ইব্রাহীম গাজীর খোঁজে বের হয়েছিল কাজল, গন্তব্য ছিল জলেশ্বরীর পানে। সেই খোঁজ দীর্ঘ এক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা এনে দেয় তাকে। সেখানে সে সভ্যতার মুখোশের আড়ালে আদিম মানুষের প্রকৃত রূপ খুঁজে পায়। খুঁজে পায় লাজ, ইজ্জত আর অহংকার চূর্ণ হবার একমাত্র কারণ ‘ক্ষুধা’ কে। খুঁজে পায় তপসী নামের এক মানবীকে, খুঁজে পায় প্রাণের রক্ষাকারী বুজিকে। পরিচয় ঘটে এমন এক মানুষের সঙ্গে যে গোর খোঁড়ার জন্যে হন্যে হয়ে গ্রামের পর গ্রাম ছুটে বেড়াচ্ছে।
অতঃপর সেই গোর খোদক আসাদ উদ্দীনকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় মহামারির দিকে। সেখানে পৌঁছে দেখে তপসীর ভিন্ন আরেক রূপ। খুঁজে পায় ভিন্ন আরেক তপসীকে, জানতে পারে প্রকৃত তপসীকে। কত পরম মমতায় তপসী তাদের আপন হয়ে গিয়েছে সেখানে। আবার সেই প্রাণের আত্মীয়ই কিভাবে 'ধর্ম'কে ভর করে কুৎসিত রূপে রূপ লাভ করে, তা সে সেখানেই দেখতে পায়।
এত কিছুর পর যখন সে ইব্রাহীম গাজীকে খুঁজে পায় তখন বুঝতে পারে, কতই মিথ্যে পরিচয়ে বেঁচে ছিল এতকাল….
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন