রিভিউ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রিভিউ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, মার্চ ১০, ২০১৯

সম্প্রতি দেখা সিনেমাঃ Rampage (2018)


২০১৮ সালের এপ্রিলে মুক্তি পায় ‘দ্যা রক’ ক্ষ্যাত ‘ডুয়েইন জনসন’ এর এ্যাকশন ঘরনার চলচিত্র 'Rampage'। মুভিটিতে ডুয়েইন জনসন অভিনয় করেন ডেভিস ওকোয়ে চরিত্রে।

মুভিতে দেখানো হয় ডেভিস একজন প্রাক্তন মর্কিন সেনা যে বর্তমানে বন্যপ্রাণী দেখাশোনার একটি পার্কে কর্মরত আছে। ডেভিস মানুষের চাইতে বন্যপ্রাণীদের সাথে বেশি বন্ধুভাবাপন্ন একজন ব্যক্তি। এই পার্কের বন্যপ্রাণীদের মধ্যে ‘জর্জ’ নামের একটি গরিলা ডেভিসের প্রিয় বন্ধু। আর্মিতে বন্যপ্রাণীদের রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকাকালীণ সময় সে এই বিলুপ্তপ্রায় গরিলাটিকে উদ্ধার করে এখানে নিয়ে আসে। আর একই সাথে ডেভিসের সাথে জর্জের বোঝাপড়াটা দারুণ ভাবে গড়ে উঠে। জর্জ গরিলা হলেও সে দারুণ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন একটি গরিলা, এটি মুভির শুরুতেই চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।


এদিকে ‘এনার্জিন’ নামক এটি প্রতিষ্ঠান তাদের একটি প্রজেক্টে জিন মেনিপুলেশন করে একটি বায়ো-উইপন তৈরি করে, আর সেই উইপনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্যে একে পাঠায় তাদের স্পেসশিপে অবস্থিত ল্যাবে। সেখানে পরীক্ষাধীন সময় এই উইপনের মারাত্বক দিকটি প্রাকাশ পায়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে, নিয়ন্ত্রণের মাত্রা ছাড়িয়ে সেটি। টেস্ট সাবজেক্ট হিসেবে ব্যবহৃত ইদুরটি ততক্ষণে রূপান্তরিত হয়েছে এক ভয়ানক দানবে। সুযোগ বুঝেই খুন করেছে স্পেসশিপে কর্মরত প্রায় সকলকে। তার মাঝেই কোনভাবে টিকে যাওয়া একজন বিজ্ঞানী এই পরিস্থিতির আপডেট জানিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করে ‘এনার্জিন’ এর প্রতিষ্ঠাতা ক্লায়ার উইডেন এর কাছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতির কথা জেনেও ক্লায়ার দৃঢ়কণ্ঠে জানায় যে, তাকে কখনই সহায়তা করা হবে যখন সে তাদের বায়ো-উইপনের স্যাম্পল এনার্জিন-এর কাছে পুনরায় হস্তান্তর করতে পারবে। প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও শেষ পর্যন্ত স্পেসশিপের ধ্বংসযজ্ঞে বেঁচে যাওয়া বিজ্ঞানি কাঙ্খিত ঐ স্যাম্পল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু তবুও দুর্ঘটনার কবল থেকে সে বাঁচতে পারে নি। বিদ্ধস্ত যে ইমার্জেন্সি স্কেপশিপে করে সে রওনা হয়েছিল তা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ঢুকতেই বিষ্ফোরণের স্বীকার হয়। আর একই সাথে ঐ স্পেসশিপে থাকা ঐ বায়ো-উইপনের স্যাম্পল ছড়িয়ে পড়ে আলাদা আলাদা তিন প্রান্তে।

বায়ো-উইপনের স্যাম্পল ছড়িয়ে পড়া তিন প্রান্তে আক্রান্ত হয় তিনটি বন্যপ্রাণী, যার একটি ছিল জর্জ। বায়ো-উইপনের প্রভাবে আক্রান্ত হয়ে জর্জ অশান্ত হয়ে উঠে। রাতের আধারেই সে হিংস্রাত্মক হয়ে আক্রমন করে বসে তার সাথে থাকা অন্য আরেকটি গরিলাকে, জর্জের হাতে খুন হয় সেই গরিলা। এদিকে একই সাথে জর্জের মধ্যে পরিবর্তন আসতে থাকে। জর্জ তার পরিবর্তন বুঝতে পেরে নিজেই ভীত হয়ে উঠে। নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আলাদা করে ফেলে বাকি গরিলাদের থেকে। পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে বুঝতে পারে তার মাঝে কোন একটা সমস্যা হয়েছে, যা স্বাভাবিক নিয়মে হবার নয়। বিচলিত হয়ে পড়ে ডেভিস।



অন্যদিকে মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট এভাবে হাতছাড়া হয়ে যাবার কারনে পাগল হয়ে উঠে ক্লায়ার। যে কোন মূল্যেই ফিরে চায় সে তার প্রজেক্টের স্যাম্পল। আর সেই ধারাবাকিহতায় ঐ স্যাম্পল উদ্ধারে পাঠায় ভাড়া করা কিছু খুনে সৈনিকদের। কিন্তু স্যাম্পল উদ্ধারের এই মিশন ব্যর্থ হয় যখন খুনে সৈনিকদের সবাই মারা পড়ে বায়ো-উইপনের প্রভাবে আক্রান্ত নেকড়ের কবলে।


ওদিকে নিজের আবিস্কারের এমন ভয়ানক অবস্থা জানতে পেরে প্রাক্তন এনার্জন এর কর্মী কেইট চলে যায় জর্জকে সংরক্ষণ করা পার্কে। সেখানে সে ডেভিসকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে, এই অবস্থা থেকে সে জর্জকে রেহাই দিতে সক্ষম। আর এরই মাঝে জর্জ নিজের নিয়ন্ত্রন হারায়। ক্ষুদ্ধ হয়ে জর্জ আপন সেল ভেঙ্গে বেরিয়ে পড়ে লোকালয়ে। অবশ্য খুব বেশিদূর যেতে পারে নি সে। এফ.বি.আই এর অতর্কিত আক্রমনে জর্জ সঙ্গা হারায়। তারা জর্জকে নিয়ে যেতে চায় তাদের ক্যাম্পে। সাথে নিয়ে যায় ডেভিস আর কেইটকে। ডেভিসের অনুরোধ স্বত্তেও এই অভিযানের দায়িত্বে থাকা হার্ভে রাসেল জর্জকে নিয়ে রওনা হয় উড়োজাহাজে।

পথিমধ্যে জর্জ আবারও তার জ্ঞান ফিরে পেয়েই শুরু করে তার ধ্বংসযজ্ঞ। ডেভিস উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগে কেইট এবং রাসেলকে উদ্ধার করে এই ধ্বংসযজ্ঞ হতে। জর্জের তান্ডবে ভুপতিত হয় তাদের বহনকারী উড়োজাহাজ। তারা ধারণা করেছিল বিমান ভুপতিত হবার এই ঘটনাতেই মারা পড়বে জর্জ। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে জর্জ এই ধ্বংসস্তুপ থেকে পালায়।

এরই মাঝে ক্লেয়ার নতুন ফন্দি বের করে। সে তাদের যোগাযোগ মডিউলের বিশেষ পরিবর্তন এনে একত্রিত করতে চায় বায়ো-উইপনের প্রভাবে আক্রান্ত জানোয়ার গুলোকে। সে এমন এক মাইক্রোওয়েভ সাউন্ডের সৃষ্টি করে যা শুনে আক্রান্ত জানোয়ার গুলি ধেয়ে আসবে শব্দ উৎপাদনকারী এনার্জিকের টাওয়ারের দিকে। আর সেই শব্দের প্রভাবেই তিন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা তিন জানোয়ার ধেয়ে আসতে থাকে শহরের দিকে। মার্কিন মেলিটারিরা চেষ্টা করে তাদের থামাতে, এম্বুস করে এদের ধ্বংস করতে চেষ্টা করে। বোমা হামলা চালায়, কিন্তু কিছুতেই কোন লাভ হচ্ছিল না। বরং তাদের গড়া একের পর এক নিরাপত্তা বলয় ভেঙ্গে চুরমার করে শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল জানোয়ারগুলো।



মার্কিন মেলিটারি অবস্থার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে শহর থেকে মানুষকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নিতে শুরু করে। আর জানোয়ার গুলোর ধ্বংসলীলা থামাতে বিষ্ফোরক দিয়ে পুরো শহর সহ গুড়িয়ে দেবার প্রস্তুতি নেয়। ডেভিস এমন সিদ্ধান্ত থেকে ধারণা করে যে এই অল্প সময়ে পুরো শহরের লোকজন বের করে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। আর তাই কেইটকে নিয়ে মিলিটারি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে রওনা হয় এনার্জিন-এর দিকে।

শেষ পর্যন্ত অনেক ক্লাইমেক্স পেরিয়ে ডেভিস আর কেইট বায়ো-উইপনের এন্টিডোট উদ্ধার করে জর্জকে তার নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। আর একই সাথে জর্জের সহায়তায় বাকি দুই জানোয়ার শেয়াল ও কুমিরকে খুন করে দূর্যোগপূর্ণ অবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসে নিজেদের দিকে। শহরশুদ্ধ মানুষকে হিংস্র জানোয়ার আর বোমার বিষ্ফোরনের নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বের করে নিয়ে আসে ডেভিস এবং জর্জ।




যারা নিয়মিত মুভি দেখেন তারা এই একই ধরণের স্ক্রিপ্ট ধরে এগিয়ে চলা অনেক-অনেক মুভিই ইতোমধ্যে দেখে ফেলেছেন বলেই আমার বিশ্বাস। খুব অল্প কিছু পরবর্তন ছাড়া এই একই ধরণের দুর্যোগপূর্ণ মারমার-কাটকাট মুভি রয়েছে বেশ অনেক সংখ্যক। গরিলার সাথে মানুষের যোগাযোগ আর দুষ্টামি-বুদ্ধিতে ভরপুর গরিলা ছাড়া বাকি মুভিতে কখন কি হতে পারে তা প্রায় সকল হলিউড ভিত্তিক মুভির দর্শকেরা সহজেই অনুমান করে নিতে পারবে। ডেভিসের চরিত্রে অভিনয় করা রককে কিছু স্থানে দেখানো হয়েছে অতিপ্রাকৃতিক শক্তিধর একজন হিসেবে। আবার বায়ো-উইপন দ্বারা আক্রান্ত জানোয়ার গুলোকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন আকারে দেখানো হয়েছে, যা গল্পের সাথে একদমই বেমানান ঠেকেছে।

প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত এ্যাকশন সিনেমা হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে অনেক বেশি বিষ্ফোরণ আর ধ্বংসলীলা দেখানো হয়েছে। বারবার করে যেন নিজে ইচ্ছেতে ধরা দিচ্ছিল উদ্ধার করতে আসা যুদ্ধ বিমান গুলো। যদিও মুভি স্ক্রিপ্টে “বন্যপ্রাণীর সাথে মানুষের মেলবন্ধন”-এর ব্যাপারটাকে হাইলাইট করে দেখানো হয়েছে, তবুও এখানে গল্পে/স্ক্রিপ্টে অনেক বেশি পরিমানে বিচ্ছিন্নতা আর অসঙ্গতিপূর্ণ বিশৃঙ্খলাই নজরে এসেছে। মুভির একটি দৃশ্যস্তর পার করে অন্য দৃশ্যে প্রবেশের সময় চরিত্রগুলোও যেন তাদের দিক হারিয়ে ফেলছিল বারবার। এছাড়া ডেভিস এবং জর্জ চরিত্রদুটি ছাড়া বাকি চরিত্রগুলোর কোন প্রভাবই যেন মুভিজুড়ে অনুপস্থিত লেগেছে।

সিনেমার ঘটনা ছাড়াই যাদের কাছে ধুম-ধাম পছন্দ, তাদের কাছে মুভিটি ভালো লাগতে পারে। কিন্তু যারা এ্যাকশনের সাথে গল্পের ধারাবাহিকতা আর গভীরতা পছন্দ করেন, তাদের কাছে হয়তো মুভিটা পানসেই লাগবে।



যদিও IMDB-তে Rampage রেটিং পেয়েছে ১০ এর মধ্যে ৬.১
কিন্তু ব্যক্তিগত রেটিং হিসেবে আমি মুভিটিকে ১০ এর মধ্যে ৩ দেবো।



সস্তা বিনোদনের আশা নিয়ে মুভিটি দেখা যেতে পারে। ব্যাক্তিগত ভাবে মুভিটি আমার তেমন আকর্ষণীয় কিছু মনে হয়নি। আশা করছি যারা ইতোমধ্যে মুভিটি দেখেছেন তারা মুভিটি সম্পর্কে নিজেদের মতামত জানাবেন 🙂






বুধবার, এপ্রিল ২৭, ২০১৬

আপনার Google Account এ সংরক্ষণ করুন প্রয়োজনীয় সকল ওয়েব লিংক

     বিভিন্ন প্রয়োজনেই আমরা বিভিন্ন সাইটের লিংক বুকমার্ক হিসেবে সংরক্ষণ করি। পূর্বে এই সুবিধা কেবলমাত্র ব্রাউজার কেন্দ্রিক হলেও এখন তার পরিধির ব্যাপ্তি ঘটেছে। এখন ব্রাউজারের মেমরি ব্যবহারের সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে ক্লাউড বুকমার্কিং পদ্ধতি। সে লক্ষে ভিন্ন ভিন্ন এ্যাপ ডেভেলপার ভিন্ন ভিন্ন ফিচার সমৃদ্ধ এ্যাপ ইতোমধ্যে তৈরি করেছেন। তেমনই কিছু পরিচিত এ্যাপের মাঝে আছে Pocket, Raindrop.io, Dropmark, Dragdis, Pinterest সহ আরও অনেক। 

Google Chrome ব্রাউজার অনেক আগে থেকেই ব্রাউজারের বুকমার্ক নিজেদের ক্লাউড সার্ভারে সংরক্ষণ এবং হালনাগাদ করার সুবিধা দিয়ে আসছিল। ঐ সুবিধার আলতায় Google Chrome ব্রাউজার ব্যবহারকারী যে সকল সাইট বা লিংক ব্রাউজারের বুকমার্ক সিস্টেমে সংরক্ষণ করতেন তা ঐ ব্যবহারকারীর Google একাউন্টে স্বয়ংক্রিয় ভাবে সংরক্ষণ হয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অনেক লিংক বুকমার্ক করা হয়ে গেলে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় লিংকটি খুঁজে পেতে কিছুটা সময় লেগে যায়, আর বুকমার্ক বারটিও বেশ হিজিবিজি দেখা যায়। আর যারা অনেক বেশি লিংক এভাবে সংরক্ষণ করেন তাদের ব্রাউজার কিছুটা স্লো কাজ করতে থাকে। 






এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার জন্যে গুগল "Save to Google" নামে নতুন একটি এ্যাপ ডেভেলপ করেছে। এই এ্যাপ আপনার সমস্ত লিংক গুগলের সার্ভারে সংরক্ষণ করবে এবং অন্য সকল বুকমার্কিং এ্যাপের মত এটিও আপনাকে লিংক কন্টেন্টের ভিত্তিতে ট্যাগ ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করবে। সেখানে ইচ্ছে করলে আপনি পোষ্ট প্রদত্ত ছবি গুলি যে কোন একটিকে Thumb বা প্রিভিউ হিসেবে পছন্দ করতে পারবেন এবং ইচ্ছে হলে লিংকটির সাথে ট্যাগ যুক্ত করে দিতে পারবেন।

Google এর এই সুবিধাটি পেতে আপনাকে প্রথমে আপনার Google Chrome ব্রাউজারে "Save to Google" এক্সটেনশনটি ইন্সটল করতে হবে। এরপর এক্সটেনশনটি আপনার একাউন্ট এক্সেস করার অনুমতি চাইবে। অনুমতি প্রদান করলেই সে কাজ করার উপযোগী হয়ে যাবে। 




এরপর যখনই আপনি কোন সাইট বা কোন পেইজের লিংক সংরক্ষণ করতে চাইবেন তখন উক্ত সাইট বা পেইজটি ব্রাউজারে লোড হবার পর শুধুমাত্র এক্সটেনশন বার হতে হলুদ স্টার চিহ্নিত এই "Save to Google"এক্সটেনশন বাটনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর পরই একটি pop-up উইন্ডো দেখতে পাবেন। এই উইন্ডোতে আপনি পোষ্ট সম্বলিত ছবি সমূহের মধ্য থেকে পছন্দসই ছবি Thumbs বা প্রিভিউ হিসেবে পছন্দ করতে পারবেন। পাশাপাশি পোষ্ট ক্যাটাগরি আলাদা করার জন্যে পছন্দমত Tag দিয়ে দিতে পারবেন।





আপনার সংরক্ষিত সাইট কিংবা লিংকগুলি দেখতে হলে Google এর My Save পেইজটিতে যান। সেখানে চমৎকার ভাবে আপনার লিংক গুলিকে ছোট প্রিভিউ সহ দেখতে পাবেন। আর অনেক লিংক হলে Google এর বিল্টইন সার্চ সুবিধার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার সংরক্ষিত লিংকটি খুঁজে পাবেন। এছাড়াও ক্যাটাগরি আকারে Tag সেকশনে একই ট্যাগের পোষ্ট গুলি আলাদা ভাবে দেখার সুযোগ তো থাকছেই।


আপাতত Google -এর এই সুবিধাটি কেবলমাত্র Google Chrome বা Chrome নির্ভর ব্রাউজার গুলিতে ব্যবহার করা সম্ভব। Firefox বা অন্যান্য ব্রাউজার গুলির জন্যে এখনো কোন Add-on তৈরি হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই অন্য সকল ব্রাউজারের জন্যেও খুব দ্রুতই Add-on প্রকাশ করা হবে।








সোমবার, এপ্রিল ২৫, ২০১৬

Google Docs এর ডকুমেন্ট পাবলিশ করুন আরও পরিপাটি রূপে


যারা Google এর সাথে পরিচিত তারা Google Docs সুবিধাটির কথাও জানেন। বর্তমানে আমরা যে Google Drive ব্যবহার করছি সেটি Google Docs এর একটি বর্ধিত সুবিধার আলতায় পড়ে। কোন অতিরিক্ত ওয়ার্ড প্রসেসর কিংবা অফিস প্রোগ্রাম ছাড়াই অনলাইনে ডকুমেন্ট তৈরির জন্যে Google Docs সমাদৃত হয়। তবে এর আরও একটি ফিচার হচ্ছে Online Collaboration পদ্ধতি। এই ফিচার ব্যবহার করে একই ডকুমেন্ট একই সময় একাধিক স্থান হতে একাধিক নির্বাচিত ব্যবহারকারী দেখতে এবং পরিবর্তন সংরক্ষণ করতে পারে।

তবে শুধুমাত্র এক বা একাধিক ব্যক্তির ডকুমেন্ট তৈরির সুবিধা নয়, Google Docs এর আরও একটি ফিচার হচ্ছে  Document Publishing. Google Docs এ কোন ডকুমেন্ট লেখার পর ব্যবহারকারী সরাসরি সেই ডকুমেন্ট অনলাইনে সকলের সাথে শেয়ার করার সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে কেউ ডকুমেন্টটি আর পরিবর্তন করার সুযোগ পায় না, শুধুমাত্র ভিউয়ার হিসেবে ডকুমেন্টে অবস্থিত তথ্য গুলি দেখতে পারে। 



তবে ডকুমেন্ট পাবলিশ করার পর তার বাহ্যিক সাজসজ্জা আধুনিক যুগের ওয়েব সাইট কিংবা ব্লগ গুলির মত আকর্ষণীয় তাকে না, কিছুটা আদিম যুগের ওয়েব সাইটের মত দেখা যায়। যার দরুন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলেও ডকুমেন্টটি অনেকেই পড়তে বিরক্ত বোধ করে থাকে। 


এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার লক্ষেই কাজ করেছে Google Doc Publisher নামের একটি ওয়েব এ্যাপের ডেভেলপারগণ। তাদের স্লোগান হচ্ছে - "PUBLISH GOOD LOOKING GOOGLE DOCS"। তারা একটি চমৎকার এ্যাপ তৈরি করেছে যা গুগল ডকের সাজসজ্জায় অনেকটাই পরিবর্তন এনে দেয়। ডকুমেন্টটি তৈরি করার সময় যেমন সাজসজ্জায় থাকে, ডকুমেন্ট পাবলিশ করার পরও তার সাজসজ্জা তেমনই থেকে যায়। মোট কথা, পুরাতন যুগের ওয়েব ডিজাইনের মত পুরো স্ক্রিনটা Justify মুডের মত হয়ে যায় না।

চমৎকার এই এ্যাপটি ব্যবহার করে সহজেই আপনি আপনার ডকুমেন্ট গুলিকে আকর্ষণীয় রূপে পাবলিশ করতে পারবেন। এতে যেমন আপনার পাবলিশ করা ডকুমেন্টটি পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে, তেমনি আপনার মার্জিত ভঙ্গি আপনার লেখাতেই উঠে আসবে।



যেভাবে পাবলিশিং এর কাজটি করবেন____





  • কাজটি করার জন্যে প্রথমে আপনি আপনার ডকুমেন্টটি তৈরি করে নিন।




  • ডকুমেন্ট সম্পাদনার পর যখন পাবলিশ করার জন্যে File থেকে "Publish to the web..." অপশনটি সিলেক্ট করুন।




  • পাবলিশিং পারমিশন প্রদান করে পাবলিশ্‌ড লিংকটি কপি করে ক্লিপ-বোর্ডে নিন।




  • এরপর  Google Doc Publisher সাইটে চলে আসুন। এখানে একটি ইনপুট টেক্সট-বক্স দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার পাবলিশ করা Google Docs এর লিংকটি পেস্ট করুন।


পেস্ট করার প্রায় সাথে সাথেই লিংকটি পরিবর্তন হয়ে যাবে। এখানে লক্ষ করে দেখবেন যেখানে আপনার Google Docs থেকে প্রাপ্ত পাবলিশিং লিংক ছিল কিছুটা এমন ফরমেটের-

https://docs.google.com/document/d/1lP8fDWJj8qD6R2SpYUc2g4eIWereIsTheLink1eAFrTSVWOBU/pub


সেখানে Google Doc Publisher এর লিংক ফরমেট হবে কিছুটা এমন-

http://gdoc.pub/1lP8fDWJj8qD6R2SpYUc2g4eIWereIsTheLink1eAFrTSVWOBU





  • এখন 'VIEW YOUR DOC' বাটনে ক্লিক করলেই নতুন একটি ট্যাবে পাবলিশ হওয়া আপনার ডকুমেন্টটি নতুন রূপে দেখতে পাবেন।




  • এখন শুধু আপনার কাজ হচ্ছে এই এ্যাপ থেকে প্রাপ্ত আপনার ডকুমেন্টের লিংকটি আপনার লেখাটির পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেয়া।



Google Doc Publisher এ পাবলিশ করা ডকুমেন্টটি যদি একাধিক পৃষ্ঠার হয়ে থাকে, তাতেও কোন সমস্যা নেই। Google Docs এবং Google Doc Publisher এ্যাপের মাধ্যমে যে লিংকটি আপনি পাচ্ছেন তাতে সকল পৃষ্ঠা স্বয়ংক্রিয় ভাবে একত্রিত হয়ে একদম ব্লগ পোষ্টের মত দেখাবে।






মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০১৪

Prisoners :: অসাধারণ থ্রিলার মুভি



প্রতিবেশী ব্রিচ পরিবারের নিমন্ত্রণে তার বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় ডোভার পরিবার। নিজেদের সমবয়সী ছেলে মেয়েদের ছেড়ে দিয়ে হাত পা ছাড়িয়ে আড্ডায় বসে তারা। আড্ডার ফাকে এনা ডোভার প্রতিবেশীর মেয়ে জয় ব্রিচকে তার খেলনা দেখাতে তাদের বাড়ি নিয়ে যাবার বায়না ধরে। মানা করেও তাদের বড় ভাই-বোনকে নিয়ে অবশেষে বাড়ি যাবার অনুমতি পায় তারা। রাস্তায় নেমে বাড়ি যাবার পথে রাস্তার পাশে পার্ক করে রাখা অপরিচিত এক RV ভ্যান দেখে বাচ্চারা দৌড়ে সেটার কাছে যায় আর স্বভাব সুলভ দুষ্টামি জুড়ে দেয়। এনা এক পর্যায়ে ভ্যানের পেছনে থাকা সিঁড়ি ধরে উপরে উঠতে শুরু করে। কিন্তু পেছন থেকে তার বড় ভাই এসে তাকে নামিয়ে নিয়ে আবার ফিরে যায় ব্রিচদের বাড়িতে। আড্ডার ফাকে হঠাৎ খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারে বাচ্চারা ফিরে এসেছে কিন্তু ছোট এনা আর জয়কে খুঁজে না পেয়ে কেলার তার বাড়িতে গিয়ে খুঁজে আসে তাদের। সেখানে গিয়ে বুঝতে পারে তারা এখানে আসে নি, ফিরে গিয়ে ব্রিচদের বাসায় আবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে তখন। এক পর্যায়ে রালফ ডোভার জানায় রাস্তার পাশে পার্ক করে রাখা সেই RV ভ্যানটার কথা। কিন্তু খুঁজতে গিয়ে সেটার আর দেখা পায়নি তারা।

পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের লোকি'র উপর দায়িত্ব পড়ে কেসটার। ভ্যানের তথ্য অনুযায়ী খুব দ্রুতই সেটার অবস্থান জানতে পেরে সেটা থেকে গ্রেফতার করে এলেক্স নামের এক তরুণকে। কিন্তু জিজ্ঞাসা বাদের এক পর্যায়ে বুঝতে পারে এলেক্স একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তার বয়স বেড়ে গেলেও তার বুদ্ধির বিকাল একজন ১০ বছরের বাচ্চার মত। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে লোকি ফাদার পেট্রিকের বাড়ি থেকে একটা অর্ধ-গলিত লাস উদ্ধার করে। ফাদারকে সে ব্যাপারে চার্জ করা হলে ফাদার জানায় লোকটা তার কাছে কনফেস করতে এসেছিলো, এবং কনফেস করার সময় সে জানায় এই পর্যন্ত সে মোট ১৬ টা বাচ্চাকে খুন করেছে এবং এর পরও আরও করবে। ফাদার লোকটাকে ট্রিক করে বন্দী করে এবং তার বাড়ির বেসমেন্টে হাত-পা, মুখ বেধে ফেলে রাখে। ওদিকে এলেক্সের কাছ থেকে কোন তথ্য আদায় করতে না পেরে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ ডিপার্টমেন্ট, আর তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় এলেক্সের আন্টি। এটা জনতে পেরে কেলার ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং জনসম্মুখেই এলেক্সকে হামলা করে বসে। ডিটেকটিভ লোকি পুলিশের সহায়তায় সেই পরিস্থিতি সামাল দেয় তখন।

মেয়ে হারিয়ে ক্ষোভে অন্ধ পিতা খুব সন্তর্পণে কিডন্যাপ করে এলেক্সকে। পরে সে আর তার প্রতিবেশী ফ্রাংলিন ব্রিচকে নিয়ে ছেলেটার কাছ থেকে মেয়েদের তথ্য আদায় করতে তাকে নির্যাতন শুরু করে। এদিকে পাড়া প্রতিবেশী সবাই হারানো বাচ্চাদের মঙ্গল কামনা আর পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে একত্রিত হয় এক সন্ধ্যায়। সেখানে ডিটেকটিভ লোকির নজর এক অচেনা লোকের উপর গিয়ে পড়ে। লোকটি সেটা বুঝতে পেরে দ্রুত ঘটনা স্থল ত্যাগ চাইলেও লোকি তার পিছু নেয় এবং অবশেষে ডিটেকটিভকে ধোঁকা দিয়ে পালাতে সক্ষম হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ডিটেকটিভ লোকি একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কর্মরত এক মহিলার থেকে জানতে পারে একটি লোক সম্বন্ধে, যে কিনা প্রায় কিছুদিন পরপর ছোট ছেলে-মেয়েদের কাপড় কিনতে আসে কিন্তু প্রতি বারই কাপড়ের সাইজের ভিন্নতা থাকে। মহিলার তথ্য অনুযায়ী সে একটি ঠিকানায় গিয়ে পৌঁছে আর সেখান থেকে ঐ রাতের সন্দেহভাজন লোকটিকে গ্রেফতার করে আর উদ্ধার করে বাক্সে ভরা নানা প্রজাতির সাপ এবং ভিন্ন ভিন্ন সাইজের ছোটদের কাপড়চোপড় আর একটি ডায়েরী। কিন্তু বিধি বাম, লোকটিকে জিজ্ঞাসা কালের এক পর্যায়ে কর্তব্যরত এক পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে সেটি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

প্রায় সকল পথ যখন অবরুদ্ধ তখন হুট করেই খোঁজ মেলে নিখোঁজ জয় ব্রিচের। হাসপাতালে তাকে দেখতে জায় কেলার ডোভার আর তার স্ত্রী। কেলার খুব অশান্ত ভাবেই বার বার জিজ্ঞাস করতে থাকে কোথায় ছিল তারা। ছোট জয়ের শারীরিক অবস্থা অনেক খারাপ আর স্মৃতি গুলি এলোমেলো থাকাতে সে ঐভাবে কিছুই বলতে পারে না, তবুও একটা বাড়ির কথা বলে যেখান থেকে সে পালিয়ে এসেছে। তবে সেটা কোথায় তার বিশেষ কিছু বলতে পারে  না সে। কেলার তার কথা শুনেই বুঝে যায় বাড়িটির অবস্থান, আর দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করে। তার হাসপাতাল ত্যাগ করার মুহূর্তেই সেখানে পৌঁছে ডিটেকটিভ লোকি। কিন্তু ডিটেকটিভের কোন কথা কানে না তুলেই কেলার একা হাসপাতাল ত্যাগ করে। ডিটেকটিভ তার পিছু নিয়েও হারিয়ে ফেলে কিন্তু মনে মনে  তার অবস্থান আন্দাজ করে এক পরিত্যক্ত বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে। বাড়ি তল্লাসি চালিয়ে কিডন্যাপ সন্দেহে আটক করা সেই এলেক্স  এর দেখা পায়, যদিও তার অবস্থা চরম গুরুতর সেই মুহূর্তে।

পুলিশ চিফ ডিটেকটিভ লোকিকে অনুরোধ করে ছেলেটার আন্টিকে তার প্রাপ্তি সংবাদ পৌঁছে দেবার জন্যে। মানা করেও পরে ডিটেকটিভ এলেক্সের আন্টির বাসায় গিয়ে পৌঁছে রাতে। কিছু সময় ডাকাডাকির পড় কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে যায় লোকি, আর সেখান থেকেই উদ্ধার করে হারিয়ে যাওয়া এনা ডোভারকে।


চরম একটা থ্রিলার ক্যাটাগরির মুভি এই Prisoners। প্রতি মিনিটেই মনে হবে একটি সম্ভাবনার কথা আবার পর মুহূর্তেই সেটা পাল্টে যাবে। সন্দেহের তীর একদিক থেকে ছুটে গিয়ে অবস্থান নিবে অন্যদিকে। আর পরিচালক Denis Villeneuve প্রতিটা মুহূর্তকে আরও বেশি রহস্যের চালে চেপে আটকে দিয়েছে। ক্যামেরার কাজ আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছিল এক কথায় অসাধারণ। স্ক্রিনের দিকে তাকিয়েই রহস্যের সমুদ্রে ডুবিয়ে দিবে আপনাকে। যারা থ্রিলার মুভি পছন্দ করেন আর এখনো এটা দেখেন নি মুভিটা তারা দ্রুতই দেখে নিন। আপনার ২ঘন্টা ৩৩ মিনিট সময়টা একেবারেই বৃথা যাবে না :D