বুধবার, জুলাই ০৮, ২০১৫

অন্ধকারের আলোয় ডেকে যাওয়া কাক



শহর জুড়ে অন্ধকারের আলো বিস্তৃত, 
তুমি কি দেখো?
একা কাক ডেকে যায় বিরামহীন,
তুমি কি শোন?

এখানে এক আকাশ জুড়ে কৃত্রিম আলোয় আলোকিত মহল,
এখানে ছুটে বেড়ায় মৃত যত লোভী মানুষের দল,
এখানে বিরামহীন চাহিদার নেই কোন ক্লান্তি,
এখানে আত্মারা পায় না কখনো যে শান্তি...

তবুও ছুটে চলা,
তবুও লাইনের পর লাইন ধরে 
নিয়ম মেনে এগিয়ে চলা..
তবুও উপেক্ষা করা,
তবুও স্বপ্নের হাতছানি 
দেখেও না দেখার ভান করা...

এখানে কারও হয় না সময়,
এক পলক এই অন্ধকারের আলো দেখায়।
এখানে কারও আসে না বিরক্তি,
বিরামহীন কর্কশ কাকের ডান শোনায়।






আত্মকথন - ০৮ জুলাই'১৫

কাছের বন্ধুর সংখ্যা বরাবরই কম ছিল। হাতের কড় গুনলে দুই আঙ্গুলের মাঝেই কাজ হয়ে যাবে এমন অবস্থা। আর সেই হাতের কড়ে গুনে ফেলা বন্ধুদের সাথে সময় আমাকে বরাবরই দূরত্ব এনে দিয়েছে। নিবিড় ঘনিষ্ঠতা আমি কারও সাথেই ধরে রাখতে পারি নি। তবুও এই বন্ধুরা হাল ছেড়ে দেয়নি কখনো। বলতে গেলে, তাদের আগ্রহের কারণেই তাদের সাথে এখনো  আমার 'বন্ধুত্ব'টা টিকে আছে।

এইসব বন্ধুদের মাঝে একজন প্রায় কথার প্রসঙ্গে এভাবে বলত-
"তুমি এভাবে কিভাবে পারো? তোমার অবস্থানে আমি থাকলে প্রতিটা প্রয়োজন যেভাবেই হোক আদায় করে ছাড়তাম। আর তুমি শুধু চিন্তাই কর, ছাড় দিতে থাকো.."

তার এই ডায়লগ বা কথাটা কখনোই ঐরকম করে চিন্তা করি নি। আসলে একত্রে থাকার সময় তার এমন অনেক কথাতেই আমি মজা পেতাম, এটাও তার মধ্যে একটা ছিল। কিন্তু ধারণা পাল্টাতে বাধ্য করলো কোন একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

আমি যতটা জানি, কিংবা আমার যতটুকু মনে আছে তাতে 'ছেলেটিকে' তার পরিবার সবচেয়ে বেশি আদর করতো বলেই জানতাম। আরও একটু ভালো করে বলতে গেলে বাকিদের তুলনায় তার আদর সবসময়ই সবার কাছে আলাদা ছিল। তার চাহিদা একটু ভিন্ন ভাবে হলেও বরাবরই পূরণ করার চেষ্টা করেছে তার পরিবার।

ঘটনা প্রসঙ্গে সেই "ছেলে"-ই যখন তার পরিবারকে উদ্দেশ্য করে বলে-
"আপনাদের দেখে মনে হয় আমি আপনাদের কাছে বোঝা হয়ে গিয়েছি" তখন নিজের সাথে তুলনা করে বন্ধুর বলা কথা গুলিকেই সত্যি মনে হয়। মনে হয় সত্যিই নিজের ইচ্ছের চাইতে পরিবেশ, পরিস্থিতি আর সামনে দাঁড়ানো ব্যক্তির অবস্থা বুঝে নিজের প্রয়োজন চিন্তা করাটাই জীবনের সবচেয়ে বড় বোকামি হয়ে গেছে.....



সোমবার, জুলাই ০৬, ২০১৫

স্মার্টফোন ব্যবহার করে এক শব্দে ফেসবুক প্রোফাইলের নামকরণ করার পদ্ধতি


পূর্বে আমারা দেখেছিলাম, কিভাবে ডেক্সটপ কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে ফেসবুক প্রোফাইলের এক শব্দে নামকরণ করা যায় সেই পদ্ধতি। কিন্তু হালের যুগে সকলের হাতে হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। আর যদি সেই স্মার্টফোন থেকেই কাজটি করা যায় তাহলে কাজটি আরও সুবিধা জনক হয়। আর সেই তাগিদেই আজকের পোষ্টের অবতারণা।


মোবাইলের জন্যে আমাদের দুটো এ্যাপ প্রয়োজন-


১. মোবাইল ব্রাউজার

২. প্রক্সি পরিবর্তনের এ্যাপ।

মোবাইলের ব্রাউজার হিসেবে আপনি যে কোন ব্রাউজারই ব্যবহার করতে পারবেন। আমি আমার কাজের সুবিধার্থে এখানে Opera ব্রাউজার ব্যবহার করেছি। অন্যদিকে প্রক্সি পরিবর্তনের অনেক এ্যাপই এখন Play Store এ পাওয়া যায়। তার যে কোনটি ব্যবহার করলেই আপনার কাজ হবে। আমি এখানে ‘One Click VPN‘ এ্যাপটি ব্যবহার করেছি। আপনারা সরাসরি Play Store থেকে এ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে পারেন, কিংবা সমস্যা হলে এই লিংক থেকে ডাওনলোড করে ইন্সটল করতে পারেন।


ব্রাউজার এবং প্রক্সি এ্যাপ ইন্সটলের পর নিচের ধাপ গুলি অনুসরণ করুন-






  • ধাপ ১ : প্রথমে Opera বা আপনার মোবাইল ব্রাউজার দিয়ে m.facebook.com অথবা mbasic.facebook.com সাইটে প্রবেশ করুন। এরপর আপনার Email/Phone/UserName এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।


  • ধাপ ২ : ফেসবুকে লগইন সম্পন্ন হলে আপনার প্রক্সি পরিবর্তনের সফটওয়্যার চালু করুন। যেমন আমার ক্ষেত্রে আমি “One Click VPN” সফটওয়্যারটি চালু করলাম। এ্যাপ সচল হবার কিছুক্ষনের মাঝেই সার্ভার লিস্ট চলে আসবে।


  • ধাপ ৩ : এরপর সার্ভার লিস্ট হতে আপনি Indonesia এর একটি সার্ভার খুঁজে বের করে সিলেক্ট করুন।

সিলেক্ট করার পর সেটার রং পরিবর্তন হবে।




এখন স্ক্রিনের নিচে অবস্থিত “Connect” বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৪ : VPN কানেকশন তৈরির পূর্বে একটি সতর্কবানী দেয়া হবে। আপনি “I trust this application.” লেখাটির সামনে চেক বক্সে ক্লিক করে “OK” বাটনটি সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ৫ : কিছুক্ষন অপেক্ষার পর আপনার মোবাইলের স্ক্রিনের উপরের বাম পাশে একটি চাবির চিহ্ন দেখতে পাবেন। এবং একেবারে স্ক্রিনের নিচে লেখা আসবে “Connected, Enjoy!”। অর্থাৎ আপনি VPN সার্ভারের সাহায্যে ইন্দোনেশিয়ান প্রক্সি ব্যবহার করে এখন যে কোন সাইট ব্রাউজ করার জন্যে প্রস্তুত।


  • ধাপ ৬ : এরপর “One Click VPN” এ্যাপ মিনিমাইজ করে আপনার ব্রাউজার (আমার ক্ষেত্রে OperaMini) এ চলে আসুন। ফেসবুক হোম লোড হবার পর একদম নিচের দিকে অবস্থিত “Settings & Privacy” তে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৭ : এরপর Settings ড্যাশ থেকে General সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ৮ : General ড্যাশ লোড হবার পর সেখান থেকে Language লেখাটির উপর ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৯ : এখন Language লিষ্ট হতে “Bahasa Indonesia” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১০ : পুনরায় আপনাকে ফেসবুক হোমে নিয়ে যাবে। এখন আবারও নিচে নেমে “Pengaturan & Privasi” লেখাটির উপর সিলেক্ট করুন।



  • ধাপ ১১ : এরপর Settings ড্যাশ থেকে “Umum” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১২ : Umum ড্যাশ লোড হবার পর “Nama” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১৩ : এখন তিনটি ইনপুট বক্স দেখতে পাবেন, এগুলি যথাক্রমে ‘First Name’ ‘Middle Name’ এবং ‘Last Name’ নির্দেশ করে। আপনি ‘Middle Name’ এবং ‘Last Name’ বক্সে থাকা সকল লেখা মুছে দিন এবং প্রথম বক্সে আপনি যে নামে আইডির নামকরণ করতে চাইছেন তা লিখুন। এবং সব শেষে “Tinjau Perubahan” লেখা বাটনের উপর ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৪ : নাম কনর্ফাম করার জন্যে আপনাকে পুনরায় পাসওয়ার্ড দিতে হবে। বক্সে পাসওয়ার্ড লিখে “Simpan Perubahan” লেখা বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৫ : Settings ড্যাশ রিলোড হলেই দেখতে পাবেন Nama এর নিচে আপনার দেয়া এক শব্দের নাম দেখাচ্ছে। এখন আবার Bahasa লেখাটিতে (৬ নম্বর) ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৬ : পুনরায় ভাষা নির্ধারণ লিস্ট দেখতে পাবেন। সেখান থেকে “English (US)” অথবা আপনি যে ভাষায় ফেসবুক ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সেই ভাষা নির্বাচন করুন।


ভাষা নির্ধারণ করার পর পুনরায় ফেসবুক হোমে আপনাকে নিয়ে আসা হবে। এবার আপনি উপরের Menu হতে Profile লেখাটিতে ক্লিক করুন। আপনার প্রোফাইল পেইজ লোড হবার পর সেখানে আপনার নামের স্থানে আপনার প্রদাণকৃত এক শব্দেরনামই দেখতে পাবেন।




পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে এই সুবিধাটি বিশেষ একটি পদ্ধতি (ইন্দোনেশিয়া প্রক্সি সেটিংস্‌) ব্যবহার করে উপভোগ করা যাবে। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে উক্ত সুবিধাটি শুধুই নির্দিষ্ট দেশের জন্যে দেয়া হয়েছিল। আমরা সেই সুবিধাটি ব্যবহার করেই এই “এক শব্দের নাম” সুবিধাটি নিচ্ছি। কিন্তু ফেসবুক পলিসি অনুসারে এটি আপনার সত্যিকারের নাম হলেও তা গ্রহনযোগ্য নয়। তাই এই সকল Single Name বা এক শব্দের নামের আইডি গুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফেসবুক ভেরিফিকেশন এর মধ্যে পড়ে যায়। আর সেখান থেকে নামের সঠিক মিল খুঁজে পাওয়া যায় না বলেই রিকোভার করা সম্ভব হয় না। তাই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আইডির নাম করলে তা নিজ দায়িত্বে করবেন।