রবিবার, মার্চ ১০, ২০১৯

বন্ধ হচ্ছে Google+, ডেটা ব্যাকআপ করে নিন এখুনি


Google এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেবার মধ্যে অন্যতম একটি সোস্যাল সেবা হচ্ছে Google+

ফেসবুক, টুইটার এর মত এটিও একটি সোস্যাল প্লাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের লেখা, স্থিরচিত্র, এনিমেটেড চিত্র কিংবা ভিডিও প্রকাশ করতে পারত। শুধুমাত্র গুগলের একাউন্ট ব্যবহার করেই অন্যান্য অনেক সুবিধার সাথে গুগল তাদের এই সোস্যাল সেবাটি ব্যবহারীকে ব্যবহার করতে দিত।

কিন্তু গেল বছর গুগলের ডেভেলপার প্লাটফর্মে গুগল প্লাসের নিরাপত্তা ত্রুটির কারণ দেখিয়ে বন্ধ করার ঘোষনা দেয় তারা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-কে তারা জানায়, গুগল গত মার্চেই তাদের এই নিরাপত্তা ত্রুটিটি ধরতে পেরেছে। আর এই ত্রুটির কারণে নতুন করে কোন সরকারী নীতিমালা লঙ্ঘনের জটিলতা এড়াতে ও টেক ওয়াল্ডে নিজেদের ভাবমূর্তি ধরে রাখতেই প্রাথমিক ভাবে তারা ত্রুটির এই ব্যাপারটি গোপন করে। কিন্তু যখন ত্রুটির এই ব্যাপারটি লিক হয়ে গনমাধ্যমে চলে আসে, তখনই গুগলের শেয়ারের দাম ২ শতাংশ কমে যায়।


২০১১ সালে প্রকাশের পর গত বছর পর্যন্ত গুগল প্লাস সকলের জন্যে অবমুক্ত থাকলেও অন্য সকল সোস্যাল মিডিয়ার তুলনায় গুগল প্লাসের ব্যবহারকারী ছিল খুবই নগন্য। এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন রেজিস্টার্ড ইউজারের বিপরীতে সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল ৩৯৫ মিলিয়ন। কিন্তু এই বিশাল ব্যবহারকারীরা দিনে গড়ে মাত্র ৫ মিনিট (প্রায়) সময় কাটাতো গুগল প্লাসের পেছনে।

গুগল প্লাস বন্ধ হলে বর্তমান সকল ব্যবহারকারীর প্রোফাইল(একাউন্ট) ও পেইজও মুছে যাবে। গুগল প্লাসে পোষ্ট করা সকল ছবি, ভিডিও গায়েব হবে গুগল প্লাস বন্ধ হবার সাথে সাথেই। তাই গুগল তাদের ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে তাদের সকল গুগল প্লাস ডাটা ব্যকআপ ও ডাওনলোডের সুবিধা চালু করেছে। যাতে গুগল প্লাস বন্ধ হলেও তাদের পোষ্ট, ছবি আর ভিডিও গুলো ব্যবহারকারী থেকে হারিয়ে না যায়। তবে এই সুবিধাটি কাজ করবে গুগল প্লাস বন্ধ হবার আগেই। গুগল প্লাস বন্ধ হলে এই সুবিধাটি আর কাজ করবে না।


কিভাবে ব্যাকআপ নিবেন আপনার গুগল প্লাসের ডেটা?

গুগল প্লাসের ডেটা ব্যাকআপ নেবার জন্যে প্রথমে ব্রাউজারে আপনি আপনার গুগল একাউন্টে লগইন করুন। লগইন শেষে নিম্নবর্ণত ধাপ গুলো অনুসরণ করুন-


  • সাধারণ ভাবে এই পৃষ্ঠাটিতে আপনার গুগল প্লাসের সকল পোষ্ট, ছবি, ভিডিও, কম্যুনিটি ডেটা ব্যাকআপ করার জন্যে পূর্ব থেকেই সিলেক্ট করা থাকবে। তারপরও যদি আপনি কোন নির্ধারিত বিষয় বন্তু বাদ দিতে বা যুক্ত করতে চান তাহলে 'All Google+ Stream data included' লেখাটিতে ক্লিক করুন। তারপর লিস্ট থেকে পছন্দ মত ডেটা সিলেক্ট করুন কিংবা বাদ দিয়ে দিন।
     
  • পছন্দমত ব্যাকআপ করার ডেটা সিলেকশনের পর 'Next step' বাটনে ক্লিক করুন।



  • নতুন ফর্মে থাকা Delivery method থেকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী Delivery মেথড পছন্দ করুন। এখানে ৫ ধরণের মেথড রয়েছে-
    - Send download link via email(আপনার ফাইল গুলোর ডাওনলোড লিংক আপনাকে মেইলের মাধ্যমে পাঠাবে)
    - Add to Drive(আপনার গুগল প্লাসের ব্যাকআপ ফাইল আপনার গুগল ড্রাইভেই সংরক্ষণ করবে)
    - Add to Dropbox(আপনার গুগল প্লাসের ব্যাকআপ আপনার Dropbox একাউন্টে সংরক্ষণ করার সুবিধা দিবে)
    - Add to OneDrive(আপনার গুগল প্লাসের ব্যাকআপ আপনার OneDrive একাউন্টে সংরক্ষণ করার সুবিধা দিবে)
    -Add to Box(আপনার গুগল প্লাসের ব্যাকআপ আপনার Box একাউন্টে সংরক্ষণ করার সুবিধা দিবে)
     
  • File type থেকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী ফাইলের ধরণ নির্ধারণ করুন। .zip ফাইল সাধারণত Windows অপারেটিং সিস্টেমে কোন এ্যাপ ছাড়াই এক্সেস করা যায়। আর .tgz ফাইল ব্যবহার করতে হলে windows অপারেটিং সিস্টেমে আপনাকে 7-zip বা PeaZip এ্যাপের মত কোন এ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
     
  • Archive size থেকে আপনার সুবিধা অনুযায়ী আর্কাইভ সাইজ সিলেক্ট করুন। আপনি যদি স্বল্প প্যাকেজের নেট ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে Archive সাইজ থেকে 1GB বা 2GB সিলেক্ট করুন। আর যদি ব্যান্ডউইথ নিয়ে ঝামেলা না থাকে তাহলে 10GB অথবা 50GB-র যে কোন একটি সিলেক্ট করতে পারেন। তবে আমার পরামর্শ হিসেবে আমি বলবো আপনি আপনার Archive ফাইল গুলো 2GB করে আর্কাইভ করুন। এতে আপনার ফাইল ডাওনলোড এবং স্থানান্তর সুবিধা উভয়ই সহজ হবে।
     
  • এরপর 'Create archive' বাটনটিতে ক্লিক করুন। তবে আপনি যদি Delivery method সিস্টেমে Add to Dropbox, Add to OneDrive অথবা Add to Box সিলেক্ট করে থাকেন তাহলে সব শেষে 'Link account and create archive'  বাটনে ক্লিক করে আপনার Dropbox, OneDrive বা Box একাউন্টের সাথে লিংক করে দিতে হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহজেই আপনি আপনার ব্যাকআপ ফাইলটি Dropbox, OneDrive বা Box একাউন্টে পেয়ে যাবেন।

এখন আপনাকে বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। আপনার গুগল প্লাসের এক্টিভিটি এবং পোষ্টের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে আপনার অপেক্ষার সময়ের দৈর্ঘ কম/বেশি হবে। ব্যাকআপ শেষে আপনাকে মেইলের মাধ্যমে আপনার ব্যাকআপ ডাওনলোড করার লিংক জানিয়ে দেয়া হবে। 





তথ্যসূত্রঃ Google, Dustn.tv

সম্প্রতি দেখা সিনেমাঃ Rampage (2018)


২০১৮ সালের এপ্রিলে মুক্তি পায় ‘দ্যা রক’ ক্ষ্যাত ‘ডুয়েইন জনসন’ এর এ্যাকশন ঘরনার চলচিত্র 'Rampage'। মুভিটিতে ডুয়েইন জনসন অভিনয় করেন ডেভিস ওকোয়ে চরিত্রে।

মুভিতে দেখানো হয় ডেভিস একজন প্রাক্তন মর্কিন সেনা যে বর্তমানে বন্যপ্রাণী দেখাশোনার একটি পার্কে কর্মরত আছে। ডেভিস মানুষের চাইতে বন্যপ্রাণীদের সাথে বেশি বন্ধুভাবাপন্ন একজন ব্যক্তি। এই পার্কের বন্যপ্রাণীদের মধ্যে ‘জর্জ’ নামের একটি গরিলা ডেভিসের প্রিয় বন্ধু। আর্মিতে বন্যপ্রাণীদের রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকাকালীণ সময় সে এই বিলুপ্তপ্রায় গরিলাটিকে উদ্ধার করে এখানে নিয়ে আসে। আর একই সাথে ডেভিসের সাথে জর্জের বোঝাপড়াটা দারুণ ভাবে গড়ে উঠে। জর্জ গরিলা হলেও সে দারুণ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন একটি গরিলা, এটি মুভির শুরুতেই চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।


এদিকে ‘এনার্জিন’ নামক এটি প্রতিষ্ঠান তাদের একটি প্রজেক্টে জিন মেনিপুলেশন করে একটি বায়ো-উইপন তৈরি করে, আর সেই উইপনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্যে একে পাঠায় তাদের স্পেসশিপে অবস্থিত ল্যাবে। সেখানে পরীক্ষাধীন সময় এই উইপনের মারাত্বক দিকটি প্রাকাশ পায়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে, নিয়ন্ত্রণের মাত্রা ছাড়িয়ে সেটি। টেস্ট সাবজেক্ট হিসেবে ব্যবহৃত ইদুরটি ততক্ষণে রূপান্তরিত হয়েছে এক ভয়ানক দানবে। সুযোগ বুঝেই খুন করেছে স্পেসশিপে কর্মরত প্রায় সকলকে। তার মাঝেই কোনভাবে টিকে যাওয়া একজন বিজ্ঞানী এই পরিস্থিতির আপডেট জানিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করে ‘এনার্জিন’ এর প্রতিষ্ঠাতা ক্লায়ার উইডেন এর কাছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতির কথা জেনেও ক্লায়ার দৃঢ়কণ্ঠে জানায় যে, তাকে কখনই সহায়তা করা হবে যখন সে তাদের বায়ো-উইপনের স্যাম্পল এনার্জিন-এর কাছে পুনরায় হস্তান্তর করতে পারবে। প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও শেষ পর্যন্ত স্পেসশিপের ধ্বংসযজ্ঞে বেঁচে যাওয়া বিজ্ঞানি কাঙ্খিত ঐ স্যাম্পল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু তবুও দুর্ঘটনার কবল থেকে সে বাঁচতে পারে নি। বিদ্ধস্ত যে ইমার্জেন্সি স্কেপশিপে করে সে রওনা হয়েছিল তা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ঢুকতেই বিষ্ফোরণের স্বীকার হয়। আর একই সাথে ঐ স্পেসশিপে থাকা ঐ বায়ো-উইপনের স্যাম্পল ছড়িয়ে পড়ে আলাদা আলাদা তিন প্রান্তে।

বায়ো-উইপনের স্যাম্পল ছড়িয়ে পড়া তিন প্রান্তে আক্রান্ত হয় তিনটি বন্যপ্রাণী, যার একটি ছিল জর্জ। বায়ো-উইপনের প্রভাবে আক্রান্ত হয়ে জর্জ অশান্ত হয়ে উঠে। রাতের আধারেই সে হিংস্রাত্মক হয়ে আক্রমন করে বসে তার সাথে থাকা অন্য আরেকটি গরিলাকে, জর্জের হাতে খুন হয় সেই গরিলা। এদিকে একই সাথে জর্জের মধ্যে পরিবর্তন আসতে থাকে। জর্জ তার পরিবর্তন বুঝতে পেরে নিজেই ভীত হয়ে উঠে। নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আলাদা করে ফেলে বাকি গরিলাদের থেকে। পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে বুঝতে পারে তার মাঝে কোন একটা সমস্যা হয়েছে, যা স্বাভাবিক নিয়মে হবার নয়। বিচলিত হয়ে পড়ে ডেভিস।



অন্যদিকে মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট এভাবে হাতছাড়া হয়ে যাবার কারনে পাগল হয়ে উঠে ক্লায়ার। যে কোন মূল্যেই ফিরে চায় সে তার প্রজেক্টের স্যাম্পল। আর সেই ধারাবাকিহতায় ঐ স্যাম্পল উদ্ধারে পাঠায় ভাড়া করা কিছু খুনে সৈনিকদের। কিন্তু স্যাম্পল উদ্ধারের এই মিশন ব্যর্থ হয় যখন খুনে সৈনিকদের সবাই মারা পড়ে বায়ো-উইপনের প্রভাবে আক্রান্ত নেকড়ের কবলে।


ওদিকে নিজের আবিস্কারের এমন ভয়ানক অবস্থা জানতে পেরে প্রাক্তন এনার্জন এর কর্মী কেইট চলে যায় জর্জকে সংরক্ষণ করা পার্কে। সেখানে সে ডেভিসকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে, এই অবস্থা থেকে সে জর্জকে রেহাই দিতে সক্ষম। আর এরই মাঝে জর্জ নিজের নিয়ন্ত্রন হারায়। ক্ষুদ্ধ হয়ে জর্জ আপন সেল ভেঙ্গে বেরিয়ে পড়ে লোকালয়ে। অবশ্য খুব বেশিদূর যেতে পারে নি সে। এফ.বি.আই এর অতর্কিত আক্রমনে জর্জ সঙ্গা হারায়। তারা জর্জকে নিয়ে যেতে চায় তাদের ক্যাম্পে। সাথে নিয়ে যায় ডেভিস আর কেইটকে। ডেভিসের অনুরোধ স্বত্তেও এই অভিযানের দায়িত্বে থাকা হার্ভে রাসেল জর্জকে নিয়ে রওনা হয় উড়োজাহাজে।

পথিমধ্যে জর্জ আবারও তার জ্ঞান ফিরে পেয়েই শুরু করে তার ধ্বংসযজ্ঞ। ডেভিস উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগে কেইট এবং রাসেলকে উদ্ধার করে এই ধ্বংসযজ্ঞ হতে। জর্জের তান্ডবে ভুপতিত হয় তাদের বহনকারী উড়োজাহাজ। তারা ধারণা করেছিল বিমান ভুপতিত হবার এই ঘটনাতেই মারা পড়বে জর্জ। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে জর্জ এই ধ্বংসস্তুপ থেকে পালায়।

এরই মাঝে ক্লেয়ার নতুন ফন্দি বের করে। সে তাদের যোগাযোগ মডিউলের বিশেষ পরিবর্তন এনে একত্রিত করতে চায় বায়ো-উইপনের প্রভাবে আক্রান্ত জানোয়ার গুলোকে। সে এমন এক মাইক্রোওয়েভ সাউন্ডের সৃষ্টি করে যা শুনে আক্রান্ত জানোয়ার গুলি ধেয়ে আসবে শব্দ উৎপাদনকারী এনার্জিকের টাওয়ারের দিকে। আর সেই শব্দের প্রভাবেই তিন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা তিন জানোয়ার ধেয়ে আসতে থাকে শহরের দিকে। মার্কিন মেলিটারিরা চেষ্টা করে তাদের থামাতে, এম্বুস করে এদের ধ্বংস করতে চেষ্টা করে। বোমা হামলা চালায়, কিন্তু কিছুতেই কোন লাভ হচ্ছিল না। বরং তাদের গড়া একের পর এক নিরাপত্তা বলয় ভেঙ্গে চুরমার করে শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল জানোয়ারগুলো।



মার্কিন মেলিটারি অবস্থার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে শহর থেকে মানুষকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নিতে শুরু করে। আর জানোয়ার গুলোর ধ্বংসলীলা থামাতে বিষ্ফোরক দিয়ে পুরো শহর সহ গুড়িয়ে দেবার প্রস্তুতি নেয়। ডেভিস এমন সিদ্ধান্ত থেকে ধারণা করে যে এই অল্প সময়ে পুরো শহরের লোকজন বের করে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। আর তাই কেইটকে নিয়ে মিলিটারি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে রওনা হয় এনার্জিন-এর দিকে।

শেষ পর্যন্ত অনেক ক্লাইমেক্স পেরিয়ে ডেভিস আর কেইট বায়ো-উইপনের এন্টিডোট উদ্ধার করে জর্জকে তার নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। আর একই সাথে জর্জের সহায়তায় বাকি দুই জানোয়ার শেয়াল ও কুমিরকে খুন করে দূর্যোগপূর্ণ অবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসে নিজেদের দিকে। শহরশুদ্ধ মানুষকে হিংস্র জানোয়ার আর বোমার বিষ্ফোরনের নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বের করে নিয়ে আসে ডেভিস এবং জর্জ।




যারা নিয়মিত মুভি দেখেন তারা এই একই ধরণের স্ক্রিপ্ট ধরে এগিয়ে চলা অনেক-অনেক মুভিই ইতোমধ্যে দেখে ফেলেছেন বলেই আমার বিশ্বাস। খুব অল্প কিছু পরবর্তন ছাড়া এই একই ধরণের দুর্যোগপূর্ণ মারমার-কাটকাট মুভি রয়েছে বেশ অনেক সংখ্যক। গরিলার সাথে মানুষের যোগাযোগ আর দুষ্টামি-বুদ্ধিতে ভরপুর গরিলা ছাড়া বাকি মুভিতে কখন কি হতে পারে তা প্রায় সকল হলিউড ভিত্তিক মুভির দর্শকেরা সহজেই অনুমান করে নিতে পারবে। ডেভিসের চরিত্রে অভিনয় করা রককে কিছু স্থানে দেখানো হয়েছে অতিপ্রাকৃতিক শক্তিধর একজন হিসেবে। আবার বায়ো-উইপন দ্বারা আক্রান্ত জানোয়ার গুলোকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন আকারে দেখানো হয়েছে, যা গল্পের সাথে একদমই বেমানান ঠেকেছে।

প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত এ্যাকশন সিনেমা হিসেবে উপস্থাপন করতে গিয়ে অনেক বেশি বিষ্ফোরণ আর ধ্বংসলীলা দেখানো হয়েছে। বারবার করে যেন নিজে ইচ্ছেতে ধরা দিচ্ছিল উদ্ধার করতে আসা যুদ্ধ বিমান গুলো। যদিও মুভি স্ক্রিপ্টে “বন্যপ্রাণীর সাথে মানুষের মেলবন্ধন”-এর ব্যাপারটাকে হাইলাইট করে দেখানো হয়েছে, তবুও এখানে গল্পে/স্ক্রিপ্টে অনেক বেশি পরিমানে বিচ্ছিন্নতা আর অসঙ্গতিপূর্ণ বিশৃঙ্খলাই নজরে এসেছে। মুভির একটি দৃশ্যস্তর পার করে অন্য দৃশ্যে প্রবেশের সময় চরিত্রগুলোও যেন তাদের দিক হারিয়ে ফেলছিল বারবার। এছাড়া ডেভিস এবং জর্জ চরিত্রদুটি ছাড়া বাকি চরিত্রগুলোর কোন প্রভাবই যেন মুভিজুড়ে অনুপস্থিত লেগেছে।

সিনেমার ঘটনা ছাড়াই যাদের কাছে ধুম-ধাম পছন্দ, তাদের কাছে মুভিটি ভালো লাগতে পারে। কিন্তু যারা এ্যাকশনের সাথে গল্পের ধারাবাহিকতা আর গভীরতা পছন্দ করেন, তাদের কাছে হয়তো মুভিটা পানসেই লাগবে।



যদিও IMDB-তে Rampage রেটিং পেয়েছে ১০ এর মধ্যে ৬.১
কিন্তু ব্যক্তিগত রেটিং হিসেবে আমি মুভিটিকে ১০ এর মধ্যে ৩ দেবো।



সস্তা বিনোদনের আশা নিয়ে মুভিটি দেখা যেতে পারে। ব্যাক্তিগত ভাবে মুভিটি আমার তেমন আকর্ষণীয় কিছু মনে হয়নি। আশা করছি যারা ইতোমধ্যে মুভিটি দেখেছেন তারা মুভিটি সম্পর্কে নিজেদের মতামত জানাবেন 🙂






বুধবার, মার্চ ০৬, ২০১৯

প্রণয়িনী, কিছু অনুভূতি তোমার জন্য...



কিছু রাত বিভীষিকার ভয়ে জোৎস্নায় নিজেকে ভাসিয়ে দেয় না,
কিছু মেঘ উন্মাদনার ভয়ে অঝোরে বর্ষণ ঝড়িয়ে যায় না।
কিছু বাতাস লাগাম হারাবার ভয়ে ঝড়ো বেগে বয়ে যায় না,
কিছু তারা অনিষ্টের ভয়ে আপন আলোয় দিশা দেখায় না।

কিছু উত্তাপ পুড়ে যাবার তিব্রতায় আপন গণ্ডি অতিক্রম করে না,
কিছু ধোঁয়া অহেতুক অন্ধকারে তোমার দুনিয়া ভাসিয়ে দেয় না।
কিছু জলোচ্ছাস আঙ্গীনা ভাসিয়ে দেবার ভয়ে সমুদ্র ছেড়ে ডাঙ্গায় চড়ে না,
কিছু বর্জপাত আতঙ্ক ছড়াবার ভয়ে মেঘের আড়াল ছেড়ে দৃশ্যমান হয় না।

কিছু ফুল হিংস্রতার ভয়ে কলি ছাড়িয়ে ফুটে উঠে না,
কিছু সুবাস তীব্রতার ভয়ে নিজেকে ছড়িয়ে বিলীন হয় না।
কিছু মায়া কাঁদাবে বলে কখনো নিজেকে প্রকাশ করে না,
কিছু মমতা আকড়ে ধরার ভয়ে আপন শাখা মেলে ধরে না।

কিছু শব্দ কলঙ্কতার ভয়ে জনসম্মুখে উচ্চারিত হয় না,
কিছু ছন্দ সময়ের উন্মত্ততার ভয়ে শব্দরূপে সামনে আসে না।
কিছু সুর কাতরতার মাত্রা ছাড়াবে বলে বাদ্য রূপে বেজে উঠে না,
কিছু গান অশ্রুশিক্ত করার ভয়ে কারো গলায় ধরা দেয় না।


প্রণয়িনী,
তেমনি করে তোমার অনুযোগের ভয়ে আপন অনুভূতির প্রকাশ করি না...



ছবিঃ অরুন শিবপ্রসাদ (মূল), ঘষামাজায় অধম

রবিবার, মার্চ ০৩, ২০১৯

সুরের যাদু


সুরের মাঝে কি জাদু আছে কে জানে? কেউ সুরের এই যাদুর মোহে পড়ে হারিয়ে যায় আজানায়। আবার কেউ কেউ কেউ নিজেকে খুঁজে পায় এই সুরের মাঝেই। সেই অনাদিকালের শুরু থেকে মানুষ সুরের মুর্ছনায় হারাতে শিখেছিল। লক্ষ কোটি বছর পরেও সেই হারিয়ে যাবার আগ্রহে মানুষ সুরের পেছনে অন্ধের মত ছুটে বেড়ায়।

কি অসম্ভব ক্ষমতা এই সুরের! হ্যামিলনের ইঁদুর থেকে শুরু করে বাচ্চারাও দল বেঁধে হারিয়ে গেছে এই সুরের মোহনীয় লাইন ধরে। আজ অব্দি কেউ আর তাদের খুঁজে পায়নি। না কোন নগরে, না কোন বন্দরে। তারা যেন সুরের মতই সুরের মাঝে হারিয়ে গেছে, মিশে গেছে বাতাসে।

ক্ষমতা, লোভ, লালসা -এই সবই হার মেনেছে এই সুরের সামনে। আহংকার, আত্মগরিমা, দাম্ভিকতা - সবই ধুলিসাৎ হয়েছে এই সুরের কারণে। যে মন কোন বাঁধনে জড়ায় না, সেই মনও কোন না কোন এক গলিতে অখ্যাত কোন রেস্তোরায় বেঁজে যাওয়া কোন এক নাম না জানা বাদ্যযন্ত্রের টুং টাং শব্দতে নিজের পাথরসম হৃদয়টাকে বেঁধেছে। হয়তো স্বীকার করেনি কোন কালে, তবুও সেই সুর কখনো কানে ভেসে আসলে তাতে নিজের তৃষ্ণা মিটিয়েছে খুব সর্ন্তপণে।

উল্লাস, আনন্দ, বিজয় - এই সবই প্রকাশ পেয়েছে সুরে। কৃতজ্ঞতা, মহানুভবতা, দয়া - এরাও নিজেদের প্রকাশ আর প্রচার ঘটিয়েছে এই সুরের পথে হেটে। প্রতিটা শোক কিংবা প্রতিটা আনন্দের উল্লাস সুরের এই অলিগলির পথ ধরে অন্ধকার পথের কোণ থেকে উঠে গেছে রাজপ্রাসাদে। কখনো শোকের অশ্রু ঝড়িয়ে আবার কখনো আনন্দ অশ্রু বিসর্জনের মাধ্যমে মনের গহীন থেকে ভাব গুলিকে প্রকাশ করিয়েছে জনসমুদ্রে।

সুরের এই মাদকতা কাউকেই ছেড়ে কথা বলেনি। মোয়াজ্জিনের আজান থেকে শুরু করে কোরআনের তেলাওয়ালে রয়েছে তার উপস্থিতি। মন্দিরের ঘন্টা থেকে পুজার মন্ত্র পাঠের পড়তে পড়তে রয়েছে তার অবস্থান। গির্জার ঘন্টা থেকে শুরু করে সান্তাক্লোজের স্লেজ গাড়িতে রয়েছে তার বিস্তৃতি।

কেউ তার কন্ঠে ধারণ করেছে সুর আর কেউ তা নিয়ে এসেছে তাদের হাতের আঙ্গুলে। কেউ কথার পর কথাকে সাজিয়ে গেছে সুরে, আর কেউ কেউ সেতারার তার ধরে গুঞ্জন তুলতে তুলতে সৃষ্টি করেছে ঝড়। আর তাদের সেই ঝড়ে, সৃষ্টির গহীন তলে মানুষ বিভোর হয়ে হারিয়েছিল, হারাচ্ছে আর হারাতেই থাকবে নিজেকে।

এই সুরের ভেলায় চড়ে কত ভালোবাসার গল্প পার করেছে কত শত নীল নদ। শত শত বেহালার তারে প্রকাশ ঘটেছে ছড়িয়েছে বেদনার গল্প। একতারার কম্পনে সৃষ্ট সুরে প্রকাশ পেয়েছে হাজারো মূল্যবোধ। দোতারার সুর ছড়িয়েছে কত কাব্যকথা। পিয়ানো গুলো শব্দের কম্পনে শত শত মানুষের অস্তিত্বকে নাড়িয়ে গেছে। আর গিটারের তার গুলো আপন উন্মাদনার সুর ছড়িয়ে ছিটিয়ে উন্মত্ততায় আগুন জ্বালিয়েছে যুব হৃদয় গুলিতে। শত অবজ্ঞাতেও কেউ মুক্তি পায়নি এই সুরের কবল থেকে।

কত হঠকারী সুরের এই চিৎকারে নিজের কুৎসিত কর্মমকে সংবরণ করেছে। কত যালিমের মনে এই সুর সৃষ্টি করেছে ভয়। কত মুক্তিকামী মানুষের মনে সাহস যুগিয়েছে এই সুর। কত ভীত সম্প্রদায়কে আগ্রগামী করে দিয়েছে সে সময়-অসময়ে। কত রাজত্বের সৃষ্টি হয়েছে এই সুরের সিড়ি বেঁয়ে, আবার কত রাজত্ব ধ্বংস হয়ে বালিতে মিশে গেছে এই সুরের তেজস্বীয়তার সামনে। কত পরিচয় লুটেছে এই সুরে আর কত পরিচয় গড়েছে এই সুরের শেষে। সুরের এই অবদানের হিসেব কখনো বলে কয়ে শেষ করার নয়।

এইসব সুর ভেসে চলুক মানুষের মনে, ভাসিয়ে নিয়ে যাক মানুষকে তেপান্তরে। যুগ যুগান্তরের সুর এগিয়ে চলুক তার আপন গতিতে। ধ্বংসে, সৃষ্টে আর ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখুক সবাইকে....


পরিশেষে সুরের যাদুতে ঘেরা একটি পরিবেশনা..







শনিবার, আগস্ট ২৫, ২০১৮

২৭ বছরে লিনাক্স!


একটি কম্পিউটারকে চালাতে গেলে একটি চালক বা অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন পড়ে। শুরুতে কম্পিউটার বলতে মানুষ বুঝতো বিশাল বিশাল মেশিন। আর সেই মেশিন দিয়ে করা হতো খুব গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু কাজকর্ম। কিন্তু তার সবই আটকে থাকতো মেশিনকে কাজ করানোর জন্যে অপারেটিং সিস্টেমের দূর্বলতার সামনে। 

অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে অনেকেই কাজ করছিল তখন। প্রতিটা মেশিনের জন্যে আলাদা আলাদা করে অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা হতে লাগলো। পোর্ট করে একটা একটা ফিচার একটা একটা মাইক্রোপ্রসেসরে যুক্ত করা শুরু হলো। কিন্তু এইসবই আটকে থাকলো ব্যবসায়িক ধ্যাণ ধারণাকে সামনে রেখে। 

ধরুন আপনি একটি মেশিনের মালিক, এবং আপনার টাকা দিয়ে কেনা একটি অপারেটিং সিস্টেমও রয়েছে তাকে চালাবার জন্যে। কিন্তু সেই অপারেটিং সিস্টেমটি আপনার মেশিনকে দিয়ে আপনি যা করতে চাচ্ছেন তা করতে পারছে না। এমন অব্স্থায় যদি আপনি আপনার অপারেটিং সিস্টেমটার দুটো ফিচার পরিবর্তন করে নিতে পারেন, তাহলেই আপনার কাজ ঠিক মত হবে। কিন্তু চাইলেই আপনি এই কাজটা করতে পারবেন না। কারণ এটি করার অনুমতি আপনার নেই!



তখনকার প্রায় সকল অপারেটিং সিস্টেমের মত এমনই প্রতিবন্ধকতা ছিল মিনিক্স (Minix) অপারেটিং সিস্টেমেও। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এক সুইডিস যুবক নিজের 386 পিনের মাইক্রোপ্রসেসরের জন্যে মিনিক্সের আদতে একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরির কাজ শুরু করল। সেই যুবকটির নাম লিনুস বেনেদিক্‌ত তোরভাল্দ্‌স। লিনুস কাজ শুরুর প্রায় ৪ মাস পর তার কাজের একটি ছোট সংস্করণ সকলের জন্যে উন্মুক্ত করে দিল। আর তার সাথে চাইলো মানুষের মতামত।

লিনাক্স সম্পর্কে তার প্রথম বার্তাটির অনুবাদ নিচে তুলে দিলাম- 

হইতে: torvalds@klaava.Helsinki.FI (লিনুস বেনেডিক্ট টোভাল্ডস)
নিউজগ্রুপ: comp.os.minix
বিষয়: আপনি মিনিক্সে সর্বাধিক কি দেখতে চান?
সারাংশ: আমার নতুন অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ছোট জরিপ
বার্তা-ক্রম: <1991Aug25.205708.9541@klaava.Helsinki.FI>
তারিখ: ২৫ আগস্ট ৯১ ২০:৫৭:০৮ GMT
সংগঠন: University of Helsinki
হ্যালো মিনিক্স ব্যবহারকারীগন–
আমি ৩৮৬ এটি ক্লোন  একটি প্রসেসরের জন্যে একটি অপারেটিং (এটি নেহায়েতই সখের বসে, খুব বড় কিছু নয় এবং এটি জিএনইউ এর মত পেশাদারীও নয়) সিস্টেম নিয়ে কাজ (বিনামূল্যের) করছি। এটির পেছনে আমি গত এপ্রিল থেকে কাজ করে যাচ্ছি, এবং শুরু করার জন্যে এটি প্রায় প্রস্তুত। যেহেতু এটি প্রায় (ফাইল-সিস্টেম এবং কাঠামোগত দিক দিয়ে) মিনিক্স অপারেটিং সিস্টেমের অনুরূপ তাই যারা মিনিক্স পছন্দ/অপছন্দ করেন তাদের সকলের মতামত আশা করছি।
আমি এটিতে bash(1.08) এবং gcc(1.40) এর বৈশিষ্ট সমূহ নিয়ে এসেছি, এবং প্রায় সবকিছুই কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে মাসখানিকের মধ্যে এর থেকে বাস্তবিক কিছু একটি পেতে যাচ্ছি, এবং এর মধ্যে মানুষ কি কি সুবিধাদি চায় তা আমি জানতে ইচ্ছুক। যে কোন ধরণের পরামর্শ গ্রহণযোগ্য, কিন্তু তাদের বাস্তবায়ণের প্রতিশ্রুতি আমি দিতে পারছি না :-)
লিনুস (torvalds@kruuna.helsinki.fi)
বি.দ্রঃ এটি মিনিক্স কোড থেকে মুক্ত, এবং এতে মাল্টি-থ্রেড ফাংশন রয়েছে। এটি বহনযোগ্য নয় (৩৮৬ টাস্ক সুইচের ব্যবহার সমূহ) এবং সম্ভবত AT-Harddisk ছাড়া সম্ভবত এটি অন্যকিছু সমর্থন করবেও না, কারণ আমার তাই আছে :-( 

লিনুসের সেই ছোট্ট সখের কাজটি ধীরে ধীরে ডালপালা গজিয়ে উঠতে লাগলো। তার সেই সখের প্রজেক্টের নাম হলো 'লিনাক্স'। নানা প্রতিকূলতা পার করে তার তৈরি সেই লিনাক্স আজকে শতকরা ৯৬ শতাংশ সুপার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম। বিশ্বের যত ক্লাউড কম্পিউটার রয়েছে তার বড় একটা অংশ পরিচালনায় ব্যবহার করা হয় এই লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম! এন্টারপ্রাইজ সল্যুশন হিসেবে লিনাক্সের গ্রহণযোগ্যতা এখন বিশ্বজোড়া। 

আর এই লিনাক্সকে ব্যবহার করা যায় একদম বিনামূল্যে। চাইলে পরিবর্তন করে নেয়া যায় নিজের ইচ্ছে মত। নেই কোন বাধা, নেই কোন নিষেধ। এন্টারপ্রাইজ লিনাক্স সাপোর্টের পাশাপাশি লিনাক্সকে নিয়ে গড়ে উঠেছে অনেক অনেক কম্যুনিটি। যারা নিরন্তর ভাবে একে উন্নত থেকে আরও উন্নত অবস্থানে পৌছে নিচ্ছে প্রতিটা মুহুর্তে। 


হাটি হাটি পা পা করে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম আজ ২৬ বছর পার করে ২৭ বছরে উর্ন্নীত হলো। পার্সোনাল কম্পিউটার, স্মার্টফোন থেকে শুরু করে সুপার কম্পিউটার, সবস্থানেই লিনাক্সের জয়জয়কার। 


শুভ জন্মদিন লিনাক্স, ধন্যবাদ লিনুস তোরভাল্দ্‌স 💗








রবিবার, জুলাই ২৯, ২০১৮

অস্তিত্বের অনুধাবন



একটি কলম আর আপনার মাঝে পার্থক্য কি? আরও ভালো করে বললে- আপনার মাঝে আর আপনাকে ঘিরে রাখা পরিবেশের যে কোন বস্তুর সাথে আপনার মৌলিক পার্থক্যটা কোথায়? 

প্রশ্নটার উত্তর আপনি অনেক উপায়ে কিংবা ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দিতে পারবেন। আর দশ জনকে প্রশ্ন করা হলে সম্ভাবনা রয়েছে যে উত্তরটারও দশ রকমেরই হবে। কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তরের যতই রকমফের হোক না কেন, উত্তরের মূলকথা সমসময় একটা বিষয়কে কেন্দ্র করেই হবে। আর সেটি হলো আপনার অস্তিত্ব।

হ্যাঁ, আপনার অস্তিত্ব। যেটা একদম খুব ভেতর থেকে আপনি অনুভব করতে পারেন। আর যার উপর ভিত্তি করেই আপনার ব্যক্তিত্ব, চিন্তাভাবনা, চলাফেরা, আচার-আচরণ তথা আপনার বাহ্যিক প্রকাশ ঘটে সেটি হলো আপনার অস্তিত্ব। আপনি আপনার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন বলেই দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজ গুলো র্নিদ্বিধায় করে যেতে পারছেন। 

কিন্তু কেউ যদি আপনার ভেতর থেকে আপনার অস্তিত্বটাকে আলাদা ফেলে, তখন?
তখন আপনি যে আপনাকে নিয়ে এত গর্ব আর দম্ভ করে চলাফেরা করেন তার অবস্থান আর একটি কলমের অবস্থান ঠিক একই স্থানে এসে পৌঁছবে। মূলত ঐ সময়টাতে আপনার দেহ কিংবা বলা চলে একটা 'মৃতদেহ' আর একটা জড় বস্তুর মাঝে বিশেষ কোন পার্থক্য থাকে না। দুটো বস্তুই অসাড়,  ব্যবহার ছাড়া দুটো বস্তুই মূল্যহীন।

মানুষের সবচেয়ে বড় ভয় যদি চিন্তা করা হয় তাহলে তাতে নানা ধরণের বিষয় উঠে আসবে। আর এইসব বিষয় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত আর বড় কারণটাই হবে 'মৃত্যু' বা মরণ। আর মানুষের এই মৃত্যু ভীতিকে আরও একটু বিশ্লেষণ করলেই বের হয়ে আসবে যে বিষয় সেটি হলো আমাদের মহামূল্যবান ঐ অস্তিত্ব।

তবে এতকিছুর পরেও মানুষ তার অস্তিত্বকে নিয়ে নানা ধরণের কার্যক্রম চালিয়ে গেছে। কেউ কেউ নিজের অস্তিত্বকে দূরে ঠেলে ফেলার জন্যে নেশায় ডুবে গেছে আবার কেউ তার অস্তিত্বের তীক্ষ্ণতা বোঝার জন্যে নিজেকে মৃত্যুর কোলে সপে দিয়েছে। এ তো গেলো ব্যক্তি বিশেষের কথা, কিন্তু এর বাইরেও অস্তিত্বকে নিয়ে এক বিশাল জনগোষ্ঠি কাজ করেছে। তারা তাদের ধর্ম আর রীতিনীতিকে নিজ নিজ বিশ্বাসের সাথে জুড়ে দিয়ে নানা উপায়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। আর সে কারণেই কেউ কেউ নেশাকে ধরে নিয়েছে আত্মার দুষণ রূপে, আর কেউ নেশায় বুদ হয়েই আত্মার পরিশুদ্ধতা করার চেষ্টা করছে।

প্রতিটা নেশাজাত দ্রব্যই মানুষের অস্তিত্বটাকে নাড়া দেয় কিংবা কিছু সময়ের জন্যে তাকে আচ্ছন্ন করে রাখে। আর এতে করে নিজের বিশ্বাসটা লোপ পেয়ে যায়। আর ঐ সময়টাতে জাগতিক নিয়ম-কানুন আর তার কাছে কোন মূল্যবহন করে না। এ কারণেই অনেক বিপথগামী নেশায় বুদ হয়ে থাকে, কারণ সে যে অস্তিত্বের উপর নিজেগে গড়েছে তুলেছে তা নিজে মেনে নিতে পারে না, আর তা পারে না বলেই সেই অস্তিত্বকে সে নেশার মাধ্যমে ভুলে থাকবার চেষ্টা করে। 

নিজের অস্তিত্বকে ক্ষণিক সময়ের জন্যে হারিয়ে ফেলবার তেমনই একটি দ্রব্য হলো 'আইওয়াসকা' (Ayahuasca)। সঙ্গত কারণেই এই দ্রব্যটি নিষিদ্ধ। এটি তৈরি হয় স্থানীয়ভাবে, কিন্তু সকল স্থানে এটি সহজপ্রাপ্য নয়।

এই দ্রব্যটি একজন মানুষের ভেতর তার যে অস্তিত্ব রয়েছে তাকে এমন ভাবে নাড়িয়ে দেয় যে সে নিজেকে একদম পারিপার্শিক সকল বিষয় থেকে আলাদা মনে করতে শুরু করে। নির্দিষ্ট পরিমানে এই দ্রব্য গ্রহণ করলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এর কার্যকারিতা বহাল থাকে। এই সময়টাতে তার স্মৃতি দারুণ ত্বীক্ষ্ণ অবস্থায় থাকে। কিন্তু প্রতিটা বিষয় এতটাই এলোমেলো আর গতিসম্পন্ন থাকে যে তখন তাল মিলিয়ে চলাটা এক অসম্ভব কাজ বলেই মনে হয়। আর ঐ সময়টাতে নিজের বিশ্বাসের উপর অটল না থাকতে পারলে ভয়াবহ রকমের বিপত্তিও ঘটে যেতে পারে। 

তবে মজার  ব্যাপার হলো, যতক্ষণ দ্রব্যটি মানুষের শরীরে কিংবা তার রক্তে সচল থাকে, ততক্ষণ তার মস্তিস্কে তাকে চালিয়ে নেয়া অস্তিত্ব অনুধাবণের অংশটি বিকল হয়ে পড়ে থাকে। কিন্তু যখন দ্রব্যটির কার্যক্রম হ্রাস পেতে পেতে একদম বিলিন হয়ে যায় তখন মস্তিস্কের ঐ অংশটি নব-উদ্দ্যোমে একদম নতুনের মত করে নিজের অস্তিত্বকে অনুধাবন করতে পারে। দ্রব্যটি গ্রহণের পূর্বে তার এই অস্তিত্বের অবস্থানটি বিক্ষিপ্ত হলেও দ্রব্যটির আবেশ থেকে বের হয়ে আসলে অস্তিত্বের ঐ টুকরোগুলো কেন্দ্রীভুত অবস্থানে জমা পড়ে। ফলে নিজেকে এবং নিজের চিন্তাভাবনাকে আরও সুক্ষ্ণভাবে সে অনুভব করতে পারে। ব্যাপারটাকে লম্বা সময় ধরে চলতে থাকা একটি মোবাইল ফোনের সাথে তুলনা করা যায়, যেটি লম্বা সময় ধরে চলার কারণে কিছুটা ধীর গতি সম্পন্ন হয়ে আসে কিন্তু রিস্টার্ট করার পর পুনরায় একদম পুরোদমে নিজের কাজ শুরু করতে পারে। 

তো আপনি, নিজের অস্তিত্বটাকে কতটুকু অনুভব করতে পারেন? নিজের অস্তিত্ব আর সেই অস্তিত্বকে ভর করে গড়ে উঠা আপন বিশ্বাসকে কিভাবে মূল্যায়ণ করেন? অন্ধকরে তলিয়ে যাবার আগে কিংবা বিষন্নতায় ডুবতে বসলে কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করে পুনরায় নিজের অস্তিত্বটাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেন? 

তার থেকেও বড় প্রশ্ন- 'আদৌ কি আপনি আপনার অস্তিত্বের এই কেন্দ্রীভূত শক্তি ব্যবহার করতে পারেন?'





বুধবার, জুলাই ১১, ২০১৮

কাগজ ও কালি



তুমি অভিন্ন চেনা জানা; আমি সময়, পরিস্থিতি, আর চেতনায় কিছুটা খাপছাড়া। তুমি তোমাকে মেলে ধর মানুষের ইচ্ছে মত ব্যবহারের তরে। আর আমি! আমি তাদের ইশারায়, ইচ্ছায় আর খেয়ালে ছুটে চলি দিক-বিদিকে। আমাকে এক একজন এক এক খেয়ালে ছোটায়, এক এক রূপে তাদের চিত্ত বর্ণনায় ঘুরিয়ে বেড়ায়। আর তুমি! তুমি সেই সব চিত্ত বর্ণনা আপন কায়ায় ধারণ করে নাও। প্রকাশ কর, পৌছে দাও এক জনা থেকে অন্য জনায়। যদিও এই চিত্তের প্রকাশে তোমার আমার অবদান একদমই অনস্বীকার্য। অথচ তারা প্রায়ই আমাদের এই অবদানকে মূল্যায়নের হিসেবে ধরতে চায় না। তারা কেবল চিত্তের প্রকাশটাকেই মূল্যায়নের ময়দানে তুলে নেয়। অতঃপর, তুমি আর আমি হারিয়ে যাই, আর তারাও ভুলে যায় আমাদের। 

আমরা কারও হৃদয় স্পর্শ করতে পারি না, তবুও তাদের হৃদয়ে লোহিত কনিকার যে উত্তাল প্রবাহের সৃষ্টি হয়, যে ঝড় বয়ে যায় আমাদের আমাদের গড়ে তোলা সম্মিলিত রূপে, যে আনন্দে উৎফুল্ল হয় তাদের অন্তর কিংবা যে হতাশায়, ক্লান্তি অথবা পরিতাপে তাদের ভীত নড়ে উঠে; তা কিন্তু মোটেই হেলায় ছুড়ে ফেলবার মত কোন ব্যাপার নয়। 

তবে তাদের মাঝেই কেউ কেউ মূল্যায়ন করতে জানে। হয়তো আমার চেয়েও অধিক তোমাকে, কিংবা তোমার আমার একাত্বতায় সৃষ্ট তাদের স্মৃতিকে। কেউ কেউ তোমার পৃষ্ঠে আমার লেপন ছুঁয়ে দেয়, কেউ আবেগের লোনা জল ফেলে আমাদের মাঝে হারাতে চায়। কেউ চায় তোমার মাঝে আমাকে দিয়ে প্রতিফলণ ঘটানো বিষয়টাকে তার আপন আত্মায় ধারণ করতে, আবার কেউ চায় তোমার আর আমার সৃষ্ট দুর্বোদ্ধতা ঘুঁচাতে।  আবার কেউ কেউ হাজার বছর ধরে লুকিয়ে রাখা গোপন কথাটিকে সবার থেকে অন্তরাল করে কেবল তোমাকে আর আমাকে দেয় সংরক্ষণ করতে। 

এই যে অবহেলা কিংবা পরম ভালোবাসা, তার কোনটিই উপেক্ষিত নয়। এই যে লাঞ্ছনা কিংবা সম্মান, কোনটিই ফেলে দেবার মত নয়। তুমি আর আমি, আমরা তাদের চিন্তার ধারক। আমরাই তাদের বয়ে নিয়ে যাই এক শতাব্দী থেকে অন্য আরেক শতাব্দীতে। আমরাই তাদের পরিচয় করিয়ে দেই এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে। আমাদের মাঝেই তারা হারায় আর আমরাই তাদের এই নশ্বর সময়ে বাঁচিয়ে রাখি অবিনশ্বর করে। 

প্রিয় 'কাগজ', তুমি জানো এই ব্যাপারগুলোই বাকি সব কিছু থেকে আমাদের আদালা এক অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। তোমার পৃষ্ঠে তাদের চিত্তের প্রবাহকে ধারণ করাই যেমন তোমার দায়িত্ব। তেমনি 'কালি' হয়ে তাদের চেতনা তোমার পৃষ্ঠে ফুটিয়ে তোলাই আমার নিয়তি। আর এটা এমন এক নিয়তি যাকে তারা চাইলেও অস্বীকার করা যাবে না, এটা এমন এক দায়িত্ব যা এড়িয়ে চলাও সম্ভব না।

তাই তোমার তরে আমার অনুরোধ, এদের হেলায় কষ্ট পেয়ে নিজের পৃষ্ঠ তেকে তাদের চেতনাকে বিলিন করে দিও না। এই চেতনার প্রকাশে যতটা অধিকার তাদের, ততটা আমাদেরও। তুমি বরং আমার আচড় গুলো তোমার পৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখ। নিদেনপক্ষে, তোমার কাছে আমার এইটুকুই প্রত্যাশা....

মঙ্গলবার, অক্টোবর ১০, ২০১৭

ড্রেইনিং কমাতে ক্যালিব্রেট করে নিন আপনার স্মার্টফোনটির ব্যাটারি!

প্রায়শই আমাদের মুঠোফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক কমে আসে, ব্যাটারি প্রচুর পরিমাণে ড্রেইন হতে থাকে। অবস্থা এমন হয়ে দাড়ায় সময় সময় যে ব্যবহারের আগেই ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়। আর এমন বিরক্তিকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্যে ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন দারুণ এক সমাধান। এতে করে ব্যাটারির স্ট্যাবিলিটিরও উন্নতি ঘটে।


বেশ কয়েকটি পদ্ধতিকে ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন করা যায়।। তবে ম্যানুয়ালপদ্ধতিতে ক্যালিব্রেট করলে ক্যালিব্রেশনের সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।


ম্যানুয়াল ক্যালিব্রেশন পদ্ধতিঃ

  • আপনার ডিভাইসটি সম্পূর্ণ চার্জ শূন্য করুন। অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার ডিভাইসটি চলতে চলতে একদম বন্ধ না হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ননস্টপ ব্যবহার করতে থাকুন। সাধারণত এভাবে ব্যাটারি ফুরনো দারুণ কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ একটি কাজ। চাইলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে এই কাজটি করার জন্যে এ্যাপের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। Google Play store-এ ব্যাটারি দ্রুত ডিসচার্জ করার অনেক ধরণের এ্যাপ পাওয়া যায়, তার যে কোন একটি ব্যবহার করে কাজটি করা সম্ভব। “Fast Discharge” এমনই একটি এ্যাপ। এ্যাপ ব্যবহার ছাড়াও ব্যাটারি দ্রুত ডিসচার্জ করতে অনলাইনে ব্রাউজ বা ইউটিউব এ ভিডিও দেখার কাজ করা যেতে পারে।
  • ব্যাটারি সম্পূর্ণ ডিসচার্জ হবার পর সেটটি নিজে নিজে বন্ধ হয়ে গেলে ডিভাইসটি চার্জ দিতে শুরু করুন। বন্ধ অবস্থাতেই চার্জিং এর কাজটি সম্পূর্ণ করুন।
  • ১০০% চার্জ সম্পূর্ণ হবার আগে ডিভাইসটি চালু করা থেকে বিরত থাকুন। ১০০% চার্জ সম্পূর্ণ হবার পরও অতিরিক্ত কিছু সময় (১০/১৫ মিনিট) ডিভাইসটি চার্জ করুন। এরপর চার্জ শেষে ডিভাইসটি চার্জার থেকে আন-প্লাগ করে চালু করুন।
  • ডিভাইসটি চালু হবার পর ব্যাটারি ইনডিকেটর চেক করুন।। দেখুন শুধুমাত্র চালু হবার পর ব্যাটারির চার্জ ১০০% থেকে গিয়ে ৯৯% বা ৯৮% এ নেমে এসেছে কি না। যদি শুধুমাত্র ডিভাইস চালু হতেই চার্জ কমে গিয়ে থাকে তাহলে পুনরায় ডিভাইসটি বন্ধ করে চার্জ দিতে শুরু করুন। পুনরায় ১০০% চার্জ সম্পূর্ণ হলে অতিরিক্ত আরও ১০/১৫ মিনিট চার্জ করুন। এরপর চার্জার ডিসকানেক্ট করে ডিভাইস চালু করুন।
  • এভাবে কয়েকবার করে ব্যাটারির ইনডিকেটর দেখে চার্জ করতে থাকুন, যতক্ষণ না এটি বন্ধ থেকে চালু হওয়া পর্যন্ত ১০০% চার্জ না দেখায়।
  • ডিভাইস বন্ধ অবস্থায় চার্জ করে চালু করার পর ১০০% চার্জ ইন্ডিকেট করলে আপনার ক্যালিব্রেশন সম্পূর্ণ হয়েছে, বুঝতে পারবেন।





এ্যাপের সাহায্যে ক্যালিব্রেশন পদ্ধতিঃ

  • প্লে-স্টোর থেকে ব্যাটারি ক্যালিব্রেট করার এ্যাপ ডাওনলোড করে ইন্সটল করুন। ক্যালিব্রেট করার জন্যে প্লে-স্টোরে অনেক এ্যাপ রয়েছে। “Battery Calibration” তেমনই একটি এ্যাপ।
  • এরপর ডিভাইসটি একদম চার্জ শূন্য করে পুনরায় চার্জ করুন।
  • ১০০% চার্জ হবার পর  Battery Calibration এ্যাপটি চালু করুন।
  • “Start Calibration” বাটনে ক্লিক করুন এবং অপেক্ষা করুন, এ্যাপ নিজে নিজেই আপনার হ্যান্ডসেটের মডেল এবং তার তথ্য যোগাড় করে ক্যালিব্রেশন শুরু করবে। ক্যালিব্রেশন শুরু করার আগে আপনার নেট কানেকশন চালু  করে নিতে হবে।, নয়তো এ্যাপটি ক্যালিব্রেশন প্রসেস রান করবে না। ক্যালিব্রেশন চলার সময় বিভিন্ন এ্যাড দেখাতে পারে, এড গুলিকে স্কিপ করেই ক্যালিব্রেশন চালাতে হবে।
  • ক্যালিব্রেশন শেষে এ্যাপটি থেকে বের হয়ে আসুন এবং ডিভাইসটি বন্ধ করুন।
  • বন্ধ অবস্থায় পুনরায় চার্জার সংযুক্ত করুন, এবং ১০০% চার্জ করুন।
  • ১০০% চার্জ সম্পূর্ণ হবার পরও আরও কিছু সময় (১০/১৫ মিনিট) চার্জ করুন।
  • চার্জ সম্পূর্ণ হবার পর ডিভাইসটি চালু করুন। ডিভাইসটি ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন সম্পূর্ণ হয়েছে।





ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন শেষে পুনরায় উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে ডিভাইসটি চার্জ শূন্য করে আবার চার্জ সম্পূর্ণ করুন। আশা করি এরপর আপনার ব্যাটারি ড্রেইনিং সমস্যা অনেকাংশেই কমে আসবে।

এর সাথে ব্যাকগ্রাউড এ্যাপ গুলিকে বন্ধ রাখার জন্যে "Greenify" এ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি একই সাথে ব্যাটারি ড্রেইনিং কমাতে এবং ডিভাইসের মেমরি অপটিমাইজ রাখতে আপনাকে সহায়তা করবে।