মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৩

তোমাকে বলার কথা গুলো..... (২)

সেদিন অনেকক্ষণ তোমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটায় বসে ছিলাম বিকেলে। আমি জানি তুমি এই সময়টাতে তোমার ভার্সিটি থেকে বাড়িতে ফের। পাশেই বন্ধুরা বসে আড্ডা দিচ্ছিল। কিন্তু আড্ডাতে আমার মনটা ঢুকছিল না।

আমার মন তো পড়ে ছিল তোমারই পথের পানে। দেখছিলাম, এইতো ৪টা বেজে গেছে। এখনই যেকোনো মুহূর্তে এই পথ দিয়েই হেঁটে যাবে তুমি। আর আমি শুধু তোমাকে এক নজর দেখবো। এই একনজরেই বুঝে নিবো তোমার দিনটা কেমন কাটল। আমার বিশ্বাস এই একটু নজর দেয়া সময়টাই অনেক তোমার মনটা বুঝতে পারার জন্যে।

তবে আজ কেন দেরি হচ্ছে তোমার বুঝতে পারছিনা। তবে কি রাস্তায় অনেক জ্যাম? না কোন সমস্যা হল কোথায়ও! বারবার ঘড়িটার দিকে তাকাচ্ছি। আমার মনে হচ্ছে ঘড়িটাতেই কোন সমস্যা আছে। তাই আনোয়ারকে ৩ বার জিজ্ঞাসও করে ফেলেছি এই পর্যন্ত। আর তাতে কিছু টিটকারিও শুনতে হল আমায়।

পুরো ১০টা মিনিট পার হয়ে গেছে। তবুও তোমার দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। আমি খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছি। আর বসে থাকতে পারলাম না ওদের সাথে। একটু এগিয়ে গেলাম তোমার ফিরে আসার ঐ রাস্তাটা ধরে। মোড়টা পেরুলেই হয়তো দেখব তুমি আসছ এই আসায়। পেছন থেকে সানোয়ার আর আরিফ টিটকারি দিয়ে যাচ্ছে তখনো।

কিছুই বলার নেই তাদের। কি বলবো বল? যা বলছে তা তো তোমাকে নিয়েই বলছে। আমি তো তোমাকে নিয়ে যে কোন কথারই পাগল হয়ে আছি সেই কবে থেকে। শুধু তোমার মুখ থেকেই কখনো কোন কথা ওভাবে শোনা হয় নি আমার....

হাটতে হাটতে মোড়টাও পেরুলাম। কিন্তু কোথায়? তোমার দেখা তো পাচ্ছি না! নাহ, আর ভাল লাগছে না। এমন কি হল, যে আসতে আজ পুরো ৩০ মিনিট দেরি হয়ে যাচ্ছে, তবুও আসছো না তুমি। আরও একটু এগুতে থাকলাম। মনে মনে ভাবছিলাম, হয়তো কোথাও তোমার বাস নষ্ট হয়ে গেছে, তাই পরের বাসটা ধরে আসতে দেরি হয়ে যাচ্ছে তোমার। এখুনি দেখা যাবে তোমকে এই পথ ধরে। দেখবো তুমি ক্লান্ত মুখে রিক্সার হুড উঠিয়ে চলে যাচ্ছো আমার পাশ দিয়ে।

আমাকে হয়তো তুমি খেয়ালই করবে না। কিন্তু ঐ অতটুকু দেখাই যে আমায় দিনের পরিপূর্ণতা এনে দিবে। সে কি তোমায় কখনো বলতে পারবো আমি...








(সংশোধন সহযোগীতায়: বর্ষা আপা )

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন