শনিবার, আগস্ট ২৯, ২০১৫

বদি এণ্ড রঞ্জুর কথোপকথন — ১



বদি ভাইঃ বলত রঞ্জু, ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে গুলির সাথে সবচেয়ে বড় অন্যায় অবিচার করছে কারা?

রঞ্জুঃ কারা বদি ভাই?

বদি ভাইঃ বিজ্ঞানী আর আবিষ্কারকেরা..

রঞ্জুঃ কি বলেন বদি ভাই! কিভাবে??

বদি ভাইঃ নাহ্‌ রঞ্জু, তুমি সাধারণ কথাটাও বুঝো না। তোমারে নিয়া বড়ই শঙ্কা হয়, বুঝলা।

রঞ্জুঃ বলেন না বদি ভাই, কিভাবে বিজ্ঞানী আর আবিষ্কারকেরা এই ছেলে-মেয়েদের উপর অন্যায় করল।

বদি ভাইঃ ছোট বেলা থেকে এখন পর্যন্ত কিন্তু তুমিও তাদের অবিচারের স্বীকার।
প্রথমেই তারা কিছু একটা আবিষ্কার করবে। তারপর তাদের সেই আবিষ্কার দিয়ে সবাইকে তাক লাগাবে। কিন্তু প্রেশারটা পড়বে সেই ছোট ছোট বাচ্চাদের উপরই।

রঞ্জুঃ বুঝলাম না বদি ভাই। বুঝিয়ে বলেন না একটু।

বদি ভাইঃ এই হইল এক সমস্যা। পুরো ঘটনা বিস্তারিত না বললে তোমরা কিছু বুঝতে পারো না। আচ্ছা, ঠিক আছে বলছি, ভালো করে খেয়াল দিয়ে শুনবা।
ধর কাল তুমি একটা কিছু আবিষ্কার করলা। দুনিয়া জুড়ে তোমার নাম-ডাক হল। তারপর? তারপর তোমার সেই আবিষ্কার নিয়ে দীর্ঘ কয়েক অধ্যায় রচনা করা হবে। তারপর সেটাকে গিলতে বাধ্য করা হবে এই ছোট ছোট বাচ্চাদের।

রঞ্জুঃ ও আচ্ছা! এই ব্যাপার।

বদি ভাইঃ না। শুধুই এই ব্যাপার না।

রঞ্জুঃ তাহলে!

বদি ভাইঃ শুধু যে তোমার আবিষ্কার নিয়েই পড়িয়েই ক্ষ্যান্ত দিবে তা কিন্তু না।
এরপর উঠে পড়ে লাগবে এই আবিষ্কার নিয়ে একগাদা সমস্যা সমাধান করানোর জন্যে। এর সাথে শুরু করবে তুমি এই আবিষ্কারের আগে কেমন ছিলা, কিভাবে এই আবিষ্কার করার চিন্তা তোমার মাথায় আসল। কোন জায়গায় বসে বসে তুমি এই আবিষ্কারের থিম রচনা করেছিলে। এই যে আমি তোমার সাথে এই প্যাঁচাল দিচ্ছি এই প্যাঁচালও তাদের খুব গুরুত্ব সহকারে শিখাতে বাধ্য করা হবে।
তারপর তোমার সম্বন্ধে শেষ হলেই শুরু করবে তোমার আব্বা-আম্মা আর তাদের আত্মীয়দের নিয়ে ইতিহাসের চ্যাপটার।
এই গুলি তো গেলোই, সাথে আরও যুক্ত হবে কিভাবে তোমার এই আবিষ্কারকে আরও বিস্তৃত ভাবে ব্যবহার উপযোগী করা যায় তার উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা।
এত কিছুর পরেও কি মনে হয় না রঞ্জু তোমার এই আবিষ্কারই বাচ্চাগুলির ভবিষ্যৎ নষ্টের একটা বড় কারণ?

রঞ্জুঃ কিন্তু বদি ভাই, আমি তো এখনো কিছু আবিষ্কার করি নাই।

বদি ভাইঃ ভালো করছ। ভবিষ্যতে করার চেষ্টাও করো না। আইডিয়া আসলে আমার মত চুপচাপ চিন্তা করে তারপর সেইটা ভুলে যাবা। বাচ্চাদের মেধার চাপ মুক্ত রাখার সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবা।

রঞ্জুঃ উক্কে বদি ভাই।








বুধবার, জুলাই ০৮, ২০১৫

অন্ধকারের আলোয় ডেকে যাওয়া কাক



শহর জুড়ে অন্ধকারের আলো বিস্তৃত, 
তুমি কি দেখো?
একা কাক ডেকে যায় বিরামহীন,
তুমি কি শোন?

এখানে এক আকাশ জুড়ে কৃত্রিম আলোয় আলোকিত মহল,
এখানে ছুটে বেড়ায় মৃত যত লোভী মানুষের দল,
এখানে বিরামহীন চাহিদার নেই কোন ক্লান্তি,
এখানে আত্মারা পায় না কখনো যে শান্তি...

তবুও ছুটে চলা,
তবুও লাইনের পর লাইন ধরে 
নিয়ম মেনে এগিয়ে চলা..
তবুও উপেক্ষা করা,
তবুও স্বপ্নের হাতছানি 
দেখেও না দেখার ভান করা...

এখানে কারও হয় না সময়,
এক পলক এই অন্ধকারের আলো দেখায়।
এখানে কারও আসে না বিরক্তি,
বিরামহীন কর্কশ কাকের ডান শোনায়।






আত্মকথন - ০৮ জুলাই'১৫

কাছের বন্ধুর সংখ্যা বরাবরই কম ছিল। হাতের কড় গুনলে দুই আঙ্গুলের মাঝেই কাজ হয়ে যাবে এমন অবস্থা। আর সেই হাতের কড়ে গুনে ফেলা বন্ধুদের সাথে সময় আমাকে বরাবরই দূরত্ব এনে দিয়েছে। নিবিড় ঘনিষ্ঠতা আমি কারও সাথেই ধরে রাখতে পারি নি। তবুও এই বন্ধুরা হাল ছেড়ে দেয়নি কখনো। বলতে গেলে, তাদের আগ্রহের কারণেই তাদের সাথে এখনো  আমার 'বন্ধুত্ব'টা টিকে আছে।

এইসব বন্ধুদের মাঝে একজন প্রায় কথার প্রসঙ্গে এভাবে বলত-
"তুমি এভাবে কিভাবে পারো? তোমার অবস্থানে আমি থাকলে প্রতিটা প্রয়োজন যেভাবেই হোক আদায় করে ছাড়তাম। আর তুমি শুধু চিন্তাই কর, ছাড় দিতে থাকো.."

তার এই ডায়লগ বা কথাটা কখনোই ঐরকম করে চিন্তা করি নি। আসলে একত্রে থাকার সময় তার এমন অনেক কথাতেই আমি মজা পেতাম, এটাও তার মধ্যে একটা ছিল। কিন্তু ধারণা পাল্টাতে বাধ্য করলো কোন একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

আমি যতটা জানি, কিংবা আমার যতটুকু মনে আছে তাতে 'ছেলেটিকে' তার পরিবার সবচেয়ে বেশি আদর করতো বলেই জানতাম। আরও একটু ভালো করে বলতে গেলে বাকিদের তুলনায় তার আদর সবসময়ই সবার কাছে আলাদা ছিল। তার চাহিদা একটু ভিন্ন ভাবে হলেও বরাবরই পূরণ করার চেষ্টা করেছে তার পরিবার।

ঘটনা প্রসঙ্গে সেই "ছেলে"-ই যখন তার পরিবারকে উদ্দেশ্য করে বলে-
"আপনাদের দেখে মনে হয় আমি আপনাদের কাছে বোঝা হয়ে গিয়েছি" তখন নিজের সাথে তুলনা করে বন্ধুর বলা কথা গুলিকেই সত্যি মনে হয়। মনে হয় সত্যিই নিজের ইচ্ছের চাইতে পরিবেশ, পরিস্থিতি আর সামনে দাঁড়ানো ব্যক্তির অবস্থা বুঝে নিজের প্রয়োজন চিন্তা করাটাই জীবনের সবচেয়ে বড় বোকামি হয়ে গেছে.....



সোমবার, জুলাই ০৬, ২০১৫

স্মার্টফোন ব্যবহার করে এক শব্দে ফেসবুক প্রোফাইলের নামকরণ করার পদ্ধতি


পূর্বে আমারা দেখেছিলাম, কিভাবে ডেক্সটপ কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে ফেসবুক প্রোফাইলের এক শব্দে নামকরণ করা যায় সেই পদ্ধতি। কিন্তু হালের যুগে সকলের হাতে হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। আর যদি সেই স্মার্টফোন থেকেই কাজটি করা যায় তাহলে কাজটি আরও সুবিধা জনক হয়। আর সেই তাগিদেই আজকের পোষ্টের অবতারণা।


মোবাইলের জন্যে আমাদের দুটো এ্যাপ প্রয়োজন-


১. মোবাইল ব্রাউজার

২. প্রক্সি পরিবর্তনের এ্যাপ।

মোবাইলের ব্রাউজার হিসেবে আপনি যে কোন ব্রাউজারই ব্যবহার করতে পারবেন। আমি আমার কাজের সুবিধার্থে এখানে Opera ব্রাউজার ব্যবহার করেছি। অন্যদিকে প্রক্সি পরিবর্তনের অনেক এ্যাপই এখন Play Store এ পাওয়া যায়। তার যে কোনটি ব্যবহার করলেই আপনার কাজ হবে। আমি এখানে ‘One Click VPN‘ এ্যাপটি ব্যবহার করেছি। আপনারা সরাসরি Play Store থেকে এ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে পারেন, কিংবা সমস্যা হলে এই লিংক থেকে ডাওনলোড করে ইন্সটল করতে পারেন।


ব্রাউজার এবং প্রক্সি এ্যাপ ইন্সটলের পর নিচের ধাপ গুলি অনুসরণ করুন-






  • ধাপ ১ : প্রথমে Opera বা আপনার মোবাইল ব্রাউজার দিয়ে m.facebook.com অথবা mbasic.facebook.com সাইটে প্রবেশ করুন। এরপর আপনার Email/Phone/UserName এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।


  • ধাপ ২ : ফেসবুকে লগইন সম্পন্ন হলে আপনার প্রক্সি পরিবর্তনের সফটওয়্যার চালু করুন। যেমন আমার ক্ষেত্রে আমি “One Click VPN” সফটওয়্যারটি চালু করলাম। এ্যাপ সচল হবার কিছুক্ষনের মাঝেই সার্ভার লিস্ট চলে আসবে।


  • ধাপ ৩ : এরপর সার্ভার লিস্ট হতে আপনি Indonesia এর একটি সার্ভার খুঁজে বের করে সিলেক্ট করুন।

সিলেক্ট করার পর সেটার রং পরিবর্তন হবে।




এখন স্ক্রিনের নিচে অবস্থিত “Connect” বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৪ : VPN কানেকশন তৈরির পূর্বে একটি সতর্কবানী দেয়া হবে। আপনি “I trust this application.” লেখাটির সামনে চেক বক্সে ক্লিক করে “OK” বাটনটি সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ৫ : কিছুক্ষন অপেক্ষার পর আপনার মোবাইলের স্ক্রিনের উপরের বাম পাশে একটি চাবির চিহ্ন দেখতে পাবেন। এবং একেবারে স্ক্রিনের নিচে লেখা আসবে “Connected, Enjoy!”। অর্থাৎ আপনি VPN সার্ভারের সাহায্যে ইন্দোনেশিয়ান প্রক্সি ব্যবহার করে এখন যে কোন সাইট ব্রাউজ করার জন্যে প্রস্তুত।


  • ধাপ ৬ : এরপর “One Click VPN” এ্যাপ মিনিমাইজ করে আপনার ব্রাউজার (আমার ক্ষেত্রে OperaMini) এ চলে আসুন। ফেসবুক হোম লোড হবার পর একদম নিচের দিকে অবস্থিত “Settings & Privacy” তে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৭ : এরপর Settings ড্যাশ থেকে General সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ৮ : General ড্যাশ লোড হবার পর সেখান থেকে Language লেখাটির উপর ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৯ : এখন Language লিষ্ট হতে “Bahasa Indonesia” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১০ : পুনরায় আপনাকে ফেসবুক হোমে নিয়ে যাবে। এখন আবারও নিচে নেমে “Pengaturan & Privasi” লেখাটির উপর সিলেক্ট করুন।



  • ধাপ ১১ : এরপর Settings ড্যাশ থেকে “Umum” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১২ : Umum ড্যাশ লোড হবার পর “Nama” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১৩ : এখন তিনটি ইনপুট বক্স দেখতে পাবেন, এগুলি যথাক্রমে ‘First Name’ ‘Middle Name’ এবং ‘Last Name’ নির্দেশ করে। আপনি ‘Middle Name’ এবং ‘Last Name’ বক্সে থাকা সকল লেখা মুছে দিন এবং প্রথম বক্সে আপনি যে নামে আইডির নামকরণ করতে চাইছেন তা লিখুন। এবং সব শেষে “Tinjau Perubahan” লেখা বাটনের উপর ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৪ : নাম কনর্ফাম করার জন্যে আপনাকে পুনরায় পাসওয়ার্ড দিতে হবে। বক্সে পাসওয়ার্ড লিখে “Simpan Perubahan” লেখা বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৫ : Settings ড্যাশ রিলোড হলেই দেখতে পাবেন Nama এর নিচে আপনার দেয়া এক শব্দের নাম দেখাচ্ছে। এখন আবার Bahasa লেখাটিতে (৬ নম্বর) ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৬ : পুনরায় ভাষা নির্ধারণ লিস্ট দেখতে পাবেন। সেখান থেকে “English (US)” অথবা আপনি যে ভাষায় ফেসবুক ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সেই ভাষা নির্বাচন করুন।


ভাষা নির্ধারণ করার পর পুনরায় ফেসবুক হোমে আপনাকে নিয়ে আসা হবে। এবার আপনি উপরের Menu হতে Profile লেখাটিতে ক্লিক করুন। আপনার প্রোফাইল পেইজ লোড হবার পর সেখানে আপনার নামের স্থানে আপনার প্রদাণকৃত এক শব্দেরনামই দেখতে পাবেন।




পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে এই সুবিধাটি বিশেষ একটি পদ্ধতি (ইন্দোনেশিয়া প্রক্সি সেটিংস্‌) ব্যবহার করে উপভোগ করা যাবে। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে উক্ত সুবিধাটি শুধুই নির্দিষ্ট দেশের জন্যে দেয়া হয়েছিল। আমরা সেই সুবিধাটি ব্যবহার করেই এই “এক শব্দের নাম” সুবিধাটি নিচ্ছি। কিন্তু ফেসবুক পলিসি অনুসারে এটি আপনার সত্যিকারের নাম হলেও তা গ্রহনযোগ্য নয়। তাই এই সকল Single Name বা এক শব্দের নামের আইডি গুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফেসবুক ভেরিফিকেশন এর মধ্যে পড়ে যায়। আর সেখান থেকে নামের সঠিক মিল খুঁজে পাওয়া যায় না বলেই রিকোভার করা সম্ভব হয় না। তাই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আইডির নাম করলে তা নিজ দায়িত্বে করবেন।







বুধবার, আগস্ট ১৩, ২০১৪

অনুগল্পঃ দিনের শুরুর ব্যস্ততার গল্পের খোঁজে.....



রাত্রিটা স্বস্তি আর অস্থিরতা পার করে দ্রুত পায়ে ভোরের দিকে ছুটে চলে, সাথে আমার হেটে চলা পথটাও অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ধাবিত হয়। একটা দিনের শুরুর আলোকিত হবার প্রক্রিয়াটাও বেশ জটিল। হুট করেই আলো চলে আসে না কিংবা খুব ধীরেও আসতে পারে না। মনে হয় কিছু সময় পরপর আকাশের কালো পর্দাটা আস্তে আস্তে কেউ শুভ্র একটা পর্দা দিয়ে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। আর প্রতিবারই এই অন্ধকারটা একটু একটু করে কমে যাচ্ছে তাতে।

রবিবার, আগস্ট ১০, ২০১৪

Gmail এ Alias ও Filter তৈরি এবং তার ব্যবহার


Google আমাদের যে কয়েকটি সার্ভিস দিয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটা সার্ভিস হচ্ছে Gmail যা শুরুতে Google Mail নামে পরিচিত ছিল। সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্যে এটা উন্মুক্ত এবং বিনামূল্যের একটি সার্ভিস। আর আমাদের মত অধিকাংশ ব্যবহারকারী একে Primary Mail হিসেবেই ব্যবহার করে। কিন্তু মাঝে মাঝে বিশেষ প্রয়োজনে Alias মেইলের প্রয়োজন দেখা দেয়।

আচ্ছা যদি এই একই মেইল এড্রেস ব্যবহার করে নতুন আরেকটা মেইল এড্রেসের সুবিধা নেয়া যায় তাহলে কেমন হয়?

হ্যাঁ, Gmail ও অন্যদের মত Alias মেইলের সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে একটু বিপত্তি হচ্ছে, তারা একেবারে নতুন নামে মেইল এড্রেস তৈরি করতে দেয় না। বরং আপনার মেইল এড্রেসটিতে কিছু অতিরিক্ত অক্ষর ব্যবহার করে Alias মেইল তৈরির সুবিধা দেয়।

ধরুন আমার বর্তমান মেইল এড্রেসটি হচ্ছে "contactkosor@gmail.com"। এখন এর যদি আমি Alias তৈরি করে চাই তাহলে আমাকে এর সাথে বিশেষ শব্দ বা অক্ষর যুক্ত করে alias তৈরি করতে হবে। আমি যদি এর সাথে "blogs" লেখাটা যুক্ত করে alias তৈরি করতে চাই তাহলে আমার নতুন মেইল এড্রেসটি হবে "contactkosor+blogs@gmail.com" এবং এটিই আমার Gmail এর নতুন alias মেইল।





Gmail এর Alias তৈরির পদ্ধতি :


  • ধাপ ১ : আপনার Google Mail একাউন্টটিতে Log in করুন। সম্পূর্ণ লোড হয়ে যাবার পর গিয়ার আইকনে ক্লিক করে মেনু থেকে Settings সিলেক্ট করুন।



  • ধাপ ২ : Setting পেইজ আসার পর উপরের দিকে Accounts and Imports ট্যাব দেখতে পাবেন। এটাতে ক্লিক করুন।



  • ধাপ ৩ : Accounts and Imports এর ভেতরে "Send mail as:" অংশে আপনার বর্তমান মেইল এড্রেসটি দেখতে পারবেন। এর নিচেই রয়েছে "Add another email address you own" লিংকটাতে ক্লিক করুন। একটা নতুন window আসবে পর্দায়।




  • ধাপ ৪ : নতুন Window টিতে দুটি বক্স রয়েছে। এর প্রথমটিতে আপনি আপনার Alias মেইলে যেই নাম দিতে চান সেটি লিখে দিন। যেমন আমার মূল মেইলের বিপরীতে নাম ছিল “কিশোর মাহমুদ” আর নতুন Alias মেইলে আমি নামটিকে দিতে চাই “কিশোর ব্লগার”। তাই আমি এখন Name লেখা বক্সে “কিশোর ব্লগার” লিখে দিবো। এরপর রয়েছে Email address নামের আরও একটা বক্স। এটাতে আপনি প্রথমে আপনার মেইল এড্রেসটি লিখুন। এখন “@gmail.com” এর পূর্বে একটি যোগ চিহ্ন ( + ) দিন। এখন আপনার Alias নামটি লিখুন। যেমন আমি আমার alias নাম হিসেবে ব্যবহার করবো “blogs”। আর তাতে আমার নতুন মেইল alias টি হবে “contactkosor+blogs@gmail.com”। এরপর Next Step বাটনে ক্লিক করুন।


পেইজ রিলোড হলেই দেখতে পারবেন আপনার বর্তমান মেইলটার নিচেই নতুন এড্রেসটি যুক্ত হয়ে গেছে।







এবার চলুন Alias মেইলটি ব্যবহার করে দেখি....


  • মেইল বক্সে ঢুকে Compose বাটনে ক্লিক করুন। এরপর নতুন মেইল ইডিটরে From এর বক্সে একটা ড্রপ ডাউনের তীর দেখতে পাবেন। সেটাতে ক্লিক করলেই আপনার বর্তমান মেইল সহ Alias মেইল গুলি লিস্ট আকারে দেখাবে। যে কোন একটা Alias মেইল সিলেক্ট করুন। এরপর যার কাছে মেইল পাঠাবেন তার এড্রেস, মেইলের বিষয়বস্তু, আর মেইলটি লিখে Send বাটনে ক্লিক করুন।




  • এরপর যাকে পাঠালেন তার ইন বক্সে আপনার alias মেইলটিকে মেইলিং এড্রেস হিসেবে দেখতে পাবে।







Mail Filter তৈরি করার পদ্ধতি:


  • মেইল বক্স থেকে মেইল সেটিংসে ঢুকুন। এরপর Filters ট্যাবে ক্লিক করুন। পূর্বে থেকেই যদি কোন ফিল্টার তৈরি করা থাকে সেটা আপনি এখানেই দেখতে পারবেন। আর না থাকলে চিত্রের মত শূন্য দেখাবে।




  • এখন নতুন Filter তৈরি করার জন্যে " Create a new filter " বাটনটিতে ক্লিক করুন। একটা নতুন ফর্ম আসবে। এর From এর ঘরে আপনার নতুন তৈরি করা Alias মেইলটি লিখুন। এরপর "Create filter with this search" লেখাটিতে ক্লিক করুন।




  •  এখানে Apply the label এর চেক বক্সে ক্লিক করে লিস্ট থেকে "New label...." সিলেক্ট করুন।




  • নতুন ফর্মের প্রথম বক্সটিতে যে নামে লেভেল দিতে চান সেই নামটি লিখুন। যেমন আমি দিয়েছি "Blogs", এরপর Create বাটনে ক্লিক করুন।




  • পূর্বের ফর্মের "Never send it to Spam" এবং "Also apply filter to matching conversation" লেখার চেক বক্স গুলি সিলেক্ট করুন। তারপর Create filter বাটনে ক্লিক করুন।



  • ফিল্টার লিস্টে আপনার তৈরিকৃত ফিল্টারটি দেখতে পাবেন। আর সাইডে আপনার দেয়া নামে একটি লেভেলও দেখা যাবে।



  • এখন লেভেলটিতে ক্লিক করলেই আপনার alias মেইলে যতগুলি মেইল এসেছে তা আলাদা ভাবে দেখতে পারবেন। একের অধিক Alias মেইল থাকলে ফিল্টার তৈরি করে ব্যবহার করলে খুব সহজেই মেইল গুলি আলাদা ভাবে দেখা যায় এই পদ্ধতিতে।






নিজে চেষ্টা করে দেখুন। কোন সমস্যা হলে অবশ্যই জানাবেন, যথাসম্ভব দ্রুত রিপ্লাই দেবার চেষ্টা করবো।

সময় নিয়ে পোষ্টটি পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।







বৃহস্পতিবার, আগস্ট ০৭, ২০১৪

এভাবে আর কতকাল ঠকে আসবে তারা..??

একটা সময় ছিল যখন পরিবারের পুরুষ মানুষটাই আয়ের উৎস হিসেবে গণ্য হতো। যদিও তখন পরিবারের বাকি সদস্যেরা, বিশেষ করে মহিলা সদস্যেরা তাদের পরিবার গোছানোর পাশাপাশি গবাদি পশু পালন কিংবা তাতে সহায়তা, বিভিন্ন শাক সবজি ফলাত নিজেদের আঙ্গিনাতেই। নকশি কাঁথা আর হাতে তৈরি আরও অনেক জিনিষ ছিলই। তবুও সেগুলি আয়ের উৎস হিসেবে গণ্য করতো না আমাদের সমাজ। আবার দরিদ্রতা দূর করার রাস্তা কিন্তু তারা দেখিয়ে দেয়নি।
অগত্যা ঘরের নারী পেটের প্রয়োজনে রাস্তায় নামে উপার্জনের জন্যে। তখন তাদের রাস্তায় উপার্জনের উৎস হিসেবে আসে “গার্মেন্টস সেক্টর”। নারীও কর্মী এটা হারে হারে বুঝতে পারে সমাজ। তাই আর বেধে রাখতে পারেনি, ছাড় দিতেই হয়েছে নারীকেও উপার্জন করার জন্যে।

তারপর শুধু নারীই নয়, নারী-পুরুষ উভয়েই পরিবারের আয়ের উৎস হয়ে উঠলো।

কি ভাবছেন? নিশ্চই তাদের খুব আর্থিক উন্নতি ঘটেছে ইতোমধ্যে। তারা নিশ্চই সুখের সমুদ্রে ভেসে চলেছে।

কিন্তু ঘটনা তো এখানেই উল্টো। উন্নতি এই সব খেটে খাওয়া শ্রমিকদের হয়নি বরং হয়েছে শিল্প মালিকদের। কারণ তারা কত কম দিয়ে কত পরিশ্রম করানো যায় তার সূক্ষ্ম হিসেব অনেক আগেই করে ফেলেছিল। তাদের শিল্পের পেছনে শ্রম দেয়া মানুষ গুলিকে তারা কোনদিন মানুষ হিসেবে কল্পনাই করেনি, করেছে উৎপাদন যন্ত্র হিসেবে। আর যন্ত্র নিয়ে এত ভাবার সময় কোথায়। একটা বিকল হয়েছে তো অন্য আরেকটা তো তার জায়গায় পূরণ করার জন্য, আর সেটাও খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। তাই কোনরকম খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার জন্যে কিছু পারিশ্রমিকের নামে ভিক্ষা দিয়ে চালাচ্ছিল এতকাল।

কিন্তু তাতেও মনে শান্তি হয় নি তাদের। এবার সেই পারিশ্রমিক বন্ধ করে দিয়ে শুধুই খাটাতে উদ্ভূত হয়েছে তারা। আর এটার বিরোধিতা করতে গেলেও দুনিয়ার সব বিপত্তি তৈরি করে দেয়।

আপনি তাদের হয়ে কিছু করতে যাবেন?
তারা আপনাকেও ছেড়ে কোন কথা বলবে না। লাঠিপেটা করে আপনাকে এলাকা ছাড়া করবে।

এভাবে কতকাল ধরে ঠকে আসবে এরা? এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পথ কি কারো জানা নেই??



Outlook.com এ Alias মেইল তৈরি এবং তার ব্যবহার পদ্ধতি



আমাদের অনেক প্রয়োজনেই ২য় একটি মেইল এড্রেস এর প্রয়োজন দেখা দেয়। চাইলেই হুট করে আমরা ২য় আরও একটি মেইল আইডি খুলে নিতে পারি। কিন্তু কিছুদিন বাদেই দেখা যায় যে সেটা নিয়মিত ব্যবহার না করার কারণে কিংবা অন্যকোন সমস্যায় অথবা পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়ে আর একসেস করতে পারি না।

এই ধরণের সমস্যার হাত থেকে সমাধানের জন্যে জনপ্রিয় মেইল সার্ভিস প্রোভাইডর গুলি বিভিন্ন উপায়ে দ্বিতীয় কিংবা প্রয়োজন সংখ্যক মেইল Alias ব্যবহার করার সুবিধা দিচ্ছে। এদের মধ্যে Outlook.com একটি যা পূর্বে Hotmail.com এবং Live.com নামে পরিচিত ছিল, তারাও এই সুবিধাটি দিচ্ছে। আর তাদের সুবিধার আলতায় আপনার বর্তমান মেইল এড্রেসটির সাথে মিল না রেখে সম্পূর্ণ নতুন নামের এড্রেস ব্যবহার করতে পারবেন আপনার বর্তমানের নিয়মিত Outlook একাউন্টের মাধ্যমে।

ধরুন আপনার বর্তমান মেইল এড্রেসটি হচ্ছে "mailmenow001@outlook.com" কিন্তু আপনি চাইছেন আপনার মেইল এড্রেস হবে "contactmenow@outlook.com"। এখন কেউ যদি পূর্বেই এই নতুন এড্রেসটি রেজিস্ট্রেশন না করে থাকে তবে সহজেই আপনি এই এড্রেসটি আপনার বর্তমান মেইল একাউন্টের মাধ্যমেই ব্যবহার করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন শেষে মেইল পাঠাতে কিংবা মেইল গ্রহণ করতে ২টি এড্রেসই ব্যবহার করতে পারবেন।

তো চলুন, ঝটপট করে জেনে নেই কিভাবে এই দ্বিতীয় মেইল এড্রেস কিংবা Alias টি সেটআপ করবো আমরা।
তবে এই ক্ষেত্রে দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে-

১ |  আপনার Recovery মেইল একাউন্টটি সচল থাকতে হবে। (যেটা একাউন্ট তৈরির সময় Recovery মেইল হিসেবে সেট করেছিলেন)

২ | আপনার Outlook মেইল একাউন্টটি মোবাইল ভেরিফিকেশন করা থাকতে হবে। (মোবাইল ভেরিফাই করা না থাকলে Alias মেইল কাজ করবে না, আর তৈরির পূর্বেই আপনাকে ভেরিফাই করে নিতে হবে)





Outlook / Hotmail / Live মেইল এর Alias তৈরির পদ্ধতি



  • ধাপ ১ : আপনার Outlook / Live / Hotmail একাউন্টে লগইন করুন। পেইজ লোডিং শেষে গিয়ার বাটনে ক্লিক করে মেনু থেকে Option সিলেক্ট করুন।




  • ধাপ ২ : "Managing your account" এর আলতায় থাকা "Create an Outlook.com alias" লিংকটিতে ক্লিক করুন।



পুনরায় আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড প্রদান করতে বলবে। পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার পর আপনার একাউন্টটি মোবাইল ভেরিফাই করা থাকলে Recovery মেইল এড্রেসে একটি কনফার্মেশন কোড সহকারে মেইল পাঠাবে এই ধাপে। আর মোবাইল ভেরিফাই করা না থাকলে মোবাইল ভেরিফাই করতে বলবে। মোবাইল ভেরিফাই করে এবং মেইলে পাওয়া কনফার্মেশন কোড বক্সে বসিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন।



  • ধাপ ৩ : বক্সে আপনি যেই নাম দিয়ে Alias মেইলটি চালু করতে চান সেটি লিখতে হবে। উদাহরণ হিসেবে আমি প্রথমে "mail2oliver" লিখে "Create an alias" বাটনে ক্লিক করলাম। কিন্তু দেখুন এই মেইল আইডিটি পূর্বেই কেউ রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েছে। তাই আর আমি সেটা ব্যবহার করতে পারবো না।



এভাবে আপনিও চেক করে দেখুন যে আপনার কাঙ্ক্ষিত মেইল এড্রেসটি পূর্বেই কেউ রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েছে কি না। যদি নিয়ে থাকে তবে ভিন্ন নামে চেষ্টা করতে হবে কিংবা নামের শেষে সংখ্যা বসিয়ে ও কাজ করতে পারবেন। আমি ভিন্ন নামে চেষ্টা করলাম, "oliverblog2" লিখে "Create an alias" ক্লিক করলাম। যেহেতু এই নামে কেউ পূর্বেই আইডি রেজিস্ট্রেশন করে নি তাই এটি আমি ব্যবহার করতে পারবো।



  • ধাপ ৪ : কাঙ্ক্ষিত মেইল Alias গ্রহণ করার পর এই Pop-up মেসেজটি দেখাবে। যেখানে আপনাকে জানানো হবে যে আপনার কাঙ্ক্ষিত মেইল এড্রেস টি তৈরি সম্পন্ন হয়েছে এবং আপনি চাইলে এই মেইলে আসা প্রতিটা মেইল একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডার কিংবা ইন বক্সেই জমা রাখতে পারবেন। এখন আপনি যদি এই মেইলে আসা মেইল গুলিকে Inbox এ না রেখে অন্য কোন ফোল্ডার কিংবা নতুন একটি ফোল্ডারে রাখতে চান তা করতে পারবেন। আমার ক্ষেত্রে আমি "Oliver Blog" নামে নতুন একটি ফোল্ডারের নাম লিখে Done বাটনে ক্লিক করলাম। এখন "oliverblog2@outlook.com" এ আসা প্রতিটা মেইল ইন-বক্সে না এসে আমার তৈরি Oliver Blog নামের ফোল্ডারে জমা হবে।




আমাদের নূতন Mail Alias তৈরি করা সম্পন্ন হয়েছে। এবার একে টেস্ট করার পালা-


  • প্রথমে মেইল বক্সের উপরের বার থেকে New তে ক্লিক করুন।




  • উপরের বাম কর্নারে ড্রপ-ডাউন লিস্ট থেকে নতুন Alias মেইলটি সিলেক্ট করুন। এরপর যাকে মেইল করতে চান তার মেইল এড্রেসটি ২য় বক্সে লিখুন। মেইলের সাবজেক্ট এবং মেইল বডিতে মেইল লিখে Send বাটনে ক্লিক করুন।




  • কিছুক্ষণের মধ্যেই মেইলটি আপনার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় গিয়ে পৌছবে।



*** অনেকের ক্ষেত্রে ঘণ্টা খানিক সময় লাগতে পারে মেইল Alias টি সচল হতে। তাই তৈরির পরপরই যদি ব্যবহার করতে সমস্যা হয় তাহলে ঘণ্টা খানিক পর চেষ্টা করুন। 




Alias মেইলকে Primary Mail হিসেবে সেট করার পদ্ধতি

এবার আপনি চাইলে Outlook.com এর একাউন্ট সেটিং থেকে নতুন তৈরি করা Alias মেইলটিকে Primary Mail হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। এটি করতে প্রথমে মেইল বক্সের ডান কোনায় আপনার নামের উপর ক্লিক করুন। এরপর মেনু থেকে Accounts Settings লেখাটার উপর ক্লিক করুন।


এরপর পাসওয়ার্ড দিয়ে আবার লগইন করলেই Microsoft Account এর ড্যাশ বোর্ডে নিয়ে যাবে। এখান থেকে Aliases অপশনে ক্লিক করলেই আপনার বর্তমান মেইল Alias গুলি দেখতে পারবেন। এখন যেই Alias মেইলটিকে Primary Mail হিসেবে ব্যবহার করতে চান সেটির নিচে লেখা "Make primary" তে ক্লিক করে কনফার্ম করুন।


কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার Alias মেইলটি প্রাইমারি মেইলে পরিবর্তিত হয়ে যাবে।