প্রযুক্তি কথন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রযুক্তি কথন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, মার্চ ১০, ২০১৯

বন্ধ হচ্ছে Google+, ডেটা ব্যাকআপ করে নিন এখুনি


Google এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেবার মধ্যে অন্যতম একটি সোস্যাল সেবা হচ্ছে Google+

ফেসবুক, টুইটার এর মত এটিও একটি সোস্যাল প্লাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের লেখা, স্থিরচিত্র, এনিমেটেড চিত্র কিংবা ভিডিও প্রকাশ করতে পারত। শুধুমাত্র গুগলের একাউন্ট ব্যবহার করেই অন্যান্য অনেক সুবিধার সাথে গুগল তাদের এই সোস্যাল সেবাটি ব্যবহারীকে ব্যবহার করতে দিত।

কিন্তু গেল বছর গুগলের ডেভেলপার প্লাটফর্মে গুগল প্লাসের নিরাপত্তা ত্রুটির কারণ দেখিয়ে বন্ধ করার ঘোষনা দেয় তারা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-কে তারা জানায়, গুগল গত মার্চেই তাদের এই নিরাপত্তা ত্রুটিটি ধরতে পেরেছে। আর এই ত্রুটির কারণে নতুন করে কোন সরকারী নীতিমালা লঙ্ঘনের জটিলতা এড়াতে ও টেক ওয়াল্ডে নিজেদের ভাবমূর্তি ধরে রাখতেই প্রাথমিক ভাবে তারা ত্রুটির এই ব্যাপারটি গোপন করে। কিন্তু যখন ত্রুটির এই ব্যাপারটি লিক হয়ে গনমাধ্যমে চলে আসে, তখনই গুগলের শেয়ারের দাম ২ শতাংশ কমে যায়।


২০১১ সালে প্রকাশের পর গত বছর পর্যন্ত গুগল প্লাস সকলের জন্যে অবমুক্ত থাকলেও অন্য সকল সোস্যাল মিডিয়ার তুলনায় গুগল প্লাসের ব্যবহারকারী ছিল খুবই নগন্য। এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন রেজিস্টার্ড ইউজারের বিপরীতে সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল ৩৯৫ মিলিয়ন। কিন্তু এই বিশাল ব্যবহারকারীরা দিনে গড়ে মাত্র ৫ মিনিট (প্রায়) সময় কাটাতো গুগল প্লাসের পেছনে।

গুগল প্লাস বন্ধ হলে বর্তমান সকল ব্যবহারকারীর প্রোফাইল(একাউন্ট) ও পেইজও মুছে যাবে। গুগল প্লাসে পোষ্ট করা সকল ছবি, ভিডিও গায়েব হবে গুগল প্লাস বন্ধ হবার সাথে সাথেই। তাই গুগল তাদের ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে তাদের সকল গুগল প্লাস ডাটা ব্যকআপ ও ডাওনলোডের সুবিধা চালু করেছে। যাতে গুগল প্লাস বন্ধ হলেও তাদের পোষ্ট, ছবি আর ভিডিও গুলো ব্যবহারকারী থেকে হারিয়ে না যায়। তবে এই সুবিধাটি কাজ করবে গুগল প্লাস বন্ধ হবার আগেই। গুগল প্লাস বন্ধ হলে এই সুবিধাটি আর কাজ করবে না।


কিভাবে ব্যাকআপ নিবেন আপনার গুগল প্লাসের ডেটা?

গুগল প্লাসের ডেটা ব্যাকআপ নেবার জন্যে প্রথমে ব্রাউজারে আপনি আপনার গুগল একাউন্টে লগইন করুন। লগইন শেষে নিম্নবর্ণত ধাপ গুলো অনুসরণ করুন-


  • সাধারণ ভাবে এই পৃষ্ঠাটিতে আপনার গুগল প্লাসের সকল পোষ্ট, ছবি, ভিডিও, কম্যুনিটি ডেটা ব্যাকআপ করার জন্যে পূর্ব থেকেই সিলেক্ট করা থাকবে। তারপরও যদি আপনি কোন নির্ধারিত বিষয় বন্তু বাদ দিতে বা যুক্ত করতে চান তাহলে 'All Google+ Stream data included' লেখাটিতে ক্লিক করুন। তারপর লিস্ট থেকে পছন্দ মত ডেটা সিলেক্ট করুন কিংবা বাদ দিয়ে দিন।
     
  • পছন্দমত ব্যাকআপ করার ডেটা সিলেকশনের পর 'Next step' বাটনে ক্লিক করুন।



  • নতুন ফর্মে থাকা Delivery method থেকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী Delivery মেথড পছন্দ করুন। এখানে ৫ ধরণের মেথড রয়েছে-
    - Send download link via email(আপনার ফাইল গুলোর ডাওনলোড লিংক আপনাকে মেইলের মাধ্যমে পাঠাবে)
    - Add to Drive(আপনার গুগল প্লাসের ব্যাকআপ ফাইল আপনার গুগল ড্রাইভেই সংরক্ষণ করবে)
    - Add to Dropbox(আপনার গুগল প্লাসের ব্যাকআপ আপনার Dropbox একাউন্টে সংরক্ষণ করার সুবিধা দিবে)
    - Add to OneDrive(আপনার গুগল প্লাসের ব্যাকআপ আপনার OneDrive একাউন্টে সংরক্ষণ করার সুবিধা দিবে)
    -Add to Box(আপনার গুগল প্লাসের ব্যাকআপ আপনার Box একাউন্টে সংরক্ষণ করার সুবিধা দিবে)
     
  • File type থেকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী ফাইলের ধরণ নির্ধারণ করুন। .zip ফাইল সাধারণত Windows অপারেটিং সিস্টেমে কোন এ্যাপ ছাড়াই এক্সেস করা যায়। আর .tgz ফাইল ব্যবহার করতে হলে windows অপারেটিং সিস্টেমে আপনাকে 7-zip বা PeaZip এ্যাপের মত কোন এ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
     
  • Archive size থেকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী আর্কাইভ সাইজ সিলেক্ট করুন। আপনি যদি স্বল্প প্যাকেজের নেট ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে Archive সাইজ থেকে 1GB বা 2GB সিলেক্ট করুন। আর যদি ব্যান্ডউইথ নিয়ে ঝামেলা না থাকে তাহলে 10GB অথবা 50GB-র যে কোন একটি সিলেক্ট করতে পারেন। তবে আমার পরামর্শ হিসেবে আমি বলবো আপনি আপনার Archive ফাইল গুলো 2GB করে আর্কাইভ করুন। এতে আপনার ফাইল ডাওনলোড এবং স্থানান্তর সুবিধা উভয়ই সহজ হবে।
     
  • এরপর 'Create archive' বাটনটিতে ক্লিক করুন। তবে আপনি যদি Delivery method সিস্টেমে Add to Dropbox, Add to OneDrive অথবা Add to Box সিলেক্ট করে থাকেন তাহলে সব শেষে 'Link account and create archive'  বাটনে ক্লিক করে আপনার Dropbox, OneDrive বা Box একাউন্টের সাথে লিংক করে দিতে হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহজেই আপনি আপনার ব্যাকআপ ফাইলটি Dropbox, OneDrive বা Box একাউন্টে পেয়ে যাবেন।

এখন আপনাকে বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। আপনার গুগল প্লাসের এক্টিভিটি এবং পোষ্টের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে আপনার অপেক্ষার সময়ের দৈর্ঘ কম/বেশি হবে। ব্যাকআপ শেষে আপনাকে মেইলের মাধ্যমে আপনার ব্যাকআপ ডাওনলোড করার লিংক জানিয়ে দেয়া হবে। 





তথ্যসূত্রঃ Google, Dustn.tv

শনিবার, আগস্ট ২৫, ২০১৮

২৭ বছরে লিনাক্স!


একটি কম্পিউটারকে চালাতে গেলে একটি চালক বা অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন পড়ে। শুরুতে কম্পিউটার বলতে মানুষ বুঝতো বিশাল বিশাল মেশিন। আর সেই মেশিন দিয়ে করা হতো খুব গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু কাজকর্ম। কিন্তু তার সবই আটকে থাকতো মেশিনকে কাজ করানোর জন্যে অপারেটিং সিস্টেমের দূর্বলতার সামনে। 

অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে অনেকেই কাজ করছিল তখন। প্রতিটা মেশিনের জন্যে আলাদা আলাদা করে অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা হতে লাগলো। পোর্ট করে একটা একটা ফিচার একটা একটা মাইক্রোপ্রসেসরে যুক্ত করা শুরু হলো। কিন্তু এইসবই আটকে থাকলো ব্যবসায়িক ধ্যাণ ধারণাকে সামনে রেখে। 

ধরুন আপনি একটি মেশিনের মালিক, এবং আপনার টাকা দিয়ে কেনা একটি অপারেটিং সিস্টেমও রয়েছে তাকে চালাবার জন্যে। কিন্তু সেই অপারেটিং সিস্টেমটি আপনার মেশিনকে দিয়ে আপনি যা করতে চাচ্ছেন তা করতে পারছে না। এমন অব্স্থায় যদি আপনি আপনার অপারেটিং সিস্টেমটার দুটো ফিচার পরিবর্তন করে নিতে পারেন, তাহলেই আপনার কাজ ঠিক মত হবে। কিন্তু চাইলেই আপনি এই কাজটা করতে পারবেন না। কারণ এটি করার অনুমতি আপনার নেই!



তখনকার প্রায় সকল অপারেটিং সিস্টেমের মত এমনই প্রতিবন্ধকতা ছিল মিনিক্স (Minix) অপারেটিং সিস্টেমেও। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এক সুইডিস যুবক নিজের 386 পিনের মাইক্রোপ্রসেসরের জন্যে মিনিক্সের আদতে একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরির কাজ শুরু করল। সেই যুবকটির নাম লিনুস বেনেদিক্‌ত তোরভাল্দ্‌স। লিনুস কাজ শুরুর প্রায় ৪ মাস পর তার কাজের একটি ছোট সংস্করণ সকলের জন্যে উন্মুক্ত করে দিল। আর তার সাথে চাইলো মানুষের মতামত।

লিনাক্স সম্পর্কে তার প্রথম বার্তাটির অনুবাদ নিচে তুলে দিলাম- 

হইতে: torvalds@klaava.Helsinki.FI (লিনুস বেনেডিক্ট টোভাল্ডস)
নিউজগ্রুপ: comp.os.minix
বিষয়: আপনি মিনিক্সে সর্বাধিক কি দেখতে চান?
সারাংশ: আমার নতুন অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ছোট জরিপ
বার্তা-ক্রম: <1991Aug25.205708.9541@klaava.Helsinki.FI>
তারিখ: ২৫ আগস্ট ৯১ ২০:৫৭:০৮ GMT
সংগঠন: University of Helsinki
হ্যালো মিনিক্স ব্যবহারকারীগন–
আমি ৩৮৬ এটি ক্লোন  একটি প্রসেসরের জন্যে একটি অপারেটিং (এটি নেহায়েতই সখের বসে, খুব বড় কিছু নয় এবং এটি জিএনইউ এর মত পেশাদারীও নয়) সিস্টেম নিয়ে কাজ (বিনামূল্যের) করছি। এটির পেছনে আমি গত এপ্রিল থেকে কাজ করে যাচ্ছি, এবং শুরু করার জন্যে এটি প্রায় প্রস্তুত। যেহেতু এটি প্রায় (ফাইল-সিস্টেম এবং কাঠামোগত দিক দিয়ে) মিনিক্স অপারেটিং সিস্টেমের অনুরূপ তাই যারা মিনিক্স পছন্দ/অপছন্দ করেন তাদের সকলের মতামত আশা করছি।
আমি এটিতে bash(1.08) এবং gcc(1.40) এর বৈশিষ্ট সমূহ নিয়ে এসেছি, এবং প্রায় সবকিছুই কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে মাসখানিকের মধ্যে এর থেকে বাস্তবিক কিছু একটি পেতে যাচ্ছি, এবং এর মধ্যে মানুষ কি কি সুবিধাদি চায় তা আমি জানতে ইচ্ছুক। যে কোন ধরণের পরামর্শ গ্রহণযোগ্য, কিন্তু তাদের বাস্তবায়ণের প্রতিশ্রুতি আমি দিতে পারছি না :-)
লিনুস (torvalds@kruuna.helsinki.fi)
বি.দ্রঃ এটি মিনিক্স কোড থেকে মুক্ত, এবং এতে মাল্টি-থ্রেড ফাংশন রয়েছে। এটি বহনযোগ্য নয় (৩৮৬ টাস্ক সুইচের ব্যবহার সমূহ) এবং সম্ভবত AT-Harddisk ছাড়া সম্ভবত এটি অন্যকিছু সমর্থন করবেও না, কারণ আমার তাই আছে :-( 

লিনুসের সেই ছোট্ট সখের কাজটি ধীরে ধীরে ডালপালা গজিয়ে উঠতে লাগলো। তার সেই সখের প্রজেক্টের নাম হলো 'লিনাক্স'। নানা প্রতিকূলতা পার করে তার তৈরি সেই লিনাক্স আজকে শতকরা ৯৬ শতাংশ সুপার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম। বিশ্বের যত ক্লাউড কম্পিউটার রয়েছে তার বড় একটা অংশ পরিচালনায় ব্যবহার করা হয় এই লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম! এন্টারপ্রাইজ সল্যুশন হিসেবে লিনাক্সের গ্রহণযোগ্যতা এখন বিশ্বজোড়া। 

আর এই লিনাক্সকে ব্যবহার করা যায় একদম বিনামূল্যে। চাইলে পরিবর্তন করে নেয়া যায় নিজের ইচ্ছে মত। নেই কোন বাধা, নেই কোন নিষেধ। এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স সাপোর্টের পাশাপাশি লিনাক্সকে নিয়ে গড়ে উঠেছে অনেক অনেক কম্যুনিটি। যারা নিরন্তর ভাবে একে উন্নত থেকে আরও উন্নত অবস্থানে পৌছে নিচ্ছে প্রতিটা মুহুর্তে। 


হাটি হাটি পা পা করে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম আজ ২৬ বছর পার করে ২৭ বছরে উর্ন্নীত হলো। পার্সোনাল কম্পিউটার, স্মার্টফোন থেকে শুরু করে সুপার কম্পিউটার, সবস্থানেই লিনাক্সের জয়জয়কার। 


শুভ জন্মদিন লিনাক্স, ধন্যবাদ লিনুস তোরভাল্দ্‌স 💗








মঙ্গলবার, অক্টোবর ১০, ২০১৭

ড্রেইনিং কমাতে ক্যালিব্রেট করে নিন আপনার স্মার্টফোনটির ব্যাটারি!

প্রায়শই আমাদের মুঠোফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক কমে আসে, ব্যাটারি প্রচুর পরিমাণে ড্রেইন হতে থাকে। অবস্থা এমন হয়ে দাড়ায় সময় সময় যে ব্যবহারের আগেই ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়। আর এমন বিরক্তিকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্যে ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন দারুণ এক সমাধান। এতে করে ব্যাটারির স্ট্যাবিলিটিরও উন্নতি ঘটে।


বেশ কয়েকটি পদ্ধতিকে ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন করা যায়।। তবে ম্যানুয়ালপদ্ধতিতে ক্যালিব্রেট করলে ক্যালিব্রেশনের সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।


ম্যানুয়াল ক্যালিব্রেশন পদ্ধতিঃ

  • আপনার ডিভাইসটি সম্পূর্ণ চার্জ শূন্য করুন। অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার ডিভাইসটি চলতে চলতে একদম বন্ধ না হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ননস্টপ ব্যবহার করতে থাকুন। সাধারণত এভাবে ব্যাটারি ফুরনো দারুণ কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ একটি কাজ। চাইলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে এই কাজটি করার জন্যে এ্যাপের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। Google Play store-এ ব্যাটারি দ্রুত ডিসচার্জ করার অনেক ধরণের এ্যাপ পাওয়া যায়, তার যে কোন একটি ব্যবহার করে কাজটি করা সম্ভব। “Fast Discharge” এমনই একটি এ্যাপ। এ্যাপ ব্যবহার ছাড়াও ব্যাটারি দ্রুত ডিসচার্জ করতে অনলাইনে ব্রাউজ বা ইউটিউব এ ভিডিও দেখার কাজ করা যেতে পারে।
  • ব্যাটারি সম্পূর্ণ ডিসচার্জ হবার পর সেটটি নিজে নিজে বন্ধ হয়ে গেলে ডিভাইসটি চার্জ দিতে শুরু করুন। বন্ধ অবস্থাতেই চার্জিং এর কাজটি সম্পূর্ণ করুন।
  • ১০০% চার্জ সম্পূর্ণ হবার আগে ডিভাইসটি চালু করা থেকে বিরত থাকুন। ১০০% চার্জ সম্পূর্ণ হবার পরও অতিরিক্ত কিছু সময় (১০/১৫ মিনিট) ডিভাইসটি চার্জ করুন। এরপর চার্জ শেষে ডিভাইসটি চার্জার থেকে আন-প্লাগ করে চালু করুন।
  • ডিভাইসটি চালু হবার পর ব্যাটারি ইনডিকেটর চেক করুন।। দেখুন শুধুমাত্র চালু হবার পর ব্যাটারির চার্জ ১০০% থেকে গিয়ে ৯৯% বা ৯৮% এ নেমে এসেছে কি না। যদি শুধুমাত্র ডিভাইস চালু হতেই চার্জ কমে গিয়ে থাকে তাহলে পুনরায় ডিভাইসটি বন্ধ করে চার্জ দিতে শুরু করুন। পুনরায় ১০০% চার্জ সম্পূর্ণ হলে অতিরিক্ত আরও ১০/১৫ মিনিট চার্জ করুন। এরপর চার্জার ডিসকানেক্ট করে ডিভাইস চালু করুন।
  • এভাবে কয়েকবার করে ব্যাটারির ইনডিকেটর দেখে চার্জ করতে থাকুন, যতক্ষণ না এটি বন্ধ থেকে চালু হওয়া পর্যন্ত ১০০% চার্জ না দেখায়।
  • ডিভাইস বন্ধ অবস্থায় চার্জ করে চালু করার পর ১০০% চার্জ ইন্ডিকেট করলে আপনার ক্যালিব্রেশন সম্পূর্ণ হয়েছে, বুঝতে পারবেন।





এ্যাপের সাহায্যে ক্যালিব্রেশন পদ্ধতিঃ

  • প্লে-স্টোর থেকে ব্যাটারি ক্যালিব্রেট করার এ্যাপ ডাওনলোড করে ইন্সটল করুন। ক্যালিব্রেট করার জন্যে প্লে-স্টোরে অনেক এ্যাপ রয়েছে। “Battery Calibration” তেমনই একটি এ্যাপ।
  • এরপর ডিভাইসটি একদম চার্জ শূন্য করে পুনরায় চার্জ করুন।
  • ১০০% চার্জ হবার পর  Battery Calibration এ্যাপটি চালু করুন।
  • “Start Calibration” বাটনে ক্লিক করুন এবং অপেক্ষা করুন, এ্যাপ নিজে নিজেই আপনার হ্যান্ডসেটের মডেল এবং তার তথ্য যোগাড় করে ক্যালিব্রেশন শুরু করবে। ক্যালিব্রেশন শুরু করার আগে আপনার নেট কানেকশন চালু  করে নিতে হবে।, নয়তো এ্যাপটি ক্যালিব্রেশন প্রসেস রান করবে না। ক্যালিব্রেশন চলার সময় বিভিন্ন এ্যাড দেখাতে পারে, এড গুলিকে স্কিপ করেই ক্যালিব্রেশন চালাতে হবে।
  • ক্যালিব্রেশন শেষে এ্যাপটি থেকে বের হয়ে আসুন এবং ডিভাইসটি বন্ধ করুন।
  • বন্ধ অবস্থায় পুনরায় চার্জার সংযুক্ত করুন, এবং ১০০% চার্জ করুন।
  • ১০০% চার্জ সম্পূর্ণ হবার পরও আরও কিছু সময় (১০/১৫ মিনিট) চার্জ করুন।
  • চার্জ সম্পূর্ণ হবার পর ডিভাইসটি চালু করুন। ডিভাইসটি ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন সম্পূর্ণ হয়েছে।





ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন শেষে পুনরায় উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে ডিভাইসটি চার্জ শূন্য করে আবার চার্জ সম্পূর্ণ করুন। আশা করি এরপর আপনার ব্যাটারি ড্রেইনিং সমস্যা অনেকাংশেই কমে আসবে।

এর সাথে ব্যাকগ্রাউড এ্যাপ গুলিকে বন্ধ রাখার জন্যে "Greenify" এ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি একই সাথে ব্যাটারি ড্রেইনিং কমাতে এবং ডিভাইসের মেমরি অপটিমাইজ রাখতে আপনাকে সহায়তা করবে।




বুধবার, মে ১৭, ২০১৭

সাবধান থাকুন - মুক্তিপণের চিঠি আসতে পারে আপনার নামেও



বিশ্বজুড়ে এখন চলমান সাইবার আতঙ্কের নাম WannaCry । যারা নিয়মিত টেক দুনিয়ার খোঁজ রাখছেন তাদের অনেকের কাছেই এখন এটা একটা পরিচিত নাম। বিগত কয়েকদিনে এই Ransomware গ্রুপের ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে ৯৯টিরও বেশি দেশে, আক্রমণ করেছে ২৩৭,০০০ টির চেয়েও বেশি সংখ্যক কম্পিউটারকে। 




WannaCry র‍্যানসমওয়্যারটির নাম মূলত WannaCrypt0r, যার পূর্বের একটি সংস্করণ গতবছর আঘাত হেনেছিল প্রযুক্তি বিশ্বে। ঐ সময় সেটির প্রতিরোধক প্রস্তুত করে অপারেটিং সিস্টেম গুলি। এ বছর নতুন রূপে আরও উন্নত হয়ে ফিরে আসে এর ২য় সংস্করণ। আঘাত হানে গতবারের চেয়েও বড় করে। 

র‍্যানসমওয়্যারটি বিভিন্ন মাধ্যমেই আপনার সিস্টেমে ডেলিভারি হতে পারে। তবে ইমেইলের মাধ্যমেই এর ছড়ানোর প্রক্রিয়াটা ব্যাপক ভাবে দেখা যায়। এখানে ভিক্টিমের কম্পিউটারে প্রবেশের পর ভিক্টিম যে নেটওয়ার্কে রয়েছে তার প্রায় প্রতিটি প্রান্তে সে নিজেকে ছড়িয়ে দেয়। এরপর ভিক্টিমের ইমেইল এ্যাপকে ব্যবহার করে তার সাথে কানেক্টেড সকলের কাছে নিজেকে ইমেইল এটাচমেন্ট হিসেবে পাঠাতে থাকে। যারাই মেইলটির এটাচমেন্ট তাদের সিস্টেমে ডাওনলোড করে, তারাই আবার ঐ র‍্যানসমওয়্যারটির দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পুনরায় ঐ সিস্টেম থেকে র‍্যানসমওয়্যারটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে ভিন্ন সিস্টেমে।

বলে রাখা ভালো যে, র‍্যানসমওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে। যারা উইন্ডোজ ব্যতীত ভিন্ন কোন অপারেটিং সিস্টেমে আছেন তারা আপাতত এই র‍্যানসমওয়্যারটি থেকে নিরাপদ আছেন। তবে লিনাক্সে যারা Wine ব্যবহার করছেন তারাও রয়েছেন এর আক্রমণের সমান ঝুকিতে।


র‍্যানসমওয়্যারটি আপনার সিস্টেমে লোড হবার পর আপনার সকল ফাইলকে সে লক (ক্রিপ্টো প্রযুক্তির মাধ্যমে) করতে থাকে। আপনার হার্ডডিস্কের ডেটা যখন এনক্রিপ্ট হয়ে যায় তখন সে স্ক্রিনে একটি মেসেজ দেখাতে থাকে। যাতে বলা থাকে, আপনার সমস্ত ফাইল সে এনক্রিপ্ট করে নিয়েছে। আপনার ডাটা গুলি যদি আপনি পুনরুদ্ধার করতে চান তবে তাদের কথা মত আপনাকে ৩০০+ ডলার একটি নির্দিষ্ট ঠিকানায় বিট-কয়েনে কনভার্ট করে পাঠাতে হবে। টাকা পাঠানোর পর তারা আপনাকে একটি কি(Key) পাঠাবে, যা ব্যবহার করে আপনি আপনার ফাইল পুনরুদ্ধার(decrypt) করতে পারবেন।

এখানে জেনে রাখা ভালো যে একবার কোন ফাইল যদি ক্রিপ্টোগ্রাফির সাহায্যে এনক্রিপ্ট হয়ে যায় তবে সেটি ডিক্রিপ্ট করার জন্যে আপনার ঐ 'Encryption Key' জানা থাকা লাগবে। Encryption Key ব্যতীত ফাইলটি রিকোভার করা প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। সাধারণ ভাবে বলা হয়ে থাকে যে এনক্রিপ্ট ফাইলের Encryption Key জানা না থাকলে একে যদি ডিক্রিপ্ট করার জন্যে কোন সুপার কম্পিউটারের সহায়তায়ও  নেয়া হয়, সেক্ষেত্রেও কমপক্ষে এক শতক পার হয়ে যাবে।


এনক্রিপশন Key ব্যতীত ডেটা রিকোভার করা প্রায় অসম্ভব। এমনকি আপনার এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামও এনক্রিপ্ট হয়ে যাওয়া ফাইল কোনভাবে আপনাকে পুনরুদ্ধার করে দিতে সক্ষম নয়। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই জোড় দিয়ে থাকেন। 




নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিচের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করুন-



  • Microsoft তার Windows অপারেটিং সিস্টেমের দুর্বলতা বের করে ইতোমধ্যে একটি নিরাপত্তা আপডেট তৈরি করেছে। যারা নিয়মিত উইন্ডোজ আপডেট করে থাকেন তারা ইতোমধ্যে প্যাচটি পেয়ে গেছেন। কিন্তু যারা নিয়মিত Windows আপডেট করেন না তারা অবশ্যই MS17-010 এই প্যাচটি আপনার অপারেটিং সিস্টেমের ভার্সন অনুযায়ী হালনাগাদ করে নিন।
  • আপনার এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামটির ডাটাবেস আপডেট করুন, প্রয়োজনে নিরাপত্তার জন্যে ভালো মানের এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইন্সটল করতে পারেন। পাশাপাশি একটি Anti-Malware প্রোগ্রামও সিস্টেমের নিরাপত্তার জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • Windows Feature থেকে "SMB 1.0/CIFS File Sharing Support" ফিচারটি বন্ধ করুন। মূলত এই ফিচারের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েই র‍্যনসমওয়্যারটি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।




  • Microsoft Office প্রোগ্রামের "Macro" ফাংশনটি ডিজেবল করুন।
  • অপরিচিত কারও কাছ থেকে মেইল কিংবা পরিচিত কারও কাছ থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত মেইল এটাচমেন্ট পেলে সেটি ডাওনলোড করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার এন্টিভাইরাসের মেইল শিল্ডের কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি করুন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা বিভিন্ন সাইট অথবা চ্যাট-বক্স থেকে প্রাপ্ত যে কোন লিংকে ক্লিক করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন লিংকটি নিরাপদ কি না।
  • লোভনীয়, কু-রুচি-পূর্ণ, কিংবা অপরিচিত সাইট ভিজিট করা থেকে বিরত থাকুন। সে সকল ষাইট গুলি বার বার রি-ডিটেক্ট করে কিংবা অনেক বেশি এড দেখায় ঐ সকল সাইট ভিজিট করা থেকে বিরত থাকুন। একান্ত প্রয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ব্রাউজারের প্রাইভেট মোড ব্যবহার করুন।
  • বিভিন্ন ধরণের ক্রাক্‌ড সফটওয়ার (যা কিনে ব্যবহার করতে হয়, কিন্তু আপনি এটি কোন প্যাচের মাধ্যমে ব্যবহার করছেন এমন সফটওয়ার। যেমনঃ Windows Activator, Adobe Photoshop, কিংবা Games সফটওয়্যার সমূহ) ব্যবহার বাদ দিয়ে তার বিকল্প Opensource সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
  • গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট গুলোর সর্বদা একটি ব্যাকআপ কপি সংরক্ষণ করুন।



নিরাপদ হোক আপনার ইন্টারনেট বিচরণ ☺️
🌹 🌹শুভকামনা সকলের জন্যে 🌹 🌹

বুধবার, মে ১৮, ২০১৬

Google Chrome এর Offline Installer ডাওনলোড লিংকসমূহ



স্ট্যান্ডার্ড ব্রাউজার গুলির মাঝে গুগল ক্রোম বেশ অনেক এগিয়ে আছে। বিল্টইন বিভিন্ন প্লাগ-ইন, এক্সটেনশন ব্যবহারের সুবিধা আর নিরাপত্তার দিক থেকে চিন্তা করলে বর্তমানের জন্যে চমৎকার একটি ব্রাউজার হচ্ছে Google Chrome। আপনি সরাসরি Google Chrome এর অফিসিয়াল সাইট থেকে অথবা এই লিংক (Chrome 32-bit || Chrome 64-bit) ব্যবহার করে ব্রাউজারটি বিনামূল্য ডাওনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে প্রথমে ছোট একটা ইন্সটলার প্রোগ্রাম ডাওনলোড হয়, যা পরবর্তীতে সম্পূর্ণ ব্রাউজারের ফাইল সমূহ ডাওনলোড করে তা সিস্টেমে ইন্সটল করে দেয়। 

তবে কেউ যদি ব্যাকআপ হিসেবে বা ভিন্ন ভিন্ন পিসিতে Google Chrome ব্রাউজারটি ইন্সটল করতে চান তবে ব্যাপারটা বেশ বিরক্তিকর এবং সময়সাপেক্ষ একটা ঘটনা হিসেবে দাড়ায়। তার উপর ইন্টারনেট কানেকশনে কোন সমস্যায় ডাওনলোড প্রক্রিয়া একবার বন্ধ হয়ে গেলে পুনরায় একদম শুরু থেকে ফাইল ডাওনলোড হওয়া শুরু করে।

আর এইসব ঝামেলা এড়াবার জন্যেই প্রয়োজন অফলাইন ইন্সটলার বা Standalone Installer। অফলাইন ইন্সটলার দিয়ে সরাসরি ক্রোম ব্রাউজারটি ইন্সটল করা যায়, সেক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইন থেকে সরাসরি পুরো ব্রাউজারের ডাটা একবারে ডাওনলোড করে নিতে হবে। তারপর যখন ইচ্ছে বা যতগুলি পিসিতে প্রয়োজন সকল স্থানে ঐ একই ইন্সটলার দিয়ে ব্রাউজারটি ইন্সটল করতে পারবেন।




নিচে Google Chrome ব্রাউজারের অফিসিয়াল অফলাইন ডাওনলোড লিংক দেয়া হল-




  • একজন ব্যবহারকারীর (Single User) জন্যে ব্রাউজারটি ডাওনলোড করার লিংকঃ



  • সকল ব্যবহারকারীর (All User) জন্যে ব্রাউজারটি ডাওনলোড করার লিংকঃ



  • Google Chrome ব্রাউজারের অফলাইন MSI ইন্সটলার ডাওনলোড করার লিংকঃ



  • Linux এর জন্যে Google Chrome এর ব্রাউজারটি ডাওনলোড করার লিংকঃ


  • Mac এর জন্যে Google Chrome এর ব্রাউজারটি ডাওনলোড করার লিংকঃ










উপরে প্রদত্ত লিংক সমূহ থেকে আপনি সর্বদাই Google রিলিজ কৃত Google Chrome এর সর্বশেষ সংস্করণের ব্রাউজারটি ডাওনলোড করতে পারবেন।






বুধবার, এপ্রিল ২৭, ২০১৬

চালু না করেই একাধিক PDF থেকে কাঙ্ক্ষিত টপিকটি খুঁজে বের করুন

বার্ষিক প্রতিবেদন, ম্যানুয়াল, গবেষণাপত্র, একাডেমিক ফাইল, স্টেটমেন্ট কিংবা নোট অথবা ফর্ম সহ আরও নানা ডকুমেন্ট হিসেবেই এখন Portable Document Format বা PDF ফাইল বেশ সমাদৃত। সাধারণত আমরা কোন টপিক কোন PDF থেকে বের করতে PDF Reader এ ফাইলটি চালু করে তার সার্চ সিস্টেম ব্যবহার করে টপিকটি খুঁজে থাকি। কিন্তু যারা অফিসিয়াল কিংবা গবেষণার কাজে অনেক সংখ্যক PDF ফাইল ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্যে এই কাজটা বেশ ঝামেলাপূর্ণ। অনেক বেশি PDF হলে কাঙ্ক্ষিত টপিকটি কোন PDF ফাইলটিতে রয়েছে তা চট করেই বের করা সম্ভব হয় না। তখন প্রায় প্রতিটি ফাইল চালু করেই তা খুঁজতে হয়।





কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই এই ঝামেলাপূর্ণ কাজটিকে আরও একটু সহজ ভাবে করা যায়। আর এই সহজ পদ্ধতিতে করার কাজটি করার জন্যে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে Foxit Reader নামের চমৎকার এক PDF রিডার। সাধারণত যে সকল PDF Reader দিয়ে আমরা PDF ফাইল গুলি পড়ি বা দেখি তার একটা সাধারণ ফিচারের মধ্যে Search ফিচার থাকলেও তা কেবলমাত্র সচল ফাইলটির মাঝে টপিক খুঁজে বের করে।

Foxit Reader এ এই Search ফিচারটির আরও একটু উন্নত করেছে। তারা শুধুমাত্র সচল ফাইলটির পরিবর্তে বর্ধিত সুবিধা হিসেবে একটি ডাইরেক্টরির অন্তর্গত সকল PDF ফাইল থেকে উক্ত টপিক খুঁজে বের করার সুবিধা যুক্ত করেছে। তাই কেউ যদি নির্দিষ্ট একটি ফোল্ডারে কিছু সংখ্যক PDF ফাইলের মধ্যে কোন কোন ফাইলে তার কাঙ্ক্ষিত টপিকটি রয়েছে তা বের করতে চায় তবে সে সকল PDF ফাইল চালু না করে শুধুমাত্র ডাইরেক্টরি সার্চ সুবিধা ব্যবহার করেই জানতে পারবে কোন কোন PDF ডকুমেন্টে তার ঐ কাঙ্ক্ষিত টপিকটি রয়েছে।




ডাইরেক্টরি বা ফোল্ডারের অন্তর্গত PDF ফাইলগুলি হতে আপনার টপিকটি খুঁজতে প্রথমে Foxit Reader টি চালু করুন। এরপর এর উপরে মেনু বারের ডান দিকে যে Find বারটি রয়েছে তার বাম পাশের ফোল্ডারের আইকনটিতে ক্লিক করুন, নতুন একটি সাইড পপ-আপ চালু হবে। 

এখানে "Where would you like to search?" এর ড্রপ-ডাউন বক্স হতে সিলেক্ট করুন 'All PDF Document in' এবং এর নিচের বক্স হতে আপনার PDF অবস্থিত ডাইরেক্টরি বা ফোল্ডারটি সিলেক্ট করুন। এরপর ৩য় বক্সে আপনার কাঙ্ক্ষিত টপিকটি লিখে Search বাটনে ক্লিক করুন।




কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার কাঙ্ক্ষিত টপিক যে সকল ডকুমেন্টে রয়েছে তার একটি লিস্ট সেখানে চলে আসবে। সার্চ সুবিধা আরও সুবিধাজনক করার জন্যে এই সার্চ রেজাল্টেই ডকুমেন্ট গুলিতে উক্ত টপিক কোথায় কোথায় অবস্থিত তা হাইপার লিংক তৈরি হয়ে যাবে। ফলে আপনার ঐ ডকুমেন্টে উক্ত টপিক যেখানে যেখানে রয়েছে তার পেইজ নম্বর এবং অবস্থান সহকারে একটি লিংক সেখানে পেয়ে যাবেন। লিংক সমূহে ক্লিক করলেই ডকুমেন্টটি রিডারে চালু হয়ে আপনাকে আপনার টপিকে সরাসরি নিয়ে যাবে। 

তবে এই সুবিধা শুধুমাত্র Text based PDF ডকুমেন্টের বেলায় প্রযোজ্য। আপনার PDF ডকুমেন্টটি যদি ছবি কিংবা স্ক্যান করা পেইজ দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে তাহলে কোন PDF Reader এর পক্ষে সম্ভব হবে না সেই টপিক ঐ ছবি থেকে খুঁজে বের করা।











আপনার Google Account এ সংরক্ষণ করুন প্রয়োজনীয় সকল ওয়েব লিংক

     বিভিন্ন প্রয়োজনেই আমরা বিভিন্ন সাইটের লিংক বুকমার্ক হিসেবে সংরক্ষণ করি। পূর্বে এই সুবিধা কেবলমাত্র ব্রাউজার কেন্দ্রিক হলেও এখন তার পরিধির ব্যাপ্তি ঘটেছে। এখন ব্রাউজারের মেমরি ব্যবহারের সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে ক্লাউড বুকমার্কিং পদ্ধতি। সে লক্ষে ভিন্ন ভিন্ন এ্যাপ ডেভেলপার ভিন্ন ভিন্ন ফিচার সমৃদ্ধ এ্যাপ ইতোমধ্যে তৈরি করেছেন। তেমনই কিছু পরিচিত এ্যাপের মাঝে আছে Pocket, Raindrop.io, Dropmark, Dragdis, Pinterest সহ আরও অনেক। 

Google Chrome ব্রাউজার অনেক আগে থেকেই ব্রাউজারের বুকমার্ক নিজেদের ক্লাউড সার্ভারে সংরক্ষণ এবং হালনাগাদ করার সুবিধা দিয়ে আসছিল। ঐ সুবিধার আলতায় Google Chrome ব্রাউজার ব্যবহারকারী যে সকল সাইট বা লিংক ব্রাউজারের বুকমার্ক সিস্টেমে সংরক্ষণ করতেন তা ঐ ব্যবহারকারীর Google একাউন্টে স্বয়ংক্রিয় ভাবে সংরক্ষণ হয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অনেক লিংক বুকমার্ক করা হয়ে গেলে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় লিংকটি খুঁজে পেতে কিছুটা সময় লেগে যায়, আর বুকমার্ক বারটিও বেশ হিজিবিজি দেখা যায়। আর যারা অনেক বেশি লিংক এভাবে সংরক্ষণ করেন তাদের ব্রাউজার কিছুটা স্লো কাজ করতে থাকে। 






এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার জন্যে গুগল "Save to Google" নামে নতুন একটি এ্যাপ ডেভেলপ করেছে। এই এ্যাপ আপনার সমস্ত লিংক গুগলের সার্ভারে সংরক্ষণ করবে এবং অন্য সকল বুকমার্কিং এ্যাপের মত এটিও আপনাকে লিংক কন্টেন্টের ভিত্তিতে ট্যাগ ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করবে। সেখানে ইচ্ছে করলে আপনি পোষ্ট প্রদত্ত ছবি গুলি যে কোন একটিকে Thumb বা প্রিভিউ হিসেবে পছন্দ করতে পারবেন এবং ইচ্ছে হলে লিংকটির সাথে ট্যাগ যুক্ত করে দিতে পারবেন।

Google এর এই সুবিধাটি পেতে আপনাকে প্রথমে আপনার Google Chrome ব্রাউজারে "Save to Google" এক্সটেনশনটি ইন্সটল করতে হবে। এরপর এক্সটেনশনটি আপনার একাউন্ট এক্সেস করার অনুমতি চাইবে। অনুমতি প্রদান করলেই সে কাজ করার উপযোগী হয়ে যাবে। 




এরপর যখনই আপনি কোন সাইট বা কোন পেইজের লিংক সংরক্ষণ করতে চাইবেন তখন উক্ত সাইট বা পেইজটি ব্রাউজারে লোড হবার পর শুধুমাত্র এক্সটেনশন বার হতে হলুদ স্টার চিহ্নিত এই "Save to Google"এক্সটেনশন বাটনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর পরই একটি pop-up উইন্ডো দেখতে পাবেন। এই উইন্ডোতে আপনি পোষ্ট সম্বলিত ছবি সমূহের মধ্য থেকে পছন্দসই ছবি Thumbs বা প্রিভিউ হিসেবে পছন্দ করতে পারবেন। পাশাপাশি পোষ্ট ক্যাটাগরি আলাদা করার জন্যে পছন্দমত Tag দিয়ে দিতে পারবেন।





আপনার সংরক্ষিত সাইট কিংবা লিংকগুলি দেখতে হলে Google এর My Save পেইজটিতে যান। সেখানে চমৎকার ভাবে আপনার লিংক গুলিকে ছোট প্রিভিউ সহ দেখতে পাবেন। আর অনেক লিংক হলে Google এর বিল্টইন সার্চ সুবিধার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার সংরক্ষিত লিংকটি খুঁজে পাবেন। এছাড়াও ক্যাটাগরি আকারে Tag সেকশনে একই ট্যাগের পোষ্ট গুলি আলাদা ভাবে দেখার সুযোগ তো থাকছেই।


আপাতত Google -এর এই সুবিধাটি কেবলমাত্র Google Chrome বা Chrome নির্ভর ব্রাউজার গুলিতে ব্যবহার করা সম্ভব। Firefox বা অন্যান্য ব্রাউজার গুলির জন্যে এখনো কোন Add-on তৈরি হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই অন্য সকল ব্রাউজারের জন্যেও খুব দ্রুতই Add-on প্রকাশ করা হবে।








সোমবার, এপ্রিল ২৫, ২০১৬

Google Docs এর ডকুমেন্ট পাবলিশ করুন আরও পরিপাটি রূপে


যারা Google এর সাথে পরিচিত তারা Google Docs সুবিধাটির কথাও জানেন। বর্তমানে আমরা যে Google Drive ব্যবহার করছি সেটি Google Docs এর একটি বর্ধিত সুবিধার আলতায় পড়ে। কোন অতিরিক্ত ওয়ার্ড প্রসেসর কিংবা অফিস প্রোগ্রাম ছাড়াই অনলাইনে ডকুমেন্ট তৈরির জন্যে Google Docs সমাদৃত হয়। তবে এর আরও একটি ফিচার হচ্ছে Online Collaboration পদ্ধতি। এই ফিচার ব্যবহার করে একই ডকুমেন্ট একই সময় একাধিক স্থান হতে একাধিক নির্বাচিত ব্যবহারকারী দেখতে এবং পরিবর্তন সংরক্ষণ করতে পারে।

তবে শুধুমাত্র এক বা একাধিক ব্যক্তির ডকুমেন্ট তৈরির সুবিধা নয়, Google Docs এর আরও একটি ফিচার হচ্ছে  Document Publishing. Google Docs এ কোন ডকুমেন্ট লেখার পর ব্যবহারকারী সরাসরি সেই ডকুমেন্ট অনলাইনে সকলের সাথে শেয়ার করার সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে কেউ ডকুমেন্টটি আর পরিবর্তন করার সুযোগ পায় না, শুধুমাত্র ভিউয়ার হিসেবে ডকুমেন্টে অবস্থিত তথ্য গুলি দেখতে পারে। 



তবে ডকুমেন্ট পাবলিশ করার পর তার বাহ্যিক সাজসজ্জা আধুনিক যুগের ওয়েব সাইট কিংবা ব্লগ গুলির মত আকর্ষণীয় তাকে না, কিছুটা আদিম যুগের ওয়েব সাইটের মত দেখা যায়। যার দরুন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলেও ডকুমেন্টটি অনেকেই পড়তে বিরক্ত বোধ করে থাকে। 


এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার লক্ষেই কাজ করেছে Google Doc Publisher নামের একটি ওয়েব এ্যাপের ডেভেলপারগণ। তাদের স্লোগান হচ্ছে - "PUBLISH GOOD LOOKING GOOGLE DOCS"। তারা একটি চমৎকার এ্যাপ তৈরি করেছে যা গুগল ডকের সাজসজ্জায় অনেকটাই পরিবর্তন এনে দেয়। ডকুমেন্টটি তৈরি করার সময় যেমন সাজসজ্জায় থাকে, ডকুমেন্ট পাবলিশ করার পরও তার সাজসজ্জা তেমনই থেকে যায়। মোট কথা, পুরাতন যুগের ওয়েব ডিজাইনের মত পুরো স্ক্রিনটা Justify মুডের মত হয়ে যায় না।

চমৎকার এই এ্যাপটি ব্যবহার করে সহজেই আপনি আপনার ডকুমেন্ট গুলিকে আকর্ষণীয় রূপে পাবলিশ করতে পারবেন। এতে যেমন আপনার পাবলিশ করা ডকুমেন্টটি পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে, তেমনি আপনার মার্জিত ভঙ্গি আপনার লেখাতেই উঠে আসবে।



যেভাবে পাবলিশিং এর কাজটি করবেন____





  • কাজটি করার জন্যে প্রথমে আপনি আপনার ডকুমেন্টটি তৈরি করে নিন।




  • ডকুমেন্ট সম্পাদনার পর যখন পাবলিশ করার জন্যে File থেকে "Publish to the web..." অপশনটি সিলেক্ট করুন।




  • পাবলিশিং পারমিশন প্রদান করে পাবলিশ্‌ড লিংকটি কপি করে ক্লিপ-বোর্ডে নিন।




  • এরপর  Google Doc Publisher সাইটে চলে আসুন। এখানে একটি ইনপুট টেক্সট-বক্স দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার পাবলিশ করা Google Docs এর লিংকটি পেস্ট করুন।


পেস্ট করার প্রায় সাথে সাথেই লিংকটি পরিবর্তন হয়ে যাবে। এখানে লক্ষ করে দেখবেন যেখানে আপনার Google Docs থেকে প্রাপ্ত পাবলিশিং লিংক ছিল কিছুটা এমন ফরমেটের-

https://docs.google.com/document/d/1lP8fDWJj8qD6R2SpYUc2g4eIWereIsTheLink1eAFrTSVWOBU/pub


সেখানে Google Doc Publisher এর লিংক ফরমেট হবে কিছুটা এমন-

http://gdoc.pub/1lP8fDWJj8qD6R2SpYUc2g4eIWereIsTheLink1eAFrTSVWOBU





  • এখন 'VIEW YOUR DOC' বাটনে ক্লিক করলেই নতুন একটি ট্যাবে পাবলিশ হওয়া আপনার ডকুমেন্টটি নতুন রূপে দেখতে পাবেন।




  • এখন শুধু আপনার কাজ হচ্ছে এই এ্যাপ থেকে প্রাপ্ত আপনার ডকুমেন্টের লিংকটি আপনার লেখাটির পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেয়া।



Google Doc Publisher এ পাবলিশ করা ডকুমেন্টটি যদি একাধিক পৃষ্ঠার হয়ে থাকে, তাতেও কোন সমস্যা নেই। Google Docs এবং Google Doc Publisher এ্যাপের মাধ্যমে যে লিংকটি আপনি পাচ্ছেন তাতে সকল পৃষ্ঠা স্বয়ংক্রিয় ভাবে একত্রিত হয়ে একদম ব্লগ পোষ্টের মত দেখাবে।






সোমবার, মার্চ ২১, ২০১৬

সাবধানতা অবলম্বন করুনঃ আপনার স্মার্ট-ফোনটিও রয়েছে Stagefright ঝুঁকিতে



গত বছরের জুলাই মাসে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান জিমপেরিয়ামের গবেষকেরা ‘স্টেজফ্রাইট’ বাগ সম্পর্কে প্রথম তথ্য প্রকাশ করেছিল। ওই সময় এ প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, অ্যান্ড্রয়েডচালিত মোবাইল ফোনে এমএমএস হিসেবেও ভাইরাস আসতে পারে, যা ফোনে থাকা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।

‘স্টেজফ্রাইট’ নামের অ্যান্ড্রয়েডের একটি নিরাপত্তা ত্রুটি কাজে লাগিয়ে ভাইরাস পাঠাতে পারে হ্যাকাররা। জিমপেরিয়াম মোবাইল সিকিউরিটির ব্লগ পোস্টে বলা হয়, ‘হ্যাকারদের শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাক করার জন্য মোবাইল নম্বর জানা থাকলেই চলবে। ওই নম্বরে দূরে বসেই এমএমএস বা টেক্সট মেসেজ আকারে একটি বিশেষ কোড লিখে মোবাইলে পাঠিয়ে দেবে তারা। বিশেষভাবে লেখা কোডসমেত বার্তা মোবাইলে পাঠাতে সফল হলে ব্যবহারকারী সে বার্তা দেখার আগেই তা মুছে যাবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী শুধু নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মোবাইল নিরাপত্তা পণ্য নির্মাতা জিমপেরিয়ামের দাবি, এখন পর্যন্ত অ্যান্ড্রয়েডের যতগুলো নিরাপত্তা ত্রুটির খোঁজ পাওয়া গেছে তার মধ্যে স্টেজফ্রাইট সবচেয়ে বাজে। এর কারণ হচ্ছে, এতে ব্যবহারকারীর কিছুই করার থাকে না। মোবাইল ফোন হ্যাক করে ব্যবহারকারীর অজান্তেই মোবাইল ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হ্যাকাররা। শতকরা ৯৫ শতাংশ বা ৯৫ কোটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী এই বিপদের ঝুঁকির মুখে আছেন বলেই জিমপেরিয়াম দাবি করে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

এদিকে জেডগেট্‌স এর বার্তা অনুযায়ী তারা ‘Stagefright’ এর নতুন আরেকটি সংস্করণ খুঁজে পেয়েছে। এটাকে তারা Stagefright 2.0 নামকরণ করেছে। এটা সম্পর্কে তারা বলে পূর্বে হ্যাকারকে টার্গেটেড ব্যক্তির ফোন নাম্বার জানতে হত। বাগটির নতুন এই রূপে হ্যাকারকে সেটিও করতে হবে না। শুধু মাত্র তাদের ডেভেলপ করা কোড ‘অডিও’ অথবা ‘ভিডিও’ ফাইলে ইনজেক্ট করে তা ব্যবহারকারীকে যে কোন মিডিয়া অবলম্বন করে পাঠালেই হবে। আর এতেই আক্রান্ত হবে ব্যবহারকারীর স্মার্ট ফোনটি।

জেডগেট্‌স এর নিরাপত্তা গবেষকেরা স্মার্ট-ফোনকে নিয়মিত প্যাচ করার পরামর্শ প্রদান করার পাশাপাশি বলে- ব্যবহারকারী যেন পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কোন সাইট/লিংক/ব্যক্তি ছাড়া কোন ‘অডিও’ বা ‘ভিডিও’ ফাইলের লিংকে ক্লিক/ডাওনলোড না করে। কিংবা ম্যাসেঞ্জার কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে পাওয়া কোন এটাচমেন্ট (সংযুক্ত ফাইল), কিংবা লিংকে ক্লিক করা থাকে।

গুগল এন্ড্রয়েড ব্লগের ভাষ্য অনুযায়ী তারা ইতোমধ্যে Stagefright বাগটির প্যাচ তৈরি করেছে এবং তাদের নির্মিত স্মার্ট-ফোন (Nexus) গুলিতে OTA আপডেট করার মাধ্যমে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই ত্রুটির নিরাপত্তা প্রদান করবে। অন্য সকল স্মার্ট-ফোন নির্মাতা এ সম্পর্কে এখনো কোন তথ্য প্রদান করেনি। তবে আশা করি অচিরেই তারা গুগলের প্যাচটিকে নিজেদের সার্ভারে আপলোড করে তা ব্যবহারকারীকে প্রদান করবেন।






সোমবার, জুলাই ০৬, ২০১৫

স্মার্টফোন ব্যবহার করে এক শব্দে ফেসবুক প্রোফাইলের নামকরণ করার পদ্ধতি


পূর্বে আমারা দেখেছিলাম, কিভাবে ডেক্সটপ কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে ফেসবুক প্রোফাইলের এক শব্দে নামকরণ করা যায় সেই পদ্ধতি। কিন্তু হালের যুগে সকলের হাতে হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। আর যদি সেই স্মার্টফোন থেকেই কাজটি করা যায় তাহলে কাজটি আরও সুবিধা জনক হয়। আর সেই তাগিদেই আজকের পোষ্টের অবতারণা।


মোবাইলের জন্যে আমাদের দুটো এ্যাপ প্রয়োজন-


১. মোবাইল ব্রাউজার

২. প্রক্সি পরিবর্তনের এ্যাপ।

মোবাইলের ব্রাউজার হিসেবে আপনি যে কোন ব্রাউজারই ব্যবহার করতে পারবেন। আমি আমার কাজের সুবিধার্থে এখানে Opera ব্রাউজার ব্যবহার করেছি। অন্যদিকে প্রক্সি পরিবর্তনের অনেক এ্যাপই এখন Play Store এ পাওয়া যায়। তার যে কোনটি ব্যবহার করলেই আপনার কাজ হবে। আমি এখানে ‘One Click VPN‘ এ্যাপটি ব্যবহার করেছি। আপনারা সরাসরি Play Store থেকে এ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে পারেন, কিংবা সমস্যা হলে এই লিংক থেকে ডাওনলোড করে ইন্সটল করতে পারেন।


ব্রাউজার এবং প্রক্সি এ্যাপ ইন্সটলের পর নিচের ধাপ গুলি অনুসরণ করুন-






  • ধাপ ১ : প্রথমে Opera বা আপনার মোবাইল ব্রাউজার দিয়ে m.facebook.com অথবা mbasic.facebook.com সাইটে প্রবেশ করুন। এরপর আপনার Email/Phone/UserName এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।


  • ধাপ ২ : ফেসবুকে লগইন সম্পন্ন হলে আপনার প্রক্সি পরিবর্তনের সফটওয়্যার চালু করুন। যেমন আমার ক্ষেত্রে আমি “One Click VPN” সফটওয়্যারটি চালু করলাম। এ্যাপ সচল হবার কিছুক্ষনের মাঝেই সার্ভার লিস্ট চলে আসবে।


  • ধাপ ৩ : এরপর সার্ভার লিস্ট হতে আপনি Indonesia এর একটি সার্ভার খুঁজে বের করে সিলেক্ট করুন।

সিলেক্ট করার পর সেটার রং পরিবর্তন হবে।




এখন স্ক্রিনের নিচে অবস্থিত “Connect” বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৪ : VPN কানেকশন তৈরির পূর্বে একটি সতর্কবানী দেয়া হবে। আপনি “I trust this application.” লেখাটির সামনে চেক বক্সে ক্লিক করে “OK” বাটনটি সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ৫ : কিছুক্ষন অপেক্ষার পর আপনার মোবাইলের স্ক্রিনের উপরের বাম পাশে একটি চাবির চিহ্ন দেখতে পাবেন। এবং একেবারে স্ক্রিনের নিচে লেখা আসবে “Connected, Enjoy!”। অর্থাৎ আপনি VPN সার্ভারের সাহায্যে ইন্দোনেশিয়ান প্রক্সি ব্যবহার করে এখন যে কোন সাইট ব্রাউজ করার জন্যে প্রস্তুত।


  • ধাপ ৬ : এরপর “One Click VPN” এ্যাপ মিনিমাইজ করে আপনার ব্রাউজার (আমার ক্ষেত্রে OperaMini) এ চলে আসুন। ফেসবুক হোম লোড হবার পর একদম নিচের দিকে অবস্থিত “Settings & Privacy” তে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৭ : এরপর Settings ড্যাশ থেকে General সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ৮ : General ড্যাশ লোড হবার পর সেখান থেকে Language লেখাটির উপর ক্লিক করুন।


  • ধাপ ৯ : এখন Language লিষ্ট হতে “Bahasa Indonesia” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১০ : পুনরায় আপনাকে ফেসবুক হোমে নিয়ে যাবে। এখন আবারও নিচে নেমে “Pengaturan & Privasi” লেখাটির উপর সিলেক্ট করুন।



  • ধাপ ১১ : এরপর Settings ড্যাশ থেকে “Umum” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১২ : Umum ড্যাশ লোড হবার পর “Nama” সিলেক্ট করুন।


  • ধাপ ১৩ : এখন তিনটি ইনপুট বক্স দেখতে পাবেন, এগুলি যথাক্রমে ‘First Name’ ‘Middle Name’ এবং ‘Last Name’ নির্দেশ করে। আপনি ‘Middle Name’ এবং ‘Last Name’ বক্সে থাকা সকল লেখা মুছে দিন এবং প্রথম বক্সে আপনি যে নামে আইডির নামকরণ করতে চাইছেন তা লিখুন। এবং সব শেষে “Tinjau Perubahan” লেখা বাটনের উপর ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৪ : নাম কনর্ফাম করার জন্যে আপনাকে পুনরায় পাসওয়ার্ড দিতে হবে। বক্সে পাসওয়ার্ড লিখে “Simpan Perubahan” লেখা বাটনে ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৫ : Settings ড্যাশ রিলোড হলেই দেখতে পাবেন Nama এর নিচে আপনার দেয়া এক শব্দের নাম দেখাচ্ছে। এখন আবার Bahasa লেখাটিতে (৬ নম্বর) ক্লিক করুন।


  • ধাপ ১৬ : পুনরায় ভাষা নির্ধারণ লিস্ট দেখতে পাবেন। সেখান থেকে “English (US)” অথবা আপনি যে ভাষায় ফেসবুক ব্যবহার করতে ইচ্ছুক সেই ভাষা নির্বাচন করুন।


ভাষা নির্ধারণ করার পর পুনরায় ফেসবুক হোমে আপনাকে নিয়ে আসা হবে। এবার আপনি উপরের Menu হতে Profile লেখাটিতে ক্লিক করুন। আপনার প্রোফাইল পেইজ লোড হবার পর সেখানে আপনার নামের স্থানে আপনার প্রদাণকৃত এক শব্দেরনামই দেখতে পাবেন।




পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে এই সুবিধাটি বিশেষ একটি পদ্ধতি (ইন্দোনেশিয়া প্রক্সি সেটিংস্‌) ব্যবহার করে উপভোগ করা যাবে। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে উক্ত সুবিধাটি শুধুই নির্দিষ্ট দেশের জন্যে দেয়া হয়েছিল। আমরা সেই সুবিধাটি ব্যবহার করেই এই “এক শব্দের নাম” সুবিধাটি নিচ্ছি। কিন্তু ফেসবুক পলিসি অনুসারে এটি আপনার সত্যিকারের নাম হলেও তা গ্রহনযোগ্য নয়। তাই এই সকল Single Name বা এক শব্দের নামের আইডি গুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফেসবুক ভেরিফিকেশন এর মধ্যে পড়ে যায়। আর সেখান থেকে নামের সঠিক মিল খুঁজে পাওয়া যায় না বলেই রিকোভার করা সম্ভব হয় না। তাই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আইডির নাম করলে তা নিজ দায়িত্বে করবেন।