ফলে আপনার ঐ ডকুমেন্টে উক্ত টপিক যেখানে যেখানে রয়েছে তার পেইজ নম্বর এবং অবস্থান সহকারে একটি লিংক সেখানে পেয়ে যাবেন। লিংক সমূহে ক্লিক করলেই ডকুমেন্টটি রিডারে চালু হয়ে আপনাকে আপনার টপিকে সরাসরি নিয়ে যাবে। 

তবে এই সুবিধা শুধুমাত্র Text based PDF ডকুমেন্টের বেলায় প্রযোজ্য। আপনার PDF ডকুমেন্টটি যদি ছবি কিংবা স্ক্যান করা পেইজ দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে তাহলে কোন PDF Reader এর পক্ষে সম্ভব হবে না সেই টপিক ঐ ছবি থেকে খুঁজে বের করা।











আপনার Google Account এ সংরক্ষণ করুন প্রয়োজনীয় সকল ওয়েব লিংক

     বিভিন্ন প্রয়োজনেই আমরা বিভিন্ন সাইটের লিংক বুকমার্ক হিসেবে সংরক্ষণ করি। পূর্বে এই সুবিধা কেবলমাত্র ব্রাউজার কেন্দ্রিক হলেও এখন তার পরিধির ব্যাপ্তি ঘটেছে। এখন ব্রাউজারের মেমরি ব্যবহারের সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে ক্লাউড বুকমার্কিং পদ্ধতি। সে লক্ষে ভিন্ন ভিন্ন এ্যাপ ডেভেলপার ভিন্ন ভিন্ন ফিচার সমৃদ্ধ এ্যাপ ইতোমধ্যে তৈরি করেছেন। তেমনই কিছু পরিচিত এ্যাপের মাঝে আছে Pocket, Raindrop.io, Dropmark, Dragdis, Pinterest সহ আরও অনেক। 

Google Chrome ব্রাউজার অনেক আগে থেকেই ব্রাউজারের বুকমার্ক নিজেদের ক্লাউড সার্ভারে সংরক্ষণ এবং হালনাগাদ করার সুবিধা দিয়ে আসছিল। ঐ সুবিধার আলতায় Google Chrome ব্রাউজার ব্যবহারকারী যে সকল সাইট বা লিংক ব্রাউজারের বুকমার্ক সিস্টেমে সংরক্ষণ করতেন তা ঐ ব্যবহারকারীর Google একাউন্টে স্বয়ংক্রিয় ভাবে সংরক্ষণ হয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অনেক লিংক বুকমার্ক করা হয়ে গেলে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় লিংকটি খুঁজে পেতে কিছুটা সময় লেগে যায়, আর বুকমার্ক বারটিও বেশ হিজিবিজি দেখা যায়। আর যারা অনেক বেশি লিংক এভাবে সংরক্ষণ করেন তাদের ব্রাউজার কিছুটা স্লো কাজ করতে থাকে। 






এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার জন্যে গুগল "Save to Google" নামে নতুন একটি এ্যাপ ডেভেলপ করেছে। এই এ্যাপ আপনার সমস্ত লিংক গুগলের সার্ভারে সংরক্ষণ করবে এবং অন্য সকল বুকমার্কিং এ্যাপের মত এটিও আপনাকে লিংক কন্টেন্টের ভিত্তিতে ট্যাগ ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করবে। সেখানে ইচ্ছে করলে আপনি পোষ্ট প্রদত্ত ছবি গুলি যে কোন একটিকে Thumb বা প্রিভিউ হিসেবে পছন্দ করতে পারবেন এবং ইচ্ছে হলে লিংকটির সাথে ট্যাগ যুক্ত করে দিতে পারবেন।

Google এর এই সুবিধাটি পেতে আপনাকে প্রথমে আপনার Google Chrome ব্রাউজারে "Save to Google" এক্সটেনশনটি ইন্সটল করতে হবে। এরপর এক্সটেনশনটি আপনার একাউন্ট এক্সেস করার অনুমতি চাইবে। অনুমতি প্রদান করলেই সে কাজ করার উপযোগী হয়ে যাবে। 




এরপর যখনই আপনি কোন সাইট বা কোন পেইজের লিংক সংরক্ষণ করতে চাইবেন তখন উক্ত সাইট বা পেইজটি ব্রাউজারে লোড হবার পর শুধুমাত্র এক্সটেনশন বার হতে হলুদ স্টার চিহ্নিত এই "Save to Google"এক্সটেনশন বাটনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর পরই একটি pop-up উইন্ডো দেখতে পাবেন। এই উইন্ডোতে আপনি পোষ্ট সম্বলিত ছবি সমূহের মধ্য থেকে পছন্দসই ছবি Thumbs বা প্রিভিউ হিসেবে পছন্দ করতে পারবেন। পাশাপাশি পোষ্ট ক্যাটাগরি আলাদা করার জন্যে পছন্দমত Tag দিয়ে দিতে পারবেন।





আপনার সংরক্ষিত সাইট কিংবা লিংকগুলি দেখতে হলে Google এর My Save পেইজটিতে যান। সেখানে চমৎকার ভাবে আপনার লিংক গুলিকে ছোট প্রিভিউ সহ দেখতে পাবেন। আর অনেক লিংক হলে Google এর বিল্টইন সার্চ সুবিধার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার সংরক্ষিত লিংকটি খুঁজে পাবেন। এছাড়াও ক্যাটাগরি আকারে Tag সেকশনে একই ট্যাগের পোষ্ট গুলি আলাদা ভাবে দেখার সুযোগ তো থাকছেই।


আপাতত Google -এর এই সুবিধাটি কেবলমাত্র Google Chrome বা Chrome নির্ভর ব্রাউজার গুলিতে ব্যবহার করা সম্ভব। Firefox বা অন্যান্য ব্রাউজার গুলির জন্যে এখনো কোন Add-on তৈরি হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই অন্য সকল ব্রাউজারের জন্যেও খুব দ্রুতই Add-on প্রকাশ করা হবে।








সোমবার, এপ্রিল ২৫, ২০১৬

Google Docs এর ডকুমেন্ট পাবলিশ করুন আরও পরিপাটি রূপে


যারা Google এর সাথে পরিচিত তারা Google Docs সুবিধাটির কথাও জানেন। বর্তমানে আমরা যে Google Drive ব্যবহার করছি সেটি Google Docs এর একটি বর্ধিত সুবিধার আলতায় পড়ে। কোন অতিরিক্ত ওয়ার্ড প্রসেসর কিংবা অফিস প্রোগ্রাম ছাড়াই অনলাইনে ডকুমেন্ট তৈরির জন্যে Google Docs সমাদৃত হয়। তবে এর আরও একটি ফিচার হচ্ছে Online Collaboration পদ্ধতি। এই ফিচার ব্যবহার করে একই ডকুমেন্ট একই সময় একাধিক স্থান হতে একাধিক নির্বাচিত ব্যবহারকারী দেখতে এবং পরিবর্তন সংরক্ষণ করতে পারে।

তবে শুধুমাত্র এক বা একাধিক ব্যক্তির ডকুমেন্ট তৈরির সুবিধা নয়, Google Docs এর আরও একটি ফিচার হচ্ছে  Document Publishing. Google Docs এ কোন ডকুমেন্ট লেখার পর ব্যবহারকারী সরাসরি সেই ডকুমেন্ট অনলাইনে সকলের সাথে শেয়ার করার সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে কেউ ডকুমেন্টটি আর পরিবর্তন করার সুযোগ পায় না, শুধুমাত্র ভিউয়ার হিসেবে ডকুমেন্টে অবস্থিত তথ্য গুলি দেখতে পারে। 



তবে ডকুমেন্ট পাবলিশ করার পর তার বাহ্যিক সাজসজ্জা আধুনিক যুগের ওয়েব সাইট কিংবা ব্লগ গুলির মত আকর্ষণীয় তাকে না, কিছুটা আদিম যুগের ওয়েব সাইটের মত দেখা যায়। যার দরুন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলেও ডকুমেন্টটি অনেকেই পড়তে বিরক্ত বোধ করে থাকে। 


এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার লক্ষেই কাজ করেছে Google Doc Publisher নামের একটি ওয়েব এ্যাপের ডেভেলপারগণ। তাদের স্লোগান হচ্ছে - "PUBLISH GOOD LOOKING GOOGLE DOCS"। তারা একটি চমৎকার এ্যাপ তৈরি করেছে যা গুগল ডকের সাজসজ্জায় অনেকটাই পরিবর্তন এনে দেয়। ডকুমেন্টটি তৈরি করার সময় যেমন সাজসজ্জায় থাকে, ডকুমেন্ট পাবলিশ করার পরও তার সাজসজ্জা তেমনই থেকে যায়। মোট কথা, পুরাতন যুগের ওয়েব ডিজাইনের মত পুরো স্ক্রিনটা Justify মুডের মত হয়ে যায় না।

চমৎকার এই এ্যাপটি ব্যবহার করে সহজেই আপনি আপনার ডকুমেন্ট গুলিকে আকর্ষণীয় রূপে পাবলিশ করতে পারবেন। এতে যেমন আপনার পাবলিশ করা ডকুমেন্টটি পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে, তেমনি আপনার মার্জিত ভঙ্গি আপনার লেখাতেই উঠে আসবে।



যেভাবে পাবলিশিং এর কাজটি করবেন____





  • কাজটি করার জন্যে প্রথমে আপনি আপনার ডকুমেন্টটি তৈরি করে নিন।




  • ডকুমেন্ট সম্পাদনার পর যখন পাবলিশ করার জন্যে File থেকে "Publish to the web..." অপশনটি সিলেক্ট করুন।




  • পাবলিশিং পারমিশন প্রদান করে পাবলিশ্‌ড লিংকটি কপি করে ক্লিপ-বোর্ডে নিন।




  • এরপর  Google Doc Publisher সাইটে চলে আসুন। এখানে একটি ইনপুট টেক্সট-বক্স দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার পাবলিশ করা Google Docs এর লিংকটি পেস্ট করুন।


পেস্ট করার প্রায় সাথে সাথেই লিংকটি পরিবর্তন হয়ে যাবে। এখানে লক্ষ করে দেখবেন যেখানে আপনার Google Docs থেকে প্রাপ্ত পাবলিশিং লিংক ছিল কিছুটা এমন ফরমেটের-

https://docs.google.com/document/d/1lP8fDWJj8qD6R2SpYUc2g4eIWereIsTheLink1eAFrTSVWOBU/pub


সেখানে Google Doc Publisher এর লিংক ফরমেট হবে কিছুটা এমন-

http://gdoc.pub/1lP8fDWJj8qD6R2SpYUc2g4eIWereIsTheLink1eAFrTSVWOBU





  • এখন 'VIEW YOUR DOC' বাটনে ক্লিক করলেই নতুন একটি ট্যাবে পাবলিশ হওয়া আপনার ডকুমেন্টটি নতুন রূপে দেখতে পাবেন।




  • এখন শুধু আপনার কাজ হচ্ছে এই এ্যাপ থেকে প্রাপ্ত আপনার ডকুমেন্টের লিংকটি আপনার লেখাটির পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেয়া।



Google Doc Publisher এ পাবলিশ করা ডকুমেন্টটি যদি একাধিক পৃষ্ঠার হয়ে থাকে, তাতেও কোন সমস্যা নেই। Google Docs এবং Google Doc Publisher এ্যাপের মাধ্যমে যে লিংকটি আপনি পাচ্ছেন তাতে সকল পৃষ্ঠা স্বয়ংক্রিয় ভাবে একত্রিত হয়ে একদম ব্লগ পোষ্টের মত দেখাবে।