সোমবার, আগস্ট ৩১, ২০১৫

বদি এণ্ড রঞ্জুর কথোপকথন‬ —  ৩



বদি ভাইঃ রঞ্জু, বলত শুভাকাঙ্ক্ষী কারে বলে?

রঞ্জুঃ কাকে আবার! যারা আমার ভালো চিন্তা করে তারাই আমার শুভাকাঙ্ক্ষী।

বদি ভাইঃ আচ্ছা, তাহলে এখন বল তো তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী কারা কারা?

রঞ্জুঃ কারা আবার! আপনি, বাবা-মা, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী এরাই তো..

বদি ভাইঃ একটু ভুল বললা। বাবা-মা ঠিক আছে, কিন্তু তার বাইরে বাকি কেউই আসলে তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী না, আমিও না।

রঞ্জুঃ কি বলেন বদি ভাই! আপনি আবার আমার শুভাকাঙ্ক্ষী না কিভাবে?

বদি ভাইঃ এইটাই তো তোমার সমস্যা রঞ্জু। বুঝায় না বললে তুমি কিছুই বুঝতে চাও না।

রঞ্জুঃ এই কারণেই তো বললাম, আপনি আমার শুভাকাঙ্ক্ষী। এইবার দ্রুত করে বুঝায় বলেন তো ব্যাপারটা।

বদি ভাইঃ আচ্ছা বলছি, ভালো করে মন দিয়ে শোন। তোমার এক চাচাত ভাই আছে না, ঐ যে শান্ত না কি যেন নাম। এই যে কিছুদিন আগে সরকারী মেডিক্যালে প্রফেসর হিসেবে চান্স পেয়েছিল।

রঞ্জুঃ হুম। শান্ত ভাই। কিছুদিন আগেই তার সরকারী একটা হসপিটালে পোস্টিং হয়েছে। কেন? তার কথা কেন বলছেন?

বদি ভাইঃ সে তো ডাক্তার, তার উপর তোমার আত্মীয় আর বড় ভাই। সেই হিসেবে তো তোমার শান্ত ভাই তোমার বেশ বড় ধরণের শুভাকাঙ্ক্ষী হবার কথা। তাই না?

রঞ্জুঃ হুম। সেটাই তো হবে।

বদি ভাইঃ এখানেই তুমি ভুল করলা রঞ্জু। ডাক্তার মানুষ হইলেও সে আসলে মোটেই তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী না। সে আসলে মনে মনে আশা করে কবে তুমি কিংবা তোমার পরিবারের কেউ বড় ধরণের অসুস্থ হবে। আর অপেক্ষা করে, কবে তোমরা তার বুদ্ধি আর পরামর্শের জন্যে তার দ্বারস্থ হবে।

রঞ্জুঃ ধুর! কি যে বলেন না বদি ভাই। শান্ত ভাই মোটেই ঐরকম লোক নয়।

বদি ভাইঃ আবারও ভুল করলে তুমি রঞ্জু। তুমি শুধু তোমাকে নিয়েই চিন্তাটা করেছ। তোমার ভাই শান্ত আসলে তোমার বা তার আত্মীয়দের ব্যাপারে এমন চিন্তা সরাসরি না করলেও পেশাগত কারণে তার মনে কিন্তু এই ব্যাপারটাই কাজ করে।

রঞ্জুঃ বুঝলাম, কিন্তু সেইটা তো নিশ্চই আর অপরাধ না।

বদি ভাইঃ তুমি কিন্তু সরাসরি কনক্লুশনে চলে যাচ্ছ রঞ্জু। আমি কিন্তু মোটেও বলি নাই যে শান্ত ভাই কিংবা ডাক্তারদের এইটা অপরাধ। আচ্ছা এইটা বাদ দেও, আরেকটা বলি। শোন।

রঞ্জুঃ বলেন।

বদি ভাইঃ তোমার পাশের বাসায় ইশতিয়াক আঙ্কেলরা থাকে না? সে তো তোমার আব্বুর খুব ভালো বন্ধু। ঠিক বললাম না?

রঞ্জুঃ হ্যাঁ। আমাদের পাশেই ইশতিয়াক আঙ্কেলদের বাসা। আর পাশাপাশি থাকার কারণেই আব্বার সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক। সেই হিসেবে বন্ধুই তারা।

বদি ভাইঃ সে তো নিশ্চই তোমাদের খুবই শক্ত একজন শুভাকাঙ্ক্ষী, তাই না?

রঞ্জুঃ তা তো অবশ্যই। কয়েক বছর পূর্বেই তো আমাদের গ্রামের বাড়িটা নিয়ে একটা বিশ্রি ধরণের ঝামেলা হয়েছিল। তখন ইশতিয়াক আঙ্কেলের পরামর্শেই সেই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলাম।

বদি ভাইঃ হুম। আমিও যতটুকু জানি তাতে সে বেশ হাসি-খুশি আর ‘মাই ডিয়ার’ টাইপের লোক। কিন্তু এত কিছুর পরেও কিন্তু সে তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী না।

রঞ্জুঃ কি বলেন!

বদি ভাইঃ ঠিকই বলছি। যেভাবে তোমার শান্ত ভাই অবচেতনে আশা করে বেশি বেশি রোগী, আর তার পরামর্শের। তেমনি তোমার ইশতিয়াক আঙ্কেলও আশা করে আইনি ঝামেলায় পড়ে যেন সবাই তার দ্বারস্থ হয়। হাজার হলেও পেষায় তো সে একজন উকিল। হা হা হা!

রঞ্জুঃ বুঝলাম আপনার কথা। আপনার এই লজিক অনুযায়ী তো আসলে আমরা কেউই কারও শুভাকাঙ্ক্ষী না।

বদি ভাইঃ লজিক অনুসারে চিন্তা করলে এক টাইপের লোক তুমি পাবা, যারা আসলেই মানুষের শুভাকাঙ্ক্ষী।

রঞ্জুঃ কোন টাইপের লোক?

বদি ভাইঃ চোর

রঞ্জুঃ চোর! কি যে যা তা বলেন না বদি ভাই। চোর তো কারও অনিষ্ঠ করা ছাড়া ভালো করে এমন শুনি নাই। তাহলে সে কিভাবে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়?

বদি ভাইঃ জানতাম রঞ্জু, তুমি এমন কিছুই বলবা।

রঞ্জুঃ এখন আপনি বলেন কিভাবে চোর আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়।

বদি ভাইঃ বলছি, মন দিয়ে শোন। দেশের প্রেসিডেন্ট হতে শুরু করে রাস্তার মুচি পর্যন্ত চায় তার আশে পাশের বাকি সব মানুষ তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সমস্যায় পড়ুক। ডাক্তার যেমন চায় সবাই বেশি বেশি অসুস্থ হোক, তার পরামর্শ নিতে আসুক। তেমনি কোম্পানির মালিক চায় আজীবন শ্রমিক তার নির্দেশ মত কাজ করে যাক, তাদের ভাগ্যের চাকা আজীবন এমনই থাকুক। পুলিশ চায় দেশের মানুষ বেশি বেশি বেআইনি কাজ করুক, আর পক্ষ বিপক্ষ সবাই তার দ্বারস্থ হোক। সবজির দোকানদার চায় সবাই বেশি দাম দিলে হলেও তার পচে যাওয়া সবজি কিনুক। বাড়িওয়ালা চায় আজীবন তার ভাড়াটিয়ারা তার বাসায় ভাড়া থাকুক, আর বছর ঘুরতেই সে তার ইচ্ছে মত বাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে নিতে থাকুক। মুচি চায় তোমার পায়ের নতুন স্যান্ডের দু’দিন পরপর ছিঁড়ে যাক আর তুমি বার বার সাহায্যের জন্যে তার কাছে তোমার ছেড়া স্যান্ডেল নিয়ে যাও।

কিন্তু একমাত্র চোরই এইসব আশা করে না।

রঞ্জুঃ চোর কিভাবে এইসব আশা করবে। ও তো সবসময় ফন্দি ফিকিরে থাকে কিভাবে চুরি অন্যের জিনিষ চুরি করা যায়।

বদি ভাইঃ সেটা তুমি ভুল বল নাই। প্রয়োজনের খাতিরেই সে অন্যের বাড়িতে চুরি করে। কিন্তু মনে মনে কিন্তু সে ঠিকই সকলের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়।

রঞ্জুঃ বলেন, এইটাই বুঝিয়ে বলেন।

বদি ভাইঃ চোর চুরি করলেও মনে মনে আশা করে দেশের সবাই যেন ধনী হয়ে যায়, দামী দামী জিনিষপত্র দিয়ে যেন তারা বাড়ি-ঘর ভরে ফেলে। টাকা-পয়সা, সোনা-দানা আর হীরের গহনা যাতে বাড়ি বাড়ি আলমারিতে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকে। আর সে যেন এইসবই অবলীলায় চুরি করতে পারে।

আর একমাত্র চোরই এমন ব্যক্তি যে তোমার খারাপ অবস্থার জন্যে দুঃখ পায়। কারণ তোমার খারাপ অবস্থাই মানে তার চুরি করার পরিমাণ কমে যাওয়া।

রঞ্জুঃ তার মানে হল যে কারও শুভাকাঙ্ক্ষী হতে চাইলে অবশ্যই আমাকে চোর কিংবা ডাকাত হতে হবে।

বদি ভাইঃ না, তোমাকে ঠিক চোর কিংবা ডাকাত হতে হবে না রঞ্জু। শুধু যদি মন থেকে সত্যিকারে সকলের জন্যে ভালো কিছু প্রত্যাশা করতে পারো তাহলে যেখানে যেই পেষাতেই থাক না কেন, সেখানে সেই অবস্থাতেই সকলের শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারবা।

রঞ্জুঃ উক্কে বদি ভাই। সকলের জন্যেই মন থেকে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করার ট্রাই করব।








রবিবার, আগস্ট ৩০, ২০১৫

বদি এণ্ড রঞ্জুর কথোপকথন‬ — ২



বদি ভাইঃ রঞ্জু বলত, একটা বই, সেটা ভালো না মন্দ তা কিভাবে বোঝা যায়?

রঞ্জুঃ এ আর এমন কি কাজ। ভালো বই মানেই পড়ার বই, গল্পের বই, কবিতার বই, এইসব। আর খারাপ বই মানে ঐ যে ইয়ে আর কি.. উল্টা পাল্টা সব কথা বার্তা থাকে যে ঐসব।

বদি ভাইঃ রঞ্জু, তোমাকে কি জিজ্ঞাস করলাম আর তুমি কি বললা। আমি বললাম একটা ভালো বই সেটা তুমি কিভাবে বুঝবে আর তুমি বলছ কি সব বাজে কথা।

রঞ্জুঃ তাহলে বদি ভাই! কিভাবে বুঝবো ভালো বই আর মন্দ বইয়ের পার্থক্য?

বদি ভাইঃ বুঝলা রঞ্জু, তোমারে নিয়ে সত্যিই বড় দুশ্চিন্তা হয়। সাধারণ এই জিনিষ গুলিও এতদিন পরে বুঝে উঠতে পারলে না।

রঞ্জুঃ আপনি আছেন না! আপনি বুঝিয়ে বলবেন। এইবার বলেন না বদি ভাই, কিভাবে ভালো আর মন্দ বইয়ের পার্থক্য বোঝা যায়?

বদি ভাইঃ বলছি, মন দিয়ে শোন।

বইটা ভালো বুঝবে তখন, যখন তুমি বইটা পড়তে শুরু করলে তোমার গার্ল-ফ্রেন্ডের কথা মনে থাকবে না। কত পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়েছ সেইটা মনে থাকবে না। পড়তে পড়তে গল্পের আসল ঘটনা চোখের সামনে ভেসে আসবে, টেনশন অনুভব করবে সেইটাকে ঘিরে। আর প্রতিবার বইটা পড়া থেকে বিরতি নেবার সময় মনে হবে- “ইশ! এত দ্রুত পড়া শেষ হয়ে যাচ্ছে!!” আবার পড়তে শুরু করলে মনে হবে- “ইশ! এরপর কি! এরপর কি!! দ্রুত পড়তে হবে”

কিংবা যদি কোন কবিতার বই হয় তখন দেখবে প্রতিটা কবিতাই তোমাকে এক ধরণের শিহরণ দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটা কবিতার কিছু লাইনেই তুমি তোমাকে খুঁজে যাবে। কিছু কিছু লাইন তোমাকে টেনে ধরে নিয়ে যাবে সুদূর অতীত। সেখানকার হাসি কান্না তোমাকে আলোড়িত করে যাবে প্রতি চরণে চরণে। দেখা যাবে একই কবিতা তুমি ঘুরে ফিরে পড়ছ।

তারপর বইটা যখন এমন করতে করতে শেষ হয়ে যাবে তখন তোমার আফসোসের সীমা থাকবে না। বার বার মনে হবে- ‘কেন যে এত দ্রুত পড়া শেষ করতে গেলাম’ আর ‘কেন যে আরও একটু লিখল না’ -এইসব। আবার মাঝে মাঝে আক্ষেপও হবে এরপর কি হবে সেইটা জানলে না বলে।

রঞ্জুঃ ও আচ্ছা। তাই বলেন। কিন্তু এইসবই তো প্রায় সব বই পড়তে গেলে হয়। কিন্তু ভালো বইয়ের ব্যাপারে এমন হলে খারাপ বই হবে কোনগুলি?

বদি ভাইঃ এখনো বুঝতে পারো নাই খারাপ কোনগুলি? আফসোস রঞ্জু, তোমারে নিয়া বড়ই আফসোস হয় এইসব কারণেই।

রঞ্জুঃ আহ্! বলেন না বদি ভাই। জিনিষটা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে।

বদি ভাইঃ খারাপ বই বলতে আসলে তেমন কিছু নাই। তারপরও যেইসব বই পড়তে গেলেই বার বার তোমার গার্ল-ফ্রেন্ডের কথা মনে পড়ে যাবে। পড়া শুরু করলেই মনে হবে যেন তুমি বই না পড়ে তোমার গার্ল-ফ্রেন্ডের সাথে ঝগড়া করছ। আর এমন অযৌক্তিক ঝগড়া তোমার গার্ল-ফ্রেন্ড কোন ব্যাপারকে কেন্দ্র করে করছে তার উপর তোমার বিন্দুমাত্র ধারণা নাই। ভেতর ভেতর এই ঝগড়া দ্রুত শেষ করার তাগিদ অনুভব করবা, আর সেটা সম্ভব না হলে মাঝ পথেই ঝগড়া কিভাবে থামানো যায় তার চিন্তা চলতে থাকবে। যদি এমন সব চিন্তা ধারা যদি কোন বই পড়ার সময় সামনে আসে তখনই বুঝতে পারবে যে তুমি আসলে একটা বাজে ধরণের বই পড়ছ।

রঞ্জুঃ কিন্তু বদি ভাই, আমার যে কোন গার্ল-ফ্রেন্ড নেই। তাহলে কিভাবে এই অনুভূতি আসবে?

বদি ভাইঃ গার্ল-ফ্রেন্ড নেই! এইবার বুঝলাম কেন তুমি ভালো বই আর মন্দ বইয়ের মাঝে পার্থক্য করতে পারো না। ভালোই হয়েছে, সামনের দিকেও আর গার্ল-ফ্রেন্ড জুটাবা না। তাহলেই বই পড়ার আসল স্বাদ অনুভব করতে পারবা। নয়তো সবই বই_ই বাজে মনে হবে।

রঞ্জুঃ উক্কে বদি ভাই।








শনিবার, আগস্ট ২৯, ২০১৫

বদি এণ্ড রঞ্জুর কথোপকথন — ১



বদি ভাইঃ বলত রঞ্জু, ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে গুলির সাথে সবচেয়ে বড় অন্যায় অবিচার করছে কারা?

রঞ্জুঃ কারা বদি ভাই?

বদি ভাইঃ বিজ্ঞানী আর আবিষ্কারকেরা..

রঞ্জুঃ কি বলেন বদি ভাই! কিভাবে??

বদি ভাইঃ নাহ্‌ রঞ্জু, তুমি সাধারণ কথাটাও বুঝো না। তোমারে নিয়া বড়ই শঙ্কা হয়, বুঝলা।

রঞ্জুঃ বলেন না বদি ভাই, কিভাবে বিজ্ঞানী আর আবিষ্কারকেরা এই ছেলে-মেয়েদের উপর অন্যায় করল।

বদি ভাইঃ ছোট বেলা থেকে এখন পর্যন্ত কিন্তু তুমিও তাদের অবিচারের স্বীকার।
প্রথমেই তারা কিছু একটা আবিষ্কার করবে। তারপর তাদের সেই আবিষ্কার দিয়ে সবাইকে তাক লাগাবে। কিন্তু প্রেশারটা পড়বে সেই ছোট ছোট বাচ্চাদের উপরই।

রঞ্জুঃ বুঝলাম না বদি ভাই। বুঝিয়ে বলেন না একটু।

বদি ভাইঃ এই হইল এক সমস্যা। পুরো ঘটনা বিস্তারিত না বললে তোমরা কিছু বুঝতে পারো না। আচ্ছা, ঠিক আছে বলছি, ভালো করে খেয়াল দিয়ে শুনবা।
ধর কাল তুমি একটা কিছু আবিষ্কার করলা। দুনিয়া জুড়ে তোমার নাম-ডাক হল। তারপর? তারপর তোমার সেই আবিষ্কার নিয়ে দীর্ঘ কয়েক অধ্যায় রচনা করা হবে। তারপর সেটাকে গিলতে বাধ্য করা হবে এই ছোট ছোট বাচ্চাদের।

রঞ্জুঃ ও আচ্ছা! এই ব্যাপার।

বদি ভাইঃ না। শুধুই এই ব্যাপার না।

রঞ্জুঃ তাহলে!

বদি ভাইঃ শুধু যে তোমার আবিষ্কার নিয়েই পড়িয়েই ক্ষ্যান্ত দিবে তা কিন্তু না।
এরপর উঠে পড়ে লাগবে এই আবিষ্কার নিয়ে একগাদা সমস্যা সমাধান করানোর জন্যে। এর সাথে শুরু করবে তুমি এই আবিষ্কারের আগে কেমন ছিলা, কিভাবে এই আবিষ্কার করার চিন্তা তোমার মাথায় আসল। কোন জায়গায় বসে বসে তুমি এই আবিষ্কারের থিম রচনা করেছিলে। এই যে আমি তোমার সাথে এই প্যাঁচাল দিচ্ছি এই প্যাঁচালও তাদের খুব গুরুত্ব সহকারে শিখাতে বাধ্য করা হবে।
তারপর তোমার সম্বন্ধে শেষ হলেই শুরু করবে তোমার আব্বা-আম্মা আর তাদের আত্মীয়দের নিয়ে ইতিহাসের চ্যাপটার।
এই গুলি তো গেলোই, সাথে আরও যুক্ত হবে কিভাবে তোমার এই আবিষ্কারকে আরও বিস্তৃত ভাবে ব্যবহার উপযোগী করা যায় তার উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা।
এত কিছুর পরেও কি মনে হয় না রঞ্জু তোমার এই আবিষ্কারই বাচ্চাগুলির ভবিষ্যৎ নষ্টের একটা বড় কারণ?

রঞ্জুঃ কিন্তু বদি ভাই, আমি তো এখনো কিছু আবিষ্কার করি নাই।

বদি ভাইঃ ভালো করছ। ভবিষ্যতে করার চেষ্টাও করো না। আইডিয়া আসলে আমার মত চুপচাপ চিন্তা করে তারপর সেইটা ভুলে যাবা। বাচ্চাদের মেধার চাপ মুক্ত রাখার সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবা।

রঞ্জুঃ উক্কে বদি ভাই।








বুধবার, জুলাই ০৮, ২০১৫

অন্ধকারের আলোয় ডেকে যাওয়া কাক



শহর জুড়ে অন্ধকারের আলো বিস্তৃত, 
তুমি কি দেখো?
একা কাক ডেকে যায় বিরামহীন,
তুমি কি শোন?

এখানে এক আকাশ জুড়ে কৃত্রিম আলোয় আলোকিত মহল,
এখানে ছুটে বেড়ায় মৃত যত লোভী মানুষের দল,
এখানে বিরামহীন চাহিদার নেই কোন ক্লান্তি,
এখানে আত্মারা পায় না কখনো যে শান্তি...

তবুও ছুটে চলা,
তবুও লাইনের পর লাইন ধরে 
নিয়ম মেনে এগিয়ে চলা..
তবুও উপেক্ষা করা,
তবুও স্বপ্নের হাতছানি 
দেখেও না দেখার ভান করা...

এখানে কারও হয় না সময়,
এক পলক এই অন্ধকারের আলো দেখায়।
এখানে কারও আসে না বিরক্তি,
বিরামহীন কর্কশ কাকের ডান শোনায়।






আত্মকথন - ০৮ জুলাই'১৫

কাছের বন্ধুর সংখ্যা বরাবরই কম ছিল। হাতের কড় গুনলে দুই আঙ্গুলের মাঝেই কাজ হয়ে যাবে এমন অবস্থা। আর সেই হাতের কড়ে গুনে ফেলা বন্ধুদের সাথে সময় আমাকে বরাবরই দূরত্ব এনে দিয়েছে। নিবিড় ঘনিষ্ঠতা আমি কারও সাথেই ধরে রাখতে পারি নি। তবুও এই বন্ধুরা হাল ছেড়ে দেয়নি কখনো। বলতে গেলে, তাদের আগ্রহের কারণেই তাদের সাথে এখনো  আমার 'বন্ধুত্ব'টা টিকে আছে।

এইসব বন্ধুদের মাঝে একজন প্রায় কথার প্রসঙ্গে এভাবে বলত-
"তুমি এভাবে কিভাবে পারো? তোমার অবস্থানে আমি থাকলে প্রতিটা প্রয়োজন যেভাবেই হোক আদায় করে ছাড়তাম। আর তুমি শুধু চিন্তাই কর, ছাড় দিতে থাকো.."

তার এই ডায়লগ বা কথাটা কখনোই ঐরকম করে চিন্তা করি নি। আসলে একত্রে থাকার সময় তার এমন অনেক কথাতেই আমি মজা পেতাম, এটাও তার মধ্যে একটা ছিল। কিন্তু ধারণা পাল্টাতে বাধ্য করলো কোন একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

আমি যতটা জানি, কিংবা আমার যতটুকু মনে আছে তাতে 'ছেলেটিকে' তার পরিবার সবচেয়ে বেশি আদর করতো বলেই জানতাম। আরও একটু ভালো করে বলতে গেলে বাকিদের তুলনায় তার আদর সবসময়ই সবার কাছে আলাদা ছিল। তার চাহিদা একটু ভিন্ন ভাবে হলেও বরাবরই পূরণ করার চেষ্টা করেছে তার পরিবার।

ঘটনা প্রসঙ্গে সেই "ছেলে"-ই যখন তার পরিবারকে উদ্দেশ্য করে বলে-
"আপনাদের দেখে মনে হয় আমি আপনাদের কাছে বোঝা হয়ে গিয়েছি" তখন নিজের সাথে তুলনা করে বন্ধুর বলা কথা গুলিকেই সত্যি মনে হয়। মনে হয় সত্যিই নিজের ইচ্ছের চাইতে পরিবেশ, পরিস্থিতি আর সামনে দাঁড়ানো ব্যক্তির অবস্থা বুঝে নিজের প্রয়োজন চিন্তা করাটাই জীবনের সবচেয়ে বড় বোকামি হয়ে গেছে.....



সোমবার, জুলাই ০৬, ২০১৫

স্মার্টফোন ব্যবহার করে এক শব্দে ফেসবুক প্রোফাইলের নামকরণ করার পদ্ধতি


পূর্বে আমারা দেখেছিলাম, কিভাবে ডেক্সটপ কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে ফেসবুক প্রোফাইলের এক শব্দে নামকরণ করা যায় সেই পদ্ধতি। কিন্তু হালের যুগে সকলের হাতে হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। আর যদি সেই স্মার্টফোন থেকেই কাজটি করা যায় তাহলে কাজটি আরও সুবিধা জনক হয়। আর সেই তাগিদেই আজকের পোষ্টের অবতারণা।


মোবাইলের জন্যে আমাদের দুটো এ্যাপ প্রয়োজন-


১. মোবাইল ব্রাউজার

২. প্রক্সি পরিবর্তনের এ্যাপ।

মোবাইলের ব্রাউজার হিসেবে আপনি যে কোন ব্রাউজারই ব্যবহার করতে পারবেন। আমি আমার কাজের সুবিধার্থে এখানে Opera ব্রাউজার ব্যবহার করেছি। অন্যদিকে প্রক্সি পরিবর্তনের অনেক এ্যাপই এখন Play Store এ পাওয়া যায়। তার যে কোনটি ব্যবহার করলেই আপনার কাজ হবে। আমি এখানে ‘One Click VPN‘ এ্যাপটি ব্যবহার করেছি। আপনারা সরাসরি Play Store থেকে এ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে পারেন, কিংবা সমস্যা হলে এই লিংক থেকে ডাওনলোড করে ইন্সটল করতে পারেন।


ব্রাউজার এবং প্রক্সি এ্যাপ ইন্সটলের পর নিচের ধাপ গুলি অনুসরণ করুন-






  • ধাপ ১ : প্রথমে Opera বা আপনার মোবাইল ব্রাউজার দিয়ে m.facebook.com অথবা mbasic.facebook.com সাইটে প্রবেশ করুন। এরপর আপনার Email/Phone/UserName এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।


  • ধাপ ২ : ফেসবুকে লগইন সম্পন্ন হলে আপনার প্রক্সি পরিবর্তনের সফটওয়্যার চালু করুন। যেমন আমার ক্ষেত্রে আমি “One Click VPN” সফটওয়্যারটি চালু করলাম। এ্যাপ সচল হবার কিছুক্ষনের মাঝেই সার্ভার লিস্ট চলে আসবে।


  • ধাপ ৩ : এরপর সার্ভার লিস্ট হতে আপনি Indonesia এর একটি সার্ভার খুঁজে বের করে সিলেক্ট করুন।

সিলেক্ট করার পর সেটার রং পরিবর্তন হবে।




এখন স্ক্রিনের নিচে অবস্থিত “Connect” বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৪ : VPN কানেকশন তৈরির পূর্বে একটি সতর্কবানী দেয়া হবে। আপনি “I trust this application.” লেখাটির সামনে চেক বক্সে ক্লিক করে “OK” বাটনটি সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ৫ : কিছুক্ষন অপেক্ষার পর আপনার মোবাইলের স্ক্রিনের উপরের বাম পাশে একটি চাবির চিহ্ন দেখতে পাবেন। এবং একেবারে স্ক্রিনের নিচে লেখা আসবে “Connected, Enjoy!”। অর্থাৎ আপনি VPN সার্ভারের সাহায্যে ইন্দোনেশিয়ান প্রক্সি ব্যবহার করে এখন যে কোন সাইট ব্রাউজ করার জন্যে প্রস্তুত।


  • ধাপ ৬ : এরপর “One Click VPN” এ্যাপ মিনিমাইজ করে আপনার ব্রাউজার (আমার ক্ষেত্রে OperaMini) এ চলে আসুন। ফেসবুক হোম লোড হবার পর একদম নিচের দিকে অবস্থিত “Settings & Privacy” তে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৭ : এরপর Settings ড্যাশ থেকে General সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ৮ : General ড্যাশ লোড হবার পর সেখান থেকে Language লেখাটির উপর ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৯ : এখন Language লিষ্ট হতে “Bahasa Indonesia” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১০ : পুনরায় আপনাকে ফেসবুক হোমে নিয়ে যাবে। এখন আবারও নিচে নেমে “Pengaturan & Privasi” লেখাটির উপর সিলেক্ট করুন।



  • ধাপ ১১ : এরপর Settings ড্যাশ থেকে “Umum” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১২ : Umum ড্যাশ লোড হবার পর “Nama” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১৩ : এখন তিনটি ইনপুট বক্স দেখতে পাবেন, এগুলি যথাক্রমে ‘First Name’ ‘Middle Name’ এবং ‘Last Name’ নির্দেশ করে। আপনি ‘Middle Name’ এবং ‘Last Name’ বক্সে থাকা সকল লেখা মুছে দিন এবং প্রথম বক্সে আপনি যে নামে আইডির নামকরণ করতে চাইছেন তা লিখুন। এবং সব শেষে “Tinjau Perubahan” লেখা বাটনের উপর ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৪ : নাম কনর্ফাম করার জন্যে আপনাকে পুনরায় পাসওয়ার্ড দিতে হবে। বক্সে পাসওয়ার্ড লিখে “Simpan Perubahan” লেখা বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৫ : Settings ড্যাশ রিলোড হলেই দেখতে পাবেন Nama এর নিচে আপনার দেয়া এক শব্দের নাম দেখাচ্ছে। এখন আবার Bahasa লেখাটিতে (৬ নম্বর) ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৬ : পুনরায় ভাষা নির্ধারণ লিস্ট দেখতে পাবেন। সেখান থেকে “English (US)” অথবা আপনি যে ভাষায় ফেসবুক ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সেই ভাষা নির্বাচন করুন।


ভাষা নির্ধারণ করার পর পুনরায় ফেসবুক হোমে আপনাকে নিয়ে আসা হবে। এবার আপনি উপরের Menu হতে Profile লেখাটিতে ক্লিক করুন। আপনার প্রোফাইল পেইজ লোড হবার পর সেখানে আপনার নামের স্থানে আপনার প্রদাণকৃত এক শব্দেরনামই দেখতে পাবেন।




পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে এই সুবিধাটি বিশেষ একটি পদ্ধতি (ইন্দোনেশিয়া প্রক্সি সেটিংস্‌) ব্যবহার করে উপভোগ করা যাবে। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে উক্ত সুবিধাটি শুধুই নির্দিষ্ট দেশের জন্যে দেয়া হয়েছিল। আমরা সেই সুবিধাটি ব্যবহার করেই এই “এক শব্দের নাম” সুবিধাটি নিচ্ছি। কিন্তু ফেসবুক পলিসি অনুসারে এটি আপনার সত্যিকারের নাম হলেও তা গ্রহনযোগ্য নয়। তাই এই সকল Single Name বা এক শব্দের নামের আইডি গুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফেসবুক ভেরিফিকেশন এর মধ্যে পড়ে যায়। আর সেখান থেকে নামের সঠিক মিল খুঁজে পাওয়া যায় না বলেই রিকোভার করা সম্ভব হয় না। তাই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আইডির নাম করলে তা নিজ দায়িত্বে করবেন।







বুধবার, আগস্ট ১৩, ২০১৪

অনুগল্পঃ দিনের শুরুর ব্যস্ততার গল্পের খোঁজে.....



রাত্রিটা স্বস্তি আর অস্থিরতা পার করে দ্রুত পায়ে ভোরের দিকে ছুটে চলে, সাথে আমার হেটে চলা পথটাও অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ধাবিত হয়। একটা দিনের শুরুর আলোকিত হবার প্রক্রিয়াটাও বেশ জটিল। হুট করেই আলো চলে আসে না কিংবা খুব ধীরেও আসতে পারে না। মনে হয় কিছু সময় পরপর আকাশের কালো পর্দাটা আস্তে আস্তে কেউ শুভ্র একটা পর্দা দিয়ে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। আর প্রতিবারই এই অন্ধকারটা একটু একটু করে কমে যাচ্ছে তাতে।

রবিবার, আগস্ট ১০, ২০১৪

Gmail এ Alias ও Filter তৈরি এবং তার ব্যবহার


Google আমাদের যে কয়েকটি সার্ভিস দিয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটা সার্ভিস হচ্ছে Gmail যা শুরুতে Google Mail নামে পরিচিত ছিল। সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্যে এটা উন্মুক্ত এবং বিনামূল্যের একটি সার্ভিস। আর আমাদের মত অধিকাংশ ব্যবহারকারী একে Primary Mail হিসেবেই ব্যবহার করে। কিন্তু মাঝে মাঝে বিশেষ প্রয়োজনে Alias মেইলের প্রয়োজন দেখা দেয়।

আচ্ছা যদি এই একই মেইল এড্রেস ব্যবহার করে নতুন আরেকটা মেইল এড্রেসের সুবিধা নেয়া যায় তাহলে কেমন হয়?

হ্যাঁ, Gmail ও অন্যদের মত Alias মেইলের সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে একটু বিপত্তি হচ্ছে, তারা একেবারে নতুন নামে মেইল এড্রেস তৈরি করতে দেয় না। বরং আপনার মেইল এড্রেসটিতে কিছু অতিরিক্ত অক্ষর ব্যবহার করে Alias মেইল তৈরির সুবিধা দেয়।

ধরুন আমার বর্তমান মেইল এড্রেসটি হচ্ছে "contactkosor@gmail.com"। এখন এর যদি আমি Alias তৈরি করে চাই তাহলে আমাকে এর সাথে বিশেষ শব্দ বা অক্ষর যুক্ত করে alias তৈরি করতে হবে। আমি যদি এর সাথে "blogs" লেখাটা যুক্ত করে alias তৈরি করতে চাই তাহলে আমার নতুন মেইল এড্রেসটি হবে "contactkosor+blogs@gmail.com" এবং এটিই আমার Gmail এর নতুন alias মেইল।





Gmail এর Alias তৈরির পদ্ধতি :


  • ধাপ ১ : আপনার Google Mail একাউন্টটিতে Log in করুন। সম্পূর্ণ লোড হয়ে যাবার পর গিয়ার আইকনে ক্লিক করে মেনু থেকে Settings সিলেক্ট করুন।



  • ধাপ ২ : Setting পেইজ আসার পর উপরের দিকে Accounts and Imports ট্যাব দেখতে পাবেন। এটাতে ক্লিক করুন।



  • ধাপ ৩ : Accounts and Imports এর ভেতরে "Send mail as:" অংশে আপনার বর্তমান মেইল এড্রেসটি দেখতে পারবেন। এর নিচেই রয়েছে "Add another email address you own" লিংকটাতে ক্লিক করুন। একটা নতুন window আসবে পর্দায়।




  • ধাপ ৪ : নতুন Window টিতে দুটি বক্স রয়েছে। এর প্রথমটিতে আপনি আপনার Alias মেইলে যেই নাম দিতে চান সেটি লিখে দিন। যেমন আমার মূল মেইলের বিপরীতে নাম ছিল “কিশোর মাহমুদ” আর নতুন Alias মেইলে আমি নামটিকে দিতে চাই “কিশোর ব্লগার”। তাই আমি এখন Name লেখা বক্সে “কিশোর ব্লগার” লিখে দিবো। এরপর রয়েছে Email address নামের আরও একটা বক্স। এটাতে আপনি প্রথমে আপনার মেইল এড্রেসটি লিখুন। এখন “@gmail.com” এর পূর্বে একটি যোগ চিহ্ন ( + ) দিন। এখন আপনার Alias নামটি লিখুন। যেমন আমি আমার alias নাম হিসেবে ব্যবহার করবো “blogs”। আর তাতে আমার নতুন মেইল alias টি হবে “contactkosor+blogs@gmail.com”। এরপর Next Step বাটনে ক্লিক করুন।


পেইজ রিলোড হলেই দেখতে পারবেন আপনার বর্তমান মেইলটার নিচেই নতুন এড্রেসটি যুক্ত হয়ে গেছে।







এবার চলুন Alias মেইলটি ব্যবহার করে দেখি....


  • মেইল বক্সে ঢুকে Compose বাটনে ক্লিক করুন। এরপর নতুন মেইল ইডিটরে From এর বক্সে একটা ড্রপ ডাউনের তীর দেখতে পাবেন। সেটাতে ক্লিক করলেই আপনার বর্তমান মেইল সহ Alias মেইল গুলি লিস্ট আকারে দেখাবে। যে কোন একটা Alias মেইল সিলেক্ট করুন। এরপর যার কাছে মেইল পাঠাবেন তার এড্রেস, মেইলের বিষয়বস্তু, আর মেইলটি লিখে Send বাটনে ক্লিক করুন।




  • এরপর যাকে পাঠালেন তার ইন বক্সে আপনার alias মেইলটিকে মেইলিং এড্রেস হিসেবে দেখতে পাবে।







Mail Filter তৈরি করার পদ্ধতি:


  • মেইল বক্স থেকে মেইল সেটিংসে ঢুকুন। এরপর Filters ট্যাবে ক্লিক করুন। পূর্বে থেকেই যদি কোন ফিল্টার তৈরি করা থাকে সেটা আপনি এখানেই দেখতে পারবেন। আর না থাকলে চিত্রের মত শূন্য দেখাবে।




  • এখন নতুন Filter তৈরি করার জন্যে " Create a new filter " বাটনটিতে ক্লিক করুন। একটা নতুন ফর্ম আসবে। এর From এর ঘরে আপনার নতুন তৈরি করা Alias মেইলটি লিখুন। এরপর "Create filter with this search" লেখাটিতে ক্লিক করুন।




  •  এখানে Apply the label এর চেক বক্সে ক্লিক করে লিস্ট থেকে "New label...." সিলেক্ট করুন।




  • নতুন ফর্মের প্রথম বক্সটিতে যে নামে লেভেল দিতে চান সেই নামটি লিখুন। যেমন আমি দিয়েছি "Blogs", এরপর Create বাটনে ক্লিক করুন।




  • পূর্বের ফর্মের "Never send it to Spam" এবং "Also apply filter to matching conversation" লেখার চেক বক্স গুলি সিলেক্ট করুন। তারপর Create filter বাটনে ক্লিক করুন।



  • ফিল্টার লিস্টে আপনার তৈরিকৃত ফিল্টারটি দেখতে পাবেন। আর সাইডে আপনার দেয়া নামে একটি লেভেলও দেখা যাবে।



  • এখন লেভেলটিতে ক্লিক করলেই আপনার alias মেইলে যতগুলি মেইল এসেছে তা আলাদা ভাবে দেখতে পারবেন। একের অধিক Alias মেইল থাকলে ফিল্টার তৈরি করে ব্যবহার করলে খুব সহজেই মেইল গুলি আলাদা ভাবে দেখা যায় এই পদ্ধতিতে।






নিজে চেষ্টা করে দেখুন। কোন সমস্যা হলে অবশ্যই জানাবেন, যথাসম্ভব দ্রুত রিপ্লাই দেবার চেষ্টা করবো।

সময় নিয়ে পোষ্টটি পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।