বদি ভাইঃ বলতো রঞ্জু ভালো মানুষের ভালোমানুষি কখন কাজে আসে?
রঞ্জুঃ এইটা আবার কেমন প্রশ্ন বদি ভাই!
বদি ভাইঃ আহ্! প্রশ্ন হইল প্রশ্ন, প্রশ্নের কোন এমন তেমন নাই। এখন দ্রুত করে বল তো, ভালোমানুষের ভালোমানুষি কখন কাজে আসে?
রঞ্জুঃ আমার তো মনে হয় সবসময়ই কাজে লাগে।
বদি ভাইঃ সেটা একেবারে ভুল বল নাই। তবে সেই কাজে লাগাটা মূলত তার নিজের লাগে না। তার ভালো কাজ গুলি অন্যের কাজে লাগে।
রঞ্জুঃ সেটাই তো হবার কথা।
বদি ভাইঃ হুম, সেইটাই হবার কথা। কিন্তু মূলত তার এই ভালো কাজ গুলি কখন তার নিজের সত্যিকারে কাজে লাগে এইটা বলতে পারবা?
রঞ্জুঃ নাহ্, পারলাম না। আপনিই বলে দেন।
বদি ভাইঃ তোমারে নিয়ে আমি বড়ই হতাশ রঞ্জু। এত দ্রুত হাল ছেড়ে দাও না, তোমাকে পুরাই হোপলেস মনে হয়।
রঞ্জুঃ আচ্ছা, বুঝলাম তো। এইবার বলেন কখন মানুষের ভালো কাজ তার নিজের কাজে আসে।
বদি ভাইঃ মানুষের ভালো কাজ দুইটা অবস্থায় কাজে আসে। প্রথম যখন সে খুব.. খুব… খুবই অসুস্থ থাকে, তখন। আর দ্বিতীয় যখন সে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে ইহলোকে পাড়ি জমায়, তখন।
রঞ্জুঃ এইসব কি বলেন! তখন কিভাবে কাজে আসে তার ভালো কাজ!
বদি ভাইঃ বুঝলা না! এত অবুঝ হইলে কেমনে চলে!
রঞ্জুঃ আচ্ছা আমি অবুঝই ঠিক আছি, আপনি আছেন না আমাকে বুঝিয়ে বলার জন্যে। এবার বলেন, কিভাবে কাজে আসে?
বদি ভাইঃ খেয়াল করে দেখো, যখন কোন ভালো মানুষ গুরুতর অসুস্থ থাকে তখন সবাই মুখে মুখে বলবে, ‘আহা! কত ভালো মানুষ ছিল। এমন রোগ তার কেমনে করে হল’। আবার যখন কেউ মারা যায় তখন তো তার বাড়ি গিয়েই তার পরিবার পরিজনের সাথে বলবে, “ইশ! এমন ভালো লোকটা এমন করে চলে গেল!” আর তারপর সে যে কি পরিমাণ ভালো সেইটার ফিরিস্তি দিতে শুরু করবে।
রঞ্জুঃ কিন্তু এইসবই তো সমবেদনা, সান্ত্বনার কথা। এগুলি কিভাবে তার কাজে আসে।
বদি ভাইঃ হ্যাঁ, এইবার আবার একটা ঠিক কথা বলছো তুমি রঞ্জু। মানুষের ভালোকাজ গুলি একমাত্র তার অবর্তমানে মানুষের সমবেদনা কিংবা সান্ত্বনার ভাষায় প্রকাশ পায়। আর ঐটুকুই তার প্রাপ্তি।
রঞ্জুঃ তাহলে মানুষের খারাপ কাজ কখন কাজে আসে?
বদি ভাইঃ হা! হা! হা! হা! ঐটা কোন সময় কাজে আসে না সেইটা বল!