রম্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রম্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩০, ২০১৭

বদি এণ্ড রঞ্জুর কথোপকথন —৮



বদি ভাইঃ রঞ্জু জানিস, মাইক্রোসফট এবার একটা বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে!

রঞ্জুঃ কি বিপ্লব ভাই!

বদি ভাইঃ নাহ্‌ তোমারে দিয়ে কিস্যু হবে না রঞ্জু। হাল দুনিয়ার কোন খোঁজ খবরই তুমি রাখো না।

রঞ্জুঃ এইটা তো পুরানো কথা 😯 সবাই জানে, নতুন কিছু বলেন।

বদি ভাইঃ নতুন কিছু যে বলবো সেইটা তো তোমার বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। ইদানীং তো তোমার বোঝার ক্ষমতার উপরেই আমার বিশাল সন্দেহ জন্ম নিয়েছে।

রঞ্জুঃ আহ্‌! বদি ভাই। এইসব বাদ দেন। আগে বলেন মাইক্রোসফট এমন কি বিপ্লব ঘটাইল যা নিয়ে আপনি এত্ত উত্তেজনা ফিল করতেছেন।

বদি ভাইঃ রঞ্জু, ঘটনাটা যদি তুমি বুঝতে তাহলে তুমিও আমার মত উত্তেজনা ফিল করতে। এত বড় বিপ্লব এর আগে কেউ ঘটাইতে পারে নাই। প্রযুক্তি দুনিয়ায় এত বড় একটা বিপ্লব ঘটানো কিন্তু চাট্টিখানি কথা না!

রঞ্জুঃ বদি ভাই, এত ঘুরাই প্যাঁচাই না বইল্লা মূল ঘটনাটা বলেন না। হুদাই এত্ত প্যাঁচাই কি লাভ!

বদি ভাইঃ 😩 এই হইলো তোমাদের সমস্যা। তোমরা মূল বক্তব্যের আগে তার ভূমিকা শুনতে চাও না। এর ইতিহাস তোমাদের শুনতে কষ্ট লাগে। তোমরা শুধু মূল ঘটনায় ঢুকে যেতে চাও। ফ্যাক্ট বাদ দিয়ে ইফেক্ট নিয়ে শুধু তোমার যত চিন্তা!

রঞ্জুঃ 😒 অকা! বলেন আপ্নের বিপ্লবের পেছনের ইতিহাস আর ফ্যাক্ট।

বদি ভাইঃ নাহ্‌, থাক। বলব না। হুদাই তোমারে বিরক্ত করে করে বোর করার কোন মানে নাই। আর এত বকর বরক করারও সময় নেই আমার।

রঞ্জুঃ হ্যাঁ, সেইটাই। এখন দ্রুত বলেন ঘটনাটা কি!

বদি ভাইঃ ঘটনা হইলো, দীর্ঘ ২৪ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর মাইক্রোসফট অবশেষে সফল ভাবে তাদের অপারেটিং সিস্টেম হতে BSoD সমস্যা দূর করতে পেরেছে। বল, এইটা কি চাট্টিখানি কথা! BSoD সমস্যা যে কত বড় সমস্যা সেইটা কি তোমরা এই জামানায় আর বুঝবা!!

রঞ্জুঃ BSoD কি জিনিষ!!  😲 এইটা আবার কুন ভাইরাস!! কুন এন্টিভাইরাস লাগবে এইটারে রিমুভ করতে!!!

বদি ভাইঃ আরে আহাম্মক এইটা কোন ভাইরাস না। এইটার মানে হইলো Blue Screen of Death

রঞ্জুঃ Blue Screen of Death আবার কি জিনিষ!

বদি ভাইঃ আরে ঐ যে, কম্পুটারের ঝামেলা হইলে যে মনিটর শুধু নীল হয়ে যেতো। ঐটারে বলে Blue Screen of Death সমস্যা।

রঞ্জুঃ ওহ্‌! আচ্ছা। তা এই সমস্যা কিভাবে সমাধান করলো তারা?

বদি ভাইঃ আরে, বিশাল এক সমাধান নিয়ে এসেছে মাইক্রোসফট। এত বিশাল সমাধান যা ইতিপূর্বে আর্কিমিডিসও ভাবতে পারে নাই। সে তো কেবল ছুটুখাটু জিনিষ নিয়ে চিন্তা করে 'ইউরেকা' 'ইউরেকা' করে চিল্লাইতো। এত বড় সমস্যা তার মাথায় দিলে সে নির্ঘাত বাথটবের পানিতে ডুবে সুইসাইড খাইতো।

রঞ্জুঃ বদি ভাই 😯 আপনি আবারও টপিকের বাইরে চলে যাচ্ছেন। জানেন না, এত বড় লেখা এখন আর কেউ পড়তে চায় না?

বদি ভাইঃ ওহ! হ্যাঁ! তাই তো। খেয়ালই ছিলো না। আসলে বুড়া মানুষ তো, সুযোগ পেলেই খালি কথা কইতে মুঞ্চায়।

রঞ্জুঃ হু, এইবার আসল ঘটনাটা বলেন দ্রুত, কুইক!

বদি ভাইঃ যুগান্তকারী এক আবিষ্কার করেছে মাইক্রোসফট। তারা চিন্তা করে দেখল এই Blue Screen of Death আসবার একমাত্র কারণ এই Blue, আই মিন নীল রং

রঞ্জুঃ হু, তো?

বদি ভাইঃ তারা অনেক বিশাল বিশাল কোডিং করলো। সেই কোডিং এক্সিকিউট করলো। তারপর যখন তারা তাদের কোডিং দেখে সন্তুষ্ট ফিল করলো তখন তারা সেইটা নতুন অপারেটিং সিস্টেমের সাথে জুড়ে দিলো।

রঞ্জুঃ তা সেই সমাধানটা কি সেইটা তো বলেন!

বদি ভাইঃ সমাধানটা হইলো, তারা তাদের কোডিং থেকে নীল রং টা বাদ দিয়ে সেখানে সবুজ রং দিয়ে পেইন্ট থুক্কু লাগিয়ে দিলো।

রঞ্জুঃ কি!! এইটা সমাধান!!

বদি ভাইঃ হ্যাঁ! এইটাই সমাধান। এবারে তুমি আর কোনদিন Blue Screen of Death সমস্যায় পড়বা না। Blue Screen of Death এর সমস্যা থেকে মাইক্রোসফট তোমরা চিরতরে মুক্তি দিলো 😁😁

রঞ্জুঃ আপনে মজা করতেছেন বদি ভাই 😯

বদি ভাইঃ মোটেই না। বিশ্বাস না হইলে Windows insiders preview build 14997 ইন্সটল করে দেখো। তালেই একদম ঝকঝক-ফকফক করে আমার কথার সত্যতা খুঁজে পাইবা।

রঞ্জুঃ আপ্নে একটা হোপলেস বদি ভাই!

বদি ভাইঃ মাইক্রসফ্‌ট একটা হোপলেস সেইটা বল!

রঞ্জুঃ মাইক্রসফ্‌ট ইয়্যু আর হোপলেস্‌! 😪











বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ০৩, ২০১৬

বদি এণ্ড রঞ্জুর কথোপকথন —৭



বদি ভাইঃ রঞ্জু, ইংরেজিতে Ironic নামে একটা একটা শব্দ আছে। জানিস তো?

রঞ্জুঃ উউম্মম্মম্মম্ম..... কি জানি; মনে পড়ছে না।

বদি ভাইঃ এদ্দিন স্কুল-কলেজ করে কি শিখলি যে সাধারণ কিছু ইংরেজি শব্দ তোর মাথায় থাকে না?

রঞ্জুঃ ইয়ে..... মানে...... সে যাই হোক। এখন বলেন ঐটা কি।

বদি ভাইঃ তোমারে দিয়া কিস্যু হবে না রঞ্জু। বুজলা! তোমার ভবিষ্যৎ পুরাই বাঁশের বিল্ডিং এর মত।

রঞ্জুঃ আচ্ছা হইল সেটা। এখন বলেন Ironic এর অর্থ।

বদি ভাইঃ Ironic এর অর্থ হইল 'বিদ্রূপাত্মক'

রঞ্জুঃ বিদ্রূপাত্মক! এটা আবার কি জিনিষ!

বদি ভাইঃ বুঝলা না?

রঞ্জুঃ না তো।

বদি ভাইঃ ধর কোন একটা ঘটনা বা কারো কথা যদি তারেই ব্যঙ্গ করে কিংবা টিপ্পনী কাটে তখন ঐটারে বলা যায় বিদ্রূপাত্মক ঘটনা।

রঞ্জুঃ তো এইটারে সোজা করে বললেই পারতেন যে কাউরে নিয়ে মজা করার অর্থই Ironic। হুদাই প্যাচ-গোচ লাগাই এতকিছু বললেন।

বদি ভাইঃ আরেহ্‌ নাহ। শুধু শুধু কাউরে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা বা মজা করার অর্থ Ironic না। Ironic হইতে হইলে ঘটনাটারে এমন হইতে হবে যাতে মনে হয় ঘটনাটা নিজেই ঘটনাটারে বা কোন লোকের কথা বা কাজ ঐ লোকটারেই পরিহাস করতেছে।

রঞ্জুঃ আচ্ছা, বুঝলাম।

বদি ভাইঃ কি বুঝলা!

রঞ্জুঃ ঐ তো, যা বুঝাইলেন। তাই বুঝলাম।

বদি ভাইঃ তাই নাকি? তাহলে পরে Ironic ঘটনার একটা উদাহরণ দেও দেখি।

রঞ্জুঃ উউম্মম্মম্ম...................
ইয়ে... মানে.... বদি ভাই। মাথা চুলকায়, একটু হিন্ট দেন না!

বদি ভাইঃ বুঝলা রঞ্জু, তোমারে নিয়ে আমি পুরাই হতাশ। কোন কিছুই একটু ভালো করে চিন্তা কর না তুমি। তার আগেই হাল ছেড়ে দেও। এইটা বড়ই পরিতাপের কথা।

রঞ্জুঃ আচ্ছা! হল তো। এখন একটু হিন্ট দেন। তারপর না পারলে যা খুশি বইলেন।

বদি ভাইঃ নাই, কোনে হিন্ট নাই। গুগল করে বুঝে নিও।

রঞ্জুঃ গুগল! আরে হ্যাঁ, তাই তো।

বদি ভাইঃ কি হইলো?

রঞ্জুঃ পেয়ে গেছি Ironic এর উদাহরণ।

বদি ভাইঃ তাই নাকি? কি? বল শুনি।

রঞ্জুঃ হ্যাঁ, এই যে গুগল করতে বললেন। তখনই পেয়েছি।
ধরেন কেউ Google.com এ গিয়ে সার্চ বক্সে যদি 'Best alternative of google search engine' লিখে সার্চ করে। আর গুগল যদি সেই সার্চ কোয়েরির ৩ লাখ উত্তর দেখায় তবে সেইটা হল একটা Ironic ঘটনা।

বদি ভাইঃ আরে বাহ! দারুণ উদাহরণ দিলা তো!
নাহ, ভুল বলছি। তোমারে দিয়েও হবে। ঠিকমত টিউনিং করতে পারলে তোমারে দিয়েও আলেকজেণ্ডারের মত বিশ্ব জয় করা যাবে।

রঞ্জুঃ থেংকু বদি ভাই!





সোমবার, অক্টোবর ১৭, ২০১৬

রম্যঃ বিল আর জব্‌স এর গোপন কথোপকথন


স্টিভ জব্‌স গত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর হল। প্রযুক্তির মানুষ, তার উপর প্রতিভাবান। শান্তির ঘুম ঘুমিয়েও ওপারে শান্ত ছেলের মত বসে থাকতে পারেন নি। ওপারে গিয়েই সকলের খোজ খবর নিতে আর প্রিয় বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করার জন্যে একটা স্পেশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেললেন। তারপর সেই গোপন নেটওয়ার্কের অতি গোপন এক চ্যানেল দিয়ে যোগাযোগ করলেন প্রাণপ্রিয়(!) বন্ধু বিল গেট্‌সের সাথে। কিন্তু আমাদের দুষ্টু হ্যাকারেরা ঠিকই সেই অতি গোপন চ্যানেলের খোঁজ পেয়ে যায়। আর সেখানেই কান পেতে শুনে নেয় দুই বন্ধুর কথোপকথন...

রিং রিং টিং....রিং রিং... টিং...

বিল গেট্‌সঃ হ্যালো!

স্টিভ জব্‌সঃ কি হে বন্ধু! কেমন আছো?

বিল গেট্‌সঃ আরে! জব্‌স নাকি? কি খবর ভায়া?

স্টিভ জব্‌সঃ খবর তো সব তোমাদের কাছে, আমি তো সব খবরের বাইরে চলে এলাম। ভুলে গেলে?

বিল গেট্‌সঃ আরে কি যে বল না। তোমাকে কি আর চাইলেই ভোলা যায়? শুধু আমিই নই, বরং তোমার আবিষ্কার গুলির বদৌলতে মানুষ আমার চেয়ে বেশি তোমাকেই নিয়ে আলোচনা করে।

স্টিভ জব্‌সঃ হা হা! তাই নাকি? তাহলে নিশ্চই খুব বাজে অবস্থা চলছে দুনিয়াতে।

বিল গেট্‌সঃ তা যা বলেছ। তুমিই ভালো করেছো। নিজের নামের সাথে সম্মানটাকে নিয়ে আগেই কেটে পড়েছ। আর আমরা রয়ে গেলাম বদনামের সকল কোটা পূরণ করার জন্যে।

স্টিভ জব্‌সঃ আরেহ্‌ নাহ! দেখছি তো কি অবস্থা চলছে ওখানে। সেদিন দেখলাম আমার কোম্পানি iPhone 7 রিলিজ করেছে। আহাম্মক গুলি নিজে থেকে এখনো কিছুই করতে পারছে না। আমার হ্যান্ড স্কেচ গুলি উল্টো পাল্টা কোনরকম বুঝে iPhone এর নামটাকে বদনাম করছে দিন দিন। আর সেই বদনামের ভাগীদার এপারে বসে আমিও হচ্ছি সমান তালে।

বিল গেট্‌সঃ আচ্ছা, বাদ দাও ওসব কথা। তোমার কথা বল। তোমার ওদিকে সময় কেমন কাটছে? আচ্ছা ওপারের ব্যাপার স্যাপার কেমন, একটু বল তো শুনি।

স্টিভ জব্‌সঃ এপারের ব্যাপার স্যাপার একদম মন্দ না। তবে তোমার জন্যে খুব বড় একটা দুঃসংবাদ আছে বন্ধু।

বিল গেট্‌সঃ দুঃসংবাদ! বল কি? এখনো তো ওপারে গেলামই না, তার আগেই দুঃসংবাদ! তা কি দুঃসংবাদ একটু বলবে?

স্টিভ জব্‌সঃ হ্যাঁ, বিরাট দুঃসংবাদ বলতে পারো। এপারে সবই আছে, কিন্তু কোন বাউন্ডারি নেই।

বিল গেট্‌সঃ এ্যা! তা এটা কেমন দুঃসংবাদ হল?

স্টিভ জব্‌সঃ আহা! বুঝছো না কেন? সৃষ্টিকর্তা খুব চালাকির সাথে এই কাজটা করেছেন। তিনি কোন বাউন্ডারিই রাখেন নি কোথাও। আর তাই এপারে করাও কারও windows (জানালা) কিংবা Gates (দরজা) এরও প্রয়োজন হয় না।

বিল গেট্‌সঃ ওহো! তবে বিরাট দুঃসংবাদই বলতে হয়। তবে আমার মনে হয় কি জানো? দুঃসংবাদ আমার জন্যে যেমনই হোক, তোমার দুঃখ বোধ কিন্তু এপারের তুলনায় ওপারেই বেশিই।

স্টিভ জব্‌সঃ কেন? কেন?? আমার দুঃখ বোধ বেশি হবে কেন?

বিল গেট্‌সঃ না, মানে..। আসলে সৃষ্টিকর্তা তো সৃষ্টির শুরুতেই Apple(আপেল) ধরা-ছোঁয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। আর তার উপর তুমি ওপারে যাবার আগেই সবাইকে বুঝিয়ে-পড়িয়ে দিয়েছিলে যে Apple এর দাম কেমন চড়া হতে পারে। তাই বোধ করি ওপারে Apple প্রোডাক্ট কেউ লোভে পড়েও ধরে ছুঁয়ে দেখবার ইচ্ছে করবে না।

স্টিভ জব্‌সঃ তা অবশ্য খারাপ বল নি। তবে কি জানো? এপারে কিন্তু Apple এর জন্যে কিন্তু কোন Bill করা হয় না, একদম ফ্রি। এখানে-সেখানে ঝুলে আছে। আর ভয়েস কমান্ড আর মাইন্ড রিডিং সিস্টেম এত উন্নত যে, কারও ইচ্ছে হলে ওগুলি না ছুঁয়েই নিজেদের কাজ অনায়াসে করে নিতে পারে।

বিল গেট্‌সঃ তাহলে তো ব্যাপারটা তোমার জন্যে ব্যালেন্স হল মনে হচ্ছে।

স্টিভ জব্‌সঃ কেমন? কেমন??

বিল গেট্‌সঃ মানে এপারে তোমার কোম্পানিটা তোমাকে ছাড়া Jobs Less, আর ওপারে তুমি নিজে Jobs Less। তবে তুমি তাতে খুব বেশি বিচলিত হয়ো না। যেভাবে আইফোনের ডেভেলপমেন্ট এগুচ্ছে তাতে অচিরেই তোমার কর্মীরাও Steve-এর শূন্যতা মানে Jobs Less অবস্থাটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারবে।

স্টিভ জব্‌সঃ হা হা হা! আচ্ছা বন্ধু, উঠতে হচ্ছে এখন। গার্ডটা সম্ভবত এই নেটওয়ার্কের খবর টের পেতে শুরু করেছে। পাই পাই করে এদিক সেদিক খোঁজা খুঁজি করছে।

বিল গেট্‌সঃ আচ্ছা যাও, তবে সময় পেলে আবার যোগাযোগ করো কিন্তু।

স্টিভ জব্‌সঃ করবো করবো! অবশ্যই করবো। আর সেটা সম্ভব না হলে তোমাকেই এপারে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবো 😉





সোমবার, জুলাই ২৫, ২০১৬

বদি এণ্ড রঞ্জুর কথোপকথন — ৬



বদি ভাইঃ রঞ্জু, তুই মুভি দেখিস?

রঞ্জুঃ দেখি তো বদি ভাই!

বদি ভাইঃ কি কি মুভি দেখিস?

রঞ্জুঃ বাংলা, ইংলিশ কিছু কিছু হিন্দি, কোরিয়ান, জাপানি, থাই সহ প্রায় সব ধরণের মুভিই দেখি। কেন বদি ভাই?

বদি ভাইঃ এই যে এত মুভি দেখেছিস ঐগুলির মাঝে কোন ভাম্পায়ারের মুভি ছিল না?

রঞ্জুঃ হ্যাঁ, ছিল তো। এই তো কিছুদিন আগে ডিজনি'র রিলিজ করা হোটেল ট্রানসিলভেনিয়া-২ দেখলাম। অসাম মুভি একটা।

বদি ভাইঃ হুম, অসাম মুভি। বুঝলাম।

রঞ্জুঃ কেন বদি ভাই! কোন সমস্যা?

বদি ভাইঃ না কোন সমস্যা না। আচ্ছা ঐ যে ভাম্পায়ার ছিল, ওরা কি খেয়ে বেঁচে থাকে বল তো দেখি।

রঞ্জুঃ ইয়ে! মানে... মুভিতে তো দেখায় ভাম্পায়ারেরা মানুষের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে।

বদি ভাইঃ হুম, ভাম্পায়ার চরিত্রটার চরিত্রায়ন করা হয়েছে এমন ভাবে যেখানে দেখানো হয় ঐগুলি মানুষের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। আগে তো ভাম্পায়ার শুধু ভৌতিক সাসপেন্স আর ভায়োলেন্স যুক্ত মুভিতেই ভাম্পায়ারের চরিত্র থাকত। তবে এখন ভাম্পায়ারের চরিত্রের প্রসার ঘটেছে অনেক। রোমান্টিক, কমেডি, যুদ্ধ, কভার্টস্ট্রাইক টাইপের মুভিতেও চলে এসেছে ভাম্পায়ার। আর সাথে ডিজনি তো রয়েছেই তাদের চমৎকার সৃষ্টিশীল কাজ নিয়ে।

রঞ্জুঃ বুঝলাম। কিন্তু আজ আপনি হুট করে ভাম্পায়ার নিয়ে এত কিছু কেন বলছেন ঐটাই শুধু বুঝতে পারি নাই।

বদি ভাইঃ হা হা হা! বুঝিস নাই!
আসলে ভাবিতেছিলাম রঞ্জু, এই যে ভাম্পায়ার গুলিরে ওরা বানাইল। তারপর এত শত ব্যবহার করল। কিন্তু তারপরেও ভাম্পায়ারের খাবারের কিন্তু কোন পরিবর্তন করতে পারলো না। সেই আগের মতই সব ভাম্পায়ার মানুষের রক্তই খাইয়্যা বাইচ্চা থাকে। চিন্তা করে দেখো তো দুনিয়াতে এত এত খাবার থাকতে ভাম্পায়ার গুলিরে নাকি হুদা মানুষের রক্ত খাইয়্যা বাইচ্চা থাকতে হয়!

রঞ্জুঃ হুম, সেইটা তো আসলেই ভাববার মত বিষয়।

বদি ভাইঃ আচ্ছা বলতো রঞ্জু, ভাম্পায়ার গুলির চরিত্র এমন করে কেন তৈরি করেছে, যে সে না চাইলেও বাধ্য তাকে হয়ে মানুষের রক্ত খেতেই হয়?

রঞ্জুঃ কেন বদি ভাই?!

বদি ভাইঃ তোর ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি যারপরনাই হতাশ রঞ্জু! তুই এখনো ওয়াইড মাইন্ডে কিছু বোঝার চেষ্টা করিস না! এমন করে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে যে তোর কি হবে তাই নিয়ে আমি বড়ই শঙ্কায় থাকি মাঝে মাঝে।

রঞ্জুঃ আহ্‌ বদি ভাই! আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে পরে শঙ্কা করলেও চলবে, আগে আপনে বলেন কেন ভাম্পায়ার গুলিকে অনিচ্ছাতেও রক্ত খেতে হয়।

বদি ভাইঃ আচ্ছা শোন মন দিয়ে।
ভাম্পায়ারের মুভিতে তো দেখেছিস, ওরা হাজার হাজার বছর কফিনে বসবাস করে। দিনের বেলাতে ঘুম আর সন্ধ্যার পর জেগে উঠে। তারপর যায় মানুষের রক্তের সন্ধানে।

রঞ্জুঃ হুম দেখেছি।

বদি ভাইঃ আবার এইটাও নিশ্চই দেখেছিস যে ওরা সূর্যের আলো সহ্য করতে পারে না। সূর্যের আলো গায়ে পড়লে হয় ধোঁয়া হয়ে উড়ে যায় কিংবা বালির মত ঝড়ে যায়।

রঞ্জুঃ হ্যাঁ, এটাও দেখেছি। ওদের জন্যে সূর্যের আলো হচ্ছে মৃত্যু স্পর্শের সমতুল্য।

বদি ভাইঃ তাহলে এই থেকে কি প্রমাণ হয়?

রঞ্জুঃ কি প্রমাণ হয় বদি ভাই!!

বদি ভাইঃ আরে গাধা এই থেকে প্রমাণ হয় যে জন্মের পর ওরা আমাদের মত সূর্যের আলো গায়ে মেখে ভিটামিন 'ডি' নিতে পারে না। আর ভিটামিন 'ডি' না থাকলে শরীরের হাড়গোড় শক্ত হয় না। আর হাড়গোড় শক্ত না হলে হাজার হাজার বছর ক্যামনে বেঁচে থাকবে বল?
তাই ওরা শুধুমাত্র ভিটামিন 'ডি' পাওয়ার জন্যে অনিচ্ছাতেও মানুষের রক্ত খেয়ে বেড়ায়! বুঝলি রে আহাম্মক!

রঞ্জুঃ হা হা হা হা!
একেবারে টু দ্যা পয়েন্টে বুঝতে পেরেছি!






বুধবার, জুলাই ২০, ২০১৬

বদি এণ্ড রঞ্জুর কথোপকথন — ৫



বদি ভাইঃ বলত রঞ্জু, একজন ভালো লেখক সেটা কিভাবে যাচাই করা যায়?

রঞ্জুঃ কিভাবে বদি ভাই?

বদি ভাইঃ কিভাবে সেইটাই তো আমি তোমাকে জিজ্ঞাস করলাম।

রঞ্জুঃ উম্‌ম, সবাই যখন তার লেখা পড়বে তখন তাকে ভালো লেখক বলা যায়।

বদি ভাইঃ তা তো অবশ্যই যায়।
কিন্তু চিন্তা কর এমন তো অনেক লেখকই রয়েছে যাদের লেখা প্রায় সকলেই পড়ে। তাহলে এই ভালো লেখকদের মাঝেও আরও ভালো লেখক কে, তা কিভাবে বুঝবা?

রঞ্জুঃ ভালো লেখকদের মাঝেও আরও ভালো লেখক থাকে নাকি? ভালো লেখক মানেই তো যে ভালো লিখে। আর সেই কারণেই তো সে ভাল লেখক।

বদি ভাইঃ উহু, এই ভালো লেখকদের মাঝেও আরও ভালো লেখক থাকে রঞ্জু।

রঞ্জুঃ কিভাবে? বুঝিয়ে বলেন না একটু।

বদি ভাইঃ এই হল তোমার সমস্যা। নিজে নিজে ভালো ভাবে কিছুই চিন্তা করবা না, শুরুতেই হাল ছেড়ে দিবা। তোমারে নিয়ে আমি বড়ই হতাশ রঞ্জু।

রঞ্জুঃ আহ! বলেন না। কিভাবে আরও ভালো লেখক যাচাই করে বের করব?

বদি ভাইঃ আচ্ছা শোন।
লেখক কোন লেখা লিখলে অবশ্যই কোন না কোন পাঠক তা পড়বে। আর পাঠকের সংখ্যা যত বাড়বে লেখকের মূল্যায়ন তত বাড়বে, আর মূল্য বাড়ে তার লেখার। কিন্তু সবার লেখার কিন্তু একই মূল্যায়ন সকল পাঠকের কাছে থাকে না। পাঠকের স্বাদের ভিন্নতার কারণে লেখার মূল্যেরও পরিবর্তন হয়।

একটা লেখা যখন কিছু মানুষের কাছে খুব ভালো লাগবে, তখন ঐ একই লেখা অন্য কিছু লোকের কাছে খুবই বাজে মনে হবে। আর যাদের কাছে ঐ লেখাটা বাজে মনে হল তারা কিন্তু লেখকেও বাজে লেখক হিসেবেই ধরে নেবে।

আর সাধারণত কোন লেখকের লেখা খারাপ হলে পাঠক ঐ লেখকের আর কোন লেখা পড়তে যায় না।

রঞ্জুঃ এটাই তো স্বাভাবিক।

বদি ভাইঃ হ্যাঁ, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এমন হয় যে কেউ একজন লেখক আছে, যার লেখা তোমার মোটেই ভালো লাগে না। কিন্তু তোমার পরিচিত কিংবা অপরিচিত কেউ কেউ ঐ লেখকের লেখায় অনেক মজা পেল। আর তুমিও সেটা জানতে পারলে। তখন তুমি কি করবে?

রঞ্জুঃ কি আর করব? যদি খুব ভালো প্রশংসা শুনি তবে অবশ্যই তার অন্য কোন লেখা পড়ব।

বদি ভাইঃ আচ্ছা। তার অন্য কোন লেখা তুমি পড়লা। কিন্তু লেখা পড়ার পর তোমার কাছে মনে হল এটাও সেই আগের মতই বাজে লেখা, তখন কি করবে?

রঞ্জুঃ তার লেখা পড়া পুরোপুরিই বাদ দিবো।

বদি ভাইঃ হ্যাঁ, এতক্ষণে তুমি লাইনে আসছো রঞ্জু।
কোন একজন লেখকের লেখা তোমার যতই খারাপ লাগুক, তারপরও যখন তার লেখা কত খারাপ এইটা জানার জন্যে তুমি তার অন্য লেখা প্রায় নিয়মিত পড় তাহলে বুঝতে হবে লেখকটি শুধু ভালোই নয়, সমসাময়িক অন্য লেখকদের তুলনায় অনেক বেশি ভালো লিখে।

তেমনি একজন লেখক যত বাজেই হোক না কেন, তার কাজে তুমি যতই বিরক্ত হও না কেন। তাকে ছাপিয়েও যখন তার লেখা তোমার ভালো লাগবে তখনও বুঝবে তুমি একজন চমৎকার লেখকের লেখা পড়ছ।

রঞ্জুঃ আচ্ছা! তাই বলেন।
কিন্তু বদি ভাই, এমন তো অনেক লেখকই রয়েছে যাদের একটা লেখা খারাপ হলেও অন্য লেখাগুলি পরবর্তীতে ভালো লেগেছে।

বদি ভাইঃ হ্যাঁ, এমন লেখকও রয়েছে। তবে তুমি ভালো করে চিন্তা করে দেখো, তাদের মাঝেও কেউ একজন রয়েছে, যাকে নিয়ে মানুষ অনেক খারাপ মনোভাব প্রকাশ করে। কিন্তু হাজার খারাপ হলেও তার লেখা ঠিকই মনোযোগ দিয়েই পড়ে।

রঞ্জুঃ হ্যাঁ, এমন লেখকও রয়েছে।

বদি ভাইঃ তাহলে এখন বুঝছো তো একজন ভালো লেখক কিভাবে যাচাই করা যায়?

রঞ্জুঃ হুম, এবার বুঝতে পেরেছি।







শুক্রবার, মে ০৬, ২০১৬

অসম্ভব কল্পনা - গেটস্‌ এবং জব্‌স এর অলীক গল্প!



ধরুন মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং এ্যাপল ইন্‌ক এর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জব্‌স একদম প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের আইডিয়া গুলি নিয়ে একত্রে কাজ করতে শুরু করল। তারপর ব্যাপারটা কি ঘটতে পারত?

তাহলে দুইটি ব্যাপার ঘটতে পারত-

১ম ঘটনাঃ
মাইক্রোসফট এর বিল গেটস এবং এপল এর স্টিভ জব্‌স মিলে তাদের আইডিয়া প্রতিষ্ঠা করতে পারল। এবং তারা তাদের আইডিয়ার ব্যবসায়িক নাম দিল "মাইক্রো এ্যাপল"। প্রযুক্তি দুনিয়াতে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আর কেউ কোনভাবেই টিকতে পারল না!

২য় ঘটনাঃ
মাইক্রোসফট এর বিল গেটস এবং এপল এর স্টিভ জব্‌স মিলে তাদের আইডিয়া প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করতে শুরু করল। কিছুদিন পর স্টিভ জবস বিল গেট্‌স এর একটা কোর প্রোগ্রামের ডিজাইন বাতিল করে তার কোর ডিজাইন তাদের সিস্টেমে ইনপ্লান্ট করল। এর কিছুদিন পর বিল গেটস স্টিভ জবস এর তৈরি করা ইন্টারফেস প্রোগ্রামটা ফেলে দিয়ে তার পছন্দের ইন্টারফেস প্রোগ্রাম ইন্টিগ্রিট করল।
ফলাফল, বছর না ঘুরতেই তাদের মাঝে প্রচণ্ড দ্বন্দ্ব দেখা দিল। এবং অবস্থা এমন দাঁড়াল যে তাদের কোন আইডিয়াই তারা বাস্তবায়ন করতে না পেরে সব ছেড়ে ছুড়ে নতুন করে ভিন্ন কিছুর দিকে ঝুঁকে পড়ল।



উভয় ঘটনার ফলাফল হচ্ছে-
"বিশ্ব বঞ্চিত হল চমৎকার দুই অপারেটিং সিস্টেমের প্রাপ্তি হতে"




আরও একটি ঘটনা হতে পারত। তবে সেই ঘটনাটা ঘটিবার জন্যে তাদের উভয়কে জন্মসূত্রে বাঙ্গালী হওয়া প্রয়োজন। যেহেতু তারা কেউই জন্মসূত্রে বাংলাদেশী নন, তাই আপাতত সেই কল্পনা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকলাম।






রবিবার, অক্টোবর ২৫, ২০১৫

বদি এণ্ড রঞ্জুর কথোপকথন —  ৪



বদি ভাইঃ বলতো রঞ্জু ভালো মানুষের ভালোমানুষি কখন কাজে আসে?

রঞ্জুঃ এইটা আবার কেমন প্রশ্ন বদি ভাই!

বদি ভাইঃ আহ্‌! প্রশ্ন হইল প্রশ্ন, প্রশ্নের কোন এমন তেমন নাই। এখন দ্রুত করে বল তো, ভালোমানুষের ভালোমানুষি কখন কাজে আসে?

রঞ্জুঃ আমার তো মনে হয় সবসময়ই কাজে লাগে।

বদি ভাইঃ সেটা একেবারে ভুল বল নাই। তবে সেই কাজে লাগাটা মূলত তার নিজের লাগে না। তার ভালো কাজ গুলি অন্যের কাজে লাগে।

রঞ্জুঃ সেটাই তো হবার কথা।

বদি ভাইঃ হুম, সেইটাই হবার কথা। কিন্তু মূলত তার এই ভালো কাজ গুলি কখন তার নিজের সত্যিকারে কাজে লাগে এইটা বলতে পারবা?

রঞ্জুঃ নাহ্‌, পারলাম না। আপনিই বলে দেন।

বদি ভাইঃ তোমারে নিয়ে আমি বড়ই হতাশ রঞ্জু। এত দ্রুত হাল ছেড়ে দাও না, তোমাকে পুরাই হোপলেস মনে হয়।

রঞ্জুঃ আচ্ছা, বুঝলাম তো। এইবার বলেন কখন মানুষের ভালো কাজ তার নিজের কাজে আসে।

বদি ভাইঃ মানুষের ভালো কাজ দুইটা অবস্থায় কাজে আসে। প্রথম যখন সে খুব.. খুব… খুবই অসুস্থ থাকে, তখন। আর দ্বিতীয় যখন সে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে ইহলোকে পাড়ি জমায়, তখন।

রঞ্জুঃ এইসব কি বলেন! তখন কিভাবে কাজে আসে তার ভালো কাজ!

বদি ভাইঃ বুঝলা না! এত অবুঝ হইলে কেমনে চলে!

রঞ্জুঃ আচ্ছা আমি অবুঝই ঠিক আছি, আপনি আছেন না আমাকে বুঝিয়ে বলার জন্যে। এবার বলেন, কিভাবে কাজে আসে?

বদি ভাইঃ খেয়াল করে দেখো, যখন কোন ভালো মানুষ গুরুতর অসুস্থ থাকে তখন সবাই মুখে মুখে বলবে, ‘আহা! কত ভালো মানুষ ছিল। এমন রোগ তার কেমনে করে হল’। আবার যখন কেউ মারা যায় তখন তো তার বাড়ি গিয়েই তার পরিবার পরিজনের সাথে বলবে, “ইশ! এমন ভালো লোকটা এমন করে চলে গেল!” আর তারপর সে যে কি পরিমাণ ভালো সেইটার ফিরিস্তি দিতে শুরু করবে।

রঞ্জুঃ কিন্তু এইসবই তো সমবেদনা, সান্ত্বনার কথা। এগুলি কিভাবে তার কাজে আসে।

বদি ভাইঃ হ্যাঁ, এইবার আবার একটা ঠিক কথা বলছো তুমি রঞ্জু। মানুষের ভালোকাজ গুলি একমাত্র তার অবর্তমানে মানুষের সমবেদনা কিংবা সান্ত্বনার ভাষায় প্রকাশ পায়। আর ঐটুকুই তার প্রাপ্তি।

রঞ্জুঃ তাহলে মানুষের খারাপ কাজ কখন কাজে আসে?

বদি ভাইঃ হা! হা! হা! হা! ঐটা কোন সময় কাজে আসে না সেইটা বল!