ফেসবুক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ফেসবুক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, জুলাই ১৬, ২০১৯

GIMP ব্যবহার করে Facebook এর জন্যে 3D ইমেজ তৈরি

Facebook প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করে এর ব্যবহারকারীদের চমকে দিচ্ছে। তেমনি একটি ফিচার 3D ইমেজ। এখন নিউজ ফিড জুড়ে প্রায়ই 3D ইমেজের দেখা মেলে। মাউসের কার্সর নাড়াচাড়া করলে ইমেজটিও কেমন করে নড়াচড়া করে উঠে।


চাইলেই আমরা আমাদের ছবি গুলোকে Facebook এ 3D ইমেজ হিসেবে আপলোড করতে পারি। আর কিভাবে সেই কাজটি করা যায় সেটিই আজকের আলোচনা।

ফেসবুকে 3D ইমেজ তৈরি করার জন্যে আমাদের ২টি ইমেজ ফাইলের প্রয়োজন। একটি ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ ফাইল, আর অন্যটি হচ্ছে অবজেক্ট ইমেজ ফাইল। মূলত এই অবজেক্ট ইমেজ ফাইলটিই আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ ফাইলের উপর নড়াচড়া করবে।

কাজটি করার জন্যে আমি মুক্ত ও বিনামূল্যের ইমেজ ইডিটর GIMP ব্যবহার করেছি।
 
 
   
   

3D ইমেজ তৈরির পদ্ধতি


  • ধাপ ১ঃ GIMP চালু করে প্রথমে File মেন্যু থেকে File > Open… সিলেক্ট করুন। তারপর আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ ফাইলটি সিলেক্ট করে Open বাটন চাপুন।
  • ধাপ ২ঃ অবজেক্ট ইমেজটি লোড করতে File মেন্যু থেকে File > Open as Layers… সিলেক্ট করুন। এখন আপনি যে ইমেজটিকে অবজেক্ট ইমেজ হিসেবে ব্যবহার করবেন সেটি সিলেক্ট করে Open বাটন চাপুন। আপনার অবজেক্ট ইমেজটির ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন কিছু থাকা চলবে না। মানে অবজেক্ট ইমেজটিতে কেবল অবজেক্ট ইমেজটাই থাকবে, আর তার ব্যাকগ্রাউন্ড হবে ট্রান্সপারেন্ট ধরণের। উদাহরণ হিসেবে এই ছবিটি দেখুন।
  • ধাপ ৩ঃ আপনার অবজেক্ট ইমেজটি ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজের কোন স্থানে থাকবে তা নির্ধারন করুন। প্রয়োজনে আপনার অবজেক্ট ফাইলটি Resize করে নিন। যাতে অবজেক্ট ইমেজটি 3D ইমেজ তৈরির পর চারপাশ থেকেই দেখা যায়।
  • ধাপ ৪ঃ এরপর নতুন একটি লেয়ার তৈরি করুন। লেয়ারের নাম দিন “image_depth”, আর এটির Fill with হিসেবে ‘Transparency’ সিলেক্ট করুন।
  • ধাপ ৫ঃ কালার প্যালেট হতে Foreground কালার হিসেবে সেট করুন ‘606060‘। এরপর কালারটি ধরে এনে “image_depth” লেয়ারের উপর ছেড়ে দিন।
  • ধাপ ৬ঃ এরপর আপনার অবজেক্ট লেয়ারটি সিলেক্ট করে মাউজের রাইট ক্লিক করুন। এরপর মেন্যু থেকে Alpha to Selection অপশনটি সিলেক্ট করুন। এতে আপনার অবজেক্ট ইমেজটির আকার অনুযায়ী একটি সিলেকশন এরিয়া তৈরি হবে।
  • ধাপ ৭ঃ এখন মেন্যুবার এর Select > Grow… অপশনটি ক্লিক করুন। স্ক্রিনে Grow Selection এর ইনপুট বক্স দেখা যাবে। এখানে Grow selection ভেল্যু হিসেবে ‘3’ সেট করে Ok বাটনে চাপুন। এতে পূর্বের অবজেক্ট সিলেকশন এরিয়া হতে সিলেকশন এরিয়ার পরিধি বৃদ্ধি পাবে।
  • ধাপ ৮ঃ সিলেকশন থাকা অবস্থায় পুনরায় “image_depth” লেয়ারটিতে ক্লিক করুন। এরপর কালার প্যালেট এর Background কালার হিসেবে ‘bbbbbb‘ সেট করুন। এরপর ব্যাকগ্রাউন্ড প্যালেটটি টেনে ধরে “image_depth” এর সিলেক্ট থাকা অংশের উপর ছেড়ে দিন।
  • ধাপ ৯ঃ মেন্যুবার থেকে Select > None অপশনটিতে ক্লিক করুন। এরপর “image_depth” এর ভিজিবিলিটি (চোখের আইকন) বন্ধ করুন।
  • ধাপ ১০ঃ অবজেক্ট ইমেজ লেয়ারটিতে ক্লিক করুন, এর উপর মাউজের রাইট ক্লিক করুন। মেন্যু থেকে Merge Down সিলেক্ট করুন। এতে আপনার অবজেক্ট লেয়ার এবং ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ার দুটো একত্রে যুক্ত হয়ে একটি লেয়ারে পরিণত হবে।
  • ধাপ ১১ঃ মেন্যুবার থেকে File > Export As… সিলেক্ট করুন। এরপর ফাইলটির নাম দিন ‘image.png’ । খেয়াল করুন ফাইলটির এক্সটেনশন অবশ্যই png হতে হবে।
  • ধাপ ১২ঃ পুনরায় “image_depth” লেয়ারটির ভিজিবিলিটি চালু (চোখের আইকনে আবার ক্লিক) করুন। তারপর মেন্যুবার থেকে File > Export As… সিলেক্ট করুন। ফাইলটির নাম দিন ‘image_depth.png’। এই ক্ষেত্রেও ফাইলটির এক্সটেনশন অবশ্যই png হতে হবে।





3D হিসেবে উপস্থাপনের জন্যে আমাদের ইমেজ ফাইল তৈরি। এখন একে Facebook এ ব্যবহারের পালা-


  • ফেসবুকে ব্যবহারের জন্যে আপনার ফেসবুকে লগইন করুন। তারপর নতুন পোষ্ট লেখার স্থানে গিয়ে Photo/Video বাটনে ক্লিক করুন।
  • নতুন যে দুটো ফাইল তৈরি করে সেভ করেছিলেন সেই ডাইরেক্টরি/স্থান -তে প্রবেশ করুন। এরপর পর্যায়ক্রমে কী-বোর্ড থেকে Ctrl (কন্ট্রোল) কী চেপে ধরে ‘image.png’ ও ‘image_depth.png’ ফাইল দুটো একত্রে সিলেক্ট করে Ok চাপুন।
  • Facebook এ ইমেজ দুটো আপলোড হলে সয়ংক্রিয় ভাবেই ফেসবুক ইঞ্জিন উক্ত ইমেজ ফাইল দুটো নিয়ে 3D ইমেজ তৈরির কাজ শুরু করবে। এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। কিছু সময়ের মধ্যেই আপনার আপলোড কৃত ইমেজ ফাইলের পরিবর্তে আপনি একটি 3D ইমেজ পেয়ে যাবেন।



এভাবেই আপনি আপনার যে কোন ছবিকে 3D ইমেজ হিসেবে ফেসবুকে প্রকাশ করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন সোর্স ফাইল হিসেবে আপনি যে ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ এবং অবজেক্ট ইমেজ ব্যবহার করছেন তাদের ইমেজ রেজ্যুলুশন যাতে প্রায় একই রকম হয়। ভিন্ন ভিন্ন রেজুল্যুশনের ছবি ব্যবহার করলে আউটপুট হিসেবে 3D ইমেজ আপনার মনঃপুত হবে না।
   
     
পুরো প্রক্রিয়াটি এখানে এই ছোট্ট ভিডিওতে দেখানো হয়েছে। বুঝতে সমস্যা হলে এই ভিডিওর সহায়তা নিতে পারেন।


এখানে ব্যবহৃত ইমেজ ফাইল গুলো এই লিংক থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
  
   
    
     
      
       


সোমবার, জুলাই ০৬, ২০১৫

স্মার্টফোন ব্যবহার করে এক শব্দে ফেসবুক প্রোফাইলের নামকরণ করার পদ্ধতি


পূর্বে আমারা দেখেছিলাম, কিভাবে ডেক্সটপ কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে ফেসবুক প্রোফাইলের এক শব্দে নামকরণ করা যায় সেই পদ্ধতি। কিন্তু হালের যুগে সকলের হাতে হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। আর যদি সেই স্মার্টফোন থেকেই কাজটি করা যায় তাহলে কাজটি আরও সুবিধা জনক হয়। আর সেই তাগিদেই আজকের পোষ্টের অবতারণা।


মোবাইলের জন্যে আমাদের দুটো এ্যাপ প্রয়োজন-


১. মোবাইল ব্রাউজার

২. প্রক্সি পরিবর্তনের এ্যাপ।

মোবাইলের ব্রাউজার হিসেবে আপনি যে কোন ব্রাউজারই ব্যবহার করতে পারবেন। আমি আমার কাজের সুবিধার্থে এখানে Opera ব্রাউজার ব্যবহার করেছি। অন্যদিকে প্রক্সি পরিবর্তনের অনেক এ্যাপই এখন Play Store এ পাওয়া যায়। তার যে কোনটি ব্যবহার করলেই আপনার কাজ হবে। আমি এখানে ‘One Click VPN‘ এ্যাপটি ব্যবহার করেছি। আপনারা সরাসরি Play Store থেকে এ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে পারেন, কিংবা সমস্যা হলে এই লিংক থেকে ডাওনলোড করে ইন্সটল করতে পারেন।


ব্রাউজার এবং প্রক্সি এ্যাপ ইন্সটলের পর নিচের ধাপ গুলি অনুসরণ করুন-






  • ধাপ ১ : প্রথমে Opera বা আপনার মোবাইল ব্রাউজার দিয়ে m.facebook.com অথবা mbasic.facebook.com সাইটে প্রবেশ করুন। এরপর আপনার Email/Phone/UserName এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।


  • ধাপ ২ : ফেসবুকে লগইন সম্পন্ন হলে আপনার প্রক্সি পরিবর্তনের সফটওয়্যার চালু করুন। যেমন আমার ক্ষেত্রে আমি “One Click VPN” সফটওয়্যারটি চালু করলাম। এ্যাপ সচল হবার কিছুক্ষনের মাঝেই সার্ভার লিস্ট চলে আসবে।


  • ধাপ ৩ : এরপর সার্ভার লিস্ট হতে আপনি Indonesia এর একটি সার্ভার খুঁজে বের করে সিলেক্ট করুন।

সিলেক্ট করার পর সেটার রং পরিবর্তন হবে।




এখন স্ক্রিনের নিচে অবস্থিত “Connect” বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৪ : VPN কানেকশন তৈরির পূর্বে একটি সতর্কবানী দেয়া হবে। আপনি “I trust this application.” লেখাটির সামনে চেক বক্সে ক্লিক করে “OK” বাটনটি সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ৫ : কিছুক্ষন অপেক্ষার পর আপনার মোবাইলের স্ক্রিনের উপরের বাম পাশে একটি চাবির চিহ্ন দেখতে পাবেন। এবং একেবারে স্ক্রিনের নিচে লেখা আসবে “Connected, Enjoy!”। অর্থাৎ আপনি VPN সার্ভারের সাহায্যে ইন্দোনেশিয়ান প্রক্সি ব্যবহার করে এখন যে কোন সাইট ব্রাউজ করার জন্যে প্রস্তুত।


  • ধাপ ৬ : এরপর “One Click VPN” এ্যাপ মিনিমাইজ করে আপনার ব্রাউজার (আমার ক্ষেত্রে OperaMini) এ চলে আসুন। ফেসবুক হোম লোড হবার পর একদম নিচের দিকে অবস্থিত “Settings & Privacy” তে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৭ : এরপর Settings ড্যাশ থেকে General সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ৮ : General ড্যাশ লোড হবার পর সেখান থেকে Language লেখাটির উপর ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৯ : এখন Language লিষ্ট হতে “Bahasa Indonesia” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১০ : পুনরায় আপনাকে ফেসবুক হোমে নিয়ে যাবে। এখন আবারও নিচে নেমে “Pengaturan & Privasi” লেখাটির উপর সিলেক্ট করুন।



  • ধাপ ১১ : এরপর Settings ড্যাশ থেকে “Umum” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১২ : Umum ড্যাশ লোড হবার পর “Nama” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১৩ : এখন তিনটি ইনপুট বক্স দেখতে পাবেন, এগুলি যথাক্রমে ‘First Name’ ‘Middle Name’ এবং ‘Last Name’ নির্দেশ করে। আপনি ‘Middle Name’ এবং ‘Last Name’ বক্সে থাকা সকল লেখা মুছে দিন এবং প্রথম বক্সে আপনি যে নামে আইডির নামকরণ করতে চাইছেন তা লিখুন। এবং সব শেষে “Tinjau Perubahan” লেখা বাটনের উপর ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৪ : নাম কনর্ফাম করার জন্যে আপনাকে পুনরায় পাসওয়ার্ড দিতে হবে। বক্সে পাসওয়ার্ড লিখে “Simpan Perubahan” লেখা বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৫ : Settings ড্যাশ রিলোড হলেই দেখতে পাবেন Nama এর নিচে আপনার দেয়া এক শব্দের নাম দেখাচ্ছে। এখন আবার Bahasa লেখাটিতে (৬ নম্বর) ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৬ : পুনরায় ভাষা নির্ধারণ লিস্ট দেখতে পাবেন। সেখান থেকে “English (US)” অথবা আপনি যে ভাষায় ফেসবুক ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সেই ভাষা নির্বাচন করুন।


ভাষা নির্ধারণ করার পর পুনরায় ফেসবুক হোমে আপনাকে নিয়ে আসা হবে। এবার আপনি উপরের Menu হতে Profile লেখাটিতে ক্লিক করুন। আপনার প্রোফাইল পেইজ লোড হবার পর সেখানে আপনার নামের স্থানে আপনার প্রদাণকৃত এক শব্দেরনামই দেখতে পাবেন।




পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে এই সুবিধাটি বিশেষ একটি পদ্ধতি (ইন্দোনেশিয়া প্রক্সি সেটিংস্‌) ব্যবহার করে উপভোগ করা যাবে। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে উক্ত সুবিধাটি শুধুই নির্দিষ্ট দেশের জন্যে দেয়া হয়েছিল। আমরা সেই সুবিধাটি ব্যবহার করেই এই “এক শব্দের নাম” সুবিধাটি নিচ্ছি। কিন্তু ফেসবুক পলিসি অনুসারে এটি আপনার সত্যিকারের নাম হলেও তা গ্রহনযোগ্য নয়। তাই এই সকল Single Name বা এক শব্দের নামের আইডি গুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফেসবুক ভেরিফিকেশন এর মধ্যে পড়ে যায়। আর সেখান থেকে নামের সঠিক মিল খুঁজে পাওয়া যায় না বলেই রিকোভার করা সম্ভব হয় না। তাই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আইডির নাম করলে তা নিজ দায়িত্বে করবেন।







শনিবার, মার্চ ১৫, ২০১৪

এক শব্দে ফেসবুক প্রোফাইলের নামকরণ করার পদ্ধতি



ফেসবুকের সাধারণ নিয়ম অনুসারে দুই শব্দের নাম দিতে হয়, যা আমরা সবাই দিয়ে থাকি। কিন্তু আপনি খেয়াল করলেই দেখবেন, কিছু আইডিতে এক শব্দের নাম দিয়ে ব্যবহার করছে অনেকেই। এটি ফেসবুকের একটি বিশেষ সুবিধা যা নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে কাজ করার পরই তা ব্যবহারের উপযোগী হয়। যদি আপনার একান্তই ইচ্ছে থাকে তবে চলুন দেখে নেই কিভাবে এই এক শব্দে ফেসবুকের নাম নির্ধারণ করা যায়। ধরুন আপনার নাম দেয়া আছে “শুভ্র নূর“, কিন্তু আপনি তা পরিবর্তন করে শুধুই “শুভ্র” রাখতে চাচ্ছেন। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে ফেসবুকের নতুন নাম নির্ধারণের নিয়মানুসারে এইসকল এক শব্দের নাম তাদের ভেরিফিকেশন পদ্ধতিতে ধরা পড়ে। পরে নাম মিলানোর পদ্ধতির গরমিলের কারণে আইডি হারানোর সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনি আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন যে, ভেরিফিকেশন প্রসেসে পড়লে আপনি তা রিকোভার করতে পারবেন কি না। এরপরও যদি আপনার আইডির নাম পরিবর্তন করে এক শব্দের মধ্যে নিয়ে আসতে চান তাহলে পরবর্তী ধাপ গুলি দেখুন। আপনাকে এই পদ্ধতিতে কাজ করতে হলে Firefox ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে। অন্য ব্রাউজার দিয়েও করা যাবে, কিন্তু সেটি এর থেকে আরও একটু ঝামেলা যুক্ত বিধায় আমরা এখানে Firefox ব্রাউজারকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।

  • ধাপ ১ঃ প্রথমে আপনি Facebook.com সাইটে গিয়ে আপনার Email / Phone / UserName এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।


  • ধাপ ২ঃ এরপর লগইন হয়ে যাবার পর আপনার Firefox ব্রাউজারের Menu থেকে Option মেনুতে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৩ঃ এরপর Options মেনু থেকে Advanced ট্যাবের Network সাবট্যাব থেকে Connection এর পাশে থাকা Settings… বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৪ঃ এরপর Connection Settings থেকে প্রথমে “Manuel Proxy Configuration” এবং “Use this porxy server for all protocols” এই দুইটি অপশন সিলেক্ট করুন। এরপর HTTP Proxy এর প্রথম বক্সে আপনার Proxy IP এবং দ্বিতীয় বক্সে Proxy Port নম্বর লিখুন।


এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে আমাদের এখানে কাজ করার জন্যে প্রয়োজন পড়বে ইন্দোনেশিয়ান Proxy IP এবং Port । তাই এই ধাপে আসার পূর্বেই আপনাকে ইন্দোনেশিয়ান প্রক্সি এবং পোর্ট সংগ্রহ করে নিতে হবে। আপনি Google এর সহায়তায় কিংবা spys.ru, gatherproxy.com, hidemyass.com, proxynova.com, xroxy.com থেকে ইন্দোনেশিয়ান প্রক্সি পোর্ট সংগ্রহ করতে পারেন।


প্রক্সি পোর্ট বসানোর পর “OK” বাটন চেপে কনফার্ম করুন।


  • ধাপ ৫ঃ এবারে আবার আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে ফিরে চলুন। নোটিফিকেশন বারের একবারে শেষ মাথার মেনু হতে Settings সিলেক্ট করুন।



  • ধাপ ৬ঃ এরপর Language এর পাশে Edit বাটনে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণ পরেই সেখানে একটি ড্রপ ডাউন বক্স আসবে। বক্স হতে Bahasa Indonesia সিলেক্ট করুন। এরপর “Save Changes” বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৭ঃ আপনার পেইজ রিলোড হবার পর সম্পূর্ণ ভাষা পরিবর্তন হয়ে যাবে। এবারে আবার “Nama” এর পাশে থাকা “Sunting” এ ক্লিক করুন।



  • ধাপ ৮ঃ কিছুক্ষণের মাঝেই স্ক্রিনে ৩টি বক্স দেখতে পাবেন, যা ধারাবাহিক ভাবে Fist Name, Middle Name, Last Name নির্দেশ করে। এবারে আপনি যে নামে আপনার আইডি নামকরণ করতে চান তা প্রথম বক্সে বা “Depan” এর বক্সে লিখুন। এরপর “Tengah” এবং “Belakang” বা দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বক্স হতে সকল লেখা মুছে দিন। এরপর “Tinjau Perubahan” লেখা নীল বাটনে ক্লিক করুন।






  • ধাপ ৯ঃ প্রদত্ত নাম কনফার্ম করার পূর্বে আপনাকে আপনার Password আবার ইনপুট দিতে হবে। “Kata sandi” এর বক্সে আপনার পাসওয়ার্ড টাইপ করে “Simpan Perubahan” এর নীল বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১০ঃ নতুন পেইজ রিলোড হবার পর আপনার প্রোফাইলের নাম আপনার নির্ধারণ করা এক শব্দের নামে পরিবর্তিত হবে। এরপর আবারও ৬ নং ধাপ অনুসরণ করে আপনার ভাষা English (US) কিংবা আপনার ব্যবহৃত ভাষায় পরিবর্তন করে নিন।



এবার আপনার প্রোফাইলে কিংবা ভিজিট করে দেখে নিন আপনার প্রদত্ত এক শব্দের নাম।

পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে এই সুবিধাটি বিশেষ একটি পদ্ধতি (ইন্দোনেশিয়া প্রক্সি সেটিংস্‌) ব্যবহার করে উপভোগ করা যাবে। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে উক্ত সুবিধাটি শুধুই নির্দিষ্ট দেশের জন্যে দেয়া হয়েছিল। আমরা সেই সুবিধাটি ব্যবহার করেই এই “এক শব্দের নাম” সুবিধাটি নিচ্ছি। কিন্তু ফেসবুক পলিসি অনুসারে এটি আপনার সত্যিকারের নাম হলেও তা গ্রহনযোগ্য নয়। তাই এই সকল Single Name বা এক শব্দের নামের আইডি গুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফেসবুক ভেরিফিকেশন এর মধ্যে পড়ে যায়। আর সেখান থেকে নামের সঠিক মিল খুঁজে পাওয়া যায় না বলেই রিকোভার করা সম্ভব হয় না। তাই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আইডির নাম করলে তা নিজ দায়িত্বে করবেন।







বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০১৪

••••••••••••• একটি লাইনের গল্প •••••••••••••

প্রীতম, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে ভার্সিটিতে অবস্থান। পাবলিকে কোথাও হয়নি তাই সময় নষ্ট না করে প্রাইভেটেই নাম লিখিয়েছে। বাবা-মার আদরের সন্তান তাই সবসময় প্রাপ্তি গুলি চাহিদা তৈরির আগেই পূর্ণতা পেয়ে গেছে। তবে বাবা মায়ের কড়া নজর, ছেলে যাতে বাইরে আড্ডা না জমায়। কারণ, আজকাল তো আড্ডা দিতে গিয়েই সিগারেট, হেরোইনের আর ফেন্সিডিলের মত নেশার কবলে পড়ে ছেলেপেলে। তাই প্রয়োজনের বাইরে যাতে বাইরে সময় না দেয় সেদিকে খুব কড়াকড়ি অবস্থান।

কি আর করার? ভার্সিটি ক্লাস শেষে সোজা বাসায় অবস্থান নেয় প্রীতম। গান শুনে, বই পড়ে আর টুকটাক এক্সপেরিমেন্টের নামে কাগুজে তৈরি বিদঘুটে জিনিষ পত্র তৈরি করে দিন ভালোই কাটছিল তার। একদিন তার ক্লাসমেট পরিচয় করিয়ে দিল আরো একটা সময় কাটানো মাধ্যমের সাথে, পরিচয় করিয়ে দিলো “ফেসবুক” এর সাথে। যেখানে সে ঘরে বসেও দুনিয়ার অপর প্রান্তে অবস্থান নেয়া বন্ধুটার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। পারবে আড্ডা দিতে একা ঘরে বসে হাজার বন্ধুদের সাথে।

প্রথম কদিন এটা সেটা বুঝে সময় কাটালেও খুব দ্রুতই সে ফেসবুক কে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসলো। এখন আর গান শুনে বা বই পড়ে সময় কাটাতে হয় না তার। চেয়ারে বসে বা খাটে শুয়ে ল্যাপটপটা কোলে নিয়েই সে সময় কাটাতে পারে ফেসবুকে। এখানে কদিনেই তার অনেক পরিচিতি হয়ে গেছে। মাস তিনের মধ্যেই কয়েকটা বড় গ্রুপে তার ভালো একটা অবস্থান তৈরি করেছে আর ফ্রেন্ড-লিস্টে পরিচিত অপরিচিত সহ প্রায় দু’হাজার বন্ধু জোগাড় করে ফেলেছ। এখন প্রায় প্রতি রাতেই ক’জন মিলে সেই আড্ডা জমে এখানে।

ইলার সাথে এখানেই কোথাও পরিচয় হয় প্রীতমের সাথে। আড্ডায় আড্ডায় খুব ভালো বন্ধুত্বও তৈরি হয়। আর তারপর আড্ডার পাশাপাশি চলে ইন-বক্সে কথোপকথন। আড্ডা গড়ায়, সাথে বেড়ে চলে ইন-বক্সের মেসেজের সংখ্যা। অবস্থা এমন যে আড্ডায় কেউ থাকুক বা না থাকুক ইন-বক্সে অন্তত একজনের ‘হাই’ বলতেই হবে। কদিন বাদে ইন-বক্সের আলাপ দূরালাপনিতে গিয়ে বসে। কি হয় না সেখানে? কোথায় আছে, কি করছে, পড়ছে নাকি টিভি দেখছে সব আলাপই চলে এখন। সমস্যা কি? বন্ধু তো, বলতেই পারে। খারাপ তো কিছু করছে না….

সমস্যা হল প্রীতমের। এতদিন সে আসলে ঐ অর্থে মেয়েদের সাথে সরাসরি এভাবে যোগাযোগের সুযোগ পায়নি কখনো। বয়েজ স্কুল, তারপর বয়েজ কলেজ আর শেষে তার ভার্সিটির ডিপার্টমেন্টে হাতে গোনা ক’জন মেয়ে থাকায় সে আসলে ঐ অর্থে তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের কোন মাধ্যম পায়নি এর আগে। এর আগে মানে এই ইলার সাথে পরিচয় হবার আগে। মেয়েদের নিয়ে আগে যেটা ফ্যান্টাসি ছিল এখন তার অনেক কিছুই বুঝতে পারে এই ইলার মাধ্যমেই। কিন্তু প্রীতমের মন ইলাকে বন্ধু থেকেও বেশী কিছু মনে করতে শুরু করেছে এখন। কিন্তু ভয় হয়, ইলা যদি এটা জেনে তার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা নষ্ট করে দেয়। এই ভেবে সে আর ইলাকে কিছু বলার সাহস করে না।

গতরাতে হঠাৎ করে ফেসবুকের কল্যাণে জনতে পারলো যে “প্রপোজ ডে” নামেও একটা আলাদা দিন আছে। দিনভর খুব চিন্তা করলো প্রীতম। বলবে, বলবে-না, করবে, করবে-না করতে করতে যখন দিন গড়িয়ে বিকেল তখন ঝোঁকের চোটেই ইলাকে ইন-বক্সে বলল “ইলা, ভালবাসি, তোমাকেই ভালবাসি”। লিখেই ফেসবুক বন্ধ করে দিল। প্রচণ্ড টেনশন হচ্ছে তার ইলা এই মেসেজ দেখে কি বলবে, তার রি-একশন কি হবে, আর প্রতি-উত্তরটা কি প্রত্যাখ্যানের হবে; নাকি সম্মতির। ভাবতে ভাবতেই সন্ধ্যা পার হয়ে গেল। আচ্ছা ভালো কথা, এত সময় পার হয়ে গেল নিশ্চয় এর মাঝে ইলা মেসেজটা পড়েছে। তাহলে ফোন দিচ্ছে না কেন? তাহলে কি……

অবশেষে অনেক আকাঙ্ক্ষা আর টেনশন নিয়ে ফের ফেসবুকে লগইন করলো প্রীতম। সবার আগেই ঢুকল মেসেজ বক্সে। ইলার মেসেজটাই সবার উপরে। তবে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। ক্লিক করলো তাকে প্রীতম। ইলা একটা লম্বা মেসেজ দিয়ে গেছে তাকে। আর মেসেজটা দেবার পর ইলা তার আইডি বন্ধ করে দিয়েছে। হ্যাঁ, প্রীতম ইলার দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ইলার অত বড় মেসেজটা বার ৩ পড়ার পর যেটা প্রীতম বুঝল, ইলা আসলে সত্যিকার অর্থেই তাকে বন্ধু ভেবে তার কথা গুলি শেয়ার করেছিল এতদিন। ইলাও তার মত বদ্ধ ঘরে মানুষ। তবুও সে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়নি। আর প্রীতমও যে তার নিয়ন্ত্রণ হারাবে তা কল্পনা করতে পারেনি। এটা নয় যে ইলা এটাই প্রথম কারো কাছ থকে প্রপোজাল পেয়েছে। কিন্তু প্রীতম এটা করবে সে তা কল্পনাও করতে পারে নি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই প্রপোজালের রাস্তাটাই বন্ধ করে দিবে। আর তাই সে তার পুরাতন মোবাইল নাম্বার পাল্টে নিবে আর তার এই ভার্চুয়াল পরিচয়টাকে মুছে দিবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

হ্যাঁ, ইলার মেসেজের যে স্থানে এতদিন ইলার ছবিটা দেখা যেত সেটা এখন মেয়ে আকৃতির একটা এভাটারে রূপ নিয়েছে। আর তার নামটা নীল অক্ষর থেকে কালো অক্ষরে পরিণত হয়েছে। প্রীতমের মাত্র একটা লাইন তার বিশ্বাসকে নষ্ট করেছে এই ভার্চুয়াল জগত থেকে.....