ডাওনলোড লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ডাওনলোড লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, জুন ০১, ২০১৯

Telegram - ফিচারে পরিপূর্ণ একটি নিরাপদ ইনস্ট্যান্ট মেসেঞ্জার


চলুন পরিচিত হওয়া যাক নতুন একটি এ্যাপের সাথে। শিরোনাম দেখেই সবাই জেনে গেছেন, যে এ্যাপটি নিয়ে আজকের আলোচনা তার নাম হচ্ছে টেলিগ্রাম (Telegram)। আপনি আমি যখন এই এ্যাপটি নিয়ে কথা বলছি সেই সময়টাতে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২ কোটি লোক এটি ব্যবহার করছে।

টেলিগ্রাম একটি অবানিজ্যিক প্রকল্প যেটি ২০১৩ সালে নিকোলাই এবং পাভেল ড্যুরভ এর হাত ধরে শুরু হয়েছিল। এই এ্যাপটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি সকল ডিভাইসেই ব্যবহারের সুবিধা পায়। আইফোন, এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন, উইন্ডোজফোন কিংবা আপনার উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম, ম্যাক অথবা লিনাক্সের জন্যে এর আলাদা আলাদা এ্যাপ রয়েছে। আপনি যে কোন প্লার্টফর্মে থেকেই একে ব্যবহার করতে পারবেন। কিংবা কোন ক্লায়েন্ট এ্যাপ ছাড়াই এর ওয়েব এ্যাপ এর সহায়তায় আপনার ব্রাউজারের মাধ্যমেই এর ব্যবহার করা সম্ভব।



আপনি হয়তো ভাবছেন মেসেঞ্জার, ভাইবার কিংবা হয়াট্‌সএ্যাপ থাকতে কেন এই এ্যাপ নিয়ে এত কথাবার্তা হচ্ছে! কি এমন ফিচার রয়েছে যেটি বাকি গুলোতে নেই?

হ্যাঁ, প্রাথমিক দর্শনে আপনি একে সাধারণ মেসেঞ্জার হিসেবেই দেখবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাকি সব এ্যাপ থেকেও এটি ভিন্ন। সেটিও বলছি ধীরে ধীরে... 

টেলিগ্রাম এ্যাপ সরাসরি ক্লায়েন্ট এনক্রিপশন সার্ভার ব্যবহার করে ক্লাউড ভিত্তিক বার্তা আদান প্রদাণ করে থাকে। সহজ করে বললে একে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে সরাসরি সার্ভার থেকে কিংবা Man-in-the-middle (MITM) এ্যাটাক পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনার পাঠানো বার্তাটি কেউ দেখে নিতে না পারে। আরও একটু সহজ করে বুঝাতে গেলে উদাহরণ হিসেবে বলবো, যারা নিয়মিত সোস্যাল সাইট গুলো ব্যবহার করেন তারা প্রায়ই শুনে থাকবেন যে ওমুক-তমুকের কথপোকথন কেউ তাদের অগোচরেই হ্যাক করে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই ক্ষেত্রে ভিক্টিমের ডিভাইস বা একাউন্টের কোন ক্ষতি না করেই তাদের মধ্যকার কথপোকথন চোর(হ্যাকার) চুরি করে বের করে আনে। আর টেলিগ্রাম সেখানেই আপনাকে নিরাপত্তা প্রদাণ করছে। আপনার ডিভাইস থেকে আপনার বন্ধুকে যখন আপনি কোন বার্তা পাঠানোর জন্যে Send বাটনে ক্লিক করছেন তখনই আপনার ঐ বার্তাটি টেলিগ্রাম এ্যাপের একটি গোপন এনক্রিপশন কী (যার তথ্য টেলিগ্রাম কম্পানি নিজেও জানে না) এর মাধ্যমে বার্তাটিকে এনক্রিপ্ট (নিরাপত্তা বিষয়ক একটি ব্যাপার) করে তারপর সেটি প্রাপকের কাছে পৌছে দিচ্ছে। এখন এর মাঝে বসে যদি কেউ আপনার পাঠানো বার্তাটি পড়তেও যায় তাহলে সে ঐ নির্দিষ্ট 'এনক্রিপশন কী' জানা না থাকবার কারণে বার্তাটি সরাসরি পড়তে বা বুঝতে ব্যার্থ হবে। কারণ হিসেবে বললে বলতে হবে, ঐ অবস্থায় মেসেজটি দেখতে কিছুটা হিজিবিজি কিছু অক্ষর ছাড়া আর কিছুই মনে হবে না। 


যেমন আপনি মেসেজে লিখলেন - Hi there!
আর এনক্রিপশনের পর মেসেজটি খুঁজে পেলে দেখা হবে সেখানে লেখা রয়েছে - LQCIGFOG8VxNPW1qapkFWLpz
এখন এই 'LQCIGFOG8VxNPW1qapkFWLpz' এর মাঝে কি লেখা রয়েছে তা কেবল আপনার টেলিগ্রাম একাউন্টের সাথে গোপন চাবি হিসেবে যুক্ত 'এনক্রিপশন কী' এর সহায়তা নিয়েই পড়া যাবে, নচেৎ এই অক্ষরের আড়ালে লুকায়িত বার্তা উদ্ধার করতে বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। 

আবার আপনি যদি চান আপনার আর আপনার বন্ধুর মধ্যকার কথপোকথন আপনি তাদের সার্ভারেও জমা রাখবেন না, তাহলে খুব সহজেই টেলিগ্রাম এ্যাপের 'Secret Chat' ফিচার ব্যবহার করে খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা সেড়ে নিতে পারেন। এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র আপনার আর আপনার বন্ধুর ডিভাইস ছাড়া এই মেসেজ আর কোথাও সংরক্ষন করা হবে না। আর যখনই আপনারা আপনাদের ঐ Secret Chat সেশন শেষ করবেন তখনই ঐসব মেসেজ আপনাদের ডিভাইস থেকেও চিরতরে মুছে যাবে। আরও রয়েছে মেসেজকে 'Self-destruct' করার সুবিধা। প্রয়োজনে আপনার বার্তা পড়ার সময় আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারেন। বার্তা পাঠানোর পর নির্ধারিত ঐ সময়ের পর নিজে নিজেই সেটি সব জায়গা থেকে নিজেকে মুছে ফেলবে। 


ভাইবার কিংবা হয়াটস্‌এ্যাপ ব্যবহার করে কারও সাথে যোগাযোগ করতে গেলে আপনার ফোন নম্বরটি সরাসরি এক্সপোজ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে কেউ আপনার ফোন নম্বরটির অপব্যবহার করার সুযোগ পেয়ে থাকে। টেলিগ্রামে আপনি আপনার নম্বরটি কাউকে না জানিয়েও টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবেন। আপনি যখন টেলিগ্রামে আপনার username টি সেট করে নিবেন তারপর থেকে যাদের মোবাইলে আপনার ফোন নম্বরটি সরাসরি সংরক্ষণ করা নেই তারা ব্যতিত ভিন্ন কেউ আপনার নম্বরটি আর দেখতে পাবে না। 

আরও একটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে এটি একই সাথে আপনার সকল ডিভাইসে মেসেজ সিনক্রোনাইজ করতে থাকে। ধরুন আপনার একটি এন্ড্রয়েড ফোন, একটি আইফোন, একটি ট্যাব আর একটি পিসি রয়েছে। আপনি পিসি থেকে কোন বার্তা কাউকে পাঠালে কিংবা কারও কাছে থেকে আপনি কোন বার্তা পেলে সেটি একই সাথে সকল ডিভাইসেই আপডেট হয়ে যাবে। আবশ্য সে ক্ষেত্রে আপনার সবগুলো ডিভাইসই ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে। 



এছাড়াও আপনি আপনার বন্ধুর সাথে এ যাবৎকালে যত মেসেজ পাঠিয়েছেন কিংবা যত ছবি শেয়ার করেছেন অথবা যত ফাইল আদান প্রদাণ করেছেন তার পুরোটাই আপনি যে কোন সময় যে কোন ডিভাইস থেকে এক্সেস করতে পারবেন। 

ফাইল প্রেরণের কথা যখন আসলো তখন যেটা না বললেই না। টেলিগ্রাম ব্যবহার করে আপনি আপনার বন্ধুকে যত খুশি তত ছবি, গান, ভিডিও কিংবা অন্য যে কোন ফাইল পাঠাতে পারবেন। আবার যে কোন সময় সে সব ফাইল সরাসরি ডাওনলোড করে নিতে পারবেন। আর ফাইল সাইজের লিমিট হিসেবে আপনি সরাসরি ১ গিগাবাইট পর্যন্ত সাইজের ফাইল কোন লিমিট ছাড়াই পাঠাতে কিংবা ডাওনলোড করে নিতে পারবেন। আর এই ফাইল আপনি নিজে থেকে ডিলিট না করলে আপনার একাউন্টের বিপরীতে টেলিগ্রাম সার্ভারেই জমা হয়ে থাকবে। 

রয়েছে গ্রুপ এবং চ্যানেল ব্যবহারের সুবিধা। বন্ধুদের নিয়ে খুব সহজেই আড্ডা দেবার জন্যে এখানে গ্রুপ তৈরি করা যায়। আর চ্যানেল এর ব্যাপারটা তুলনা করলে করা যায় ফেসবুক পেইজ -এর সাথে। রয়েছে বন্ধুদের সাথে সরাসরি ভয়েস কল করার সুবিধা। পছন্দ মত থিম ব্যবহারের স্বাধীনতা, ইন-এ্যাপ Emoticon, GIF এবং Sticker ইনসার্ট সুবিধা, কাস্টম প্রাইভেসি ফিচার সহ রয়েছে আরও নানান সুবিধা। 



তা ছাড়া ফেসবুক, মেসেঞ্জার কিংবা গুগলের মত টেলিগ্রাম আপনার তথ্য বিক্রি করার চেষ্টা করে না। তাদের ফিলোসফি হচ্ছে- যদি টেলিগ্রাম সার্ভার মেইনটেইন করার খরচ তাদের সাধ্যের বাইরে চলেই যায় তাহলে তারা টেলিগ্রামের বিশেষ কিছু ফিচার (যা সকলের প্রয়োজন পড়বে  না, এমন) তারা সাবস্ক্রিপশন হিসেবে ব্যবহারকারীর নিকট বিক্রি করবে। তবুও কখনো ব্যবহারকারীর তথ্য তারা নিজেরা ব্যবহার করবে না, কিংবা তৃতীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করবে না। 

সবশেষে বলছি রেপন্স টাইমের কথা। ব্যক্তিগত ভাবে হয়াটস্‌এ্যাপ আমার পছন্দের তালিকায় না থাকলেও কিছু সময় এটি ব্যবহার করেছি। যদি মেসেঞ্জার, হয়াটস্‌এ্যাপ এবং টেলিগ্রাম তুলনা করি তাহলে অন্তত আমার দৃষ্টিতে টেলিগ্রাম এ্যাপ বাকি দুইটি এ্যাপের তুলনায় এগিয়ে থাকবে। বাকি দুইটি এ্যাপের বিপরীতে এটি বরাবরই যথেষ্ট দ্রুত কাজ করেছে আমার ডিভাইস গুলোতে। ইমেজ লোডিং এবং কোয়ালিটি মেইনটেইন করে ইমেজ পাঠাবার ব্যাপারেও বাকিদের তুলনায় একে এগিয়ে রাখছি।


আপাতত যে ফিচার গুলো আমার ভালো লেগেছে তার বর্ননা করলাম। এর বাইরেও যদি কিছু জানবার থাকে তাহলে নির্দিদ্ধায় জিজ্ঞাস করতে পারেন। আর সেটি করতে না চাইলে গুগল তো রয়েছেই আপনার সহায়তায়। 

আশা করছি ইতোমধ্যে টেলিগ্রাম ব্যবহার করে থাকলে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। আর আপনি যদি এই পোষ্ট পড়বার পর টেলিগ্রাম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ব্যবহারের পর কতটুকু সন্তুষ্ট বা অসুন্তুষ্ট হলে তা জানাতে ভুলবেন না। 





বুধবার, মে ১৮, ২০১৬

Google Chrome এর Offline Installer ডাওনলোড লিংকসমূহ



স্ট্যান্ডার্ড ব্রাউজার গুলির মাঝে গুগল ক্রোম বেশ অনেক এগিয়ে আছে। বিল্টইন বিভিন্ন প্লাগ-ইন, এক্সটেনশন ব্যবহারের সুবিধা আর নিরাপত্তার দিক থেকে চিন্তা করলে বর্তমানের জন্যে চমৎকার একটি ব্রাউজার হচ্ছে Google Chrome। আপনি সরাসরি Google Chrome এর অফিসিয়াল সাইট থেকে অথবা এই লিংক (Chrome 32-bit || Chrome 64-bit) ব্যবহার করে ব্রাউজারটি বিনামূল্য ডাওনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে প্রথমে ছোট একটা ইন্সটলার প্রোগ্রাম ডাওনলোড হয়, যা পরবর্তীতে সম্পূর্ণ ব্রাউজারের ফাইল সমূহ ডাওনলোড করে তা সিস্টেমে ইন্সটল করে দেয়। 

তবে কেউ যদি ব্যাকআপ হিসেবে বা ভিন্ন ভিন্ন পিসিতে Google Chrome ব্রাউজারটি ইন্সটল করতে চান তবে ব্যাপারটা বেশ বিরক্তিকর এবং সময়সাপেক্ষ একটা ঘটনা হিসেবে দাড়ায়। তার উপর ইন্টারনেট কানেকশনে কোন সমস্যায় ডাওনলোড প্রক্রিয়া একবার বন্ধ হয়ে গেলে পুনরায় একদম শুরু থেকে ফাইল ডাওনলোড হওয়া শুরু করে।

আর এইসব ঝামেলা এড়াবার জন্যেই প্রয়োজন অফলাইন ইন্সটলার বা Standalone Installer। অফলাইন ইন্সটলার দিয়ে সরাসরি ক্রোম ব্রাউজারটি ইন্সটল করা যায়, সেক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইন থেকে সরাসরি পুরো ব্রাউজারের ডাটা একবারে ডাওনলোড করে নিতে হবে। তারপর যখন ইচ্ছে বা যতগুলি পিসিতে প্রয়োজন সকল স্থানে ঐ একই ইন্সটলার দিয়ে ব্রাউজারটি ইন্সটল করতে পারবেন।




নিচে Google Chrome ব্রাউজারের অফিসিয়াল অফলাইন ডাওনলোড লিংক দেয়া হল-




  • একজন ব্যবহারকারীর (Single User) জন্যে ব্রাউজারটি ডাওনলোড করার লিংকঃ



  • সকল ব্যবহারকারীর (All User) জন্যে ব্রাউজারটি ডাওনলোড করার লিংকঃ



  • Google Chrome ব্রাউজারের অফলাইন MSI ইন্সটলার ডাওনলোড করার লিংকঃ



  • Linux এর জন্যে Google Chrome এর ব্রাউজারটি ডাওনলোড করার লিংকঃ


  • Mac এর জন্যে Google Chrome এর ব্রাউজারটি ডাওনলোড করার লিংকঃ










উপরে প্রদত্ত লিংক সমূহ থেকে আপনি সর্বদাই Google রিলিজ কৃত Google Chrome এর সর্বশেষ সংস্করণের ব্রাউজারটি ডাওনলোড করতে পারবেন।